Tuesday, September 4, 2018

গণতন্ত্র



কালিমার সাক্ষ্য দেয়া কোন মুসলিমের মাঝে নিফাক্বের আলামত দেখা গেলেই কি তাকে তাকফির করা আমাদের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত? এর উত্তরে সো‌জা কথায় বলা যায় যে, কোন মুসলিমকে ভুল করে তাকফির করার চেয়ে কোন মুনাফিককে ভুল করে তাকফির না করা উত্তম, সেফ সাইড। তাকফির না করেই যদি আমর বিল মারূফ ওয়া নাহী আনিল মুনকারের দায়িত্ব সম্পন্ন করা যায়, তবে সেটাই সবচাইতে অপটিমাল সলিউশন। কারণ মুনাফিককে তাকফির মূল উদ্দেশ্য নয়, নাহী আনিল মুনকার তথা অন্যায়ের বিরোধিতা মূল উদ্দেশ্য!

তবে অন্যায়ের বিরোধিতা করতে গিয়ে আমরা বরাবরই বাড়াবাড়ি এবং ছাড়াছাড়ির বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছি। একদল যেমন তাকফিরকে তাদের মূল উদ্দেশ্য বানিয়ে নিয়েছে, কারণ কুফর বিত তাগুত করতে হবে। তেমনি আরেকদল তাকফিরকে রোধ করতে কুফরকেই কুফর বলতেও দ্বিধা করছে। 

কাজের কারণে ব্যক্তিকে অযুহাত দেয়া যায়, কিন্তু আমরা ব্যক্তির কারণে কাজকে অযুহাত দিচ্ছি। এটা হল ছাড়াছাড়ির এক স্পষ্ট উদাহারণ। অমুক আল্লামা, তমুক শাইখ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে অংশ নিয়েছেন, তাই গণতন্ত্রকে সবাধানে কুফর বলো। এভাবে তারা ব্যক্তির জন্য একটি কাজকে অযুহাত দিচ্ছে। আরেক শ্রেণী বলবে যে গণতন্ত্র তো কুফর, যেই এতে অংশগ্রহণ তার জন্য কোন অযুহাত থাকতে পারে না। ব্যক্তির ব্যপারে কোন সবাধানতাই অবলম্বন করছে না।

অথচ উপযুক্ত হল, গণতন্ত্র কুফর, কিন্তু যারা এতে অংশ নেন, তারা সেটাকে কি মনে করে কোন উদ্দেশ্যে অংশ নেন সেটা মূখ্য, যখন তাদের ব্যাপারে আলোচনা আসবে। নতুবা গণতন্ত্রের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আমার পছন্দের মানুষদের অবস্থান কি, সেটা দ্বারা তা প্রভাবিত করা যাবে না। তেমনি পছন্দের-অপছন্দের মানুষদের ব্যাপারে সিদ্ধান্তের সময়, যারা কিনা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে অংশ নেন, গণতন্ত্র কুফর সেটাকে ভিত্তি না করে, তারা কোন উদ্দেশ্যে কি মনে করে কাজটি করছেন, সেটার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটাই ডাইনামিকি সলিউশন। কারণ এতে কোন মুনকার কাজ সৎ ব্যক্তিদের উসিলায় প্রচারণা পাবে না, আবার সৎ ব্যক্তিদের মুনাকরের জন্য তাদের সততাও অযথা প্রশ্নবিদ্ধ হবে না।

- মিফতাহ আয-যামান


No comments:

Post a Comment