আইরা তাহরীম উশমি আপুর কয়েকটি লেখা
একটা
সময় যে মেয়েটা মাথায় কাপড় দিতোনা চুলের স্টাইল নষ্ট হবে বলে,
আজ
সে মাথা থেকে কাপড় ফেলেনা,পরপুরুষকে চুল দেখানোর ভয়ে!!
হ্যা
এটাই রব্বের পক্ষ থেকে হিদায়েত।
যারা
কলরবের পোশাক নিয়ে কটাক্ষ করে ঐ তারাই আবার ইকবাল হাসান জীবনকে নিয়ে লাফালাফি করে।
আচ্ছা, কলরবের পোশাকে যদি এতো সমস্যা হয় তাহলে ইকবাল হোসাইন জীবনের পোশাক কে
কি বলবেন?পোশাক বাদ দেন তার মধ্যে সুন্নাতের ছিটাফোটাও
নাই।সে আবার কত বোনদের ক্রাস ভাবা যায় এগ্লা?আর সংগীতগুলার ব্যাকগ্রাউন্ডে মিউজিক,সংগীতের মধ্যে কয়েকটা ইসলামিক কথা থাকলেও বাকিটা গানের মতোই মনে
হয়।তবুও এতো এতো ভিউ হয়,কোন ধরণের বিকলাঙ্গ এরা ভাবতে পারেন?
নাহ্
কলরব ধোয়া তুলসিপাতা না।ভুল সবার মধ্যেই থাকতে পারে।কিন্তু ভেতর ঘাটলে দেখা যাবে,এই আপনারাই তাদের লুকের জন্য পপুলারিটি বাড়ান।
কমেন্টবক্স
চেক করলে দেখা যায় এই আপনারাই বাহবা দেন,আর দুএকজন নেগেটিভ কমেন্ট করলেও ওদের
ইনবক্স ঘাটলে দেখা যাবে কলরবের শিল্পীদের কত লুতুপুতু ম্যাসেজ করে বেড়াচ্ছে।
বোনদেরকে
বলি,আপনারা তাদের ভিডিও দেখতেই কেন যান?লজ্জা করেনা পরপুরুষের দিকে তাকিয়ে থাকতে?অডিও শুনতে পারেন।
আপনারা
মিডিয়ায় এসে হক্ব খুঁজেন?অথচ মিডিয়ায় তো দাজ্জালের ফেতনা।
একটা
কথা না বললেই না, ইউটিউবে দুচারটা চ্যানেল আছে যেগুলোর
ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক থাকেনা,এজন্য ভিউসও কম।বাকি যতো শিল্পী আছে
এইযে ড্যানিশ দেলোয়ার,তরেক এদের এতো পপুলারিটি তো আপনাদেরই
জন্যই।অথচ ওদের সংগীতে স্পষ্ট মিউজিক রয়েছে।এসব যখন আপনি শেয়ার দেন কখন থাকে আপনার
হক্ব কথা?
আপনারা
যারা পিছনে কলরবের বদনাম করে বেড়ান ঐ তারাই আবার কলরবে শিল্পীকে সামনে পেলে
প্রশংসার ঝুড়ি ফুটান।
আবার
কারো বিরুদ্ধে কিছু বের হলে পুরো টিমকে ইচ্ছামত পঁচাতে থাকেন।অথচ এই আপনিই কিন্তু
তাদের সুদিন অর্থাৎ কোনো গজল বেশী ভাইরাল হলে তখন লাফালাফি করেন।
নাহ্
আমি কলরবের ফ্যান নই,শুধু দ্বীনের স্বার্থে কথাগুলো
বলছি।দোষ,ত্রুটি সবার মধ্যই থাকতে পারে।এজন্য যে তাদের
সমালোচনা করে ফেতনা ছড়াবেন এমন নয়।আপনারা গ্রুপিং করে তাদের অফিসে বা তাদের কারো
সাথে তাদের ত্রুটি গুলো শেয়ার করেন।আশাকরি তারা শুধরে নেবে।
সত্যি
বলতে আমারও একবার খারাপ লেগেছিলো যেদিন একটা সংগীত এক আপুর সাথে ডুয়েল কন্ঠে
শুনেছিলাম।কিন্তু এরপর থেকে আর এরকম দেখা যায়নি,হয়তো
তারা নিজে থেকেই ভুল বুঝতে পেরেছেন আলহামদুলিল্লাহ।
আর
একটা কথা,কলরবের টিমের মধ্যেই সবাই যে ভালো মানুষ এমন নাও
হতে পারে।কার মন কখন শয়তানের ফাঁদে পরে বলা মুশকিল।
সেক্ষেত্রে
শুধু যার স্ক্যান্ডেল বের হবে তাকে নিয়ে নেগেটিভ ধারণা রাখতে পারেন।বাট এজন্য পুরো
টিমকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করতে পারেননা।
মনে
রাখবেন,টিমের একজন মানুষও যদি পুরোপুরি আল্লাহ্ ভীতু হয়
তখন আপনার আমলনামায় কুধারণার জন্য কঠিন গুনাহ্ লেখা হবে।
সুতরাং
দ্বীনকে ভালোবেসে থাকলে নিন্দুক নয় দ্বীনের অংশ হয়ে দ্বীন মোতাবেক কর্ম করুন।যেটা
দ্বীনের জন্য ভালো প্রভাব ফেলে,ফেতনার কারণ না হয়।
মাতৃত্বেরও
কত ধরণ হয় তাইনা?
আসুন
ইসলামিক ইতিহাসে সেরা দুই মাতার জীবনির দিকে একটু চোখ বুলানো যাক।
১.ছফিয়্যাহ্
বিনতে আবদুল মুত্তালিবঃ-
তিনি
সর্বপ্রথম এক মুশরিক হত্যাকারিণীর গৌরবে ভূষিত।হ্যা তিনিই রাসূলুল্লাহ্ (সা) এর
ফুপি ছফিয়্যাহ্ হাশেমী ও কুরাইশী।যাকে চতুর্মুখী গৌরব বেষ্টন করে রেখেছিলো।
তার
২য় স্বামী মৃত্যুর পর শিশু পুত্র যুবায়ের (নবীজির দেহরক্ষী) -কে তিনি কঠোরতা ও
কষ্টের মধ্যে লালন পালন করেন।
কেমন
কঠিন মা ছিলেন তিনি জানেন?
তার
পুত্রকে অভ্যস্ত করে তোলেন অশ্বারোহণ আর যোদ্ধার জীবনে,
তার
খেলা ও খেলনার কৌতূহলকে তিনি চালিত করেছিলেন তীর,ধনুক
আর বর্শার দিকে,
তিনি
তাকে ঠেলে দিতেন সকল ভীতির দিকে,
যখনই
দেখতেন ভয়ে পিছপা হতো বা দ্বিধা করল,তাকে ভীষণ প্রহার করতেন।
তখন
পুত্রের চাচারা বলতেন---
'এটা তো ক্রদ্ধ মানুষের প্রহার, মততা মেশানো মায়ের শাসন এটা নয়।'
তখন
তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ করতেনঃ-
'যে বলে প্রহার করে রাগ ঝেড়ছি, মিথ্যা বলে।
আলসেমি
ছেড়ে হবে সে বিচক্ষণ, করেছি তাই মায়ের শাসন।শত্রুকে হারাবে,লুন্ঠিত মাল ফিরিয়ে আনবে আপনার বাহুবলে।'
তিনি
এমন মাতা যিনি পুত্রকে নিয়ে শামিল হন ইসলামের আলোর মিছিলে।যার ফলে কুরাইশের চাপানো
নির্যাতন,দুর্ভোগ আর বাড়াবাড়ির কষ্ট সহ্য করতে হয়েছিলো।
ওহুদ
যুদ্ধে যখন দেখতে পেলেন অল্প কয়জন ছাড়া মুসলিম বাহিনীর সকলেই বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে
রাসুলুল্লাহ (সা) কে ফেলে,
এবং
দেখতে পেলেন মুশরিকরা নবীজির ওপর আক্রমণে উদ্যত,তখন
তিনি হাতের পানির পাত্রটি ছুড়ে ফেললেন,ছিনিয়ে নিলেন পরাজিত সৈনিকের বর্শা,
গর্জে
উঠলেন--
আরে
ও কাপুরুষের দল,আল্লাহ্ র রাসুলকে ফেলে পালিয়ে
নিজেদের জান বাঁচাতে চাও!!!
রাসূল
তাকে এগিয়ে আসতে দেখে আশঙ্কা করলো,তিনি তার নিহত ভাই হামযার বিকৃত লাশ
দেখে ফেললেন,যুবাইরকে বললেন,মাকে ফেরাও যুবাইর।
যুবাইর
বললেন মা থামো,মা এদিকে আসো।
--সরে যা,খবরদার মা মা করবি না
আল্লাহ্
র রাসুল নিষেধ করেছেন মা।
--কিন্তু কেন?আমি তো জানি আমার ভাইয়ের লাশ বিকৃত করা হয়েছে।তার এ কুরবানু আল্লাহ্ র
জন্য।
একথা
শুনে রাসূল বললেন,যেতে যাও যুবাইর।
যুদ্ধ
শেষে ছফিয়্যাহ্ ভাই হামযার লাশের কাছে গেলেন।দেখলেন,তাঁর
পেঠ ফেড়ে কলিজা বের করা হয়েছে,নাক ও কান কেটে ফেলেছে,চেহারা বিকৃত করা।তিনি দুআ করলেন।
এসবই
দ্বীতের খাতির,আমার কোনো অসন্তুষ্টি নেই।আমি
আল্লাহ্ র ফয়সালায় তুষ্ট।
২.আছমা
বিনতে আবু বকরঃ-
ইনি
হলেন সেই মাতা,যার সন্তান মদীনার মাটিতে মক্কার
মুজাহিদদের প্রথম সন্তান।যেই ভাগ্যবান শিশু যার পেটে সর্বপ্রথম রাসূলের মুবারক
থুতু প্রবেশ করে।
ইয়াযীদ
ইবনে মুআবিয়ার মৃত্যুর পর পুত্র আবুদুল্লাহ্ ইবনুয যুবাইরকে খলীফা মেনে তাঁর পক্ষে
বাইয়াত নেওয়া হলো,
এদিকে
বানু উমাইয়া হাজ্জাজ বিন ইনুসুফের নেতৃত্বে একদল দুর্ধর্ষ বাহিনী নিয়ে তার
বিরুদ্ধে দাঁড়াল...
দুই
দলের ভয়াবহ যুদ্ধ, আবদুল্লাহ্ র সহযোদ্ধারা বিচ্ছিন্ন
হতে লাগলো, অবশেষে তিনি বাইতুল্লাহ্ আশ্রয়
নিলেন।
শাহাদাতের
কয়েক ঘন্টা আগে সাক্ষাৎ করতে গেলেন মায়ের সাথে।ততদিনে আছমা দৃষ্টি হারানো
অতিবৃদ্ধা নারী।
বেটার
সালাম নিয়ে,তিনি বললেন বেটা,মক্কার বাড়ি ঘরকে হাজ্জাজের কামান প্রকম্পিত করছে এই নাজুক মুহুর্তে
তুমি এখানে কেন?
--পরামর্শের জন্য এসেছি মা।
কী
বিষয়ে?
--মা!লোকে আমাকে নিরাশ করে
দিয়েছে।হাজ্জাজের ভয়ে আমার থেকে দূরে সরে গেছে।এমনকি আমার আপন লোকেরাও সরে
গেছে।আমার সঙ্গে ছোট একটি দল ছাড়া কেউ নেই মা।যারা এক ঘন্টার বেশি টিকতে
পারবেনা।আমি অস্ত্র ত্যাগ করে আবদুল মালিকের হাতে বাইয়াত নিলেই আমি যা চাইবো সব
দিবে।এ ব্যাপারে তোমার কি মতামত?
মাতা
চিৎকার করে উঠলেন--
সিদ্ধান্ত
তোমাকেই নিতে হবে হে আবদুল্লাহ্!!যদি তুমি মনে করো হক্বের জন্য লড়াই চালাচ্ছো তবে
অবিচল থাকো।আর যদি দুনিয়ার কিছু অর্জনের আশা পোষণ করো তাহলক যে তুমি কত খারাপ
মানুষ,নিজের জীবটাও বরবাদ করেছে,বরবাদ করেছো সঙ্গীদের।
---কিন্তু মা আমি আজকেই নিহত হয়ে যাব।
সেটা
তোমার জন্য অনেক ভালো স্বেচ্ছায় নিজেকে হাজ্জাজের হাতে তুলে দেওয়া চেয়ে।
--আমি নিহত হওয়ার ভয় পাচ্ছিনা। আমি ভয়
পাচ্ছি আমার মৃতদেহকপ বীভৎসরূপে বিকৃত করা হবে।
নিহত
হওয়ার পর কিসের ভয়!!যবাইকৃত ছাগল ছাল ছোলার কষ্ট পায়না।
---মাগো,রহমত
ও বরকতপ্রাপ্তা হও তুমি।তুমি জানতে চেয়েছিলে এই নাজুক মুহুর্তে আমি এখানে কেন?মাগো তোমার এই কথাগুলো শুনতেই ছুটে এসেছিলাম।আল্লাহ্ জানেন আমি
শক্তিহীন, দুর্বল হইনি।ক্ষমতার মোহে কিছু করিনি।আমি
হারামের বিরুদ্ধে ক্রুদ্ধ হয়েছি...
আমি
নিহত হলে দুঃখ করোনা মা!!আর তোমার ব্যাপারটি সম্পূর্ণ আল্লাহ্ র জন্য সমর্পিত রইল।
বেটা,তোমার জন্য দুঃখ করতাম যদি তুমি বাতিলের জন্য জীবন দিতে।
--মাগো আল্লাহ্ জানেন আমি কোনো অন্যায়
কাজের সংকল্প করিনি,কারো হক্ব ছিনিয়ে আনিনি।
তুমি
আমার কাছে আসো বেটা একটু তোমার ঘ্রাণ নেব,একটু ছুয়ে দেখব।এটাই যে শেষ
সাক্ষাৎ!!
আবদুল্লাহ্
নিচু হয়ে মায়ের হাত ও পায়ে চুমু দিলেন।
মাতা
হঠাৎ হাত গুটি গুটিয়ে নিলেন।আবদুল্লাহ্ এটা কি পরেছো?
--লৌহ বর্ম
যে
ব্যক্তি শহীদ হতে চায় এটা তার পোশাক হতে পারে না বেটা।
--মা এটাতো বরং তোমাকে খুশি করার জন্য
পরেছি।
ওটা
খুলে ফেলো,তোমার ওই ভারী বর্মমুক্ত শরীরটাই
সাহসী ভূমিকায় সহায়ক।ওটার পরিবর্তে তুমি দ্বিগুণ পাজামা পরে নাও,যেন মাটিতে পড়ে গেলে তোমার ছতর উন্মুক্ত না হয়।
আবদুল্লাহ্
সেটাই করলেন আর এগিয়ে গেলেন হারামের দিকে।চিৎকার করে বললেন, মা আমার জন্য দুআ করা বন্ধ করোনা।
সুবাহান
আল্লাহ্!!! এরকম সন্তানের জন্যই তো জাহান্নাম হারাম হয়ে যায়।
কি
মাতৃত্বের ভূমিকা রেখেছেন তারা আল্লাহু আকবর।আর আমরা কি করছি?সন্তানকে আহ্লাদী করছি,জিহাদ শব্দটা ভুলিয়ে দিচ্ছি,অন্যায়ের প্রতিবাদে ঘরে লুকিয়ে থাকা শেখাচ্ছি।দ্বীনের প্রতি কঠোর হইনা,প্রহার করিনা।নফল ইবাদাতে জোর দেওয়াই না,সন্তানকে লজ্জাহীল গড়তে উঠেপরে লাগিনা।সন্তানকে আল্লাহ্ র জন্য
কুরবানি দিতে প্রস্তুত না।
আবার
সেই সন্তানের জন্য জান্নাত কামনা করি?
আসলেই
কি সেতুর জন্য গলা কেটে নিয়ে যাচ্ছে?সেতুর জন্য কল্লা লাগে কথাটায় আমি
বিশ্বাসী নই।কিন্তু কারো প্রথাগত বলির স্বীকারও হতে পারে অসহায় বাচ্চাগুলো।এটা
বিশ্বাস করা যেতেই পারে।
২০১৫
সালে পদ্মা নদীতে গরুর রক্ত ফেলে এবং গরুর মাথা নদীর পাশে রেখে পদ্মা সেতুর কাজ
শুরু করেছিলো চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি।
নদীতে
পশুর রক্ত ঢেলে ভিত্তি স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেছে পদ্মা সেতুর দায়িত্ব পাওয়া
চাইনিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। তাদের বিশ্বাস, বড় কাজের শুরুতে পশু উৎসর্গের মাধ্যমে স্রষ্টার সন্তুষ্টি লাভ করা যায়, এড়ানো যায় বড় দুর্ঘটনা। রোববার সকালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় মূল সেতুর
পরীক্ষামূলক ভিত্তি স্থাপনের সময় নদীতে গরু ও খাসির রক্ত ঢালতে দেখা যায় চাইনিজ ওই
প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের। ভাসিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি মুরগিও।
গত
বছর পদ্মায় মূল সেতু তৈরির দায়িত্ব পায় চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ
ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি।
সেতু
তৈরির এ মহাযজ্ঞ শুরুর পর প্রকল্পে চীনের প্রায় ১৫০ জন প্রকৌশলী এবং ৩৫০ জন কর্মী
অংশ নিয়েছে।
কর্মরত
এসব চীনা নাগরিকরা তাদের প্রথাগত বিশ্বাস ও রীতি অনুযায়ী রোববার দুটি কালো ষাড়, দুটি খাসি এবং দুটি মোরগ পদ্মা তীরে জবাই করে। পরে পশুর রক্ত ঢেলে
দেওয়া হয় পদ্মায়।
এছাড়া
ষাড়ের সামনের দুটি পা এবং জবাই করা দুটি মুরগিও তারা ভাসিয়ে দেন। অবশ্য অবশিষ্ট
মাংস প্রকল্পে কর্মরত চীনাদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
পশু
উৎসর্গের পর ভিত্তি স্থাপন (অ্যাংকর পাইল) কাজের চারিদিকে একেরপর এক আতশবাজি ফুটতে
দেখা যায়। এতে অংশ নেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রায় সবাই।
প্রকল্পের
কাজে সংশ্লিষ্ট এক বাংলাদেশি প্রকৌশলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা চীনাদের প্রচলিত রীতি ও বিশ্বাস। তারা বিশ্বাস করেন বড় কোন কাজের
শুরুতে এই পশু উৎসর্গ করলে স্রষ্টার সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। আর এটি কাজে দুর্ঘটনা
রোধ করে সফলতা নিয়ে আসবে।”
চীনা
কোম্পানিটি তাদের প্রকৌশলী ও কর্মীদের আগ্রহে এ রীতি পালনে অর্থায়ন করেছে বলে
জানান তিনি।
পদ্মা
সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, “এটা চীনাদের নিজস্ব রীতি।” [বিডিনিউজ ২৪ ]
তবে
এটা ঠিক- চীনা, জাপানি, ইহুদী, হিন্দু, ইউরোপীয়ান খ্রিস্টানদের মধ্যে কোন কন্সট্র্যাকশনের কাজের জন্য মানুষ
বলী দেয়ার রীতি প্রচলিত ছিলো। অনেকে দাবী করে লন্ডন ব্রীজ বানানোর সময় বহু মানুষকে
বলী দেয়া হয়। জাপানিদের মধ্যে এই রীতি বেশ সমাদ্রিত। তারা একে বলে ‘হিতোবাসিরা’ । হিতোবাসিরা অর্থ মানব স্তম্ভ। এই
রীতি অনুযায়ী জাপানিরা কোন স্থাপনা (বাড়ি, সেতু, ব্রীজ, বাধ) তৈরীর সময় নরবলি দেয়, তাদের বিশ্বাস এর মাধ্যমে স্রষ্টা ঐ
স্থাপনার স্থায়িত্ব দান করে।
আর
যদি ধরেও নি এগুলো গুজব,তাহলে এতো এতো বাচ্চা নিখোঁজ হওয়ার
ব্যাপারটা কিন্তু গুজব নয়।বাচ্চাদের নিরাপত্তা কে গুজব বলে ছড়িয়ে দেওয়ার অপপ্রচার
বন্ধ করুন।
পদ্মা
সেতুর প্রকল্পের ব্যাপারটা যদি আসলেই গুজব হয়ে থাকে তাহলে কোন চক্র এসব করছে কি
করণে করছে, এসবই তদন্ত করে বের করে জনগণের সামনে
আনাটাও কিন্তু সরকারের দায়িত্ব। সুতরাং কে গুজব ছড়ালো তাদের দিকে ফোকাস না করে
বাচ্চাগুলোর নিরাপত্তার দিকে ফোকাস করুন।
কত
জায়গায় পরে থাকা নিথর দেহগুলোর জীবন পারবেন ফিরিয়ে দিতে?এতো এতো মায়ের আহাজারি পারবেন ফিরাতে?
আর
শিক্ষিত ভাইয়াপুরা হা হা রিয়াক্ট দেওয়া বন্ধ করুন।সত্যটা কি এটা কেউ ই যেহেতু বলতে
পারছেনা সেখানে আপনি কিভাবে নিশ্চিত হন যে এসব গুজব?
দয়া
করে গুজব ভেবে বাচ্চাদের হেলা করবেন না।আজ এক জনের বাচ্চা নিয়ে গেছে কাল আপনার
বাচ্চা নেবেনা তার কি গ্যারান্টি?
আল্লাহ্
সব মায়ের সন্তানদের হেফাজত করুক।
একটা
মা ই বুঝে সন্তান হারানোর ব্যাথা!!!আজীবন কেঁদে কেঁদেও এ বেদনা ভোলার মত নয়।
সবশেষে
দয়া করে বাচ্চাদের হাতে হাতে রাখুন,কাউকে বিশ্বাস করে চোখের আড়াল
করবেননা।এসব গুজব হলেও আপনি সতর্ক থাকুন।ভাবুন,গুজব না হলে আপনার সন্তানের বলী হতে
কতক্ষণ?
বলী
হচ্ছে এটাই সত্য,হয়তো কারণের ভিন্নতা থাকতে পারে🙂
আর
সত্যিই যদি ব্যাপারটা গুজব নাহয় তাহলে নিষ্পাপ শিশুগুলো কেনো?জেলখানার ফাঁসির আসামী,কুখ্যাত সন্ত্রাসী,ধর্ষকদের বলী দিয়ে স্তম্ভ করা হোক।সাপও মরুক লাঠি ও সোজা থাকুক।
আলহামদুলিল্লাহ
গতকাল রাতে তাহাজ্জুদ পরলাম।এতো ভালো লেগেছে!!!
আলহামদুলিল্লাহ
ইফতার শেষ করলাম।
আলহামদুলিল্লাহ
শাওয়ালের ছয় রোজা রাখা শেষ।
আলহামদুলিল্লাহ
আজকে সাপ্তাহিক রোজা ছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ
আজকে অনেকক্ষণ কুরআন তিলাওয়াত করেছি।অনেক ভালো লাগছে।
আলহামদুলিল্লাহ
আজ ফকির এসেছিলো।মন ভরে খাওয়ায় দিসি,কিছু দিয়েও দিসি।
আল্লাহ্
র দুহায় থামুন এবার।এতোটুকু আমল করে যতটুক সওয়াব ছিলো তা নিজেই বরবাদ করে
দিলেন।একটু ভাবুন,এগুলোও কোনো বলে বেড়ানোর বিষয়?
আপনি
জানেন না,আল্লাহ্ র জমিনে কত গোলাম আছে যারা কোনোদিন
তাহাজ্জুদ মিস করেনা,যারা কোনোদিন কুরআন পড়তে ভুলেনা,যারা নবীজির প্রতিটি সুন্নাত আঁকড়ে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করে যায়।
কেমন
চেষ্টা জানেন?উঁচু পাহাড় থেকে কাউকে ফেলে দিলে সে
যেমন কোনো শেকড় বা ডাল ধরে বাঁচার চেষ্টা করে ঠিক তেমন!!
তারপরও
তারা তাদের রব্বের সামনে প্রতিনিয়ত গুনাহ্ মাফের জন্য কান্নাকাটি করে!!
অথচ
আপনার এই সাধারণ আমলটুকোকে আপনি বিশাল আকার দিয়ে ফেলছেন!!!
ভাবুন
আল্লাহ্ র কাছে কারা অতি প্রিয়?যেইসব গোলাম যারা প্রতিনিয়ত আমল শুধু
তার রব্বের সন্তুষ্টির জন্য নাকি সেইসব আমল যা অতি সামান্য অথচ তা মানুষের প্রশংসার
জন্য!!!
আপনি
নিজের অজান্তে বা জান্তে রিয়া করে ফেলছেন।
আপনার
এসব কর্মকান্ড রিয়া'র অন্তর্ভুক্ত। আপনি ভাবতে পারবেননা
রিয়া কতবড় ভয়াবহ গুনাহ।
লোক-দেখানো
ইবাদত আল্লাহর সঙ্গে প্রতারণার শামিল।
আল্লাহ্
তা'আলা ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই
মুনাফিকরা আল্লাহর সঙ্গে প্রতারণা করে। আর তিনি তাদের সঙ্গে কৌশল অবলম্বনকারী। যখন
তারা নামাজে দাঁড়ায় তখন আলস্যভরে দাঁড়ায়—মানুষকে দেখানোর জন্য। তারা আল্লাহকে
অল্পই স্মরণ করে। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৪২)
মহানবী
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেনঃ----
"নিঃসন্দেহে আমি তোমাদের ওপর যে
বিষয়ের সবচেয়ে বেশি ভয় করি সেটি হচ্ছে ছোট শিরক,সাহাবায়ে
কেরাম জিজ্ঞেস করলেন!
হে
আল্লাহ্র রাসুুল (সাঃ), ছোট শিরক বলতে কি বুঝায়? মহানবী (সাঃ) বললেন, লোক দেখানো আমল"।
(মিসকাতুল মাসাবীহ হাঃ৫৩৩৪)
ফেসবুক
অবশ্যই দাওয়াত দেওয়ার মাধ্যম হতে পারে।আপনি আমি করেছি এভাবে না বলে, আপনারা করুন এবং এর ফযিলত এতো এরকম ভাবে বলতে পারেন।
আপনার
আমলগুলো একান্তই আল্লাহ্ র জন্য,কাউকে জানানোর প্রয়োজন নেই।
এসব
একধরণের মানসিক ব্যাধি,যার উৎপন্ন স্থল শয়তানি নফস!!!
কড়া
ঔষধ লাগান আবেগও গায়েব হবে নফসও কন্ট্রোলে থাকবে।
নারীবাদী
মেয়েরা কোথায়?এখন চুপ কেনো?মাদ্রাসায় ধর্ষণ নিয়ে তো সব হুজুরদের চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে ফেলেন,পুরো হুজুর সমাজকে লুচ্চা নামক পদবী দেন।
এখন
কেন অক্সফোর্ড স্কুলে ২০ শিশুকে ধর্ষণ করার নিউজ দেখতে হলো?আপনাদের সো কলড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রিন্সিপালও জরিত ছিলো!!
শুধু
ধর্ষণই নয় ভিডিও করে ভয় দেখানো,পরীক্ষায় নাম্বার কমিয়ে দেওয়ার ভীতি
দেখিয়ে এইসব বাচ্চাদের বাধ্য করেছিলো চুপ থাকতে।কিন্তু সত্য সামনে আসবেই হয়তো একটু
দেড়ি হবে!!!
যেসব
মাদ্রাসায় নির্যাতন চলে অবশ্যই তারা নিন্দনীয়। তবে তারমানে গোটা হুজুর সমাজকে আপনি
দোষারোপ করতে পারেননা।আরেহ্ যারা ধর্ষক তারা হুজুরের লেবাস ধরলে,আলিম পদবী লাগালেই কি হুজুর হয়ে যায়?তাদের
হুজুর বলা যাবে না,লেবাসধারী শয়তান এরা।
অথচ
আপনারা একতরফা হয়ে গোটা মাদ্রাসা সম্পর্কে খারাপ ধারণা রাখছেন।দ্বীন থেকে আরো দূরে
সরে যাচ্ছেন।
এখন
গোটা বাংলাদেশই স্তব্ধ। মনে হচ্ছে ধর্ষণ আর বাচ্চা পাচার সাথে পাপাচারের মিশন
চলছে।এতোদিন অন্যান্য দেশে দেখেছি মুসলমান নির্যাতনের চিত্র। যা ভারতও ছেয়ে
গেছে।এবং এরই মধ্যে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে।আমাদের সেফটি নেই।
অথচ
আপনি কিভাবে সেইভ থাকবেন সেটা ইসলাম দিয়ে কেউ বোঝাতে গেলেই উল্টে গুলি ছুরেন তার
দিকে।ধর্মকে দূরে ঠেলে দেন।
অথচ,
আল্লাহ
তাআলা বলেন: “তোমরা (নারীরা) তোমাদের ঘরে অবস্থান
কর”[সূরা আহযাব, আয়াত: ৩৩]
কি
অদ্ভুত দেখেন,এখন আপনি না চায়তেও ধর্মের কথায় পালন
করছেন।এখন আপনি বিনা প্রয়োজনে নিজে বা সন্তানকে বের হতে দিচ্ছেন না।
অথচ
এই বিধান শুরু থেকে মেনে আসলে এতো নৃশংসতা দেখতে হতোনা।
শুধু
এই বিধান ই নয় এদেশে পাপাচার যে হারে বেরে গেছে আল্লাহ্ র অসন্তুষ্ট কাম্যই।
নারী
পুরুষ ফ্রি মিক্সিং, ফরজ বিধান না মানা,উটের ন্যায় হিজাব,স্বামীর অবাধ্যতা,পুরুষরা পরকিয়ায় লিপ্ত
মেয়েরা
কাপর পরেও উলঙ্গ,ইন্টারনেটের অপব্যবহার
বিভিন্ন
উৎসবে চলে মাখামাখি, অলিগলিতে জেনা ভরপুর।পরিশেষে দোষীর
শাস্তিতে অবহেলা,নিজেদের লাভ খুজে সন্ত্রাস জন্ম
দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।কিসাসের ব্যাপার জানেনতো?কই এ পর্যন্ত একটা ধর্ষকেরও শাস্তি
হতে দেখিনি।পুলিশে ধরা পর্যন্তই পুল স্টপ।
ধর্ষকদের
জনসম্মুখে গরদান নিলে অবশ্যই আরেক ধর্ষক সামনে এগোতে একবার হলেও ভাবতো।এতো এতো খুন,কজন খুনির শাস্তি হয়েছে?কতো হত্যার মামলা হওয়ার আগেই ক্লোজড
হয়ে গেছে।
অথচ
সরকারের ট্রেনের ওপর সেদিন গুলি ছোরায় ১২ না কতো জনকে ফাসি,১৬ জনকে যাবজ্জীবন, আরো তল্লাশী চালাচ্ছে পুলিশ।অথচ কোনো
নিহতের ঘটনা ঘটেনি।কত ভিডিওতে ওপেন খুন হতে দেখেও সন্ত্রাসী আটকই করতে পারেনি
পুলিশ।এটা আসলেই হাইস্যকর।
যার
দরুণ এখন ধর্ষণে ছড়াছড়ি আর অধিকাংশ ভিক্টিম মাসুম বাচ্চাগুলো।যাদের পাপ পুণ্যের
হিসাবই শুরু হয়নি।
যারা
মৃত্যুর আগ মুহুর্তও জানেনি কি হয়েছিলো তার সাথে।
এদিকে
ধর্ষণের মূলে নিঃসন্দেহে বেশি ভূমিকা রাখছে মিডিয়া।কত রকম ভিডিও করে যে পুরুষদের
উন্মাদনা বাড়ায় নাউজুবিল্লাহ।
★বিভিন্ন ব্রান্ডের মডেল হিসেবে চলা
মেয়েগুলো যেন পুরুষদের দিকে আঙুল দেখিয়ে তার কাছে টানারই সুরসুরি দিচ্ছে।
★সেলিব্রিটিদের কথা আর নাই বললাম।
★আপনাদের আপলোডকৃত সুন্দর সুন্দর
ছবিগুলো আপনার লিস্টের পুরুষদের জন্য ইনাফ।
★এখন তো বিভিন্ন গল্পে সাহিত্যেও
ধর্ষণের দিকে পরোক্ষভাবে টানছে
★বলিউড,তামিল
বিভিন্ন মুভিগুলোর মেইন থিম থাকে এক অথচ শেখায় আরেক।এসব নারীরা শুধু পণ্যই নয়
পতিতাও বটে।
★সবচেয়ে বড় রিজন পর্ণগ্রাফি।বছর এক
আগে শুনলাম এসবের সাইডগুলো নাকি বন্ধ করে দিয়েছেন জনাবা তারানা হালিম।কিন্তু আফসোস
আদৌ কি বন্ধ হয়েছে?এক সাইড না এক সাইড দিয়ে ঠিকই কাজ
চালাচ্ছে মুনাফিকরা।
টিকটক
ফেতনা তো ভালো ভিডিওর মধ্যেও ঢুকিয়ে দেয়,যা কয়েক সেকেন্ড না দেকে স্কিপও করা
যায়না।কোথায় যাবো আমরা?ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যত, সুশিক্ষা কোথায় আছে বুঝতে পারছেন?
ইউটিউব
থেকে সকল সেক্সুয়াল ইস্যুগুলো বিডির জন্য আনএভেলেবল করার চেষ্টা করেন প্রযুক্তি
মন্ত্রীরা?
তারা
ভাবেন তারা সেইফ তাদের চিন্তা কি!!ভুল আল্লাহ্ র আজাব পাকড়াও করলো বলে, জাস্ট ওয়েট।
উফ
লিখলে সব লিখে শেষ করা যাবেনা,আমি সত্যিই ঘৃনা করি এই দেশকে।যেদেশে
এটলিস্ট নিজেও দ্বীন মানতে বিপাকে পরতে হয়।সন্তান নিয়ে মুসিবতে থাকতে হয়।
এটাই
সেই দাজ্জালী আগমনের আগ মুহুর্ত।আমল বাড়াতে হবে,আল্লাহ্
র সাহায্যের দুআ করতে হবে।
কোনো
নৃশংসতা হওয়ার আগে যেন খাটি ঈমান দিয়ে আলাহ্ নিয়ে যান।
আর
যারা এখনো দ্বীন থেকে দূরে ভাবুন এই পরিস্থিতিতে আল্লাহ্ ছাড়া কেউ আপনাকে রক্ষা
করবেনা।ফিরে আসুন,সন্তানদের বোঝান।মোবাইল কেড়ে নেন,নিজেরা বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন,তালিম দেন,খেলা করুন, ওর বয়সী পছন্দমত খেলা।
গুনাহের
কুফল জানান।জাহান্নামের তীব্র আগুনের লেলিহানের হাত থেকে বাঁচান।
টিনেজ
হলে বিয়ে দিয়ে দেন,ঘরে থাকুক, আমল করুক।মেয়ে সন্তান দিয়ে ইনকমের আশা বাদ দেন,হোক আপনার অর্থ কম।বিশ্বাস করুন আপনি চিরদিন থাকবেননা এখানে।সুখের
আবাসস্থলকে সুখময় করে তুলুন,দুঃখের আবাস যেন না হয়।
পর্দা
করে ছবি তোলা তো জায়েজ। তাহলে সমস্যা কি?পর্দা করে পিক আপলোড করা যাবে।
কত
আলিমরাও তো ছবি আপলোড করে।তাতে কি!!
--বোন এ নিয়ে যেহেতু সরাসরি জায়িজ বলা
নেই আবার নাজায়িজও বলা নেই তাই আমরাও স্পষ্ট করে বলে দিতে পারিনা।এটা বহু ইখতিলাফি
মাসআলা।
ধরেই
নিলাম এটা জায়িজ।কিন্তু আপনার কাছে প্রশ্ন,ইসলাম কি শুধু জায়িজ নাজায়িজের মধ্যে
সীমাবদ্ধ?
না,বরং প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে ভাবা উচিত এটা আল্লাহ্ র সন্তুষ্টির জন্য
কিনা।আপনার পর্দা করা পিক আপলোডে নিশ্চয় আল্লাহ্ র নয় আপনার নিজের সন্তুষ্টি
খুঁজছেন।জানেনতো তাকওয়া বলে একটা শব্দ আছে।অর্থাৎ আল্লাহ্ ভীরুতা।
ধরুন,
সবসময়
শুধু জায়িজ খুঁজে বেড়ান।এখন বিচার দিবসে আল্লাহ্ হিসাব নেওয়ার সময়ও যদি আপনার
পাপগুলোর যাররাহ্ যাররাহ্ হিসাব নেন পারবেন তো আল্লাহ্ র হিসাবের সামনে দাড়াতে?
আপনি
কেন তামাম দুনিয়ার কারো ই ক্ষমতা নেই আল্লাহ্ র হিসাবের সামনে দাড়ানোর।জেনে না
জেনে ছোট বড় অহরহ পাপ করেই চলি প্রতিনিয়ত।যদি সমস্ত পাপগুলো ক্ষমা না করে আল্লাহ্
মিজানে উঠান নিশ্চিত আপনি জাহান্নামী হবেন।
আল্লাহ্
র রহমত ছাড়া কেউ ই জান্নাত পাবে না।
আর
আল্লাহ্ র রহমত তারাই পাবে যারা উত্তম তাকওয়াপূর্ণ হবে।আপনি আল্লাহ্ র সন্তুষ্টি
না দেখলে আল্লাহ্ ই বা কেন আপনাকে রহম করবেন!!!
সুতরাং
এটা একটা শয়তানের ওয়াসওয়াসা।এরকম জায়িজ জায়িজ করে শয়তান অনেক পাপ আপনাকে দিয়ে
করাচ্ছে।যেটা আপনি না বুঝেই করে যাচ্ছেন।
আপনার
পর্দা করে আপলোড কৃত পিক ফেতনা ছড়াতেই পারে!!
ভাবুন
বিচার দিবসের কথা।জায়িজ জায়িজ না করে তাকওয়া তাকওয়া করুন।আপনি আল্লাহ্ র পরিপূর্ণ
আনুগত্য করলেই আল্লাহ্ আপনাকে অনুগ্রহ করবে।
দেখুন,
হাত
মোজা পরা ফরজ নয়,তবুও অনেকে পরে থাকে।হ্যা এটাই
তাকওয়া।
নিজের
ফোনে পাসওয়ার্ড দেওয়া কেউ হাত দেয়না,তবুও অনেকে সেলফি তুলেন না। হ্যা
এটাই তাকওয়া।
বোরখার
ওপর চোখে আইলানার দেওয়া,হাতে ব্রেসলেট পরতে মানা নেই।
তবুও
আপনি করেননা।হ্যা এটাই তাকওয়া।
ভিডিও
কলে কথা বলা জায়িজ তবুও আপনি ভিডিও কলের সামনে যাননা।হ্যা এটাই তাকওয়া।
উত্তম
তাকওয়াবান হলেই কেবল আল্লাহ্ র ক্ষমা আশা করা যায়।কেননা আপনার গুনাহের কাছে
পূণ্যগুলো অতি ক্ষুদ্র। গাফুফুর রহিমের দয়ায় কেবল তা আপনাকে জান্নাতের দ্বারে
পৌঁছে দিতে পারে।
হ্যা
এটাই আল্লাহ্ সুবাহানা তা'আলার পক্ষ থেকে হেদায়েত।বলিউডের
তারকাখ্যাতি অর্জনে যে এগিয়ে তিনি হলেন জাইরা ওয়াসিম।হাতের নাগালে যখন দুনিয়াবি
কামিয়াবি,যার স্বপ্ন হয়তো লাখো মানুষ দেখে।সেই কামিয়াবি
ছাড়ার অফিশিয়ালি ঘোষণা দিলেন তিনি আল্লাহু আকবর।
রুপে,গুণে কোনোদিক থেকেই পিছিয়ে নেই এই তারকা।ক্যারিয়ারের এই সুসময়ে আসার
পর,আল্লাহ্ তাকে বুঝিয়ে দিলেন যে,সবকিছু থেকেও সে অপূর্ণ।
তার
ক্যারিয়ারে সবকিছু পেয়েছেন,কিন্তু হারাতে বসেছে ঈমান।আর এই
উপলব্ধিই তাকে বলিউড ছাড়তে বাধ্য করালো।
হেদায়েতের
রশ্মি পেলেই কেবল এরকম কুরবানি সম্ভব।সে বুঝে গেলো দুনিয়া দিয়ে আখিরাত নষ্ট করা
মূর্খতা।সবকিছুর মধ্যে থেকেও জীবন সুন্দর নয় যতক্ষণ না তার ঈমান থাকে।
হায়
আফসোস,অথচ আমরা খুব সহজেই কোনো কুরবানি ছাড়া ঈমান আনতে
পারি!!!অথচ আমরা দেখেও দেখিনা।আমরা মানতে নারাজ আখিরাতের পথে চলাই একমাত্র লক্ষ্য।
আল্লাহ্
তা'আলার এতো নিদর্শন দেখার পরও আমরা এড়িয়ে চলি।
আমরা
উপলব্ধি করতে পারিনা, কি করে চলছি?আসলে গন্তব্য কোথায়?
আমরা
জেনেও অন্ধকার পথের দিকে পা বাড়াচ্ছি। অন্তরকে আরো কঠোর বানাচ্ছি!!
অথচ
বিচারের দিন চিৎকার করবো এই আমরাই।
দুআ
করি আল্লাহ্ এই বোনকে হেদায়েতের পরে অটল রাখুক।
বিয়ের
পর জীবনের সবচেয়ে বড় ডিসিশনের মুখোমুখি হতে হয়েছিলো।
হয়
সংসার নাহয় পড়ালেখা?
নিজের
অজান্তেই সংসারটাই বেছে নিলাম।প্রায়ই স্বপ্নে দেখতাম কালকে এক্সাম অথচ পড়া হয়নি,বা হবে এক এক্সাম পড়েছি অন্য সাবজেক্ট!!!বিশাল ভয়াবহ পরিস্থিতি
স্বপ্নেই ফিল করে আচমকা উঠে পরতাম।
নিজের
মধ্যে অপরাধ বোধ কাজ করতো,নিজের হাতে নিজের স্বপ্নকে হত্যা
করেছি।
আফসোস
লাগতো কেন এই ডিসিশন মেনে নিলাম?আমার পরে তো কেউ ফোর্স করেনি।সবটাই
আমার মতামত নিয়েই হয়েছে।সুযোগ ছিলো স্বপ্ন বাস্তবায়নের।ওয়েল ফিউচার ছিলো।তাহলে কেন
অকালেই ভেঙ্গে পরলাম?
আমি
কি সেই যে স্বাধীনভাবে চলার গান গাইতাম?!আমি কি সেই যে পড়ালেখাকে সবচেয়ে বেশি
ইম্পর্ট্যান্স দিতাম?আমি কি সেই যে বিয়ের ঘোর বিরোধী
করতাম?আমি কি সেই যে বিশাল ক্যারিয়ারের স্বপ্ন দেখতাম?আমি কি সেই যে সংসার নিয়ে জীবনে কল্পনাও করতাম না?
প্রায়
অনেক দিন এসব মনের মধ্যে যন্ত্রণা দিতো।সারাক্ষণ ভাবাতো কিন্তু উত্তর পেতাম না।
এতোদিন
পর পরোক্ষভাবে উত্তর বুঝিয়ে দিলেন আমার রব্ব।
কারণ,
তিনি
চাননি আমি বেপর্দা লাইফ লিড করি,তিনি চাননি আমি জেনাকারী হয়ে যাই,তিনি চাননি জাহেল যুগের নারীদের মতো চলাফেরা করি,তিনি চাননি ক্যারিয়ার গড়তে গড়তে যৌবন শেষ করে ফেলি,তিনি চাননি দুনিয়ারিদারীর কারণে আখিরাত বরবাদ করে ফেলি,
তিনি
চাননি তার রহমত থেকে বঞ্চিত করতে।
বরং
তিনি চেয়েছেন আমি দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করি।তিনি চেয়েছেন আমি পবিত্র বন্ধনে থেকে
সওয়াব কামাই করি।তিনি চেয়েছেন আমি আখিরাতের প্রতি ভাবনা আনি।তিনি চেয়েছেন ফিউচারের
স্বপ্ন না দেখে জান্নাতের স্বপ্ন দেখি।
আল্লাহ্
র কসম করে বলছি সেই আমি এখন আমার চিন্তাকে ঘৃণা করি।সেই আমি জেনারেল শিক্ষাকে মন
থেকে ঘৃণা করি।যেই শিক্ষার দাম আমার রব্বের কাছে নেই, উল্টে যেটা অর্জনে আখিরাত থেকে গাফেল হতে হয় সেই শিক্ষা আমি কোনো
জনমেই চাইনা।
সেই
আমিই এখন সবাইকে অল্প বয়সে বিয়ের পরামর্শ দেই।দেড়ি হলে যে পরোক্ষভাবে জেনাকারী হতে
হবে!!
হ্যা
সংসার জীবন একটা বড় দায়িত্বের।কষ্ট,না পাওয়ার যন্ত্রণা আছে।তবু এর
মধ্যেও সূকুন আছে, যা আপনি অন্যভাবে পাবেননা।মাতৃত্বের
কথা নাই বা বললাম।
ভেবে
দেখুন আপনার পেছনে এমন কেউ নেই যে এই বন্ধনে আবদ্ধ হয়নি।এই দায়িত্বের অংশীদার হতেই
হবে।তাহলে দেড়ি করে গুনাহগার হয়ে লাভ কি?
যেখানে
স্বামীর দিকে তাকিয়ে হাসলেও সওয়াব।বিনা কষ্টে এমন সওয়াব আর কোথাও পাবেন না।
সবচেয়ে
বড় কথা আল্লাহ্ সুবাহানাহু তা'আলা ই নারীদের জন্য এই রুলস করে
দিয়েছেন।নারীরা ঘরে থাকবে,ক্যারিয়ারের চিন্তা তো পুরুষদের।
যেই
চিন্তা আল্লাহ'ই আপনাকে দেননি সেটা নিয়ে কেন এতো
জল্পনা?
আল্লাহ
তা'আলা ইরশাদ করেন-
هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ
لَّهُنَّ
অর্থাৎ
‘তারা (স্ত্রীগণ) তোমাদের পোশাক এবং তোমরা
(স্বামীগণ) তাদের পোশাকস্বরূপ`। (সূরা বাকারা :আয়াত ১৮৭)
আল্লাহ
আরো বলেন-
وَأَنكِحُوا الْأَيَامَى مِنكُمْ
وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ إِن يَكُونُوا فُقَرَاء
يُغْنِهِمُ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ - وَلْيَسْتَعْفِفِ
الَّذِينَ لَا يَجِدُونَ نِكَاحًا حَتَّى يُغْنِيَهُمْ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ
সম্পাদন
করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে
সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। যারা বিবাহে সামর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে
অভাবমুক্ত করে দেন। (সূরা নূর : আয়াত ৩২-৩৩).....
"আম্মু ভাবিকে ফোনে বলছিলো, বেশি করে লেবু আনাবা,রোজ দুধ আর ডিম আনাবা।প্রতিদিন
ছেলেকে খাওয়াবা,তুমিও খাবা।দুজনে শরীর ঠিক
রাখবা।"
কথাটা
শোনা মাত্রই শান্তি লাগলো।সামান্য একটু কথা, অথচ প্রশান্তি বলে বুঝানো যাবেনা।
এ
সমাজে অধিকাংশ শাশুড়ীই একথা বলতে ভুলে যান।নিজের ছেলের চিন্তা করলেও বউয়ের চিন্তা
ভুলেও করেননা।
সারাদিন
যে মানুষটা রান্নাঘরে এতো কষ্ট করে আপনাদের জন্য খাবার বানান সে কি এতোটুকু
প্রাপ্য না?
মানলাম
সে না খেয়ে থাকেনা তবুও কয়জন তাকে জিজ্ঞেস করে সে খেয়েছে কিনা?সবাইকে সার্ভ করার পর সে নিজের জন্য কিছু রেখেছে কিনা জানতে চেয়েছেন
কখনও?
একটা
মেয়ে যখন স্ত্রী হয় তখন থেকেই ত্যাগের লড়াই টা শুরু হয়ে যায়।পরিবারের সবাইকে ঠিক
রাখতে গিয়ে সে নিজেকে হারিয়ে ফেলে!!
তখন
পরিবারের মানুষগুলোরই দায়িত্ব হারিয়ে যাওয়া তাকে ফিরিয়ে দেওয়া।
অথচ
বেশিরভাগ পরিবারের মানুষগুলো আমার এটা হয়েছে?আমার এটা কই?তাড়াতাড়ি আমার এটা লাগবে....এসব বলেই ভ্যানিশ।
ঘরের
বউ কি দিয়ে কি করবে সেটা সে জানে।কখনও জানতেও চায়না সে ঠিক আছে কিনা।তার এতে কতোটা
কষ্ট হবে উপলব্ধি করেনা।
ছেলের
খাওয়ার কথা বলার সময় বউকেও খেতে বলুন।খোজ নিন সে খেয়েছে কিনা!!
এখনো
অনেক বধূই আছে যে আপনাদের জন্য ভালো খাবার রাখতে গিয়ে নিজের রুহকে দেননা।অথচ আপনি
বেখেয়াল।
আমার
ছেলে এটা খায় বা এটা খায়না সাথে বউয়ের রুচিটাও একটু আবিষ্কার করুন।স্বামীদের বলবো
নিজে খাবার আগে সহধর্মিণীর খোজ নিন,তাকে খাইয়ে দিন।
এটলিস্ট
এতোটুক করলে খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যাবেনা।বরং এতে আপনার স্ত্রীর চোখ টলমল হতে দেখবেন,এক অদ্ভুব আনন্দ অনুভব করবেন।
আপনার
বিনা কেয়ারে সে যদি এতোকিছু করে,তাহলে ভাবুন আপনার একটু সহানুভূতিতে
সে কতটা ভালোবাসা দিবে।
এতে
যেমন রব্বও খুশি হবেন,আবার নবীর সুন্নাতও পালন হবে
ইংশাআল্লাহ্।
মিডিয়ায়
একটার পর একটা ভিডিও প্রতিনিয়ত ভাইরাল হয়েই যাচ্ছে। অথচ হচ্ছেনা সমস্যার প্রতিকার।
সম্প্রীতি
একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে,যদিও দেখার সাহস হয়নাই।তবে অনেকের
দৌলতে পিক দেখতে পেরেছি।আল্লাহু আকবর!!!
বরগুনায়
ওপেন খুন,
কেউ
বলছে,পাবলিক প্লেসে কিভাবে সম্ভব?আগে পাবলিকরে ফাঁসি দেওয়া উচিত,কেউ বলছে এসব মেয়ের দোষ।প্রেম করার
সময় দেখে করতে পারেনা!!!
অথচ
যারা বলছে তারাই কিন্তু গন্ডায় গন্ডায় রিলেশন করছে।আপনার এক্স হিংস্র হতে কতক্ষণ?
আফসোস
করছেন নিহতের জন্য?আসলে আপনাদের মতো মেয়েদের জন্যই আজ
অনেকেই ভুক্তভোগী। আজ মিডিয়াতে একটা ভিডিও ভাইরাল বলে এই নয় যে ক্রাইম একটাই হয়।এর
পেছনে অবশ্য সরকার ব্যবস্থার একটা বিরাট অংশ দায়ী।
আপনারা
ভাবলেন কিভাবে আল্লাহ্ র অবাধ্যকতা করে আবার আল্লাহ্ র জমিনে শান্তিমতো চলবেন?
এক
তো পর্দার মতো ফরজ বিধানকে হেলামি করে চলেন,ছেলেদের উস্কানি তো আপনারাই দেন।
নিজেদের
দিকে কিভাবে আকর্ষণ করানো যায় সেই ফন্দি আঁটেন।
আরেকদিকে
হারাম সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে জেনা করে যাচ্ছেন।
ইসলাম
বার বার বলে প্রেম হারাম,তারপরও আপনাদের সুশীল সমাজের কানে
ধোকেনা।
যার
ফলে দিন দিন ক্রাইম আরো প্রবল হচ্ছে।প্রতিটি ক্রাইম খুঁটে দেখলে দেখা যাবে এর
পেছনে হয় নারী আর নাহয় অর্থ জড়িত।
ক্রিমিনালকে
আসলে পরোক্ষভাবে সাহসটা দিচ্ছেই সরকার ব্যবস্থা।এটলিস্ট আমার চোখে দেখলামনা একটা
ভাইরাল হওয়া ক্রাইমের শাস্তি হতে!!!মিডিয়ার বাইরের গুলো তো বাদ ই দিলাম।
যেকোনো
ক্রাইম নিয়ে ফেসবুকে আমরা তুমুল প্রতিবাদ করি,রাস্তায় নামি, কতদিন নিউজ শুনি,এরপরই ঐ সমস্ত ক্রিমিনালের শাস্তির
আর কোনো সাড়া পাওয়া যায়না!!!
তনু
হত্যা,সাগরুনি হত্যা,মিতু
হত্যা,নুসরাত হত্যা,আরও
কতো কতো ধর্ষক, এসব কিছু আদৌ রহস্যই থেকে গেলো।
এখনও
বিভিন্ন নদীতে লাশ ভেসে উঠে,এখনো রাস্তায় গাড়ি নয় চলে রক্তের
খেলা ,এখনো সিসি ক্যামেরায় খুন ভেসে উঠে,এখনও মানুষ দিনের আলোতেই রাতের আধারের মতো গুম হয়ে যায় অহরহ।
এইতো
দুদিন আগে ভারতে তাবরেজ অত্যাচারের ভিডিও ভাইরাল হলো,মুসলিম নিধন শুরু হয়ে গেছে।আপনি আমি এই ফিতনা থেকে বেশি দূরে নই।
গাজওয়াতুল
হিন্দের কথা তো কম বেশি সবাই জানি তাইনা!বিশাল বড় ফেতনা যদিও শেষমেষ জয়টা
মুসলমানের ই হবে।এরপর আসবে আরেক ফেতনা।
ভয়াবহ
ফেতনা ধেয়ে আসছে,গোটা বিশ্ব একদিকে আর মুসলিমরা
আরেকদিকে।
এখনো
সময় আছে বোন শুধরে যান,আল্লাহ্ ছাড়া কেউ আপনাকে বাঁচাতে
পারবেনা।
এটা
সময় ঈমান দৃঢ় করার।হায়েনার হাত থেকে দূরে থাকার দায়িত্ব একান্তই আপনার।এরপরও যারা
জেনা, হত্যা করবে তারা তো মানুষ নয়।জাহান্নামের খাদ্য।
তাদের
সাথে তাল না মিলিয়ে আপনি ফিরে আসুন আপনার রব্বের দিকে।
তিনি
তো ক্ষমাশীল।তিনিই শ্রেষ্ঠ বিচারক।
আপনার
স্ত্রীর মাসিক ইনকাম কত ???
- আরি নাহ! সেই সৌভাগ্য কী আমার আছে। ও
স্রেফ গৃহিনী। বাসায় থাকে। ইনকাম -টিনকাম নেই।
কাউকে
প্রশ্নটা করলে আনসার হিসাবে অনেকে এটাই বলবে।অনেকে তো স্ত্রীকে খোটাও দিয়ে বসে
তোমার টাকা?তুমি ইনকম করো?
কিন্তু
থামেন ভাই। নীচের হাদীসটার উপর পূর্ণ কনফিডেন্স আছে?
- আল্লাহ সবকিছু সৃষ্টির ৫০০০০ বছর
পূর্বে যাবতীয় নিয়তি লাওহে-মাহফূযে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন।”
(মুসলিমঃ ২৬৫৩)
যাবতীয়
নিয়তি মিনস রিজিকের বিষয়টাও ইনক্লুটেড। তো সহধর্মিনীর ইনকাম নেই, তাহলে ৫০০০০ বছর পূর্বেই উনার বরাদ্ধকৃত রিজিকটা কোথায় গেল? হাওয়া তো হয়ে যায়নি।
আপনার
স্যালারি বেড়েছে মানে স্ত্রীর রিজিকের অংশটুকু সাথে যুক্ত হয়েছে।
বিয়ে
করেছেন ব্যাবসায় বারাকাহ এসেছে মানে স্ত্রীর
অংশটুকু
যুক্ত হয়েছে।
ফসলের
উৎপাদন বেড়েছে মানে হাফ দ্বীনের অংশটুকু যুক্ত হয়েছে।
হয়ত
বলবেন কোন কিছুই বাড়ে নি। ও কুফা! ( যদিও এটা বলা শির্ক)
- আপনার জব বা ব্যবসাটাই হয়ত ভ্যানিশ
হওয়ার কথা ছিল।
স্ত্রীর
রিজিকের কুদরতে আল্লাহ সুবহানা তা'য়ালা হয়তো টিকিয়ে রেখেছেন।
সুতরাং
প্রত্যেক গৃহিনীরাই স্মার্ট স্যালারির জব করে। অন্তরচক্ষু দরকার।
তারপরও
কেউ যদি বলে, তোমার ইনকাম নেই, তুমি গৃহিণী - তা হবে জুলুম জুলুম এবং ঘোর জুলুম।
আমার
মামার নিকট এক ব্যবসায়ী আবদার নিয়ে এলেন।
ইমামসাব
বড় করে একটা মিলাদের আয়জন করেন।ব্যবসায়ে যেন আরো বরকত হয়।
মামা
বললেন,দেখেন মিলাদ জায়িজ নেই।আপনি তার বদলে কিছু
ইয়াতিম অসহায়ের ক্ষুধা নিবারণ করেন।
ভদ্রলোক
তার প্রস্তাব নাকচ করে দিলেন।বললেন মিলাদের ব্যবস্থায় করেন।
মিলাদের
পর মামা মনে মনে বললো, মিলাদ করাবি নে করা।নিজের বাপ মায়ের
জন্য মন ভরে দুআ করে আসছি।আর বলছি, নাজায়েজ জিনিসের মাধ্যমে যেহেতু
আল্লাহ্ র সন্তুষ্ট নেই,তুমি আরো বেশি করে ব্যবসার বরকত
উঠিয়ে নেও।
ওদিকে
ভদ্রলোক তো খুব খুশি।হুজুররা কি কি আরবিতে দুআ করলেন।কত বরকতে ভাসবেন সেই আনন্দে
মনে মনে খুশিতে ঠেলছে!!!
কি
বুঝলেন?আপনার আশেপাশের হুজুরগুলো কিন্তু আপনাকে মিলাদে
নিষেধ করেনা।বরং নিজের সুবিধাই হাতায়।
আফটার
অল দুআ যার বরকত তো তারই,যেমন আমল যার হিসাব তার!!!
মোটামুটি
ছোট থেকেই চিনি মেয়েটাকে। বান্ধবীর ছোট বোন।
দেখতে
দেখতে কেমন বড় হয়ে গেলো।কলেজে পড়ে।কতদিন আগে ফেসবুক আইডিও দেখলাম।যুগের সাথে তাল
মিলিয়ে ভালোই চলছিলো!!
রং-বেরঙের
ছবি,আবেগি স্ট্যাটাস,কিছু
ফ্রেন্ড সার্কেল,ফেসবুকে ছেলেদের কমেন্ট,হাসি-ঠাট্টা,ফ্রেন্ডসদের সাথে ঘুরাঘুরি!!!আহ্ এই
তো লাইফ,ওরা জানে লাইফ মানেই ইনজয়।হয়তো হায়ার এডুকেটেড
হওয়ার প্লান বা জব করার প্লান।তারপর জমিয়ে সংসার করার স্বপ্ন!!!
অথচ
বাস্তবতা অন্যকিছু।কিছুক্ষণ আগেই বান্ধবী ফোন দিয়ে বললো আজ দশদিন হলো সে মারা
গেছে।আমি বিশ্বাস করিনি।ও বার বার বলছে, সত্যি বলছি।
পানিতে
ডুবে নাকি মারা গেছে।সাতার জানতোনা।পানিতে ডুব দিয়ে আর উঠেনি।
এখনও
বিশ্বাস হচ্ছেনা,এইতো সেদিন ও দেখলাম সেজেগুজে ঘুরে
বেরাচ্ছে।চোখের সামনে শুধু ভাসছে ওর জীবন্ত ছায়া!!!
নাজানি
কবরে কি চলছে!!বা মৃত্যুটাই কত কষ্টের ছিলো।সামনে হয়তো একটা রাজকুমারের অপেক্ষায়
ছিলো।রাজকুমারের দেখা স্বপ্নই রয়ে গেলো।
বাস্তবে
রাজকুমারীই আজ অস্তিত্বহীন।
আফসোস
দ্বীন মানার আগেই মৃত্যু এসে নিমিষেই সব থমকে দিলো!!
চিন্তা
হয় নাজানি আমার সন্তানের হায়াত কতুটুকু,অথচ স্বপ্নগুলো এতো বড়।
আরো
চিন্তা হয়,সবকিছু চলবে হঠাৎ ই আমি চলে যাবো।কখন
নাজানি ডাক চলে আসে।
কেমন
হবে সেই মুহুর্ত?
এদিকে
প্রস্তুতি যে শূন্য।
এই
ঘটনা যে কারোর সাথেই ঘটতে পারে।প্রফাইলে থাকা বেপর্দা ছবিগুলোর জন্য প্রস্তুত তো?
কত
পুরুষের মনে স্বপ্ন বুনেছেন।
ডিলেট
দেওয়ার সুযোগ পাবেন তো?
পাবেন
তো মওতের আগে তওবা করার সুযোগ?
প্রশ্নগুলোর
উত্তর জানা নেই জেনেও নিজের মনকে কেন জোর করছেন?
আপনার
বেপর্দা ছবি আপলোড না দিলে কি খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে?অথচ আপলোড দেওয়ার ফলটা কিন্তু আপনার কল্পনারও বাইরে।
সুযোগ
ততক্ষণ আপনার নিশ্বাস যতক্ষণ চলছে।সামনের এক সেকেন্ডের নিঃশ্বাসের গ্যারান্টি আপনি
দিতে পারবেননা।তাহলে দেড়ি কেন?
এখন
এবং এই মুহুর্তেই পর্দার প্রতি জোর দেন,তওবা করুন।ফিরে আসুন রব্বের দিকে।
নাহলে
জাহান্নামও জোর দিবে আপনাকে,শাস্তিগুলোর মাত্রা বাড়িয়ে!!!
আল্লাহুম্মাগফিরলী
মনের
আকাশে আজ তুফান চলছে।
আবহাওয়া
তো মৃদুই ছিলো, কেন জানিনা এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি
হতে হলো।
হঠাৎ
ই জানতে পারলাম আমার স্বামীর মাসনার আয়োজন চলছে।এক পলকেই থমকে গেলাম।
আশেপাশে
তাকিয়ে দেখি সবাই রীতিমত আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত।পাত্রী রেডি,বিয়ের শপিং এ যাচ্ছে সবাই।
বুঝতে
বাকি রইলো না আমার অগোচরে এই ষড়যন্ত্র আগে থেকেই চলছে।
কি
বলবো, কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিনা।মস্তিষ্ক যেনো থেমে
গেলো!!!
দূরে
চোখ পরলো তার ওপর।তার ভিতরে কোনো কালো মেঘ জমে নেই।মনে হচ্ছে বসন্ত চলছে!!!
নিজের
চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছিনা!!এই চারবছরের ভালোবাসাগুলো কি নিছক অভিনয় ছিলো?তিলে তিলে গড়ে তুলছি যে সংসার সেটা তাহলে কখনও আমার ছিলোই না!!!
মনে
এতো এতো প্রশ্নের ঝড়,কিন্তু মুখ নড়ছে না।
বিয়ের
শপিং নিয়ে এসে সবাই দেখাচ্ছে আমাকে।আমি যেন চোখে ধোয়াসা দেখছি।
ঝাপসা
চোখেই অনুভব করলাম উনি ডেকে বলছে এটা কেমন হয়েছে?
মুহুর্তে
মনে হলো হৃদপিণ্ডটা কেউ বের করে কুচি কুচি করে কাটছে।আমি যেন এই দুনিয়াতে নেই।
যে
মানুষটা তার প্রথম ভালোবাসার জন্যই কিছু কিনেনি,সে
মেয়েলি ব্যাপারগুলো বুঝেনা।তাই মাথা ব্যথাও ছিলোনা।সেই মানুষটায় কি আজ আমার সামনে?
নিজের
চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছিনা।কিছু বলার ভাষা খুজে পেলাম না।হাজার হাজার প্রশ্ন জমা,কোনটা রেখে কোনটা বলবো!!!
এক
কোণে চুপটি করে বসে রইলাম।উনি দেখি আমার খোজ খবরও নিচ্ছেন,হাসি-ঠাট্টা করছেন।মনে হচ্ছে কিছুই হয়নি।
এদিকে
গ্রীষ্মের রোদ্দুরে ফাটা ফসলের মাঠের মতো আমার হৃদয়ও খাঁ খাঁ করছে।
না
আর সহ্য হচ্ছেনা।এখনই চলে যাবো।আবার ভাবলাম আমি চলে গেলে তো ইসলামের অমর্যাদা
হবে।যেহেতু সামর্থ্যবানদের জন্য চার বিয়ে জায়েজ।
কোথায়
পালিয়ে যাচ্ছি?দ্বীনের লেবাসে থেকেও দ্বীনের
অমর্যাদা করার স্পর্ধা হলোনা।
দুদিন
পর ই চলে যাবো।কেননা দ্বীনদাররাই স্ত্রীদের মধ্যে ইনসাফ করতে অপারগ,সেখানে দ্বীনহীন উনি কিভাবে পারবেন।তবে এখন যাওয়াটা খারাপ দেখায়।
বর
যাত্রী রওনা হচ্ছে।সময় যতো ঘনিয়ে আসছে অন্তরের কালো মেঘগুলো আরো প্রবল হচ্ছে।মনকে
বোঝাচ্ছি,দেখবি পারবেনা শেষ পর্যন্ত।আমার কথা মনে করে ঠিক
চলে আসবে!!!
নাহ্
পারবেনা কবুল বলতে জানি আমি।আমার ভালোবাসা তো মিথ্যা নয়।
পথ
চেয়ে বসে আছি,সে এসে আমাকে ডেকে বলবে দেখো ফিরে
এসেছি।আমিও দৌড়ে তার বুকে যেয়ে পরবো।দৌড় দিলাম ঠিকই কিন্তু গিয়ে থমকে গেলাম।
ফিরে
এসেছে তবে নতুন কাউকে নিয়ে এসেছে।
অভিমানের
অশ্রুগুলো এবার যেন থামার নাম ই নিলোনা!!
প্রশ্ন
করলাম কিভাবে পারলেন কবুল বলতে?আমার সাথে কাটানো মুহুর্ত গুলো কি
একটুও ভাবালো না?
তখন
জানালো আমার কোনো একটা কথায় রেগে এই ডিসিশন নিলো!!!
মুখ
দিয়ে আর কোনো কথা বের হতে চাইলোনা!!
শুধু
রাগে হলে আমি বুঝে নিতাম,তার মাঝে বসন্তের ছোয়া পেতাম
না।আষাঢ়ে মেঘ জমে থাকতো।
রাস্তা
ছেড়ে যেতে দিলাম তার সুখের গগণে।আমি যেন আজ আমিহীন।জীবনের সমস্ত সুখ যেন মিশে গেলো
এই তিক্ততায়।
আজ
তার বিয়ের প্রথম রাত।শূন্যতায় ভাসছি আমি।অনেক হয়েছে আর সহ্য করতে পারছিনা।একটু
চিৎকার দিলে কি সবাই হাসবে?
ইনসাফ
দিতে পারবেনা এই কথার উসিলায় পালানোর ডিসিশন নিলাম।কেননা আর কিছুক্ষণ থাকলে হয়তো
আমার জবানের সাথে সাথে স্পন্দনও থেমে যাবে।
বলতে
ইচ্ছা করছিলো,
আপনাকে
আমার মতো কেউ বুঝবে না,আজকে যে শূন্যতায় আমি আছি, একদিন আমিহীনা সেই শূন্যতা আপনাকে ঘিরে বিষাদের গান গায়বে।
যে
গানের সুর হারিয়ে গেছে।
দেখেন
আমি কিন্তু আর ফিরবোনা,কোনোদিন ক্ষুদার্ত আপনাকে খাইয়ে দিবো
না,কোনোদিন ঘুমের মাঝে মাথায় হাত বুলিয়ে
দিবোনা।ঘেমে গেলে নিজের হাত ঘামও মুছে দিবোনা।
হাজার
রাগ থাকুক,কই আপনার অজান্তে পাওয়া কত কষ্টে
আমিতো কারো হাত ধরিনি।হয়তো আপনার হাত কিছু সময় ছেড়েছি।পরক্ষণে আবার ঠিকই ধরেছি!!
থাক
হিসাবটা নাহয় বাকি!!হিসাব বরাবর করার সাহস নেই আমার।আমার ভালোবাসাগুলোই আমার
সবচেয়ে বড় ভুল।ইচ্ছা করতে পারতাম আপনার সুখের মাঝখানে ঝড় হতে।প্রথম রাতটাও বরবাদ
করতে।কিন্তু আমার দ্বীন আমাকে থামিয়ে নিলো,দ্বীনের বুঝ নাপেলে হয়তো দুজনকেই খুন
করতাম।
এসব
ভাবতে ভাবতেই শুনি ট্যাউ ট্যাউয়ের আওয়াজ।
তাকিয়ে
দেখি আরেহ্ ব্যস,স্বপ্ন ছিলো!!!
পাশে
তাকিয়ে দেখি শয়তানটা কোলবালিশ নিয়ে দিব্যি মনের সুখে ঘুমাচ্ছে।
কোলবালিশটা
আগে কাড়লাম,এরপর ঘুম ভাঙানোর জন্য যা যা করার
করলাম।
সারাদিনের
অত্যাচারের পর শান্তিমতো ঘুমাতেও দেবেনা।ঘুমের মধ্যে গিয়েও আমার হাড় চিবিয়ে এখন
নিজেই নাক টেনে ঘুমানো!!দাড়া দেখাচ্ছি মজা।
বেচারা
তো আকাশ থেকে পরলো।সকাল সকাল কি শুরু করছো ঘুমাতেও দিলানা।
আমি
জ্বলছি কোন জ্বালায় তাকে তো বোঝাতে পারছিনা।কিন্তু রাগে ফাটছি।দিলাম ছেলেকে
লাগিয়ে। ছেলেও না বুঝে হাতের কাছে গাড়ি/ব্যাট যা পাচ্ছে ছুরে মারছে।পরে গিয়ে পিঠের
পরে উঠে লাফাচ্ছে!!
যাক
রাগ কমছে, আচ্ছা গণমাধ্যম খায়সে, আহ্ শান্তি!!
ওদিকে
ভদ্রলোক তাজ্জব,সকাল সকাল মা-ছেলে এমন পাগলামি শুরু
করলো কেন!!
যাউক
পোষ্ট না পরা পর্যন্ত অজানায় থাক😶...
কর্মক্ষেত্রে
তাকে অনেক রাত ই জেগে থাকতে দেখেছি, দেখেছি অজস্র ঘাম ফেলতে,
কিন্তু
কখনও দেখিনি তাকে তাহাজ্জুদের জন্য জাগতে,দেখিনি স্বীয় রব্বের সামনে অজস্র
অশ্রু ফেলতে!!!!
অথচ
আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে বলেন,
"আমি জ্বীন ও মানব জাতিকে কেবল আমারই
ইবাদাত ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি।” (সূরা আয যারিয়াতঃ ৫৬)
আমরা
কার আবদ(গোলাম)?
অথচ
ইবাদাত করছি কার?
কেউ
অর্থের আবদ,কেউ বাড়ি/গাড়ির আবদ, কেউবা তার অফিসের বসের আবদ, আবার কেউবা তার প্রিয় মানুষের আবদ।
অর্থাৎ
সবাই তার কাঙ্ক্ষিত জিনিস পাওয়ার লক্ষ্যে কতো পরিশ্রম ও ত্যাগ করে যাচ্ছে দিনের পর
দিন।
অথচ
যতো অলসতা ইবাদাতে!!!
যতো
সমস্যা শুরু হয় ইবাদাতে!!!
প্রত্যক্ষ
ভাবে রব্বের আনুগত্য স্বীকার করলেও পরোক্ষভাবে গোলামি করছি দুনিয়ার কামিয়াবির
জন্য!!
এদিকে
হায়াত কমে আসছে,আমলের বাক্সে মরিচিকা ধরেছে সেই
চিন্তা করার সময় বুঝি বৃদ্ধ বয়সে তাইনা?
সব
করে শেষ বয়সে একবার হজ্জ করলেই কবরের হিসাব বরাবর ?
শ্রেষ্ঠত্ব
কেবল রব্বের জেনেও দুনিয়াবি কর্মকে বেশি প্রাধান্য দেই,
যেন
এমন না হয় কাল বিচারের মাঠে আল্লাহ্ আপনার দিকে নজর ই না দেন!!!
আপনি
চেঁচিয়ে ডাকতে থাকবেন ও আল্লাহ্,আমাকে ক্ষমা করো, আমি নিজের ওপর জুলুম করেছি!!তোমার ক্ষমা ছাড়া আমি ধ্বংস,,,,
অথচ
আল্লাহ্ আপনার দিকে ফিরেও তাকাবেননা।উল্টে জাহান্নামের আগুন আসবে ধেয়ে গ্রাস
করতে।তার যে বহু যুগের তৃষ্ণা পাপী আত্নাদের বক্ষণ করার!!!
হুজুর, আমার ছেলের বউটা নামাজ কালাম পরে। ভালা ভাইব্বা ঘরে আনছিলাম। অহন দেহি
এ তো কালা নাগিন।
আমার
পোলাগোরে দেখতেই পারেনা।তেজ দেখিয়ে কথা বলে।শুধু কি তাই, আমার একটা মাত্র মেয়ের জামাই কতদিন পর আসলো!!সামনে তো যাবেই না,জোর করে নিলাম।ওমা,তেজ দেখিয়ে চলে আসলে।কি অপমান টাই না
করলো।
ছেলের
কাছে গেলাম বিচার দিতে যেন ডিভোর্স দিয়ে দেয়।কিন্তু গিয়ে দেখি ওমা!!!কি মধুর
আলাপ!!!
ছেলে
ডিভোর্স দিতে নারাজ।
তাই
না পেরে আপনার কাছে আসা।একটা তাবিজ দেন যেন ব্যবহারটা ভালো হয়।এভাবে চলতে থাকলে
আমার মাইয়া জামাইরে মুখ দেখাইতে পারুম না।
হুজুর
কিছু বলার আগে,এরই মধ্যে আরেকজন দৌড়ে এসে বললো---
হুজুর
অহনই চলেন।একটা ফায়সালা করতে হইবো।
৭
বছরের সংসার আমার।আমি জীবনে কল্পনাও করিনি আমার বউ এরম করবো।বোইন জামাই এর সাথে
হাসি ঠাট্টা এ পর্যন্ত চলে আসছে।আমি বা বোন দুজনেই খুশি ছিলাম।আহ্ কতো লক্ষী বউ
আমার।সবার সাথে মিশে চলে।বোন জামাই তো বিশাল পছন্দ করতো।ভাবী ভাবী করে পাগল।
কিন্তু
এতোদিন পর এইরকম দেখতে হইবো কে জানছিলো।আমি কাজে বাইরে ছিলাম আসার কথা ছিলো
না।তবুও কি মনে করে বাসায় এসে দেখি বোন জামাই আমার ঘরে।অপ্রস্তুত অবস্থায় আমাকে
দেখে ঘর থেকে দ্রুত বেরিয়ে গেলো!!!
এখন
আপনারাই বিচার করেন।ওই বউ আমি রাখমু নাআআআ।
অতঃপর
হুজুর শাশুড়িকে বললো,এবার বুঝেছেন তো, আপনার বউ কেন এরকম আচরণ করে?
মুরব্বি
চুপচাপ বেরিয়ে গেলো!!
এদিকে
হুজুর মুরব্বিকে ডাকছে---
চাচি,ও চাচি শুনে যান কুরআনে আল্লাহ্ কি বলেছেন,
"যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, এতে করে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে; তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে।” (৩৩:৩২)
[সূরা আহযাব]
দেহের
খোরাক মেটাতে তো ঘরে এতো প্রসাধনী,এতো এতো সময় ব্যয় শুধু দেহের
সৌন্দর্যের জন্য!!!
আত্নার
সৌন্দর্যের জন্য কত সময় ব্যয় করি?
অথচ
দেহের মৃত্যু নিশ্চিত,দেহ পঁচবে মাটিতে আর খাবে পোকামাকড়
গুলো!!!
কিন্তু
আত্মার মওত নেই।আছে হয় যন্ত্রণা আর নাহয় সুকুন।
আত্মাই
হবে আপনার অনন্তকালের সঙ্গী।অথচ এই আত্নার সুকুন দিতেই আমরা ভুলে যাই বার বার।
দেহের
প্রতি এতো যত্নশীল কারণ তা বাহ্যিক, আর আত্নার সৌন্দর্য তো উহ্য থাকে।তাই
অযত্নের রেশ টাও দিন দিন বেড়েই চলে।
ভয়
হয়, নাজানি মওতের পরে দুর্গন্ধ পাপী আত্না বলে প্রথম
আসমান থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়!!!!
এরকম
দিনের অপেক্ষায় থাকি,
যেদিন
চারদিকে ফেরেস্তাগণ বলে উঠবে,
" হে প্রশান্ত আত্না যাও তোমার রবের
রহমতের ছায়াতলে,
"হে প্রশান্ত আত্না যাও তোমার রবের
ক্ষমাশীল বান্দাদের দলে,
"হে প্রশান্ত আত্না যাও তোমার মাটির
ঘরে,যা জান্নাতের সাথে জুড়ে দেওয়া হলো"
অতঃপর
তোমার রব তো ক্ষমাশীল।তিনিই বিচার দিবসের মালিক।এবং তিনিই সর্বশক্তিমান।
টাইমলাইন
স্ক্রল করলে মনটা খারাপ হয়ে যায়। দ্বীনের বুঝ পাওয়া মানুষগুলোও যখন বেদ্বীনদের
সাথে তাল মেলায় তখন আসলেই খারাপ লাগে।আবার যারা তাল না মেলায় তাদের বুযুর্গ বা
সুযোগ না হওয়া, এই টাইপ ভাবাও ভুল হবে।কেননা তাদের
মনেও শয়তান উস্কানি দেয় তবে তারা নফসের সাথে লড়াই করে।
হ্যা
এটাই পার্থক্য!!!
আচ্ছা
বোরখা পরেও মডেলের মতো পিক তোলা এবং আপলোড করা কি খুব জরুরী?
সুন্দর
হাতগুলো যেকোনো ক্যাপশন দিয়েও কি আপলোড করা জরুরী?
স্বামীর
সাথে ঘুরতে গিয়ে স্বপরিবারে পিক ক্যাপচারও কি খুব জরুরী?
ঈদের
সালামির পরিমাণ এবং সালামির পিক আপলোড করাও কি এতোটাই জরুরী?
ঈদের
শপিং বা জুতা পরে পায়ের পিক দেওয়াও কি জরুরী??
দাওয়াতে
গিয়ে গর্জিয়াস সাজে পর্দা করে পিক দেওয়াও কি খুব জরুরী?
পর্দার
আড়ালে চোখ সাজিয়ে আর হাতে অলংকার পরে বের হওয়া বা পিক তোলাও কি এতো বেশি জরুরী?
ফানি
কোনো ব্যাপার শেয়ার করতে গিয়ে বেগানা পুরুষের পিক/ভিডিও শেয়ারও কি এতোটাই জরুরী?
ভাবছেন
এখানে খারাপ লাগার কি আছে।এগুলো স্পষ্ট হারাম তো কোথাও বলা নেই।
জায়িজ
নাজায়েজের কথায় পরে আসি।আগে ভাবি যে আমরা কি দ্বীন কেবল আল্লাহ্ র সন্তুষ্টির
জন্যই পালন করি?
উত্তর
যদি হ্যা হয় তাহলে ভাবুন, আপনার এ কাজগুলোতে আল্লাহ্ আদৌ
সন্তুষ্টি হচ্ছেন কিনা!!
আল্লাহ্
অন্তর দেখে বিচার করেন।নামে পর্দা আর অন্তরে শো অফ হলে তা কখনই জাহান্নাম মুক্তির
কারণ হবেনা।
নিঃসন্দেহে
উত্তম তাকওয়াপূর্ণ হতে হলে নিজেকে আল্লাহ্ র কাছে যতো ভালোভাবে প্রেজেন্ট করা যায়
সেই চিন্তা করতে হবে।দুনিয়ার সামান্য দুটো ভালো কথার জন্য করা কাজগুলো না হাশরে
ভারী পরে যায়।
মনে
রাখতে হবে নারী মানেই ঝিনুকে লুকায়িত মুক্তা।
সাথে
ফেতনাও বটে।আর ফেতনাটা যেন আমাকে আপনাকে জড়িয়ে না হয়।
আল্লাহ্
সবাইকে সহিহ বুঝ দেন আমিন।
সহীহ
বুখারীর হাদিস!!
হযরত
আয়েশা রাযি. মৃত্যুর পর অল্প কিছু জিনিস রেখে গিয়েছিলেন।এগুলোর মধ্যে একটি জমিও
ছিলো।এটা হযরত আসমা রাযি.(উনার বোন) এর ভাগে পরে।আমীর মুআবিয়া রাযি. বরকতের
উদ্দেশ্যে জমিটি অনেক চড়া মূল্যে (এক লক্ষ দিরহাম) কিনে নিয়েছিলেন।
হযরত
আসমা রাযি. অত মুদ্রা কী করেছিলেন জানেন?
প্রিয়জনদের
মধ্যে বিতরণ করে দিয়েছিলেন।
হাদিসটি
পড়ে দুটি কথা মাথায় আসলোঃ-
১.আমার
মৃত্যু হলে কি কি রেখে যাবো?আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম অনেক
কিছুই।পুরো একটা গোছালো সংসার,কতো জামা কাপড়,ব্যবহারিক জিনিস,কিছু সম্পত্তি!!!ভয় হতে লাগলো,,,নিঃসন্দেহে আর যাই হোক কেউ এসব ই সাদাকা করে দিবেনা।দুনিয়ার এতো জিনিস
তিলে তিলে করা,এক নিমিষেই চুরমার হয়ে যাবে।
রেখে
যাওয়া একমাত্র বইগুলোই হয়তো আমার এবং আমার সন্তানের জন্য কল্যাণকর। বাকি সব
মরিচিকা!!!
সাথে
সাথে এ হাদিসটি মনে পরলো,
"দুনিয়ায় জীবন যাপন করো আগুন্তক অথবা
কোনো মুসাফিরের ন্যায়" [সহিহ-বুখারি]
এ
হাদিসটির সাথে যখন নিজেকে মিলাতে পারবো কেবল তখন ই মনে হবে যে সফলতার দিকে
যাচ্ছি!!
অন্তরের
কাঁপুনি আরেকটু প্রবল হলো!!
২.আমার
বোনের মৃত্যুর পর তার সম্পদ পেলে আমিতো দান করে দিতাম না!!অল্প কিছু করলেও বাকিটা
নিজের বা নিজের সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য রেখে দিতাম।
এখনো
ওইরকম মন মানষিকতা কেন করতে পারলাম না?কেন চোখ বুজে নিজের সর্বস্ব সাদাকা
করার সাহস পাইনা জানা নেই।
আমরা
সাদাকা করলেও হিসাব করে দেই।যা থাকে সব দিয়ে দিতে পারিনা।অথচ আল্লাহ্ তার রহমত কম
দিয়ে ভাসিয়ে দেননা!!
সর্বাবস্থায়
কোনো না কোনো ভাবে রক্ষা করেন!!!
আমরা
রব্বের ওপর আস্থা করতে চাই,তবুও মন থেকে পেরে উঠিনা!!নিজের ভালো
থাকার স্থান,ভালো খাবার,ভালো পোশাক সব সব সব লাগবে।
আর
আমল যেভাব সেভাবে করে পার করছি!!কেমন হবে হিসাবটা ওয়াল্লাহু আলাম!!!
বিদ্রঃ-
ভালো থাকা গুনাহ্ নয়।তবে হিসাবটা হয়তো বেশি।আবার এটাও ঠিক উত্তম তাকওয়াপূর্ণ হতে
হলে সাদামাটা জীবন যাপন করার কোনো বিকল্প নেই।নবীজির সবটায় আদর্শ ফলো করা
উচিত।দুনিয়ার সকল জিনিসের প্রতি যখন দেখবেন একদম ই চাওয়া নেই,কেবল তখনই ভাববেন হয়তো আল্লাহ্ র কাছাকাছি যাওয়ার রাস্তা সুগম হচ্ছে
ইংশাআল্লাহ্!!
#ফেতরা (সদকাতুল ফিতর)
রমাদান
শেষ।আর এই শেষ সময়ে যাকাতের পাশাপাশি আরেকটা বিধান পালন করাও জরুরী।যাকাতের কথা
সবাই জানলেও ফেতরা নিয়ে গুণগুণ কম শোনা যায়।
নন
দ্বীনি ফ্যামিলিতে ফেতরা নিয়ে খুব কম মানুষই সচেতন।অনেকে তো জানেইনা ফেতরা দেওয়ার
নিয়ম।ভাবে ২/১ জন গরীবরে খাওয়ালে বা কিছু দিলেই হয়ে যাবে!!!
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি মুসলমানদের উপর সদকাতুল ফিতর (ফিতরা) ফরজ করেছেন। আর তা হল এক
স্বা‘খেজুর বা একস্বা‘ যব।মানুষ
ঈদের সালাতের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার আগে তা আদায় করার আদেশ দিয়েছেন।
দুই
সহীহ গ্রন্থে (অর্থাৎবুখারী ও মুসলিমে) আবু সা‘ঈদ আলখুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে
বর্ণিত আছে যে তিনি বলেছেন : “আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের সময়ে সদকাতুল ফিতর হিসেবে এক স্বা খাদ্যদ্রব্য অথবা এক স্বা‘ খেজুর অথবা এক স্বা‘ যব অথবা এক স্বা‘কিসমিস প্রদান করতাম।”[বুখারী (১৪৩৭)]
সুতরাং
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফেতরা দেওয়া আবশ্যক।
#কিভাবে_ফেতরা_দিবো?
>>ফিতরার ক্ষেত্রে ওয়াজিব হচ্ছে-এক
স্বা‘খাদ্য প্রদান করা।যে স্বা‘ বা পাত্র নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যবহার করেছেন সে স্বা
অনুযায়ী। সাধারণ মাপের দুই হাতের পরিপূর্ণ চার মুষ্ঠি এক স্বাকে পূর্ণ করে। যেমনটি
আলক্বামূস ও অন্যান্য আরবী অভিধানে উল্লেখ করা হয়েছে।মেট্রিক পদ্ধতির ওজনে এর
পরিমাণ প্রায় ৩ কিলোগ্রাম। যদি কোন মুসলিম চাউল বা দেশীয় কোন খাদ্যদ্রব্যের এক
স্বা‘ দিয়ে ফিতরা আদায় করেন তবে তা জায়েয হবে; যদিওবা সে খাদ্যের কথা এই হাদিসে সরাসরি উল্লেখ না করা হয়ে থাকে।এটাই
আলেমগণের দুইটি মতের মধ্যে বেশি শক্তিশালী। আর মেট্রিক পদ্ধতির ওজনের হিসাবে প্রায়
৩ কিলোগ্রাম দিলেও চলবে।
আমাদের
দেশে যেহেতু প্রধান খাদ্য চাল।তাই উচিত চাল দিয়েই ফেতরা দেওয়া।মুল কথা হলো
সামর্থ্যহীনদের সন্তুষ্ট করা।গম/কিসমিস বা খেজুরের চেয়ে ভাতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ
করি আমরা।
তাই
পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের পক্ষ থেকে কেজি অনুপাতে আড়াই কেজি মতো চাল ফেতরা দেওয়া
ভালো।এক্সাট পরিমাপটা আসলে বোঝা মুশকিল।
অনেকে
আবার টাকা আর খাদ্য দিয়ে ফেতরা আদায় নিয়ে বিবাদে জড়ায়।টাকা দিয়ে ফেতরা আদায় হবে
যেমন নবী এটাও বলেনি,আবার হবেনা সেটাও বলেনি।এই নিয়ে ইখতিলাফ
রয়েছে।তবে হানাফি মাজহাব এটাই মানে টাকা দিয়ে ফেতরা দেওয়া যায়।তবে নিঃসন্দেহে
উত্তম খাদ্য দিয়ে ফেতরা আদায় করা।
#ফেতরার_খাত?
>>ফিতরা প্রদান করার খাত হচ্ছে- ফকির ও
মিসকীন। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম অনর্থক কাজ ও অশ্লীলতা হতে পবিত্রকরণ এবং মিসকীনদের জন্য খাদ্যের উৎস
হিসেবে রোযা পালনকারীর উপর ফিতরা ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের আগে তা আদায়
করবে তা কবুল যোগ্য ফিতরা হিসেবে গণ্য হবে।আর যে ব্যক্তি ঈদের নামাযের পর আদায় করবে
সেটা সাধারণ সদকা হিসেবে গণ্যহবে।”
[সুনানে আবুদাউদ (১৬০৯) এবং আলবানী এ
হাদিসটিকে সহীহ আবুদাউদ গ্রন্থে‘হাসান’বলে
আখ্যায়িত করেছেন।]
এছাড়াও
কাল(২৯ শে রমাদান) ও কেউ চায়লে ফেতরা আদায় করতে পারবেন।
আর
যেসব ননদ্বীনি ফ্যামিলির স্ত্রী/মেয়েরা অন্যের ওপর ডিপেন্ডেড এবং আপনি বলার পরও
ফেতরার দিকে বেখেয়াল,তাদের বলবো আপনি অন্যের আশায় না থেকে
নিজের ফেতরা নিজেই আদায় করুন।সর্বোচ্চ একজনের জন্য ১০০-১৫০ টাকা খরচ হবে।
বাহানা
দিয়ে আল্লাহ্ র কাছে থেকে আর কতো দূরে থাকবো!!!আমল তো যার যারই তাইনা!!
পরিশেষে,
ছোট-বড়,নারী-পুরুষ, স্বাধীন-ক্রীতদাস সকল মুসলিমের পক্ষ
থেকে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। কিন্তু গর্ভস্থিত সন্তানের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা
ওয়াজিব নয় মর্মে আলেমগণের ইজমা (ঐকমত্য) সংঘটিত হয়েছে। তবে তার পক্ষ থেকেও আদায়
করা হলে সেটা মুস্তাহাব। কারণ উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে এ ধরনের আমল সাব্যস্ত
আছে।
আল্লাহ্
সবাইকে এই রমাদানের উসিলায় মাফ করে বেশি বেশি আমল করার তৌফিক দেন।
রমাদানে
বেশি বেশি দান সাদাকার কোনো বিকল্প নেই।পরিমাণে তা কম হলেও মিজানে অনেক বেশিই
ভারী।অনেকে ট্রাস্টেড খাত খুজে পাননা।অনলাইনে ট্রাস্টেড খাতগুলো দিয়ে দিলাম।চোখ
বুজে বিশ্বাস করতে পারেন ইংশাআল্লাহ্। যে যতটুক যেখানেই পারেন দান করুন।এই দান হোক
আপনার সাদকায়ে জারিয়া!!!মৃত্যুর পরও যেই আমল কবরে পৌছায়।।
১.Al Akhirah-এখানে অভাবগ্রস্থ কিন্তু চাইতে
পারেনা এমন মানুষদের নিয়ে কাজ করা হয়।
২.
Sab'a Sanabil Foundation
-এই পেইজ টা ভিজিট করার অনুরোধ
রইলো।এখানে সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট করেছেন তারা।সবাইকে
এগিয়ে আসার অনুরোধ।
৩.
Jakia Sultana - আপুদের মাদ্রাসা নির্মাণে যে কেউ
এগিয়ে আসতে পারেন।এখানে অনেক অসহায় বাচ্চারাও রয়েছে।নিঃসন্দেহে এটা সাদকায়ে জারিয়া
হবে।
পাশাপাশি
কেউ পারলে যেন এই পবিত্র ঈদে একটা গরীব বাচ্চার মুখেও হাসি ফোটানোর চেষ্টা
করুন।আল্লাহ্ সাহায্য করুক সবাইকে।
ক্বদরের
শেষ দশদিন সামান্য পরিমাণ হলেও দান করার চেষ্টা করুন।এতে যে কি পরিমাণ সওয়াবের
অংশীদার হবেন একমাত্র রব্ব ই বলতে পারবেন।
আর
যদি কারো একদম ই সামর্থ্য না থাকে তাহলে মুসলিম হিসেবে দুআ করবে।আর এই পোষ্টটি
কপি/শেয়ার করে নিজেও সওয়াবের অংশীদার হতে পারেন ইংশাআল্লাহ্।
"হযরত আদি ইবনে হাতিম (রাঃ) বলেন যে, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি- তোমাদের
মধ্যে যার পক্ষে সম্ভব একটা খেজুরের টুকরা দান করে হলেও জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা
করুক।" - বুখারী, মুসলিম
অন্য
হাদিসে বর্ণিতঃ-
হযরত
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন যে, নবী করীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যখন মানুষ মারা যায়, তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়। তবে
তিনটি আমল (এর সওয়ব) বন্ধ হয় না। তা হল- সদকায়ে জারিয়া, ইলম-যা দ্বারা অন্যরা উপকৃত হয় এবং তার নেককার সন্তান যে তার জন্য দুআ
করে। -মুসলিম, তিরমিযী।
আরেক
হাদিসঃ-
হযরত
আসমা বিনতে আবুবকর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেছেনঃ (হে আসমা!) তুমি দান করতে থাকবে এবং হিসাব করবে না। অন্যথায়
আল্লাহও তোমাকে দেয়ার ব্যাপারে হিসাব করবেন। আর (সম্পদ) ধরে রাখবে ন, অন্যথায় আল্লাহ তোমার ব্যাপারে ধরে রাখবেন। তোমার শক্তি অনুসারে
সামান্য হলেও দান করবে। -বুখারী, মুসলিম।
পরিশেষেঃ-"রসূলুল্লাহ
সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ তোমরা সদকা কর এবং সদকা দ্বারা রোগীর রোগ
চিকিৎসা কর। কেননা, সদকা রোগ এবং বালা-মুসিবত দূর করে
এবং আয়ু ও নেকী বৃদ্ধি করে।" -বায়হাকী।
সেই
যে মায়ের হাত ধরে পথ চলা, মায়ের বুকে মাথা রেখে ঘুমানো...
তারপরেই হঠাৎ তোমার আগমন।মায়ের হাত থেকে হাতগুলো নিয়ে তোমার হাতে রাখা, তোমার বুকে মাথা রেখে শুরু হলো নতুন করে পথ চলা।
মা
ছাড়া এক রাতো ঘুমাইনি অথচ আজ দেখো সেই অভ্যাসটার পরিবর্তন হয়েছে তুমিতে।
এখন
যে তোমাকে ছাড়া এক মুহুর্তও অপূর্ণ লাগে।আচ্ছা এটাই কি তবে ভালোবাসা?
অতঃপর
কতোগুলো ভালোবাসার খুনশুটি।নতুন নতুন কিছু অনুভূতি!!!কিছু অভিযোগে গড়া নতুন গল্প।
অভিযোগগুলো
ভালোবাসার কাছে অতি তুচ্ছ।
তবুও
পরিবর্তন হলাম আমি,আর মিশে গেলাম তুমিতে।
কিন্তু
এখানে যে সবার ইচ্ছামতো চলতে হবে?
বাবা
মায়ের কাছে তো আমার ইচ্ছাই ছিলো তাদের সর্বসুখ।তবুও ভালোবাসার খাতিরে নাহয় নিজের
ইচ্ছাগুলোও সমর্পণ করলাম।শুরু হলো এক ভালোবাসার গল্প। যে গল্পের রাজা হবে তুমি আর
রাণী হবো আমি।
কিন্তু
গল্প যে সৃষ্টি করলো সেই সৃষ্টিকর্তার কথায় তো ভুলে ছিলাম।এতোটা অধম আমি!!!
অথচ
সেই সৃষ্টির মালিক কিন্তু আমাকে ঠিকই স্মরণ রেখেছে।টেনে নিলো তার রহমতের চাদরে।
বদলে
গেলো গল্পের কাহিনী।শুরু হলো এক নতুন আমার।
সেই
আমিতে এখন প্রথমে উপরের তুমি,তারপর তোমার তুচ্ছ সৃষ্টি আমার
গল্পের তিনি।
কিন্তু
তার গল্পের রাণী কি আমি?এখন আর কেনো হাতগুলো শক্ত করে ধরোনা?কেন আমার কোলে মাথা রেখে বিরহের কথা বলোনা?কেনো এই চোখের চাহনি দেখোনা?
সৃষ্টকর্তার
রঙে রাঙানোই কি তাহলে আমার অপরাধ?থাকি না রাণীর বদলে অপরাধী
হয়ে।মালিকের রঙের চেয়ে আর কিছু কি রঙিন হতে পারে?
তার
গল্পের রাণী এখন অন্যকেউ,কিন্তু আমার গল্পে রাজার স্থানটা আজও
শূন্য,,,,,,হয়তো তার অপেক্ষা!!
ছেড়েই
যখন দিবে তখন কেন কেড়েছিলো মমতাময়ী থেকে?কেনো বদলে দিলে আমার অভ্যাসগুলো।কেনো
ভালোবাসতে শেখালে?কেনো স্বপ্ন দেখালে?
এখন
যে আমার আমিকেই চিনতে পারিনা।
কেনো
মাঝপথে ছেড়ে চলে গেলে?গল্পের রাণী যদি হয় অন্যকেউ তবে
গল্পের শুরু কেন তাকে নিয়ে করলেনা?
বুঝবে
তুমি সমাপ্তিতে,কিন্তু আফসোস সেই সময়ের।
হয়তো
আমি থাকবোনা, থাকবে আমার ভালোবাসার অনুভূতিগুলো
পরে।
কখনো
তুমি ফিরলে জমানো ব্যথাগুলো লুকিয়ে রাখবো।হয়তো অভিমানগুলো ফুটে উঠবে।বুঝে নিও
অভিমানে জমানো অশ্রুগুলো!!!
জানো,এখন চাঁদের আলো আমি একাই গায়ে মাখি।শিশিরভেজা ঘাসগুলো একাই স্পর্শ
করি।গাছের ঐ গোলাপগুলোও যেন কানাকানি করে!!!স্তব্ধ হয়ে শুনি.......
এখন
আর নিজেকে একা লাগেনা।আমি সব হারিয়েও আল্লাহ্কে পেয়েছি।এতোদিন সব থেকেও আমার
আল্লাহ্ ছিলোনা।সৃষ্টির মালিককে ভালোবাসতে শিখে গেছি।তোমার সাথে কাটানো মুহুর্তগুলো
এখন আমাকে ব্যথা দেয়না।তোমার জন্য ভালোবাসা আজ আল্লাহ্ র জন্য ছেড়ে দিলাম।
যারা
সৃষ্টিকর্তার হয়ে যায় জান্নাত তার হয়ে যায়!!
জানো,আমার গল্পগুলো এখন জান্নাতে ঘেরা।
জান্নাতের
বাগানে আমি ছুটে চলবো,আর তুমি ছুটবে আমার পিছু পিছু। আমি
লুকিয়ে পরবো!!
সবুজ
রঙের পোশাক পরে জান্নাতে ঝর্ণার পাশে বসে থাকবো।সেই ঝর্ণার শব্দে আমার দিকে অপলক
দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে তুমি।আর আমি মুচকি হাসবো,ঝর্ণার
পানি নিয়ে তোমার মুখে ছিটিয়ে দিবো।
অতঃপর
আবার ছুটবো সেই অপূর্ব উদ্যানে!!
আজ
যেমন আমার থেকে লুকিয়ে তুমি,সেদিন লুকাবো আমি।বুঝবে তুমি সেদিন।|||
অপেক্ষায়
থাকলাম,রব্বকে চিনতে পারলে চিনে নিও আমাকেও,,,,,তখন দুজনে একই রঙে রাঙিয়ে আবার শুরু করবো নতুন
জীবনের পথ চলা||||
#কল্পনিক_
ছোটবেলা
থেকেই কার্টুনের প্রতি বেশ নেশা। এখনো সেই নেশা কাটেনি তবে কমেছে আলহামদুলিল্লাহ।
আমার
সমবয়সীরা যখন হরর মুভি,সিরিয়াল নিয়ে ব্যস্ত তখন আমি ছুটির
দিনে কার্টুন দেখায় মগ্ন।
তখন
মজায় মজায় দেখতাম কিছু ভাবতাম না।তবে এখন দেখলে অনেক ভাবনা আসে।আর বার বার স্কিপ
করে যেতে হয়।
বর্তমানে
যত কার্টুন দেখা যায় সবগুলোতেই কোনো না কোনো ভাবে ইসলাম পরিপন্থী কিছু রয়েছেই।
টম
এন্ড জেরী সবার ভালো লাগা হলেও একটু ভাবলে দেখতে পাবো এখানে শেখার কিছুই নেই।উল্টে
টম আর জেরীর খুনশুটিগুলো নিয়ে ভাবলে নিজেকে টম বা জেরী মনে করলে নেগেটিভ প্রভাব ই
পরবে।পাশাপাশি এখানে মিউজিক পাওয়া যাবে।যা হারাম কোনোভাবেই জায়েজ নয়।
ডোরেমনও
জনপ্রিয়তার তালিকায়। আমার নিজেরও পছন্দের ছিলো।কিন্তু কার্টুন শুধু না দেখে ভাবা
উচিত আসলে এখানে শিক্ষার কি আছে।
নবীতা
থেকে ভালো কিছু আশা করা যায়না।অলস,পড়াচোর আর ঘুমপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। আর
সেইম এখানেও রয়েছে মিউজিক।পাশাপাশি বিধর্মীদের ক্রিসমস,বিভিন্ন দিন।যা ইসলাম থেকে অনেকটায় দূরে।
গোপালভাড়
ও বেশ ভালোলাগার কার্টুন।সেখানে বুদ্ধি শিখলেও পাশাপাশি ধোকাটাও শেখা যাবে।সেখানেও
রয়েছে মিউজিক।সাথে বিধর্মীদের ধর্মীয় আচার সংস্কৃতি।আর সবচেয়ে ভয়াবহ হলো শির্কি
কথাবার্তাও লক্ষ্য করলে শোনা যাবে।
মটু
পাতলু থেকেও শেখার কিছুই নেই।মটু পাতলু ভাবনায় উল্টে ব্রেইনগুলো ড্যামেজ হতে
থাকে।অনেক বাচ্চারা মটু পাতলু দেখে হিন্দিতে অল্প স্বপ্ল কথা বলে।অথচ এটা তার
দ্বীন শেখার সময়।মটু পাতলুর চরিত্র নকল করতে গিয়ে শ্রেষ্ঠ নবীর আদর্শ ভুলে যায়।
আরো
অনেক কার্টুন আছে সবটায় ইসলামী আদর্শে থেকে দূরে নিয়ে যায়।অনেকে বাচ্চাকে ইসলামিক কার্টুন
এলাও করে। এখানে আপাত দৃষ্টিতে খারাপ কিছু মনে হয়না।কিন্তু ইউটিউবে ঢু মারলে দেখা
যাবে এসব ইসলামিক কার্টুনেও ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হয় ছড়ার তালে তালে।সাথে মহিলাদের
হিজাব পরানো থাকলেও নিকাব থাকেনা।তাহলে বাচ্চারা তো তাই ই জানবে তাইনা?পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের মেলামেশা!!
মর্ডাণ
মুসলিমরা মূলত এসব কার্টুনের নির্মাতা।
সুতরাং
এ সকল কিছু থেকে শেখার কিছুই নেই।অনেক আপুরা বাচ্চাদের কার্টুন ছেড়ে দিয়ে
খাওয়ান।বাচ্চা বায়না করে নাকি।আচ্ছা আপু আপনি যদি শুরু থেকেই ঐ কার্টুনের বদলে
সূরা বা ইসলামিক গজল ছেড়ে শোনাতেন সে কি সেটাতেই অভ্যস্ত হতো না?
একদিন
বাহিরে বের হয়ে লক্ষ্য করলাম ছেলেটা সাইড থেকে মিউজিক বাজায় শরীরটা
নাড়াচ্ছে।ব্যাপারটা ফানি দেখালেও চিন্তা এসে গেলো।মানে হলো ওর মিউজিক মজা
লেগেছে।এখন তো আরো সতর্ক থাকতে হয় কোনো রকমেই যেন মিউজিক ওর কানে না আসে।গজল ছেড়ে
দিয়ে অভ্যস্ত করেছি আলহামদুলিল্লাহ। রব্বের রহমতে এখন গজলটায় মন দিয়ে শোনে।
যাইহোক
আমি মনে করি বাচ্চাদের সামনে ভালো কিছু দেখতেও টিভি না রাখা উচিত।টিভির রিমোট যেন
কখনো তার হাতে না লাগে।
ছোট্টকালে
বাচ্চার মগজ তৈরীটা ডিপেন্ড করবে আপনার ওপর।সুতরাং এ সময়টা কেয়ার করুন।কষ্ট করুন
পরে বুঝ আসলে আর খাটতে হবেনা।বাচ্চাদের কার্টুন বা গেমস এর নেশায় ফেলবেননা।আখিরাত
থেকে দূরে সরে যাবে।
এ
ফেতনার যুগে ঈমান ঠিক রাখা বিরাট কঠিন ব্যাপার।সুতরাং বাচ্চাদের কার্টুন দেখা থেকে
বিরত রাখুন।ফ্রি সময়টা বাচ্চার সাথে খেলুন,ইসলামিক প্রশ্ন করুন আদর করে,উত্তর শেখান।রব্বকে চেনান,নাহলে বড় হয়ে সে আপনাকে চিনবেনা
নিশ্চিত থাকুন।
আপনার
ভুলের ঠিকানা যেন ঐ বৃদ্ধাশ্রম না হয়।আর না হয় জাহান্নামের সেই ভয়াবহ আগুন।কেননা
বিচার দিবসে আপনার আদরের সন্তান ই কিন্তু তার দোষগুলো আপনার ওপর দিয়ে দিবে।তখন
বাঁচানোর কেউ থাকবেনা।
"তুলি"
না
এটা কোনো রঙ তুলি নয়, একটা রঙহীন জীবনের নাম।
বুঝ
হওয়ার পর থেকে তুলি বাবা মা কে একসাথে দেখেনি।কবেই নাকি ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে।
দেখতে
বেশ সুন্দর হওয়ায় তুলির মা তাকে সাজিয়ে রাখতো।তুলির মায়ের জীবন আর পাঁচটা নারীর
মতো নয়।তার জগতটা সম্পূর্ণ আলাদা।হাজার পুরুষের চাহিদা মেটানোর ফলে তাদের আজ কোনো
চাহিদা নেই।মা মেয়ে দিব্যি আয়েশে দিন কাটায়।
এসব
নিয়ে তুলির খারাপ লাগা আসলেও মেনে নিতে হয়।তুলির মা তো বড্ড আশাবাদী তার চেয়ে তার
মেয়ের দাম বাজারে অনেক বেশি।এখনি অনেক প্রস্তাব পেয়েছে।কিন্তু তুলি এখনো প্রস্তুত
নয়।আর তুলির ব্যাপারটা জানাজানি হলে ভালো জায়গায় বিয়ে হবেনা।তুলির মা এই ফন্দি
আটছে যেন ইনকম ও আসে আবার মেয়ের ভবিষ্যতও হয়!!
কিন্তু
এতো এতো পুরুষের সাথে কথা বলতে তুলির ভালো লাগেনা।উল্টে তেজ দেখিয়ে চলে আসে।সবাই
ক্ষেপে তার মায়ের কাছে নালিশ দেয়।
মা
খুব করে বকা দেয়।তুলিকে জোর করে সবার সাথে মধুর আলাপ করার জন্য।তুলি রাজি হয়না,একদিন ইচ্ছামতো মারলো এজন্য।মার খাওয়ার পর থেকে তুলি না চায়তেও কথা
বলে।
এভাবেই
তুলির দিন যায়।সবকিছু বোঝার মতো লাগে।তুলি কাঁদে, নামাজ
পারেনা তুমিও পরে। আল্লাহ্ কে ডাকে।দিনশেষে সেজেগুজে পণ্য হয়েই থেকে যায়।
একদিন
তুলির মা হঠাত ই অসুস্থ হয়ে যায়।দীর্ঘদিন অসুস্থ হওয়ায় তুলি তার মা কে নিয়ে
হাসপাতালে ভর্তি।মায়ের ইনকমও বন্ধ।তুলি পরলো মুসিবতে।হসপিটালে কিছু টাকা জমে গেছে,কি করবে সে জানেনা।
হসপিটালে
এতো এতো মানুষের ভীড়ে নামাজ পরে কাঁদলো রব্বের কাছে।
আর
রব্ব কি তার বান্দীর ডাকে সাড়া না দিয়ে থাকতে পারে?হোক
সে শত গুনাহগার!!!
নামাজ
শেষে তুলির পাশের বেড থেকে আওয়াজ এলো
।দাড়ি,জুব্বা পরা একটা লোক বন্ধুকে নিয়ে
হসপিটালে এসেছে।তুলি হা করে তাকিয়ে রয়লো।এরকম জুব্বা পরা লোক তার জগতে সে কখনো
দেখেনি।
হুশ
ফিরলে বুঝলো,লোকটি তার নামাজ শুদ্ধ হয়নি
জানালো।তুলি জানতে চায়লো সহিহ নিয়ম।লোকটি দেখিয়ে দিলো।
লোকটি
ইসলামিক কিছু বই কিনে তাকে দিলো জানার জন্য।সাথে নাম্বার দিয়ে বললো কোনো কিছু
জানতে চায়লে ফোন দিতে।
তুলি
আশ্বাস পেলো।মায়ের সাথে হসপিটালের বিল নিয়ে কথা বলছিলো।কিন্তু এ কি হসপিটালের বিল
পেমেন্ট হয়ে গেছে নার্স জানালো।তুলি বুঝে গেলো ঐ লোকটির এহসান এটা।কৃতজ্ঞতা জানাতে
ছুটে গেলো।কিন্তু পেলোনা।
তুলি
বাসায় চলে আসলো।বইগুলো পরে উপলব্ধি করলো দ্বীনের।এতোদিন কতো পাপেই না ডুবে ছিলো
সে!!না আর না।রিযিকের মালিক আল্লাহ্।আর কোনোমতেই সে ঐ জেনার রাস্তায় যাবেনা।
এদিকে
তুলির মা কয়েক জায়গায় তুলিকে ভালো মূল্যে বিক্রি করে দিলো।কিন্তু মেয়ে তো যেতে
রাজিনা।
কত
বোঝালো তুলিকে,না পেরে মারলোও খুব।ভয় দেখালো টাকা
নিয়ে নিছে এখন না গেলে দুজনকেই মেরে ফেলবে।তুলি বললো,মা তুমি টাকা ফিরিয়ে দাও।এরপরও যদি মরতে হয় নিজের সৎভাবে মরবো।তবুও
জেনেশুনে জেনার পথে পা বাড়াতে পারবোনা।
তুলির
মা বুঝে গেলো এভাবে হবেনা। উপায় না পেয়ে লোক পাঠাতে বললো ওকে তুলে নেওয়ার জন্য।
এদিকে
তুলিও বুঝে ফেললো মায়ের প্লান।আল্লাহ্ র সামনে দাড়িয়ে পরলো।হঠাৎ মনে পরলো সেই
জুব্বাওয়ালার কথা।নাম্বারটা খুজে কল দিলো।রীতিমতো হাপাচ্ছে সে।সব কথা বলার সময়
নেই।অল্প কিছু বললো।লোকটি তাকে বের হতে বললো।
তুলি
কোনোরকমে ছুটে গেলো।তখন তার মনে এতোটুক ভয় কাজ করেনি।যার মনে এতো এহসান সে নিশ্চয়ই
খারাপ হবেনা।আর খারাপ হলেও সে যেই জায়গা থেকে বেঁচে ফিরেছে তার থেকে জঘন্য কিছু
হতে পারেনা।
লোকটিও
তাকে জিজ্ঞেস করলো সে তাকে বিয়ে করতে রাজি কিনা।তবে শর্ত হলো,তাকে সম্পূর্ণ পর্দা করতে হবে,স্বামীর আদেশ অমান্য করতে পারবেনা।
তুলি
চোখ বুজে রাজি হয়ে গেলো।
বিয়ের
পর তুলি কোনোদিন মায়ের কাছে যায়নি।যদিও তার স্বামী নিষেধ করেনি।তার আসলে ঐ
জায়গাটার প্রতি ঘৃণাভরা ছিলো।সে আল্লাহ্ র কাছে তার মায়ের হেদায়েতের দুআ করে।আরো
দুআ করে জান্নাতে যেন সে বাবা মাকে একসাথে দেখতে পারে।না না এই মা কে নয়, এই মায়ের রুপে জান্নাতি পোশাকে মোড়ানো একটা মা।
এখন
আল্লাহ্ র রহমত কি বুঝে তুলি।শ্বশুরবাড়িতে যদিও সবাই তার অতীতের জন্য ভালো চোখে
দেখেনা।তবুও তার স্বামী তাকে এতোটুকু কষ্ট দেয়না।কষ্ট দেয় শুধু ইবাদাতের
জন্য।ইবাদাতে গাফেল হলে চলবেনা।
এখন
আর তুলিকে গাইড দেওয়ার দরকার নেই।কেননা রব্বের কৃতজ্ঞতা ভোলার সাধ্য তার নেই।
রব্বের
সাথে বড্ড ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।এতে যে কতো সুকুন!!!কেবল সে ই উপলব্ধি করতে
পারে।||
#সত্য__ঘটনা__অবলম্বনে
No comments:
Post a Comment