Tuesday, September 4, 2018
মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের সাহায্য করার হুকুম কী?
ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাব রাহিমাহুল্লাহ তাঁর ইমান ভঙ্গকারী দশটি বিষয়ের মধ্যে স্থান দিয়েছেন, মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিক-কাফিরদের সহায়তা করা। তাঁর আগে ও তাঁর পরে বিষয়টি নিয়ে আলিমগণ লিখে গেছেন। এ ব্যাপারে ইজমা বর্ণনা করেছেন। একে কুফর আকবর ও রিদ্দা সাব্যস্ত করেছেন আল্লাহ তায়ালার কালামের ভিত্তিতে। দুঃখের বিষয় হল এ বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী সময় কিছু ব্যক্তি বিভ্রান্তিতে পতিত হয়েছে, এবং তারা নতুন একটি শর্ত যুক্ত করেছে যা হল – এই কাজটি কুফর হবে শুধু এবং শুধুই যখন এর সাথে অন্তরে কাফিরদের দীনের প্রতি সন্তুষ্টি, তাদের দীনের বিজয় কামনা, তাদের দীনের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি যুক্ত হবে।
.
বস্তুত ঐ মতের মতোই যারা বলে আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন কুফর না, যদি না এতে ইস্তেহলাল (অন্তরে একে হালাল মনে করা যুক্ত না হয়)। অনেকে পরিকল্পিতভাবে এই মানহাজ প্রচার করেছে, অনেক ভাই বিভিন্ন কারণে অনিচ্ছা সত্ত্বেও এ ব্যাপারে বিভ্রান্ত হয়েছেন। আল্লাহ চাইলে এই মাযহাবের বাস্তবতা ও উৎস নিয়ে আমরা আলোচনার ইচ্ছা রাখি। তবে এখানে আমরা কেবল এ ব্যাপারে আলিমদের কিছু মত উল্লেখ করবো। যাতে করে কোন ব্যক্তি যদি নিজের বিরুদ্ধে যাওয়া সত্যকে অস্বীকার করতে উদগ্রীব হয়ে উঠে, সেও যেন আদল-ইনসাফ ও আত্মমর্যাদার খাতিরে অন্তত এটুকু স্বীকার বাধ্য হয় যে এ ব্যাপারে “ভিন্নমত” আছে। আর বাস্তবতা হল এই বিষয়টি স্পষ্ট, ইখতিলাফি না। তবুও তর্কের খাতিরে ও সভ্যতা ও ভব্যতার খাতিরে প্রবল অস্বীকারকারীও এটুকু স্বীকার বাধ্য হবে, অথবা নিম্নোক্ত আলোচনায় উল্লেখিত প্রতিটি ব্যক্তির ক্ষেত্রে একই হুকুম লাগানো হবে যা কথিত “চরমপন্থীদের” ব্যাপারে হন্তদন্ত হয়ে লাগানো হচ্ছে।
.
যারা দাবি করতে চান যে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের সাহায্য করা কুফর না, বরং গুনাহ, এবং কেবল অন্তরের শর্ত পূরণ হলেই তা কুফর (অর্থাৎ সত্তাগতভাবে কাজটি কুফর না।। কুফর হল অন্তরের বিশ্বাস- এ আকিদার বাস্তবতা দিয়ে ভবিষ্যতে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ), তারা এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে চান সাহাবি হাতিব রাদিয়াল্লাহু আনহু এর ঘটনা।
.
বস্তুত যারা তাওয়াল্লি ও মুযাহারার কুফর বলেছে, হাতিব রাদিয়াল্লাহু আনহু এর ঘটনা তাদের দলিল না, বরং এটি আল্লাহর কালাম দ্বারাই সাব্যস্ত। বস্তুত পথভ্রষ্ট ও পথভ্রষ্টতার একটি লক্ষন হল মুতাশাবিহাত দিয়ে মুহকাম বিষয়কে ব্যাখ্যা করা। অন্য দিকে আহলুস সুন্নাহর অবস্থান হল মুহকামের আলোকে দিয়ে মুতাশাবিহাতের ব্যাখ্যা করা। ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ তাঁর যাদুল মায়াদে উল্লেখ করেছেন হাতিব রাদিয়াল্লাহু আনহু- এর ঘটনা থেকে আলিমগণ মুসলিম গুপ্তচরের ব্যাপারে বিপরীতমুখী ফতোয়া দিয়েছেন। কেউ বলেছেন এমন ব্যক্তিকে মেরে ফেলতে হবে, কেউ বলেছে মারতে হবে না। এবং উভয় দলই এঘটনাকে নিজেদের স্বপক্ষে দলিল হিসাবে উল্লেখ করেছেন। সুতরাং প্রথমত এটিকে নিজের পক্ষে দলিল হিসাবে ব্যবহারের আগে উল্লেখ করা উচিৎ যে এই ব্যাপারে দুটি মত আছে । আর দ্বিতীয়ত, সুস্পষ্ট যে মত আল্লাহর কালামের ভিত্তিতে আছে, ও নিয়ে অতীত ও বর্তমানে অনেক আলিমের অনেক বক্তব্য ও ইজমার বর্ণনা আছে এ কথাটিও উল্লেখ করা আমানতদারিতার দাবি। বস্তুত এ সকল বিভ্রান্তির উদ্ভব ঘটে নিজের পছন্দ মত দলিল, ব্যাখ্যা অথবা ক্বওলের অনুসরণ, তাড়াহুড়া এবং বেছে বেছে নির্দিষ্ট কিছু মতকে উপস্থাপন করে সেটাকেই অকাট্য ও একক সত্য বলে দাবি করা।
হাতিব রাদিয়াল্লাহু আনহু এর ঘটনা থেকে কিভাবে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের সাহায্য করা কুফর এটি প্রমান হয়, সেই মত সম্পর্কে জানতে দেখুন - http://www.darulilm.org/2017/08/16/tawalli-confusiion/
.
কিন্তু যারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের সাহায্য করা যে কুফর আকবর এ বিষয়টি এড়িয়ে যাবার জন্য এ ঘটনাটি (যা মুতাশাবিহ) উল্লেখ করে শুধু একটি মত তুলে ধরে। আর একে ব্যবহার করে আহলে ইলমের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি কুফর ও রিদ্দা হবার ব্যাপারে যে ইজমা বর্ণিত হয়েছে তা অস্বীকার করে। আর যে আলিমগণ এ ইজমা উল্লেখ করেছেন তাঁরা কি এই হাদিসের এই ব্যাখ্যার (মুসলিম গুপ্তচরকে মারতে হবে না) কথা জানতেন না?
.
বস্তুত মুযাহারা যে কুফর ও রিদ্দা এটি একটি সুসাব্যস্ত বিষয়। যেমন শাইখ বিন বায মাজমু এর প্রথম খন্ডে ২৭৪ পৃষ্ঠায় বলেছেন –
মুসলিম আলিমরা একমত যে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কুফফারকে সমর্থন (সাহায্য) করেছে, এবং যেকোন উপায়ে সাহায্য করেছে সে কাফির ঠিক তাদের মতই।
এ ব্যাপারে আরো দেখুন শাইখের নিচের ফতোয়া, যেখানে তিনি মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সাহায্য করাকে রিদ্দা বলেছেন, কোন শর্ত উল্লেখ না করেই।
https://binbaz.org.sa/…/11…/حكم-مظاهرة-المشركين-على-المسلمين
.
কিন্তু আজ বলা হচ্ছে এ কাজটি কুফর কেবল তখন যখন এর সাথে কুফফারের দ্বীনের প্রতি ভালোবাসা, কুফরের প্রতি সন্তুষ্টি, কুফরের বিজয় কামনা ইত্যাদি যুক্ত হয়। একইভাবে শায়খ সুলাইমান আল-উলওয়ান বলেছেন মুযাহারা তথা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সাহায্য করা কুফর ও রিদ্দা, তিনি আরো বলেছেন যে এমন ধারণা করা যে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের সাহায্য করা শুধু তখনই কুফর যখন এর সাথে অন্তরের কুফরের ব্যাপারে সন্তুষ্টি বা তাদের দ্বীনের প্রতি ভালোবাসা যুক্ত হয় বস্তুত ইরজা ও তাজাহহুম (জাহমিয়াহদের মাযহাব) দ্বারা প্রভাবিত।
https://www.youtube.com/watch?v=FD0p3bCMDpk
.
শাইখের আরেকটি বক্তব্য বাংলা সাবটাইটেলসহ দেখুন - https://www.youtube.com/watch?v=JJ7jKrTABhw
.
একইভাবে শাইখ আলি-আল খুদাইর বলেছেন –
কুফফারের প্রতি তাওয়াল্লি হল কুফর আকবর যার মধ্যে কোন তাফসিল নেই। যে কেউ মুসলিমদের বিরুদ্ধ কুফফারকে সাহায্য করে সে কাফির, মুরতাদ।
আর একথার পর শাইখ যুক্ত করেছেন যেন ইরজার লোকেরা যেন আপনাকে এই ব্যাপারে বিভ্রান্ত না করে।
http://midad.com/…/1978…/الحد-الفاصل-بين-موالاة-وتولي-الكفار
.
দেখুন এ ব্যাপারে শাইখ ড. সফর আল-হাওয়ালি এর বক্তব্য, যেখানে তিনি বলেছেন মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের যেকোন ধরনের সাহায্য করা, এমনকি কথা দিয়ে সাহায্য করাও কুফর বাওয়াহ, ছরিহ নিফাক ও ঈমান ভংগকারী বিষয়।
http://www.alhawali.com/…/6028-3-كفر-من-ينصر-الكفار-على-الم…
.
আমেরিকার আফগানিস্তান আক্রমনের প্রেক্ষাপটে শাইখ সফর এ বক্তব্য দিয়েছিলেন। এ সময় শুধু তিনিই না একই ধরনের ফতোয়া দিয়েছিলেন শাইখ আব্দুর রাহমান বিন নাসের আল-বাররাক, শাইখ আল-ঘুনাইমান, শাইখ হামুদ বিন উকলা, শাইখ আবদুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আস-সাদ, শাইখ বিশর ইবন ফাহদ আল বিশর, এবং মরোক্কর ১৬ জন আলিম। সকলের বলেছেন তালিবানের বিরুদ্ধে আমেরিকাকে সহায়তা করা কুফর আকবর ও রিদ্দা। কেউ এখানে অন্য কোন শর্ত যুক্ত করেননি। দেখুন –
http://www.ilmway.com/site/maqdis/MS_20504.html
.
এসকল শাইখ কি চরমপন্থী? আল্লাহ আমাদের মনকে সত্যের দিকে উন্মুক্ত করে দিন, অনর্থক বিদ্বেষ, ঘৃণা ও হিজবিয়াহ থেকে হেফাজত করুন।
.
এ বিষয়ে উলামায়ে নাজদের অবস্থান সুপ্রসিদ্ধ এবং এ নিয়ে ইমাম সুলাইমান বিন আবদুল্লাহ ও ইমাম হামাদ ইবনে আতিকের কিতাবদ্বয় বিখ্যাত। ইমাম সুলাইমান তাঁর কিতাব আদ-দালাইলের শুরুই করেছেন এই বলে যে –
অবগত হোন, আল্লাহ আপনার প্রতি রহম করুন, যদি কোন ব্যক্তি মুশরিকদের দ্বীনের ব্যাপারে তাদের প্রতি মুওয়াফাকা যাহির করে, খওফ, মুদারাহ, কিংবা মুদাহানাহ কারণে – তাহলে অবশ্যই সে তাদের মতোই কাফির, যদিও উক্ত ব্যক্তি তাদের ও তাদের দ্বীনকে ঘৃণা করে এবং ইসলাম ও মুসলিমদের ভালোবাসে। (আদ দালাইল)
.
‘যদিও উক্ত ব্যক্তি তাদের ও তাদের দ্বীনকে ঘৃণা করে এবং ইসলাম ও মুসলিমদের ভালোবাসে’ – ইমাম সুলাইমানের একথার পর আর কিছু বলার অবশিষ্ট থাকে না। বস্তুত একথার বাসস্তবায়ন ইমাম সুলাইমান তাঁর জীবনে করে গেছেন, আলহামদুলিল্লাহ যেকারনে তাঁর স্পষ্ট কথা ও কর্মে ইচ্ছামতো তাবীল করার কোন সুযোগ নেই। পরবর্তী উলামায়ে নজদ ও সালাফি আলিমগণও এই অবস্থান এভাবেই উল্লেখ করেছেন, যার কিছু প্রমান আপনারা উপরে দেখলেন।
.
অতঃপর আমরা এ বিষয়ে উপস্থাপন করবো এ ব্যাপারে বিংশ শতাব্দীর জগৎ শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফকীহ আল্লামা আহমাদ শাকের রহিমাহুল্লাহ এর ফতোয়া যা তিনি উল্লেখ করেছেন তাঁর কালিমাতু হাক্ক গ্রন্থের ১২৬ থেকে ১৩৭ পৃষ্ঠায়। আল্লামা আহমেদ শাকিরের বক্তব্য –
.
“ব্রিটিশদের সহযোগিতার ব্যাপারে কথা হলো, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অথবা বড় যে কোনো ধরনের সহযোগিতা হলো চূড়ান্ত ইরতিদাদ (দ্বীন ত্যাগ) ও নিশ্চিত কুফরি। এতে কোনো অজুহাত বা ভুল ব্যাখ্যা কোনোটাই গ্রহণযোগ্য নয়। মূঢ় জাতীয়তাবাদ, ভঙ্গুর রাজনীতি এবং ভণ্ডামিপূর্ণ তোষামোদ কিছুই এ দ্বীনি বিধান থেকে কাউকে রক্ষা করবে না। বিশেষ ব্যক্তি, সরকার বা নেতাদের মাঝে যদি তা সংঘটিত হয় তবে ইরতিদাদ (দ্বীন ত্যাগ) ও কুফরির ক্ষেত্রে এদের সবাই একই।
.
…….সুতরাং ওরা (ফ্রান্স) ও ব্রিটিশরা হুকুমের ব্যাপারে একই। প্রত্যেক স্থানে তাদের রক্ত ও সম্পদ হালাল। বিশ্বের যে কোনো স্থানের মুসলিমদের জন্য ওদেরকে কোনো প্রকারের সহযোগিতা করা নাজায়েয। যদি কেউ সহযোগিতা করে তবে তার হুকুম তাদের মতোই যারা ব্রিটিশদের সহযোগিতা করে, তা হলো ইরতিদাদ (দ্বীন ত্যাগ) যা সম্পূর্ণরূপে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। আর এটা যে কোনো প্রকার বা প্রকৃতির সহযোগিতা হোক না কেনো।
.
…….সুতরাং বিশ্বের যে কোনো স্থানে অবস্থিত প্রত্যেক মুসলিমের অবশ্যই জেনে রাখা উচিৎ যে, কেউ যদি মুসলিমদের শত্রু, তাদের দাসে পরিণতকারী ব্রিটিশ, ফ্রান্স ও আরো যারা আছে এবং তাদের দোসরদের সহযোগিতা করে, একইভাবে যে কোনো রকমের সহযোগিতা অথবা তাদের সাথে এমন শান্তি স্থাপন করা এবং তাদের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা না করা, বিবৃতি বা কর্মের মাধ্যমে বিশ্বাসী ভাইদের বিরুদ্ধাচরণ করা, যদি উল্লেখকৃত যে কোনো একটি কাজ কেউ করে আর পরে সলাত আদায় করে, তবে তার সলাতের কোনো মূল্য নেই”। [কালিমাতুল হাক্ব, পৃষ্ঠা ১২৬-১৩৭ এ পাবেন বিস্তারিত ফাতাওয়া আল্লামা আহমাদ শাকের রহিমাহুল্লাহ এর “কালিমাতুল হাক্ব” কিতাবের ১২৬-১৩৭ পৃষ্ঠার “যুদ্ধরত কুফফার জাতির সঙ্গে মুসলিমদের আচরণ-বিধান” ভালোভাবে পড়ুন -
https://archive.org/details/WAQkalhaq,
বাংলা - https://www.pdf-archive.com/…/18/declaration/declaration.pdf]
.
এটি স্পষ্ট বিষয় আহমাদ শাকির জামা’আত কায়েদাতুল জিহাদের সাথে কখনোই যুক্ত থাকা সম্ভবই না, কারন তাঁর মৃত্যু হয়েছে জামা’আতের সূচনার বহু আগে। আমরা চিন্তা করি এই সকল শাইখ ও ইমামকেও কি এখন চরমপন্থী ও বাতিল মানহাজের বলা হবে কি না। আসলে বিষয়টি স্পষ্ট আর তা হল মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের সহায়তা করার কাজটি কুফর আকবর ও রিদ্দা। এরকম অসংখ্যা বক্তব্য অতীত ও বর্তমানে আলিমদের কাছ থেকে আছে। লেখা অতি দীর্ঘ হয়ে যাবার আশঙ্কায় সব উল্লেখ করা হল না।
.
ইনশা আল্লাহ কাফিরদের দীনের প্রতি ভালোবাসা, সন্তুষ্টি, তাদের দ্বীনের বিজয় কামনা ইত্যাদি অন্তরীন হওয়াকে আলোচ্য কর্মের কুফর হবার অত্যাবশ্যকীয় শর্ত দাবি করার আকিদার পেছনের বাস্তবতা নিয়ে ভবিষ্যতে আলোচনা করা হবে।
.
মুসলিম ভাইবোনদের অনুরোধ করবো একমুখী পড়াশুনা না করে বিশদভাবে বিষয়গুলো নিয়ে জানার চেষ্টা করতে, এবং নিজের নিয়তকে বিশুদ্ধ করে নিতে, নইলে অন্যের কোমর ভাঙ্গার জজবায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও পা পিছলে যেতে পারে, এবং অন্যে কোমরের বদলে ভেঙ্গে যেতে পারে নিজের কোমরই।
.
আল্লাহ সত্যান্বেষীদের হেদায়েত করুন, ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের উপযুক্ত প্রতিদান দিন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment