Thursday, February 27, 2020

সালমান মুক্তাদিরের "বিহাইন্ড দ্য সিন" বইয়ের রিভিউ - হাসান মির্জা


রকমারিতে ঢুকেছিলাম আরিফ আজাদের বইয়ের কি অবস্থা তা দেখতে। যখন দেখলাম মারজুক রাসেল কিংবা সালমান মুক্তাদিরদের বইও হাজার হাজার কপি বিক্রি হয় তখন বিনোদন নেয়ার আশায় তাদের বইয়ের ভেতর ঢুকে দেখতে ইচ্ছে হল। কিন্তু সালমানের বইকে আমি ভেবেছিলাম ওর ইউটিউব ভিডিওর মতই ফাইজলামি, ফাতরামি ইত্যাদি। এতো সিরিয়াস কিছু হবে ভাবি নি। সেকুলারিজমের গার্বেজে ভরা বইখানা। অনেক কট্টর সেকুলারও সেকুলারিজমের পক্ষে এতো সুন্দর বই লিখতে পারবে কিনা সন্দেহ! এই বইয়ের চিন্তাচেতনা যদি যুবসমাজ গ্রহণ করে তবে যুব সমাজের নৈতিক ধ্বংস আসতে সময় লাগবে না। জেরুসালেমের ভূমি-বিজেতা সালাহুদ্দীন আইয়ুবির এই বিখ্যাত উক্তি হয়তো আমরা সবাই জানি, "একটা জাতিকে ধ্বংস করতে চাইলে সে জাতির মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দেয়াটাই যথেষ্ট।" সালমানের জীবনের মিশনই যেন একটা, যেভাবেই হোক অশ্লীলতাকে, ব্যভিচারকে বাংলাদেশের মাটিতে সহজ করতে হবে।

আমি বইটার ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিকোন থেকে কিছু কথা বলব। কারণ আমি ইসলামের অনুসারী। একজন সেকুলার যখন কথা বলে তখন তার কথাতে সেকুলারিজমের দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। আর যার জীবনের মিশন ইসলাম, তার কথাতেও ইসলামের দৃষ্টি ভঙ্গী পাওয়া যায়। আমি রকমারি থেকে বইটা যে কয়েক পেজ পড়েছি সেটার ভিত্তিতে লিখছি। এই বই কিনে টাকা নষ্ট করা বা টাকা নষ্ট করতে উৎসাহিত করার পক্ষে আমি নই।

১- সালমান তার বই শুরু করেছেন এভাবে, "তথাকথিত সমাজ প্রথা আর অযৌক্তিক রীতিনীতি আমার কখনোই পছন্দ ছিল না।" এখানে যদি আক্ষরিক অর্থেই সমাজকে বোঝানো হয় সমস্যা দেখি না, কিন্তু প্রথা বলে যদি ধর্ম বিশেষ করে ইসলামকে বোঝানো হয় তাহলে এটা বড় একটা সমস্যা। আর পুরো বই জুড়ে সেটাই মনে হয়েছে। ইসলামের বিধানগুলোকে সে অযৌক্তিক প্রথা মনে করে খায়েশাতের দৃষ্টি থেকে এগুলোর সমালোচনা করেছে। মুসলমানের ছেলে আজ ইসলামকে প্রথা বলে, আর এই প্রথা ভালো লাগে না বলে এর বিরুদ্ধে বইও লিখে। আর সাধারণ মুসলমান তরুণ তরুণীরা এসব বইও কিনে। হায়! সালমান কিংবা জাফর ইকবালরা হয়তো জার্মানপ্রবাসী নাস্তিকদের মত সরাসরি ইসলামের বিরুদ্ধে বলতে বা লিখতে পারে না, কিন্তু ইসলামের বিধানগুলোর বিরুদ্ধে ঠিকই লিখছে। অথচ তাদের ভক্ত ফলোয়ার সব মুসলিমরা।

২- সালমান তার বইয়ের নাম দিয়েছে বিহাইন্ড দ্য সিন। তার পাপের পক্ষে যুক্তি। আসলেই বিষয়টা তেমন। নিজের পাপকে সে জায়েজ প্রমাণ করেছে আর ইসলামের বিধানগুলোকে কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছে। পুরোটাই করেছে সেকুলারিজমের মারপ্যাঁচে। তার ব্যাভিচারকে সে জায়েজ প্রমাণ করেছে আর স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণ ঢুকিয়েছে।

৩- সূচীপত্রে যেসব অধ্যায়ের নাম দেখলাম তাতে বুঝতে বাকি থাকে না সে তার ব্যভিচারকে জায়েজ করতে সেকুলারিজমের বিভিন্ন বিষয়কে সামনে এনে প্রমাণ করে ছেড়েছে। সে হয়তো সমস্যা গুলো নিয়ে কথা বলতে চেয়েছে, ইসলাম দিয়ে সে প্রভাবিত না হওয়ায় সে সেকুলারিজম দিয়ে সেসব সমস্যার কথা লিখতে চেষ্টা করেছে। আমাদের জন্য আফসোস যে আমরা সালমানের কাছে দাওয়াত পৌঁছুতে পারি নি, দাওয়াত গ্রহণ করুক বা না করুক, বারবার দাওয়াত নিয়ে তার কাছে যাওয়া উচিৎ। আমার এই লেখার উদ্দেশ্যও এটা সালমান যদি তার ভুল বুঝতে পারে। ইসলামের দিকে ফিরে আসে। তবে মূল উদ্দেশ্য যুবসমাজকে সালমান থেকে সতর্ক করা, নতুবা এরকম বই সম্পর্কে লিখে সমস্য নষ্ট করার মানে হয় না। কিছু আসলেই সমস্যা, কিন্তু সে সেকুলারিজম দিয়ে সেগুলো ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছে যেটা আমাদের মুসলিমদের জন্য গ্রহণীয় নয়। আমি সেসব সমস্যার ব্যাপারেও বলব ইনশাআল্লাহ্‌।

৪- সূচীপত্রে একটা অধ্যায়ের নাম দেখলাম, "খা*কি মা* হিজাব কই?" এটা যদিও সালমানের পর্দার বিরুদ্ধে যুদ্ধের একটা অংশ, তবু এটা একটা আসলেই সমস্যা। অনেকেই গালি দেয়, তবে এরকম খারাপ গালি খুব কম। সালমান যেভাবে সবচেয়ে খারাপ গালিটাকে নিয়ে এসেছে, এরকম সাধারণ হয় না। অধিকাংশই হিজাব পর্দা করতে বলে কমেন্ট করে। যারা গালি দেয় কিংবা অযৌক্তিক কথা বলে হিজাবের দাওয়াত দেয় তারা একটা সমস্যাই বটে। ইসলামের দৃষ্টিতে গালি তো জায়েজ না, আর ইসলামের কথা গালি দিয়ে বলা তো আরোই জায়েজ না। তাই এসব ঘটনা দিয়ে ইসলামকে কিংবা সকল মুসলিমদের বিচার করা যায় না। যারা গালি দিচ্ছে তারা নিজেরাই গুনাহ করছে।

৫- "রেপ" অধ্যায়ে সালমান রেপ আর কনসেন্সুয়াল সেক্সকে আলাদা করেছে। এটাও সেকুলারিজমের তৈরি একটা জনপ্রিয় চিন্তা। এই চিন্তানুযায়ী সালমানকে বিচার করলে অবশ্যই সে পাপী না। কিন্তু আল্লাহ্‌ সেকুলারিজম দিয়ে বিচার করবেন না, তিনি যে নিয়ম দিয়েছে আমাদের জন্য, সেই নিয়ম তথা ইসলাম দিয়ে বিচার করবেন।

কনসেন্সুয়াল সেক্সকে সে জায়েজ বলছে আর "না"কে সে রেপ বলছে। এখানে একটা সূক্ষ্ম বিষয় আছে। সালমান বোঝাতে চাচ্ছে সে যে ব্যভিচার করে সেটা কনসেন্সুয়াল সেক্স, তাই সেটা দোষ নয়। কিন্তু স্ত্রী যদি "না" বলা সত্ত্বেও স্বামী সেক্স করে সেটা হবে রেপ। তাহলে প্রশ্ন হল, বিয়ে তথা উভয়ের যৌনতার বৈধতার চুক্তির দাম কি থাকলো? সেকুলারদের এটাও একটা প্রজেক্ট যে বিয়ে নামের বন্ধনকে উঠিয়ে দেয়া। এর পরিবর্তে সেক্সকে সহজ করা। সালমানরা সেই কাজ ভালোভাবেই আঞ্জাম দিচ্ছে।

এবার ইসলামের দৃষ্টিকোন থেকে বলি। ইসলামে বিয়ে-বহির্ভূত যে কোনো সেক্সই হারাম। আর ইসলামে বিয়ে মানে এই যে স্বামী তার স্ত্রীর জন্য বৈধ এবং স্ত্রী তার স্বামীর জন্য বৈধ। ধরুন, স্বামী বা স্ত্রী কেউ একজন সেক্স করতে ইচ্ছুক না, এটা কিন্তু তার সতীত্ব রক্ষার জন্য না, বরং হয়তো অন্য কোনো কারণে বা মুড নাই, বা অন্য কোনো সমস্যা এসবের কারণে সে হয়তো ইচ্ছুক নয়, এমন অবস্থায় যদি অন্যজন জোর করে তবে সেটাকে রেপ বলছে সেকুলারিজম। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে এটা কিভাবে রেপ? আল্লাহর বিধান বাদ দিয়ে আমরা অন্য বিধান দিয়ে এসব সমস্যার ব্যাখ্যা কেন করছি। এটা তো বোঝা যাচ্ছে স্বামী বা স্ত্রী কারো জন্যই জোর করা উচিৎ না, হয়তো অনেক সময় অনেকের মুড থাকে না। মাসিকের অবস্থার প্রসঙ্গ না আনলাম যেহেতু ইসলাম এটা এমনিতেই হারাম করেছে একই ভাবে ওরাল ও এনালসেক্সও। শুধু জায়েজ সেক্সের কথাই বলছি, একজন যদি রাজি না হয় তবে সেটা রেপ কোন হিসেবে হয়। অথচ এটাকে রেপ বলে এমন ভাবে তুলনা দেয়া হচ্ছে যেন রাস্তায় কাউকে রেপ করার মতই এটা খারাপ একটা বিষয়। আবারও বলছি স্বামী বা স্ত্রী কেউ একজন রাজি না হলে সেক্স করাকে হারাম কোনো মুফতী বলতে পারবে না, আমার যতটুকু ইসলামের জ্ঞান আছে। কারণ বিয়েই হচ্ছে যৌনতার বৈধতার যুক্তি। একজন অন্যজনের চাহিদা মিটাবে। কিন্তু কেউ একজন রাজি না হলে সেটা সতীত্ব নষ্টের মত বিষয় না, বরং এটা হচ্ছে কারো ইচ্ছাকে গুরুত্ব না দেয়া। এটাকে আমরা অনুচিত বলতে পারি। কিন্তু হারাম বলা যায় না।

বিবিসি বাংলাও ম্যারিটাল রেপ পরিভাষার ব্যাপক প্রচার চালিয়েছে ফেসবুকে স্পন্সর করে। সেকুলারিজম চায় মানুষ যেন বিয়ের পরের এই অবস্থাকে রেপ হিসেবে চিহ্নিত করে আর কনসেন্সুয়াল সেক্সকে বৈধ মনে করে। এর ফলে যেটা হবে মানুষের কাছে বিয়ের দাম থাকবে না। বিয়ের বদলে তারা সম্মতিমূলক ব্যভিচারকে গ্রহণ করবে যদি সেটা বিয়ে বহির্ভূত হয় কিংবা পরকীয়াও হয়ে থাকে। এজন্যই সেকুলারিজম পতিতালয়কে বৈধ করে, যুবকদের ব্যাপক ভাবে বিয়ে-বহির্ভূত সেক্সের প্রতি উৎসাহিত করে।

৬- সালমান আরও কিছু বিষয় এই অধ্যায়ে এনেছে যেমন রেপ ভিক্টিম, পর্দা করলে ধর্ষণ বন্ধ হবে, বিয়ে করলে রেপ কমে যাবে, রাত ১২ টায় বাইরে থাকলে রেপ হবে, প্রেমিক করলে দুস নাই অন্ন করলে দুস। সালমান এখানে যাদের কমেন্টের স্ক্রিনশট এনেছেন সন্দেহ নাই এরা বেশি শিক্ষিত না, এদের ভুল বানান গুলো দেখলেও বোঝা যায়। তবে তাদের ইসলামের প্রতি ভালোবাসা আছে, ইসলামের বিধানের প্রতি ভালোবাসা আছে। সেই ভালোবাসা থেকে ভাঙাচোরা বাংলায় তারা যে কমেন্ট করেছেন সালমান সেগুলো বইএ দিয়েছে। এদের ব্যাপারে আমার মন্তব্য হচ্ছে এরা হচ্ছে অবুঝ এবং সাদা সিধা মানুষ। এরা আপনাদের মত এতো ইন্টেলেকচুয়াল না, তাই যদি হত তাহলে আপনার এসব গার্বেজ লেখার যথোচিত জবাব তারা যুক্তি দিয়ে লিখত, ভিডিও বানাত। এদের নিয়তটাকে শ্রদ্ধা জানাই, এজন্য যে তারা পর্দার বিধানের প্রতি ভালোবাসা রাখে। আর তাদের কর্মকান্ডের প্রতি নিন্দা জানাই। তারা আমাদের মুসলিমদের জন্যও লজ্জার। তবে আমরা যেমন আপনাদের মধ্যকার উগ্র গালিবাজ সেকুলারদের দিয়ে আপনাদের বিচার করি না, বরং আপনাদের সেকুলারিজম কি বলছে সেদিকে মনোযোগী হই, তেমনি আপনারাও এসব অশিক্ষিত মুসলিমের (দীনী ও দুনিয়াবী উভয় ক্ষেত্রেই অশিক্ষিত) দিয়ে সকল মুসলিমকে বিচার করবেন না, কিন্তু বইতে সেটাই করেছেন যা দুঃখজনক। গালিবাজ সেকুলারদের উগ্রামি স্ক্রিনশট নিয়ে ভাইরাল করলে এই দেশে আপনারা পিঠের চামড়াসহ থাকতে পারবেন না।

"পর্দা করলে ধর্ষণ বন্ধ হবে" - না, পর্দা করলে ধর্ষণ বন্ধ হবে এমন কথা ইসলাম বলে নাই। তবে বাস্তবতার নিরিখে দেখা যায় অনেকাংশে কমবে। আর পর্দা বলতে সালমান গংরা মাথায় এক টুকরা হিজাব বুঝে। পর্দা কত শর্ত শরায়েতের বিষয় তা যদি সালমানরা বুঝত তাহলে তারা নিজেরাই বলত, পর্দা করলে ধর্ষণ অনেকাংশে কমবে। ইসলামী দেশগুলোতে তা লক্ষণীয়। আর যদি রেপের সম্ভবানা বৃদ্ধ ইপায় সেটা ইসলাম না মানার কারণেই। একটা উদাহরণ দিই, সৌদি আরবে পর্দা কঠোর ভাবে মানা হয়, রাস্তা ঘাঁটে কিন্তু রেপ হওয়ার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে বাংলাদেশ বা ইন্ডিয়ার মত। কিন্তু অন্য দেশ থেকে আসা খাদিমাদের রেপ করার ঘটনা আমরা জানি। এখানে ইসলাম মানা হয় না, ইসলাম কোনো নারীকে একা দূরবর্তী সফরের অনুমতি দেয় না, আর দূরদেশে অপরিচিত এক পরিবারে কাজ করা কিভাবে বৈধ হতে পারে? এটা রেপের পথ খুলে দেয়। ফলে আমরা বিভিন্ন সময় সেসব দেশে খাদিমা নির্যাতনের সংবাদ পাই।

"বিয়ে করলে রেপ কমে যাবে" - কমবে কিনা এটা পরিবেশের উপর নির্ভর করে। যেখানে ইসলামের বিধি বিধানের তোয়াক্কা করা হয় না দেখানে বিয়ে করলে রেপ কমবে না, আবার যেখানে ইসলামের বিধান মানা হয় সেখানে কমবে। পর্দা, বিয়ে, ইসলামী আইন এই সবগুলো মিলে তথা ইসলামের বিধান মানলেই ধর্ষণ বন্ধ হবে, অনেকাংশে, কিন্তু ইসলাম বলে নি সম্পূর্ণ রুপে মুছে যাবে। ইসলাম আমাদের পথ দেখিয়েছে, আমরা কত ভালোভাবে সেটা মানি এর উপর নির্ভর করে ফলাফল। একটা ছাত্র সব জানে কিন্তু তার লেখা অনেক খারাপ, পরীক্ষার খাতায় সে কি লিখেছে স্যার পড়তে পারে না, তাহলে কিন্তু নাম্বার সে আশানুরূপ পাবে না। একই ভাবে ইসলাম যারা মানে তাদের উপর নির্ভর করে তারা কতটা আনুগত্যের সাথে সেটা মানে। পর্দা ফরজ, ইসলামী আইন কায়েমের চেষ্টা করা ফরজ, বিয়েও অবস্থার ভিত্তিতে ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, এগুলো ফরজিয়াত আদায়ের জন্য আমরা করব। ধর্ষণ বন্ধ হবে এই আশায় আমরা করি না। আল্লাহ্‌ বলেছে তাই করি, করব। কিন্তু ইসলামের সৌন্দর্য হচ্ছে ইসলাম মানলে অপরাধের সম্ভবানা কমে। পড়া করলে বা বিয়ে করলে রেপ বন্ধ হবে এর শতভাগ গ্যারান্টি নাই, কিন্তু যদি পরিবেশ ও অবস্থা অনুকূলে থাকে এবং ইসলাম কায়েম হয়, ইসলামের সকল কিছু মানা হয়, এমন অবস্থায় রেপ এর সম্ভাবনা অনেকাংশে কমবে। অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে সবচেয়ে কম অপরাধ সংগঠিত হবে ইনশাআল্লাহ্‌। ইসলামের বিধানগুলো যারা জানে তারা আমার কথা যৌক্তিকতা বুঝতে পারবে।

"রাত ১২ টায় বাইরে থাকলে রেপ হবে" - একটা মুসলিম মেয়ের জন্য এটা কোনোভাবেই জায়েজ না। রাত ১২ টায় থাকলে রেপ হবে কিনা এটা তো নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না, কিন্তু সম্ভাবনা বেশি থাকে। জঙ্গলে বাঘ খাবে কিনা এর নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না, তবে একটা সম্ভাবনা আছে তা নাকচ করা যায় না।

"প্রেমিক করলে দুস নাই অন্ন করলে দুস" - প্রেমিক করে ব্যভিচার, ধরলাম সেটা সম্মতিমূলক। ইসলামে এটা হারাম। আর রেপিস্ট করে রেপ, এটাও হারাম তবে ব্যভিচারের চেয়ে একটু বেশি খারাপ। সুতরাং দুইটাই দোষ। আর দুইটাকে সমান করে দেখানোটাও ভুল। সেকুলার ছাগলরা যেমন রাস্তাঘাঁটে রেপ আর স্বামী কর্তৃক রেপ(!)কে সমান চোখে দেখে, মুসলিমদের মধ্যেও কিছু বলদ আছে যারা সম্মতিমূলক সেক্স আর রেপকে সমান মনে করে। অথচ রেপের ক্ষেত্রে একটা মেয়ের সতীত্ব নষ্ট হয়। ব্যভিচারের ক্ষেত্রে উভয়ের জন্য সাজা আছে ইসলামে, রেপের ক্ষেত্রে শুধু রেপিস্টের সাজা।

রেপ বন্ধ করতে সালমানরা চায় কন্সেন্সুয়াল সেক্স তথা যিনা ব্যভিচার সমাজে ছড়িয়ে যাক। আল্লাহ্‌ এসব অশ্লীলতার প্রচারকদের থেকে আমাদের যুবসমাজকে হেফাজত করুন।

৭- লেখক পরিচিতির স্থানে সালমান লিখেছে, "অনেকে মনে করে তিনি দোজখে যাবেন।" আমি সালমানের অশ্লীলতার বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও চাই, সালমান নিজেকে মুসলিম ভাবুক। মন থেকে সালমান দোজখ বেহেশ্ত বিশ্বাস করে কিনা জানি না, তবে আমি চাই, তার হেদায়েত হোক।

No comments:

Post a Comment