Monday, September 3, 2018

আলেমদের সোহবতের বিকল্প নেই

দীনকে সঠিকভাবে বুঝার জন্য সোহবত প্রয়োজন। ব্যক্তি সোহবত বা সঙ্গ ছাড়া কোনো বিষয়ে সফল হওয়া সম্ভব নয়। যদি তাই হতো, তাহলে কলেজ-ভার্সিটিতে পড়ার দরকার ছিলো না। ভালো ডাক্তার, খেলোয়ার, মাস্টার বা রাজনীতিবিদ হওয়ার জন্য স্যার বা লিডারের পিছুপিছু ঘুরতে হতো না। দরকার হতো না লক্ষাধিক নবী রাসূল প্রেরণের। আল্লাহ তা'আলাও বলতেন না, "যা জানো না, সে বিষয়ে আলেমগণের শরণাপন্ন হও", আলেমগণের আনুগত্য কর"! প্রিয়নবীও বলতেন না, "আমার পর তোমরা এই দুইজন (আবু বকর ও উমার) কে অনুসরণ করিও।"

বরং কুর'আন, তাওরাত, পাঠ্যবই কিংবা কোনো গাইডলাইন পড়েই মানুষ চলতে পারতো। হেদায়েতের চাহিদা মিটে যেত। বই পড়ে অপারেশন করতে পারতো! কিন্তু এমনটা হয়নি। তাই আমাদের উচিৎ দীন শিখার সোর্সটা শুধু ফেসবুকেই সীমাবদ্ধ না রাখা। আলেমের কাছে যাওয়া। নিজের অজ্ঞতা, অপারগতা, সমস্যা তাঁর কাছে খুলে বলা। ইনশাআল্লাহ তিনি আমাকে সহজে কঠিন পথ উতরে যাওয়ার উপায় বাতলে দিবেন।

এখন সমস্যা হলো, কাকে ধরবো? কার কাছে যাবো?

ভাই আমার!
আপনি আপনার নিকটস্থ ইমাম বা পরিচিত ভালো কোনো আলেমের কাছে যান। কিংবা প্রতিষ্ঠিত কোনো কওমি মাদ্রাসার আলেমের কাছে। প্রথম প্রথম আনইজি লাগবে। কিন্তু একটু সাহস করে এগিয়ে যান। আদবের সাথে সালাম বিনিময় করুন। পরিচয় দিন। দু'আ নিন। ব্যস! এরপরের বার সহজলভ্য হাদিয়া নিন। দামি কিছু না কিন্তু। হালকা পাতলা তবে রুচিসম্মত। যেমন ভালো আতর, মেসওয়াক, কলম। এভাবে সখ্যতা গড়ে তুলুন। দেখবেন আলেমরাও আপনাদের পেয়ে কতটা খুশি হোন।
আর বোনেরা যাবেন দীনদার আলেমাদের কাছে। যেমন ইমামের বিবি আছে! কিংবা কোনো মাহরাম আত্মীয়দের মাঝে কেউ আলেম থাকলে। তবে অবশ্যই তা স্বামীকে জানিয়ে।

বিঃ দ্রঃ যার কাছে নিজের আধ্যাত্মিক চিকিৎসা, মানসিক ইসলাহের জন্য যাবেন, তাকে অবশ্যই আগে জিহাদ ও সুন্নাহর নিক্তিতে মেপে নিবেন। এ দুইটা হলো সঠিক দীনদার হওয়ার একমাত্র মানদণ্ড!

No comments:

Post a Comment