Sunday, September 2, 2018

মিথ্যাচার

সূরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াতের মধ্যে আল্লাহতায়ালা দাজ্জালী বাহিনী তথা ইহুদী খ্রিস্টান জোটের মিথ্যাচারকে উল্লেখ করেছেন। তারা বড় বড় মিথ্যার জালে মানুষকে আটকে ফেলে। যেমন তারা বলে, আল্লাহর একটি পুত্র সন্তান আছে। এখানে ইঙ্গিত রয়েছে এভাবে দাজ্জাল মানবতাকে বড় বড় মিথ্যার ফাঁদে ফেলবে।

যেমন তার সহকর্মীরা শুনাবে যে, ইরাকের কাছে গণ-বিধ্বংসী মারণাস্ত্র আছে। ইরান একটি পারমাণবিক হুমকি। আরব ও মুসলিমরা ৯/১১ আক্রমণের জন্য দায়ী। মাদ্রাসা মসজিদে জঙ্গী তৈরী হয়। নারী জাগরণের মাধ্যমে নারীদের প্রকৃত উন্নতি হয়। সুদ ছাড়া অর্থনীতি অচল। গণতন্ত্রের মধ্যেই মানুষের প্রকৃত মুক্তি।

ফলে সত্যকে ধ্বংস করার পথ তৈরী হয়। উদাহরণস্বরূপ, নারী জাগরণের কথা বলে নারীদের পর্দার অধিকারকে বাধাগ্রস্থ করা হয়।
এবং মানুষকে শিরকের দিকে ধাবিত করা হয়।

এখানে একটি অতিরিক্ত বিষয় উল্লেখ করা যেতে পারে। ইরাকে আক্রমণের পর তারা দু’টি জিনিস পায়নি। এক, মারণাস্ত্র; দুই, সাদ্দামের দুর্নীতি। যদি এ’ দুটির একটিকেও তারা পেত তাহলে ইরাক আক্রমণকে জায়েয করে ফেলত। যদিও প্রথমদিকে তারা সাদ্দামের সোনার টয়লেট এবং বিলাসবহুল জীবনের প্রচারণা ছড়িয়েছে। বাইতুল্লাহর মুসাফির গ্রন্থে লেখক সাদ্দামের বাসভবনে যাওয়ার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করেছেন এবং তার সাধাসিধা জীবনযাপনকে তুলে ধরেছেন, যদিও রাষ্ট্র পরিচালনায় সাদ্দাম দ্বীনী আদর্শ বাদ দিয়ে পাশ্চাত্য সেক্যুলার নীতিকেই বেছে নিয়েছিলেন।



মিথ্যাচার 


No comments:

Post a Comment