Monday, September 3, 2018

প্রচলিত আইন বনাম শারীয়াহ আইন





স্রষ্টা প্রদত্ত আইন বাদ দিয়ে প্রচলিত সেকুলার আইন দিয়ে কখনোই সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হবে না। আজকে আমরা মানুষের বানানো সেকুলার আইনের ব্যর্থতা দেখেও শারীয়াহ আইনের দিকে ফিরছি না, এর দ্বারা আমরা নিজেদের ধ্বংস করছি প্রতিনিয়ত। অথচ মানুষের বানানো আইনের চেয়ে আল্লাহর দেয়া আইন শ্রেষ্ঠ হবে এ কথা কিভাবে অস্বীকার করি? আমরা সুবিচারের আইন চাই, কিন্তু আল্লাহর আইন ছাড়া কোন আইন সুবিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে, বলবেন কি?

আজকে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কেন শারীয়াহ আইন প্রয়োজন তা বলবো। আপনারা সেকুলার আইন সম্পর্কে ভালো করেই অবগত। গুন্ডা বদমাশ অশিক্ষিত রাজনীতিবিদদের বানানো আইন দিয়ে দেশ চলে, এর চেয়ে লজ্জার কি আছে। আর একটা মামলা কিভাবে বছরের পর বছর চলে, সমাধান হয় না, কিভাবে দোষী ব্যক্তি খালাস পায় আর নিরীহ মানুষ বছরের পর বছর জেলে থাকে তা আপনারা সবাই জানেন। অথচ এই মানব রচিত আইনের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে চায় না, গণতন্ত্র নামের জুলুমের উৎসস্থলের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পায়, শারীয়াহ আইনের পক্ষে বলতে দ্বিধা করে, কারণ এগুলা হচ্ছে পশ্চিমের দেয়া স্ট্যান্ডার্ড, এর বিরুদ্ধে গেলেই আপনি বাতিল, অথচ এগুলাই জালেমদের জুলুম করার লাইসেন্স।
সম্প্রতি আইন হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বা নিহত করলে ৫ বছরের জেল হবে। এটা যে অন্যায় আইন তা বলার আপেক্ষা রাখে না।

ইসলামী আইন কায়েম হলে যেভাবে দুর্ঘটনা কমবেঃ

১- দুর্নীতি বন্ধ হবে। ঘুষ বন্ধ হবে। ঘুষ দিলে তা'যীরের বিধান কায়েম হবে। ঘুষগ্রহীতা শাস্তি পাবে, যেমন অর্থদণ্ড, কারাদণ্ড, বেত্রাঘাত কিংবা চাকরিচ্যুত ইত্যাদি।

২- ঘুষ বন্ধ হলে লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চলতে পারবে না। ফলে সড়কে শৃঙ্খলা আসবে।

৩- মদ মাদক এসব নিষিদ্ধ হবে, ফলে সাধারণ অবস্থাতেই এসব গ্রহণ করা সম্ভব হবে না, আর মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানো অনেক দূরের কথা।

৪- ইসলামী শিক্ষার প্রসার ঘটলে ড্রাইভাররা বেপরোয়া গাড়ি চালাবে না, তারা বুঝবে নিরীহ মানুষ হত্যা ইসলামে কেমন রকম অপরাধ, ঘুষ দেয়া কিংবা মাদক গ্রহণের মত অপরাধগুলো ইসলামী নৈতিকতার প্রসারে অনেক কমে আসবে।

৫- যদি গাড়ি চালাতে গিয়ে পথচারীকে আহত করে, তবে আহত ব্যক্তির আহত হওয়ার অনুরুপ শাস্তি পাবে। হাতের বদলে হাত, পায়ের বদলে পা। আর যদি আহত ব্যক্তি মাফ করে দেয় তবে জরিমানা দিতে হবে, আর আহত ব্যক্তির সকল কিছুর ব্যয়ভার তো আছেই।

৬- কিন্তু যদি নিহত হয়, তবে মৃত্যুদণ্ড হবে, কিন্তু স্বজনরা চাইলে রক্তমূল্য নিয়ে মাফ করে দিতে পারবে। এর পরিমাণ ১০০ উটের দাম, একটা উট ১ লক্ষ হলে ১ কোটি টাকা, তবে সৌদির হিসেবে ৬৭ লক্ষ।

আর বলার অপেক্ষা রাখে না, ইসলামী শারীয়াহ আইন কিভাবে অপরাধ দমনে ভূমিকা রাখে।




No comments:

Post a Comment