Thursday, February 27, 2020

অল্প বয়সে বিয়ে করুনঃ Early Marriage (২য় অংশ)



(২৩)

🔴 ছেলের বাবাকে বলছি......
ছেলেদের অল্প বয়সে বিয়ে করান
এতে ছেলে আপনার ইজ্জত নষ্ট করবেনা।

🔴 মেয়ের বাবাকে বলছি........
অল্প বয়সে মেয়ে বিয়ে দেন
নিজের সম্মান বাঁচান, গুনাহ থেকে বাঁচুন।

🔴ছেলেমেয়ে দুজনকেই বলছি.....
অল্প বয়সে বিয়েতে রোমান্টিকতা থাকে বেশি,
থাকে রঙ্গিন চাওয়া-পাওয়া।
যদি বুড়ো হয়ে করেন, দেখবেন আপনি প্রেম- ভালবাসার নামে হারামের মধ্যে এই আনন্দ
আপনি নিজেই নষ্ট করেছেন।

যারা প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করার চিন্তা করেছেন
তার উত্তর= মানুষ মরে যাওয়া ছাড়া প্রতিষ্ঠিত হয়না।

যারা বউকে কী খাওয়াবেন বলে বিয়ে করেনা।
তার উত্তর = বউ কোন জানোয়ার বা ডাইনি না।

যারা বর্তমান সমাজের ব্যয়বহুল বিয়ে দেখে ভয় পাচ্ছেন
তারা অল্প খরচে বিয়ে করে দেখিয়ে দেন
কীভাবে সুন্নতি বিয়ে করে।

জীবন খুব অল্প.....
সব ঝামেলার মাঝেই আমাদের চাওয়া-পাওয়া আদায় করে নিতে হয়।
না হয় আমও যাবে, ছালাও যাবে।

  




(২৪)
দেরীতে বিয়ে করে যারা ,অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে তারাঃ
"Late Marriage" এর কারণে নারী-পুরুষ উভয়ই তাদের বিবাহিত জীবনে নানা ধরনের ঝামেলার মুখোমুখি হয়। যেমন :
১)পুরুষরা সাধারণত যেসব সমস্যায় পড়েন :
বর্তমানে পুরুষরা নারীদের থেকে অনেক বেশি "Late Marriage" করছে।কারণ একটাই সেটা হল "ক্যারিয়ার"। বেশিরভাগ পুরুষই এখন ৩০-৩৭ এই বয়সের মধ্য বিয়ে করছে ,ফলে অনেকেই বিবাহিত জীবনে নানান ধরনের ঝামেলার মুখে পড়ছে।
ক)পুরুষ সবচেয়ে বেশি 'Fertile ' থাকে যখন তাদের বয়স ২৪-২৫ বছর হয়।
পুরুষের বীর্য নির্দিষ্ট পরিমান সুস্হ ও সাভাবিক শুক্রাণু না থাকে তাহলে সেই পুরুষ সন্তান জন্ম দান করতে সক্ষম হয় না । এই অবস্হাকে বলা হয় infertility বা অনুর্বরতা ।
খ)পুরুষ যদি দেরি করে সন্তান গ্রহণ করে তাহলে সেই সন্তানের মাঝে জেনেটিক্যাল এবনরমালিটি দেখার সম্ভাবনা থাকে।আর এই সম্ভাবনা বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়তে থাকে।
গ)পুরুষের যৌন ক্ষমতা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে তা সর্বোচ্চ হয়ে আবার কমতে শুরু করে। সাধারণত ৩০ এর পর পুরুষের দেহে যৌন হরমোন টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন প্রতি বছরে ২% করে কমতে থাকে।
ঘ)বয়স বাড়ার সাথে সাথে পুরুষের স্পার্ম কোয়ালিটি দুর্বল হতে থাকে।।
২) নারীরা সাধারণত যে ধরনের ঝামেলার মুখোমুখি হয়ঃ
ক)নারীরা দেরিতে বিয়ে করার ফলে যে সমস্যা সবচেয়ে বেশি ভুগেন তা হল " Miscarriage ( loss of an embryo or fetus before the 20th week of pregnancy)" . (অপরিনত অবস্হায় মানবভ্রুণ বা শিশু ভুমিস্ট হওয়াকে Miscarriage বলা হয় ।
খ) নারীদের 'Fertility rate' ' (সন্তান জন্ম দানের ক্ষমতা) বয়স বাড়ার সাথে সাথে হ্রাস পায় । অর্থাৎ বয়স বাড়ার সাথে সাথে নারীদের 'Infertility rate' বাড়তে থাকে।তার মানে ২০-২৫ বয়সের নারী্রা যতটুকু Fertile, ২৬-৩০ বয়সের নারীরা তত Fertile হবে না।তাছাড়া নারীদের কম বয়সে কনসিভ করাও সহজ কারণ এই সময়ে তাদের ব্লাড প্রেসারের ঝামেলা ,ডায়াবেটিস এবং Gynecological প্রবলেম যেমন Fibroids,endometrisis এর সম্ভাবনা কম থাকে ।
গ)বয়স বাড়ার সাথে সাথে নারীদের ডিম্বাণুর Quality খারাপ হতে থাকে।."
নারীদের মনে রাখা উচিত যে সুস্থ ও সবল মানব শিশু জন্মদানে তাদের ভূমিকাই বেশি। বর্তমানে দেরি করে সন্তান নেয়ার ফলে যেসব অসুবিধা পৃথিবীতে দেখা যাচ্ছে তা এক কথায় ফুটিয়ে তুলেছে The New Republic এর, science editor Judith Shulevitzবলে,"“For we are bringing fewer children into the world and producing a generation that will be subtly different—‘phenotypically and biochemically different,’ as one study I read put it—from previous generations.

  




















(২৫)
বাবা মায়েদের চোখে সন্তান বড় হয় না কেন?
.
একাডেমিক সার্টিফিকেট অর্জনের চাপে বয়সের সিড়িতো আর থেমে থাকেনা। চারিদিকে প্রেম আছে,ভালোবাসা আছে, বন্ধুত্বের নামে মোবাইলে আলাপন আছে, নেই শুধু বিয়ে নামক পবিত্র বন্ধন!
চাকরী কর, প্রতিষ্ঠিত হও, নিজের পায়ে দাড়াও, আরো কতো কি! সমাজের নোংরামীতো আর ভাই থেমে নেই! প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে যাবার পরও সন্তানদের বিয়ে না দিয়ে নানা অজুহাতের দোহাই দিয়ে বাবা-মায়েরা সন্তানদের এমন কঠিন পরীক্ষায় কেন ফেলছেন?

বিঃদ্রঃ যে সমাজে বিবাহ কঠিন হয়ে পড়ে, সে সমাজে যিনাহ/ ব্যভিচার খুব সহজ হয়ে যায়! তাই নয় কি???







(২৬)
যারা আপনাকে বলবে যে,
আরেকটু দেরী করে বিয়ে করলে/ আরেকটু ইস্টাবলিশ হয়ে বিয়ে করলে আরো ভালো পাত্রী/ পাত্র পেতে কিংবা আরো হাই কোয়ালিফাইড পাত্র/ পাত্রী পাওয়া যেত তাদের কথায় কান দিবেন না। এগুলো তারা সম্পূর্ণ ভেতরের হিংসে থেকে বলে।
.
এইটা ঠিক সবাই কোয়ালিফিকেশন চায়, কিন্তু এখানে কোয়ালিফিকেশন বলতে আসলে কী বুঝায় ? একেক জনের কাছে কোয়ালিফিকেশনের সংজ্ঞা একেক রকম।
.
কারোর কাছে শুধু সরকারী চাকরিই কোয়ালিফিকেশন, এর বাইরে বিসিএস ক্যাডার, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার কিংবা এম বি বি এস এফ সি পি এস ডাক্তার সব ফাউ।

কারোর কাছে আবার বিসিএস ক্যাডারই কোয়ালিফিকেশন, বাকী সব ফাউ আর কারোর কাছে হয়ত দ্বীনদারিতা কে প্রাইওরিটি দিয়ে একটা হালাল রিজিক।
.
ইনশাআল্লাহ একদিন প্রতিষ্ঠা লাভ করবেন, যদি প্রতিষ্ঠা পেয়ে ৩৫ বছরে বিয়ে করেন তবুও স্ত্রী, ভালোবাসা, সুখ শান্তি, বাচ্চা কাচ্চা ইনশাআল্লাহ সবই পাবেন।

তবে যেই ছেলে ২৫ বছরে বিয়ে করল, সে হয়ত তখন পুরো প্রতিষ্ঠিত হয়নি , যদি গড় আয়ু ৬০ বছর হয় (হায়াত সম্পূর্ন আল্লাহ এর ইচ্ছা এখানে গড় হিসেব) যে স্বাভাবিক ভাবে আপনার থেকে ১০ বছর বেশি দাম্পত্য জীবন উপভোগ করল, তার যৌবনের সময় গুলো আপনি ফিরে পাবেন না। সোজা হিসেব সে এই ক্ষনস্থায়ী জীবনে আপনার থেকে দশ বছর এগিয়ে আর দ্বীনের অর্ধেক পূরনে এগিয়ে থাকায় ইনশাআল্লাহ পরের দুনিয়াতেও এগিয়ে।
.
ইনশাআল্লাহ তার যখন ৩৫ বছর বয়স হবে তখন সেও আপনার মত পুরো প্রতিষ্ঠিত কিন্তু মাঝখান থেকে ১০ বছর সে আল্লাহ এর ইচ্ছায় আপনার থেকে এগিয়ে। সে তার সন্তানের সাথেও দশ বছর বেশি সময় কাটাইতে পারবে, ছেলে বউ আর নাতি নাতিনীরও মুখ দেখে যেতে পারবে আল্লাহ চাইলে।
.
এইবার আসি মেয়েদের প্রসংগে। স্বভাবত কম বয়সের মেয়েদের প্রধান প্রাইওরিটি থাকে লুকিং আর হ্যান্ডসামনেস, একটু বুঝদার রা ভাবে মনটাই আসল আর সাথে চলার মত একটা রিজিক। আপনার যে বান্ধবী আপনার থেকে কয়েক বছর আগে বিয়ে করল সে এক্সট্রা যত সময় তার স্বামির সাথে কাটাতে পারবে, স্বামীর আদর ভালোবাসা উপভোগ করবে, সন্তানের সেবা পাবে, বুড়ো বয়সে নাতি নাতিনীদের সাথে খুনসুটি করবে আর যত আগে তার দ্বীনের অর্ধেক পুরন হলো সেই দিক থেকে এগিয়ে। সবাই তো ফেয়ার এন্ড লাভলী বিজ্ঞাপন এ মোটিভেটেড হয়ে সমানে সমান হতে সময় নেয়না, আর বিয়েই আসল স্বাধীনতা সেইটা বুঝার সামর্থ্যও সবার থাকেনা। এখন আপনার ঘুরতে যাবার মানুষ আছে, কিছু কিনতে ইচ্ছে হলে কিনে দেওয়ার মানুষ আছে, কষ্ট পেলে মাথা রেখে শেয়ারের জন্য নির্ভরযোগ্য কাধ আছে, আপনার আহলাদ কে প্রশ্রয় দেবার আর আপনার বাচ্চাসুলভ আচরন কে ভালোবাসার হালাল কেউ আছে। আপনার নিরাপত্তার জন্য, প্রতিরক্ষার জন্য বডিগার্ড আছে। এভেন আপনার পড়াশোনাতেও সহযোগিতার জন্য একজন বেস্ট ফ্রেন্ড পেলেন। আর সে তো দ্বীনদার হলে আপনার ঈমানও বৃদ্ধি করবে। মাশাআল্লাহ।
.
বিয়েটা আসলে বয়সের ব্যাপার । যখন বয়স হবে আর আল্লাহও সামর্থ্য দেবেন, তখনই বিয়ে করতে হবে । এতে করে শরীর, মন , সুখ, ধর্ম সবই বজায় থাকবে ।

২৫ বছর বয়সের দুই বন্ধু । দুজনেই ছাত্র । একজন এই বয়সেই বিয়ে করল । অন্যজন বিয়ে না করে জীবন গোছাতে শুরু করল । ১০ বছর পরে এই দুই বন্ধুর অবস্থা দেখবেন । দেখবেন বিবাহিত বন্ধুর ১-২ টি সন্তান আছে । তার নিজের চাকরি বা ব্যাবসা গুছিয়ে নিয়েছে । সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। ওদিকে অবিবাহিত বন্ধুটি হয়ত কিছুটা বেশী টাকা কামাই করেছে কিন্তু এখনো অগোছালো । মেসে থাকে, হোটেলের খাবার খায়, রাত জেগে টিভি দেখে, মাঝে মাঝে নেশা করে আর জৈবিক চাহিদার ব্যাপার তো আছেই । এটা কিন্তু সুখের জীবন নয় । (সবার ক্ষেত্রে না তবে গড়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে)
.
টাকার জন্য বা জীবন গোছানোর জন্য অপেক্ষা করাটা হাস্যকর । সঠিক বয়সে বিয়ে করে আল্লাহ এর রহমত লাভ করুন, রিজিকে বরকত লাভ করুন, দ্বীনের অর্ধেক পূরন করুন আর যৌবনকে মমি বানানো থেকে রক্ষা করুন।
.
সমাজের সমালোচনার কথা ভাববেন না, আপনার যৌবন ফিরিয়ে দিতে পারবেনা সমাজ,আপনার হারিয়ে যাওয়া মুহুর্ত গুলো এনে দিতে পারবেনা , সমাজ খুব বেশি যা পারে আপনার ভালো কাজ গুলোতে বাগড়া দিতে।
.
"মানুষ কী ভাবল" তা না গুনে 'আল্লাহ কী ভাবছেন' তা প্রাধান্য দিন আর নিজের ভালোর কথা কথা নিজে ভাবুন।

  











(২৭)
কিছু প্রাপ্তবয়স্ক শব্দ থাকার জন্য ক্ষমা প্রার্থী।

(Copied from #পাবলিক_বিশ্ববিদ্যালয়ের_ছাত্র_আমরা)

বাংলাদেশে, একটা ছেলে ফিজিকালি,
সেক্সুয়ালি এডাল্ট হয় ১৫/১৭ এর মধ্যেই,
বা তার আগেই,
মেয়েরা ১৫ এর আগেই,
সেখানে আমরা মেয়েদের বিয়ের বয়স
নির্ধারণ করেছি ১৮, ছেলেদের ২১, কিন্তু
সিস্টেম করে দিয়েছি আবার অন্য রকম,
ছেলেদের চাকরির বয়স সীমা ৩২,
গ্রাজুয়েশান শেষ করতে করতে বয়স হয়ে
যায় ২৬/২৭.
গড় আয়ু যদি ৬৫ হয়, তাহলে ৩২ বছর বয়স
পর্জন্ত সে অন্যের টাকায় চলবে, এর পর
স্বাবলম্বী হয়ে, মানে জব পেয়ে বিয়ে
করবে ৩২ এর পর।
যে ছেলেটা সেক্সুয়ালি এডাল্ট হইলো
১৭ তে, সে বিয়ে করলো আরো ১৫ বছর
পর
এই ১৫ বছর সে কি করবে?
পাড়ায় যাবে না? প্রেমিকাকে নিয়ে
লিটনের ফ্লাটে যাবে না? পার্কের
চিপায় প্রেমিকার শরীরে হাত দিবে
না?
দাঁতে দাঁত চেপে নিজেকে পাথর
বানিয়ে রাখবে?
কতটুকু পসিবল? লজিক্যালি কত টুকু
পসিবল, বোথ ফর বয়েজ অ্যান্ড গার্লস?
এই দেশে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ না, কিন্তু
মদ সহ ধরা পড়লে পুলিশ কে চা পানি
খাওয়াইতে হয়,
এই দেশে পাড়া এলাউড, কিন্তু ধরা
পড়লে আবার পুলিশ কে ঘুষ দিতে হয়।
একটা ছেলে ১৭ বছর অপেক্ষা করবে ১৭
বছরের আগের ক্ষুধা মিটানোর জন্য,
যেহেতু আমরা জীব, পাথর না, আমাদের
ফিজিক্যাল নিড আছে। তাই বলে ১৭ বছর
অপেক্ষা করবে একটা ছেলে/মেয়ে ?
আপনি, বা কেউ কি বিলিভ করেন, যে
কেউ অপেক্ষা করে?
অপেক্ষা করে না দেখেই এই দেশে
রেস্টুরেন্টে প্রাইভেট জোন লাগে,
মিরপুর মাজার রোডে ছোট ছোট খুপরি
ঘর ওয়ালা রেস্টুরেন্ট লাগে ।
পার্কে ছাতা ওয়ালা প্রাইভেসি লাগে,
সবই এই সমাজ জানে, একসেপ্ট করে,
একসেপ্ট না করলে এসব বন্ধ হয়ে যেত ।
এসবই আমরা মেনে নিচ্ছি, শুধু ছেলে
স্টাব্লিশড না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে মেনে
নিতে পারতেছি না ।
আপনি যদি এই দেশের সুপার সাকসেসফুল
কোন বিজনেস ম্যান এর জীবনী
পড়েন, দেখবেন তারা সাকসেসফুল হয়েছে
অনেক পরে, ৪০/৪৫/৫০ বছর বয়সে, আপনি
কি তত দিন অপেক্ষা করবেন? মেয়ে
তাদের সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য ?

"আমাদের পিতামাতারা সব কিছু ইসলাম
অনুয়ায়ী করেন, খালি এই একটা বিষয়ে
উনারা ইসলাম মানেন না, সেটা হইলো
বিয়ে।"
পাত্র ভালো জব করে, না দেখে
উনারা বিয়ে দেন না । অথচ ইসলাম
বলেছে সাবালক হইলেই বিয়ে দিয়ে দাও।
"বউ কে খাওয়াবি কি ? "
এটা হচ্ছে আমাদের দেশের বিয়ের সব
চেয়ে বড় বাধা ।
বউ কি হাতি ? নাকি ঘোড়া? তার তোহ
১০ কেজি বিচুলি লাগে না ডেইলি, তাইনা?
বিসিএস দিয়ে ৩৩ বছর বয়সে, নিজের
পায়ে দাঁড়িয়ে তার পর বিয়ে করতে হবে।
নিজের পায়ে ঠিক ঠাক দাঁড়াতে
দাঁড়াতে, আরে বাহ!!
(এর পরের "দাঁড়ানো সংক্রান্ত" লাইন টা মুছে ফেলা হয়েছে)













 (২৮)
আধুনিক বাবার সাথে ছেলের সরল কথোপোকতন:-
- আব্বা বিয়ে করবো।
.কি???
-জ্বি।
.
: তো বিয়ে করে বউরে খাওয়াবি কী?
- আমার খাওন থেকে অর্ধেকটা খাওয়াবো।
.
: তো পরাবি কী?
- আমার তো মাসে প্রায় ২ হাজার টাকার (শপিং ) হাত খরছলাগে, সেখান থেকে অর্ধেক তার।
.
: তা রাখবি কোথায়?
- আমার খাটটা তো প্রায় ডাবলই। আর বালিশ লাগবে না, বুকের উপর রাখবো।
.
: বউয়ের (পড়াশোনার)হাত খরছ কে দেবে?আমি দিব না!
- আমারটা তো আপনিই দেন, বউয়েরটা না হয় আমি টিউশনি করে চালিয়ে নেব।
.
: তোর মত আকাইম্মা বেকারের কাছে কোন বাবা তার মাইয়া দিবো ???
- কলিম চাচার মেজো মাইয়াটা শুনছি বেশ দ্বীনদার। চাচায় শুধু একটা ভালো ছেলে খুজতেছিলো। আপনি যদি একটু কথা বলতেন,তাহলেই হয়ে যাবে।
.
: লজ্জা শরম কি দেশ থেইকা উইঠা গেলো নাকি!
পোলায় নিজের বিয়ার কথা নিজে কয়!
.
- আব্বা, বিয়েটা তো করতেই হবে। কারন তা যিনা থেকে হেফাজত করে, তাই হবেই হবে। নইলে ফিতনাই ফিতনা।।।
.
.
,
: তো বিয়ে করে বউরে খাওয়াবি কী?
- আমার খাওন থেকে অর্ধেকটা.............
.
কি??????
জ্বি।
.
.
.
.
.
সংকলিত,সংযোযিত,সংশোধিত।













 (২৯)
বিয়ে না করা এবং খাসি হয়ে যাওয়া অপছন্দনীয়।
৫০৭৫

আবদুল্লাহ ইব্‌নু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর সঙ্গে জিহাদে অংশ নিতাম; কিন্তু আমাদের কোন কিছু ছিল না।
সুতরাং আমরা রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর কাছে বললাম, আমরা কি খাসি হয়ে যাব?
তিনি আমাদেরকে এ থেকে নিষেধ করলেন এবং কোন মহিলার সঙ্গে #একটি_কাপড়ের_বদলে_হলেও বিয়ে করার অনুমতি দিলেন এবং আমাদেরকে এই আয়াত পাঠ করে শোনালেনঃ
অর্থাৎ, “ওহে ঈমানদারগণ! পবিত্র বস্তুরাজি যা আল্লাহ তোমাদের জন্য হালাল করে দিয়েছেন সেগুলোকে হারাম করে নিও না আর সীমালঙ্ঘন করো না, অবশ্যই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের ভালবাসেন না।” (আল-মায়িদাহ ৫: ৮৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৭০২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৭০৫ প্রথমাংশ)
:
:
@সহিহ বুখারী - iHadis
স্ত্রীলোকের সৎ পুরুষের কাছে নিজেকে (বিয়ের উদ্দেশে) পেশ করা।
৫১২১

সাহ্‌ল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একজন মহিলা এসে রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর কাছে নিজেকে পেশ করলেন।
এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রসূল! তাকে আমার সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ করিয়ে দিন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমার কাছে কি আছে?
সে উত্তর দিল, আমার কাছে কিছুই নেই।
রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যাও, তালাশ কর, কোন কিছু পাও কিনা? দেখ যদি একটি লোহার আংটিও পাও। লোকটি চলে গেল এবং ফিরে এসে বলল, কিছুই পেলাম না এমনকি একটি লোহার আংটিও না; কিন্তু আমার এ তহবন্দখানা আছে। এর অর্ধেকাংশ তার জন্য।

সাহ্‌ল (রাঃ) বলেন, তার দেহে কোন চাদর ছিল না। অতএব নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমার তহবন্দ দিয়ে সে কি করবে? যদি তুমি এটা পর, মহিলার শরীরে কিছুই থাকবে না, আর যদি এটা সে পরে তবে তোমার শরীরে কিছুই থাকবে না। এরপর লোকটি অনেকক্ষণ বসে রইল।
এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে চলে যেতে দেখে ডাকলেন বা তাকে ডাকানো হল এবং বললেন, তুমি কুরআন কতটুকু জান?
সে বলল, আমার অমুক অমুক সূরা মূখস্থ আছে এবং সে সূরাগুলোর উল্লেখ করল।
তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি যে পরিমাণ কুরআন জান, তার বিনিময়ে তোমাকে এর সঙ্গে বিয়ে দিলাম।
(আধুনিক প্রকাশনী- ৪৭৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৪৬)
:
:
এই হাদিস থেকে শিক্ষণীয় অনেক কিছু আছে ! সাহাবী রাঃ গণ এর ঘরে নিম্নে কতটুকু ধন-সম্পত্তি থাকার পর বিয়ে করেছেন বা তাদের অনুমতি বা উৎসাহিত করা হয়েছে তা বুঝতে হবে !! আমরা কি তার চাইতেও খারাপ অবস্থায় আছি, অবশ্যই না... আসলে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়ে গেছে রঙ্গিন দুনিয়া দেখে দেখে !!!







 (৩০)
হে উলঙ্গ ভাই বোনেরা আসুন পোষাকটা পড়ে নেই,,,( স্বামী ও স্ত্রী একে অপরের পোষাক স্বরূপ ,,, )))))
,,,, বিয়ের ক্ষেত্র রাসূল সাঃ এর বর্নীত হাদিসটা আমরা অধিকাংশ ভুল বুঝে থাকি,,,, আর তা হলো সক্ষমতার ব্যাপারটা,,,,,,, রাসূল সাঃ বলেছেন যারা সক্ষম তারা বিয়ে করো,,,, আর যারা অক্ষম তারা রোজা রাখো,,,,,,,,,, ,
এখন প্রশ্ন হলো সক্ষমতা কি????? কি কি থাকলে আপনি সক্ষম??????
প্রশ্নটির জবাব আমি বেশ কিছু আলেমের থেকে পেয়েছি, তারা যা বলেছেন,,,, সক্ষমতা হলো ::::::
১) প্রসাবখানা, পায়খানা,বৈঠক খানা,,,গোসলখানা,,, থাকার মতো একটা ঘর যেখানে পর্দা করা সম্ভব।
২) শারীরিক সক্ষমতা
৩) মোহর
৪) ভরণ পোষণ ক্ষমতা

এখন বিস্তারিত :::;
পয়েন্ট ১ ; এখন আমারা যারা আছি সবাই বাড়িতে থাকি কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সবার বাড়িতেই এসব আছে,,,,, অধিকাংশই আলাদা এক ঘরে আমরা থাকি,,, অতএব আমরা এটাতে সক্ষম। ☺☺
পয়েন্ট ২ ;;;;
যারা যৌবনকে হেফাজত করতে চাচ্ছি, গোনাহ ও অশ্লীলতা থেকে বাচতে চাচ্ছি,,,, আমরা অবশ্যই শারীরিক ভাবে সক্ষম,,,, তাই তো বিয়েটা জরুরি ☺☺😍
পয়েন্ট ৩ ;;;;;;
মোহর ::::: এটা খুবই সহজ বিষয়,,,,, মোহর ১ টাকাও হতে পারে, সাহাবীরা কুরআনের আয়াত লোহার আংটি দিয়েও বিয়ে করেছে,,,,,,,, আমি জানি যারা পোষ্টটি দেখছেন, সবার পকেটে হাত দিলে এখনি অনেক টাকা পাওয়া যাবে,,, তারপরও চেষ্টা করুন,,, দু' একটা টিউশনী করার কয়েক মাস কয়েক হাজার টাকা জোগাতে পারলে ভালো,, কিছু আলেমদের মতে সর্বনিম্ন ১০ দিরহার প্রায় ৩০০০ টাকা,,,, এটা জোগার করা তেমন কঠিন কিছু নয় এখনকার যুগে,,,,,, আমাদের অনেকের তো মাসিক হাত খরচই ৫/৭ হাজার টাকা হয়,,,,,,,,, তাই আশা করি আমরা সক্ষম☺☺☺

পয়েন্ট ৪ ;;;;;;
ভরণ পোষণ,,, এটাও কঠিন কিছু না,,,,,, বিয়ের সময় স্বামীর ওপর স্ত্রীর যে হক গুলো থাকে, তা হলো স্বামী যা খাবে স্ত্রীকেও তাই খাওয়াবে,, স্বামী যে মানের পোষাক পড়বে স্ত্রীকেও সে মানের পোষাক পড়াবে,,,,,,,,, তো কথা হলো আপনি আমি প্রতিদিন পেট ভরে খাবার খাই, কেউ না খেয়ে থাকি না,,,, এমনকি অধিকাংশ সময় খাবার বেচে যায়,,,তাই আপনার সাথে আরো একজন যোগ হলে তেমন কোন অসুবিধা হবে না আশা করি,,,,,,,,,, আর নিতান্তই যদি অসুবিধা হয় স্ত্রীর জন্য খাবার যোগাতে, তবে আপনার খাবার না হয় দুজনে ভাগ করে খাবেন,,,,,,,,,,,আর রিজিকের মালিক তো আল্লাহ,,,,,এবং যার যার রিজিক সাথে নিয়েই সে জন্মায়,,,, তাই অন্যের রিজিক নিয়ে আপনার চিন্তার কোন কারণ নাই,,,,,,,,,
এবার পোষাক : আপনি নিশ্চয় এখন পোষাক পড়ে আছে,, অনেকের তো দামি দামি ব্যান্ডের পোষাক,,,, আলমারি ভর্তি পোষাক,,,,,,, অনেক অতিরিক্ত পোষাক,,, ,, অথচ যে সাহাবীরা বিয়ে করতো, তাদের অনেকের একদুটোর পোষাক ছিলো না,,,, এমনকি আমরা তো একটা ঘটনাও জানি যে, এক সাহাবীর তার ও তার স্ত্রীর দুজনের মিলে একটা মাত্র পোষাক ছিলো,,, যখন স্বামী সলাত আদায়ে বাইরে যেতো তখন স্ত্রী পোষাক খুলে স্বামীকে দিতো এবং স্ত্রী কুয়ার মধ্যে নেমে থাকতো,,,,,,, দুজন মিলে এক পোষাক থাকার পরেও কিন্তু তিনি স্ত্রীকে ছেড়ে দেননি বা বিয়ে না করে থাকেননি,,,,,,,,,, আর আপনার আমার তো অনেক পোষাক,,,,,,, আর পর্দানশিন স্ত্রীর পর্দার জন্য আহামোরি পোষাকের প্রয়োজন হয় না,,,, তাই সহজেই ব্যবস্থা করতে পারবেন,,,,,,,, আর না পারলে আমাদের গ্রুপের ভাইদের বলেন,,,,, আশা করি আপনাদের অনেক পোষাক গিফ্ট দেওয়া যাবে,,,,,,,,,,,,,, তাই বোঝা গেলো এটাতেও আমরা সক্ষম,,,,,, ☺☺☺☺

তাই আর অবহেলা করে দেড়ি কেন,,, এখনই দৌড়ে যেয়ে ইমানী তেজ নিয়ে বাবা মাকে বলে ফেলুন বিয়ে করতে চাই এবং আমি বিয়ে করবো, করবোই করবো,,,, আমি সক্ষম,,, আমি সক্ষম,, ,,,,,,,,

তবে যারা কাপুরুষ সক্ষমতা থাকার পরেও চোখ বন্ধ করে মোটকা মেরে বসে থাকে,,,, দিনরাত পর্ন নষ্ট গল্প, হস্তমৈথুন, অবৈধ প্রেম করে সময় কাটাতে চায়, তাদের কথা ভিন্ন,,,,, এরা বাবা মাকে বলতে পারে না,,, কারণ এরা কাপুরুষ,,, এদের ইমানী তেজ নাই,,,, হারাম ত্যাগে হালাল গ্রহণে এদের আগ্রহ নাই,,, তাই এদের বিয়েও নাই,,,, এরা কাপুরুষ, অক্ষম,,,,,,,,, ঐ কাপুরুষ, হ্যা,, তোকেই বলছি,, তোকেই লজ্জা নাই তোর ১৮/১৯ বছর বয়স হলো তাও তুই বিয়ের জন্য সক্ষম হলি না!!!!! অথচ আমাদের পূর্ববর্তীরা যারা ছিলো পূরুষ তারা ১৫/১৬ বছরে বিয়ে করে ১৭ বছর বয়সে রাজ্য জয় করতো,,,,,,, কাফের বর্বরদের থেকে ফিলিস্তিন কে মুক্ত করতো,,,,,,,,, নাম শুনিসনি সেই পুরুষের??? সালাউদ্দিন আয়ূবী,,, যিনি ১৫ বয়সে বিয়ে করে ১৭ বছর বয়সে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করেছিলো,,,,,,,,
আর তোরা নিজেদের পুরুষই প্রমান করতে পারলি না,,,,,,, তোদের বয়স ২৪/২৫,,, ৩০/৩২ হয়ে যায়,,, তারপরও নাকি তোদের বিয়ে করার সক্ষমতাই অর্জন হয় না,,,,,, তোরাই যুগের কাপুরুষ,,, তোদের উচিৎ হাতে চুড়ি পড়ে ঘরে বসে থাকা বরং তার চেয়ে উত্তম তোদের মাটির নিচে (কবরে) থাকা,,,,,,, কাপুরুষরা দুনিয়ার বুকে থাকতে পারে না,,,,,,, তোরা নিজেদের দ্বীনদার দাবি করিস,, সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চাস,,,, অথচ তোরা ২৪/২৫ হওয়ার পরও নিজেদের অক্ষম মনে করিস,,,,,,, বাবা মাকে বলতে পারিস না,,,,,, ধিক্কার হে কাপুরুষ,,,,,,,,, ধিক্কার.......

 
























(৩১)
"বাপেরটা খেয়ে শরীরে শক্তি অনুভব আর রাস্তায় বেগানা নারী দেখে কামোত্তেজনা। এবং ভাবছেন এটাই বিয়ের প্রস্তুতি?" -Post
@
কেন ভাই বাপের টাকা কি সন্তানের নয়... সন্তানরা যখন ইনকাম করবে তখন সন্তানদের টাকা কি বাপ-মায়ের নয়! যদি নাই হয় তবে এই বন্ধনের কি মূল্য কি দায়িত্ববোধ যে সন্তানের যখন পাশে দাড়ানো দরকার তখন দাড়ালনা !!

পরিবার সন্তানদের ছোট বড় সব দায়িত্ব-খরচে লাখ লাখ টাকা ব্যায় করতে পারলে- ছাত্র অবস্থায় বিয়ে দিয়ে ৪-৫ বছরে জন্য অর্থাৎ আয়-ইনকামে প্রবেশ পর্যন্ত কেন সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারবে না !

আসলে এই পাশে না দাড়ানোর ফলে কম-বেশি ৯০% ছাত্র ছাত্রীরা আজ অবৈধ প্রেম সম্পর্কে জড়িত, আর এগুলো করছে বাবার টাকায় বাবার খেয়ে পড়ে তখন লজ্জা কোথায় থাকে !

আসলে এগুলো শয়তানের কুট-কৌশল !!

এখন যৌবন আছে পরিবারের সাপোর্ট নাই টাকাও নাই, কিন্তু যখন টাকা থাকবে তখন পরিবারের সাপোর্ট কেন সাথে আত্মীয়-পাড়াপ্রতিবেশীও পাশে থাকবে, শুধু থাকবে না মূল যৌবনটা !!!

পারিবারিক আর্থিক সামর্থ্য থাকলে সময়মত(বর্তমানে ছাত্র অবস্থায় বিয়ে দেয়া) আবিভাবকদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
:
:
তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত (নর-নারী), তাদের বিবাহ সম্পাদন কর এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ -তাদেরও। তারা অভাবগ্রস্ত হলে আল্লাহ্ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ্ তো প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।” (সূরা নূর :৩২)
.
যার সন্তান রয়েছে সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম চরিত্র শেখায়। যখন সে বালেগ হবে তখন তার বিয়ে দেয়। বালেগ হওয়ার পরও যদি বিয়ে না দেয় আর সে কোনো গুনাহ করে ফেলে তবে তার এ গুনাহ তার পিতার উপর বর্তাবে।’ (শুআবুল ঈমান, বায়হাকী ৬/৪০১, হাদীস ৮৬৬৬)
.
হাদীস শরীফে এসেছে- জেনে রেখ, তোমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেককে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। পুরুষ তার পরিবারবর্গের ব্যাপারে দায়িত্বশীল। তাদের ব্যাপারে তাকে জবাবদিহি করতে হবে।’ -সহীহ বুখারী ১/২২২ হাদীস ৮৯৩
.

  
















(৩১)
যখন ক্লাস নাইনে পড়ি তখন বাল্য বিবাহ নিয়ে অনেক সরগরম এক মুহুর্ত ছিল। আমিও তখন প্রথাটার বিরুদ্ধে। সেসময় একদিন ক্লাসে এক স্যার বললেন , তিনি বাল্য বিবাহের পক্ষে।
শুনেই তো আমরা থ! একজন শিক্ষিত মানুষ কিভাবে এর পক্ষে কথা বলেন?

স্যার বললেন, দেখো একটা শিশুকে ছয়মাস অব্দি মায়ের দুধ খাওয়ানো হয়। সে সময় যদি তাকে শক্ত খাবার দেয়া হতো তবে কি হতো? অসুস্থ হয়ে যেত। আবার ছয়মাস পর যদি তাকে শুধু দুধই খাওয়ানো হয় তাহলে কি ঘটবে? শিশুটির মানসিক ও শারীরিক বিকাশ ঘটবে না। এ সময় তাকে নরম স্বাভাবিক খাবার দেয়া হয়। অতপর আরও কিছুদিন পর তাকে সবধরনের খাবার দেয়া হয়। এসময় তাকে যদি শক্ত খাবার দেয়া না হতো তবে সে শারিরীক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যেত। সত্যি তো?

বললাম, জ্বি স্যার।
অত:পর স্যার বললেন, তার মানে দাড়াচ্ছে প্রকৃতি নিজে ঠিক করছে কার কখন কি প্রয়োজন। ঠিক তেমনি মানুষের শারীরিক চাহিদা তৈরি হয় একটা বয়সে। তখন তার দেহে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু তৈরি হয়। তার মানে প্রকৃতি বলছে এখন তুমি শারীরিক চাহিদা পূরণের জন্য প্রস্তুত। এটা তোমাদের দেয়া হল। তোমার শরীরের এটা প্রয়োজন। এটা প্রাকৃতিক। এটাকে বাধা দেয়া উচিৎ নয়৷ তুমি যদি প্রকৃতিকে বাধা দাও তবে সে বিপদ ঘটাবে। জেনে রেখো প্রকৃতির বিপদ খুব ধীর কিন্তু চলমান।

বললাম, কিন্তু এ সময় তো মেয়েরা গর্ভধারণের উপযোগী হয় না। নানা বিপদ ঘটে।
স্যার বললেন, গর্ভধারণ ও কিন্তু প্রকৃতি ঠিক করে দিয়েছে। অপশন রেখেছে। প্রকৃতির হিসেব তুমি শুধু ভাবো। কি অমায়িক হিসাব। মেয়েদের পিরিয়ড দেয়া হয়েছে। একটা নির্দিষ্ট সময় তোমাকে স্বাধীন রাখা হয়েছে। পিরিয়ডের আগে এবং পরের মাঝামাঝি একটা সময় তুমি শারীরিক সম্পর্ক করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনাই নেই। এছাড়া বিভিন্ন পদ্ধতি তো রয়েছেই। তোমরা ভাবতে পারো, কি অসাধারণ হিসাব করেছে প্রকৃতি!!! অর্থাৎ বিয়ে করলেই গর্ভধারণ হবে এটা নয়। অথচ সরকার এটা নিয়ে সচেতনতা না বাড়িয়ে বিয়েই বন্ধ করে দিচ্ছে। অর্থাৎ প্রকৃতিকে বাধা দিচ্ছে। এটার জন্য ভবিষ্যৎ এ তোমাদের প্রচুর ভুগতে হবে এবং কিছুদিনের মধ্যেই ব্যভিচার ব্যাপক আকার ধারন করবে। বিয়ে কঠিন হবে এবং ফ্রাশটেটেড নারী পুরুষের পরিমাণ বাড়বে। আত্মহত্যা বাড়বে।

বলেছিলাম, এই বয়সে বিয়ে করলে তো পড়াশোনা হবে না।
স্যার বলেছিলেন, এটা তোমাদের ভাবানো হচ্ছে। যখন ১৬-১৭ বছর বয়সে বিয়েটা কালচারে পরিণত হবে তখন এটাকে তোমার স্বাভাবিক লাগবে। কিন্তু যখন তোমাকে নারী থেকে দূরে রাখা হবে বা নারীকে পুরুষ থেকে দূরে রাখা হবে তখন অস্বাভাবিক অনুভূতির কারণে এমন মনে হবে। আর হচ্ছে তাই। সামাজিক অন্যান্য কালচারের মতোই এটাও স্বাভাবিক হলে পুরুষ বা নারী কারো অন্যান্য কাজগুলো ব্যর্থ হবে না।

যুগ পার হওয়ার পর স্যারের কথাগুলো সত্যি হয়েছে। আজ ছেলেমেয়েরা প্রেম করছে, শারীরিক সম্পর্ক করছে আবার পড়াশোনাও করছে।
এখন প্রেম করে বিয়ে করাও সমস্যা। ৩০ বছর লাগে স্বাবলম্বী হতে। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হয়ে আপনি নিম্নবিত্তে বিয়ে করতে যাবেন না। আর মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করতে আসে উচ্চবিত্ত। কারণ, তাদের ছেলেরা বড় লোকের উচ্ছংখল মেয়েকে খায় কিন্তু বিয়ের সময় আসে মধ্যবিত্ত ঘরের ভালো মেয়েকে বিয়ে করতে। যে সংসারী হবে। এখন যার ফ্লাট আছে, গাড়ি আছে তার কাছে মেয়ে দিবে নাকি আপনার মতো মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলের কাছে দিবে?

সরকারি চাকরি হলে হয়তো দিবে। কিন্তু সরকারি চাকরি না হলে? সরকারি চাকরি পাইতে পাইতে বয়স হবে ৩০। এতোদিন তো শারীরিক চাহিদা দমে থাকবে না।

অন্যদিকে বেসরকারি জব হলে আপনার ইনকাম থাকতে হবে ১ লাখ বা ৭০ হাজার। যা আপনার শ্বসুর ৫০ বছরে এসে ইনকাম করে। অর্থাৎ ২৫ বছরের আপনাকে ৫০ বছরের একজন লোকের ইনকামের সমান আয় করতে হবে।

পালায়ে বিয়ে বাপ মায়ে তো মানবে না। ছেলেকে অপহরণ মামলায় জেলে দিবে। মামলা ঝুলিয়ে অন্তত এক দুই বছর ছেলেকে জেলে রাখবে। এর মধ্যে ছেলের চাকরি থাকলে তা চলে যাবে, চাকরি না থাকলে জীবন থেকে ২ বছর নাই হয়ে যাবে। চাকরি খুজতে খুজতে আরও দুই বছর। ততদিনে বউ অভাবের চোটে অথবা বাপ মায়ের পুন্দানিতে আরেক জায়গায় বিয়ে করবে। আইন মেয়েদের আর তার পরিবারের পক্ষে।

অতএব ব্যভিচার করা ছাড়া উপায় নাই। কারণ শারীরিক চাহিদা আছে। সোজা আংগুলে না হলে ঠকবাজি, প্রতারণা, ভালোবাসার অভিনয় যেমনে হোক করতে হবে। এটাই স্বাভাবিক।

এর জন্য কে দায়ী? মানুষ, শয়তান না স্রস্টা? আমাদের বাপ মায়ে ২২-১৫ বছরে বিয়ে করছে। তাদের অনৈতিক কিছুর প্রয়োজন হয়নি৷ ফলে এই প্রজন্ম কি করে টিকে আছে এ সম্পর্কে তাদের ধারণা নেই। তারা রয়েছে অন্যের সামনে নিজের সন্তানের ক্যারিয়ার জাহির করতে। অহংকারের নেশা৷ তারা সন্তানদের এইসব চাহিদাকে একেবারে অগ্রাহ্য করছে। এছাড়া পর্নো নামক জগত সম্পর্কে তাদের ধারণাও নেই।

আমাদেরকে স্রস্টা ফেলছে সবচেয়ে খারাপ সময়ে। যার জন্য আমাদের প্রজন্ম কোনোভাবেই দায়ী না। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমরা এক মহাসমুদ্রে পতিত হয়েছি।

আমাদের সময়ে যৌন সুরসুরি দেয়া সবকিছু ওপেন৷ আমাদের সামনে তাহলে ব্যভিচার ছাড়া উপায় কি? মেয়ের বাপ মা সহজ নীতিতে দিবে না। ছেলের বাপ মা ক্যারিয়ার বিল্ডাপ না হলে বিয়ের কথা ভাবে না, যারা সমাজের হোতামোতা তারা তরুণদের শারীরিক চাহিদাকে স্বীকার করে না এবং যুগের পরিবর্তন করে স্রস্টা । তিনি কুদরত দেখাচ্ছেন না। তাহলে আমরা হয়ে পড়েছি একেবারেই অভিভাবকহীন৷ অতএব, আমাদের সামনে তাহলে প্রতারণা ছাড়া উপায় কোথায়? ভালোবাসার অভিনয়, প্রতারণা, ঠকবাজির মাধ্যমে শরীরের চাহিদা মেটানোই একমাত্র পথ ছাড়া তো কিছু দেখি না।

  
































(৩২)
অভিভাবকদের মধ্যে ইসলামী জ্ঞানের
অভাবের কারণে সন্তান বালেগ হওয়ার পর
বিপথে গেলেও বিয়ের ব্যবস্থা করেন না,
তারা বলেন নিজে ইনকাম করে তার পর বিয়ে
কর, যেন এমন যে সন্তান পর কেউ, পিতার
টাকা থাকলেও তা সন্তানের নয় ! অথচ
অর্থনৈতিক ভাবে মোটামুটি সচ্ছল
অভিভাবকদের দায়িত্বের মধ্য এটা পড়ে ও
সেই দায়িত্ব পালন না করলে সন্তান কোনো
পাপ করলে, সে পাপ তার পিতার ওপর
বর্তাবে !!!
.
তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত (নর-নারী),
তাদের বিবাহ সম্পাদন কর এবং তোমাদের
দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ -তাদেরও। তারা
অভাবগ্রস্ত হলে আল্লাহ্ নিজ অনুগ্রহে
তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ্
তো প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।” (সূরা নূর :৩২)
.
আবু সঈদ খুদরি (রা:) ও ইবনু আব্বাস (রা:) বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন,
যার কোনো সন্তান জন্মলাভ করে সে যেন
তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব-
কায়দার শিক্ষা দেয়। যখন সে বালেগ হয় তখন
যেন তার বিবাহ দেয়। যদি সে বালেগ হয় এবং
তার বিবাহ না দেয় তাহলে সে কোনো পাপ
করলে, সে পাপ তার পিতার ওপর
বর্তাবে।” (বায়হাকি, মিশকাত হা-৩১৩৮)
.
সূত্র/সংগ্রহঃ আই-অনলাইনমিডিয়া.নেট
.
.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
যার সন্তান রয়েছে সে যেন তার সুন্দর নাম
রাখে এবং তাকে উত্তম চরিত্র শেখায়। যখন
সে বালেগ হবে তখন তার বিয়ে দেয়। বালেগ
হওয়ার পরও যদি বিয়ে না দেয় আর সে কোনো
গুনাহ করে ফেলে তবে তার এ গুনাহ তার
পিতার উপর বর্তাবে।’ (শুআবুল ঈমান, বায়হাকী
৬/৪০১, হাদীস ৮৬৬৬)
.
হাদীস শরীফে এসেছে- জেনে রেখ, তোমরা
প্রত্যেকে দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেককে তার
দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। পুরুষ
তার পরিবারবর্গের ব্যাপারে দায়িত্বশীল।
তাদের ব্যাপারে তাকে জবাবদিহি করতে
হবে।’ -সহীহ বুখারী ১/২২২ হাদীস ৮৯৩

  





















(৩৩)
মা-বাবারা ছেলেমেয়েকে প্রচুর খাবার, ভালো কাপড়, ভালো স্কুল কলেজে পড়িয়ে ভাবেন ছেলেমেয়ের সব চাহিদাই তো পূর্ণ করছি। অথচ তা নয়।

সুকুন তথা মানসিক প্রশান্তি কখনো মেটাতে পারবেন না মা-বাবা। তখন সন্তানের আবেগের জায়গাগুলো হারাম বিনোদন কেড়ে নেয়।

যে আবেগ পাওয়ার হক্বদার ছিল স্ত্রী সে আবেগ অন্যত্র ঢেলে দিয়ে বুড়ো বয়সে বিয়ে করে বৌকে কী ভালোবাসবে সে? স্ত্রী তার মনের কতটুকু স্থান দখল করতে পারবে?

.
জান্নাতে অপরিসীম সুখ। অভাব মুক্ত জায়গা। তলদেশে ঝরণা, চোখ মুগ্ধ করা পরিবেশ।

তবুও আদম (আ:) এর ভালো লাগেনি, এত প্রাচুর্য আর অভাব মুক্ত চিরসুখের স্থানে থেকেও একাকীত্ব তাকে আক্রমন করেছিল। সব পেয়েও তিনি যেন 'কিছু' একটা নাই নাই অনুভব করেছিলে।

সংগিনী এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন। আল্লাহ তখন মা হাওয়া কে তৈরী করেছিলেন তার পাজরের হাড় থেকে।

আমরা আদম সন্তান।
Loneliness is Genetical.

  











(৩৪)
#প্রসঙ্গ:- বিয়ে সহজ হলে, ইন শা আল্লাহ সমাজ ৯০% সঠিক হয়ে যাবে!
.
#মূল_কথা:- আমি চেয়েছিলাম একটা পবিত্র সম্পর্ক মানে #বিয়ে।
.
যেখানে চারিদিকে শুধু বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ডের ছড়াছড়ি সেখানে এই অধমের আবদার ছিল বিয়ে করা।
.
এবং আমি মনে করেছিলাম এর মাধ্যমে আমার চোখের হেফাজত হবে, মনের প্রশান্তি পাবো।
.
তাই কোন ভণিতা না করে তোমাদেরকে সোজাসুজি বলেছিলাম "আমি বিয়ে করবো"।
.
কিন্তু এর পরই তোমাদের চোখে আমি হয়ে গেলাম #ভিলেন।
.
বড়াপু বললেন লজ্জা সরম নাই, ছোটাপু এখনো বিয়ের বয়স হয় নাই।
আম্মা বললেন, 'বিয়ে করে বউরে কোথায় রাখবি? কি খাওয়াবি? আব্বু ইনডাইরেক্টলি বললেন এইসব সামাল দিতে পারবা না।
.
নানান জনের নানা কথা শুনে আমি হতাস হলাম।
.
২৫ বছরের একজন তরুণ বা যুবক যাই বলেন তার বিয়ের বয়স হয়নি। কিন্তু আমার মনের অবস্থা কেউ বুঝলেন না।
.
এই মনের সাথে জীবনের কঠিন সময়গুলোতে যুদ্ধ করে পার করে এসেছি। নিজেকে সকল অশ্লীলতা বেহায়াপনা থেকে আগলে রেখেছি।
.
আমার একটাই দোষ আমি চেয়েছিলাম একটা পবিত্র সম্পর্ক গড়ার(বিয়ে)। এজন্য অনেক কড়া কথা শুনতে হয়েছে। কারো কাছ থেকে কোন সান্তনার বাণী পাইনি। আমার মনের অবস্থা কেউ বুঝলো না।
.
একটা মেয়েকে ভালো লাগলো। বললাম ওর ফ্যামিলির সাথে আলাপ করো। তোমরা ঘটনার মোড় অন্যদিকে নেয়ার জন্য বা অন্য কোন কারনে হোক বললে যে, এই মেয়ে ভালো না, ফ্যামিলি ভালো না সমস্যা আছে। আচ্ছা বাবা ঠিক আছে মানলাম এই মেয়ে ভালো না। তোমাদের চয়েজ করা জৈনক অমুকের মেয়ে। বললাম কথা বলো, আলাপ করে রাখো। না,
. মেয়ে উড়াল দিয়ে যাচ্ছে না।
.
এতো তাড়াহুড়ো কিসের? আরো কত কিছু বললে আমায়। তখনও আমার মনের অবস্থা কেউ বুঝলে না।
.
আম্মু তুমি আরও আমাকে বললে, 'আমি কোরআন হাদিস পড়ি, আবার কি করে এমন কথা বলি?'
আমি বলি কি, কোরআন-হাদিস পড়ি বলেই তো আমি বলেছিলাম বিয়ের কথা।
.
না হলে অনেক আগেই ডুবে যেতাম খারাপ রাস্তায়।
.
এখনকার যুগের আমার বয়সী ছেলেরা যা করছে তা তোমরা কল্পনা করতে পারবে না।
. আল্লাহতালা আমাকে এরচেয়ে অনেক অনেক ভালো থাকার সুযোগ দিয়েছেন। (আলহামদুলিল্লাহ্)
তোমাদের অনেক কষ্ট দিয়েছি।
.অনেক টেনশনে ফেলেছিলাম। আমাকে ক্ষমা করে দিও।তোমরা যদি আমাকে ক্ষমা করে না দাও তাহলে আল্লাহ্ আমাকে ক্ষমা করবেন না। তোমাদেরকে আর কোনদিন বলবো না 'আমি বিয়ে করতে চাই', আমি বিয়ে করব - এই ধরনের কথা।
.
বা এমন কিছু করবোনা যা তোমাদের সম্মানে বাধা দেয়।
.
আল্লাহতালা যেনো আমাকে ভালো রাখেন। তার রহম দিয়ে আমার এই দিলকে প্রশান্তিতে ভরে দেন।
.এই দোয়া চাই সবার কাছে।

  













(35)

দেরিতে বিবাহ ইসলামের বিরুদ্ধে শতাব্দীর এক শ্রেষ্ঠ ষড়যন্ত্র!!
কুফফাররা,ইহুদী-খ্রিষ্টানরা অনেক চিন্তা ভাবনা করে দেখলো যে, শুধু অস্ত্র দিয়ে মুসলিমদের হত্যা করে পরাজিত করা সম্ভব নয় কেননা মুসলিমরা তো আল্লাহর পথে শহীদ হওয়াকেই তাঁদের চূড়ান্ত সফলতা মনে করে।
তাছাড়া যাদের একমাত্র লক্ষই হচ্ছে আল্লাহর পথে শহীদ হওয়া, আপনি তাঁদেরকে কিভাবে থামাবেন??
তাই কুফফাররা চিন্তা করলো মুসলিম যুবকদের নৈতিকভাবে ধ্বংস করে দিতে হবে, কেননা নৈতিকতাই হচ্ছে মুসলিম যুবকদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। এ অস্ত্রের জোরেই তারা আল্লাহর পথে কুফফারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
তাই তারা প্রথমে মুসলিম দেশগুলোতে বিবাহের উপর একটি নির্দিষ্ট সময় সীমা বেধে দিলো যে, এর আগে বিয়ে করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, যদিও একটি ছেলে এবং মেয়ে এই নির্দিষ্ট সময় সীমার অনেক আগেই বিবাহের উপযুক্ত হয়।
সেই সাথে তারা এমন শিক্ষা ব্যবস্থাও চালু করলো যে, এই শিক্ষা ব্যবস্থায় একটা ছেলে চাইলেও ২৮-৩০ বছরের আগে উপার্জনক্ষম হতে পারবে না।
যদিও একটা ছেলে ১৫ বছর বয়সেই যৌবনপ্রাপ্ত হয়। তাহলে একটি ছেলে যৌবনপ্রাপ্ত হওয়ার পরের ১৫ টি বছর কিভাবে পাড়ি দিবে??
এই জন্যে কুফফাররা ব্যাপকহারে পর্ণ ছবি ছড়িয়ে দিলো, বিবাহপূর্ব প্রেম ভালবাসাকে ছড়িয়ে দিলো।
যুবকদের যুবতীদেরকে একটা মেসেজ দিলো যে, “এই নাও পর্ণ ছবি। এগুলো দেখো। এগুলো দেখে উত্তেজিত হও। উত্তেজিত তো হয়েছো কিন্তু এখন কি করবে?? বিয়ে তো করতে পারবে না। তাহলে প্রেম করো, প্রেম করে প্রেমিকার সাথে সেক্স করো, যৌবনের চাহিদা মেটাও।
আর যে যুবক প্রেম করবে, পর্ণ দেখবে, প্রেমিকার সাথে অবৈধ মেলামেশা করবে সেই যুবক কি কখনো আল্লাহর রাস্তায় কুফফারদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার কথা চিন্তা করবে?? কস্মিনকালেও না।
এভাবেই কুফফাররা মুসলিম যুবকদেরকে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে, আমাদের যুবকদের জীবনী শক্তিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
তাই আমাদের সোচ্চার হওয়া চাই ইসলামের সর্বক্ষেত্রে।

   








(36)

ছেলে-মেয়ে বালেগ হবার সাথে সাথে বিয়ে দিন !!!
অথবা, আল্লাহর কাছে জুলুমের জবাব দেয়ার জন্য অবশ্যই তৈরী থাকুন । (পর্ব-১)
======================
রাসুল (সাঃ) দ্রুত বিবাহের জন্য উৎসাহ দিয়ে বলেন:

يا معشر الشباب من استطاع منكم الباءة فليتزوج

অর্থাৎ, হে যুবকেরা! তোমাদের মধ্যকার যে বিবাহের সামর্থ্য রাখে সে যেন বিবাহ করে নেয়।

(বুখারী-৫০৬৫, মুসলিম-১৪০০, আবু দাউদ-২০৪৬, নাসায়ী-২২৪০, মুসনাদে আহমাদ, ইবনে আবি শায়বা,ইবনে হিব্বান, বায়হাকী)

আমি অনেক পুরুষ ও নারীর কথা জানি যাদের বিয়ে করা ফরজ হয়ে গেছে । অথচ
দীনদার, আল্লাহভীরু, ধর্মপ্রিয় থেকে শুরু করে প্রায় সকল অভিভাবকগণই সন্তানদের বিয়ে দেয়ার ব্যাপারে উদাসীন ও গাফেল । আল্লাহর কাছে এই জুলুমের জবাব দেয়ার জন্য অবশ্যই তৈরী থাকুন ।

# ছেলের বয়স ২৩, ছেলে এখনও ছাত্র, এখনও ভালো চাকরি পায় নি, ছেলেকে বিয়ে দিচ্ছেন না, কারণ আপনার ধারণা ছেলে এখনও অনেক ছোট। আপনার কাছে ছেলে অবশ্যই ছোট ।

আল্লাহর শপথ করে বলছি- আল্লাহর শপথ করে বলছি-আল্লাহর শপথ করে বলছি-মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি বয়সে বিয়ে দেয়ার ব্যাপারটা আরও বেশি ভয়াবহ ও মারাত্মক !

আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন । পাশাপাশি ছেলে-মেয়ে সে নিজে জানে, সে আসলে কতটা বড় হয়ে গেছে। চাকরিই জীবনের উদ্দেশ্য নয় । বিয়েও নয়। কিন্তু আল্লাহর রসূল বলেছেন- বিয়ে দীনের অর্ধেক পূরণ করে। আমি বলবো - এই ফেতনার জমানায় সে এটা আপনাকে বিস্তারিত বলতে পারে না। বলতে গেলে আপনার চাইতে সেই লজ্জা বেশি পাবে।

আর যদি সাহস করে বলেই ফেলে অথবা ইশারা দেয়, তাহলে তো আপনার মুখের দিকে সে আর দ্বিতীয় বার তাকানোরও সাহস করে না, মুখ ফুটে বলারও সাহস করে না ।

হযরত আলী রা. সূত্রে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আলী রা. কে লক্ষ্য করে বলেন, ‘হে আলী! ৩টি জিনিসের ক্ষেত্রে বিলম্ব করবে না।
১. নামাযের যখন সময় আসবে তখন নামায আদায় করা থেকে দেরি করবে না।
২. মৃত ব্যক্তির জানাযা যখন উপস্থিত হবে তখন কাফন-দাফন সম্পন্ন করতে দেরি করবে না।
৩. কোন অবিবাহিতা মেয়ের জন্য যখন কোন উপযুক্ত পাত্র পাবে তখন তাকে পাত্রস্থ করা থেকে বিলম্ব করবে না।’ (তিরমিযী শরীফ, খ: ১, পৃ: ২০৬)

আপনি বলতে পারেন ছেলে বিয়ে করলে বউকে খাওয়াবে কি? প্রশ্ন হচ্ছে, যে মেয়েটাকে সে এখন বিয়ে করার কথা ভাবছে, সে কি তাহলে এত বছর না খেয়ে ছিল?? বিয়ে যদি আরও পাচ বছর পরও হয়, মেয়ে কি না খেয়ে থাকবে? মেয়ে যদি বিয়ে ছাড়া কোন ভাবেই না খেয়ে না থাকে তাহলে শুধু বিয়েটা পড়ানোর পরেই কেন খাওয়ার চিন্তা আসবে?? খুব বেশি সমস্যা মনে করলে মেয়ে তার বাপের কাছে থাকুক, ছেলের যখন সামর্থ্য হবে মেয়েকে নিয়ে আসবে নিজের কাছে। আর আপনার মেয়ে থাকলে তার জন্যও একই ঔষধ !

রাসূল (সাঃ) বলেছেন তোমাদের জন্য শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো:-
১। সবসময় আল্লাহকে স্মরণকারী জিহ্বা,
২। আল্লাহর শুকরিয়া আদায়কারী অন্তর এবং
৩। এমন ঈমানদার স্ত্রী যে তার স্বামীকে দ্বীনের
ব্যাপারে সাহায্য করে।— (তিরমিযী )

#উপকারিতাঃ

#১টি ছেলের জীবনে টেনশন জাস্ট অর্ধেক হয়ে যাবে। তার বিয়ে হয়েছে মানে তার গার্লফ্রেণ্ডের বিয়ে হয়ে যাবেরোজ রোজ এই দুশ্চিন্তা করতে হবে না।

#২টি বিয়ের পরে মানুষ গোছালো হয়। এই বয়সের ছেলেরা অত্যন্ত অগোছালো হয়ে অপেক্ষায় থাকে কেউ একজন এসে তার জীবনটাকে গুছিয়ে দিয়ে যাবে ভেবে। একজন স্ত্রী ছাড়া কোন গার্লফ্রেণ্ডের পক্ষে এটা সম্ভব না।

#৩টি ডেটিংয়ের পেছনে যা খরচ হত, তা দিয়ে তারা দুজন বিয়ের পর দিব্যি প্রেম করে যেতে পারবে, কারও গুনাহ হবে না।

#৪টি পর্ন নামক জিনিসটার বাজারদরে ভাটার টান পড়বে। মুসলিম দেশগুলাতে পর্নের এত রমরমা কাটতির কারন কি জানেন? মুসলিমদের জন্য এক্সট্রা ম্যারিটাল সেক্স নিষিদ্ধ। তরুন বয়সীরা যখন জৈবিক চাহিদা বৈধ ভাবে মেটানোর সুযোগ না পায়, তখন তারা আলটিমেটলি বিকৃত উপায়ের দিকে আরও বেশি ঝুকতে থাকে। এই জিনিস কোনক্রমেই আপনি রুখতে পারবেন না। এগুলো হল একটা পানির স্রোতের মত, কোননা কোন দিকে তা গড়াবেই।

#৫টি আপনি নিজে স্ট্রেস ফ্রি থাকবেন। ছেলে কই কার সাথে কি করছে তা দেখার ভারটা ছেলের বউই তখন নিতে পারবে।

#৬টি ছেলে ও মেয়ে দুজনেই তখন স্যাক্রিফাইস করা শিখবে। এই শিক্ষাটা না থাকায় এখন দিনকে দিন মানুষের জীবন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

#৭টি কম বয়সে দাদা - দাদী হবেন ।

#৮টি দীনদার জামাই/পুত্রবধূ পেলে ইনশা আল্লাহ আপনার দুনিয়াই ইনশা আল্লাহ জান্নাতের বাগানে পরিণত হবে । আপনি বৃদ্ধ বয়সে ইনশা আল্লাহ সেবা-শুশ্রূষা পাবেন যা আজকের এ সমাজে বিরল ।

#এবার অপকারিতার হিসেবে আসি....

*কিছু পয়সা পাতি খরচ হতে পারে।

*লোকে বাল্যবিবাহ বলে বদনাম করতে পারে।

*ছেলে-মেয়ে দুজনেই ৬-৮ মাস পড়াশোনাতে একটু ঢিল দিতে পারে।

*আপনি যদি মোবাইল কোম্পানির মালিক হন তাহলে এটা আপনার ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর।

*যদি আপনি পর্ন ইণ্ডাস্ট্রির মালিক হন তাইলে এটা আপনার জন্য ক্ষতিকর।

*আপনি যদি চান সমাজে আরও পরিমল জন্ম নিক, তাহলে আপনার কথা আলাদা।

*ছেলে হয়তো পুরোপুরি আপনার কন্ট্রোলে নাও থাকতে পারে। এটা নির্ভর করে ছেলের ব্যক্তিত্বের ওপর। সারা জীবন তাকে কি শিখালেন তার ওপর। তাকে চামচামি শিখালে সে আলটিমেটলি চামচামিই করবে, তা হোক বউয়ের বা মায়ের চামচামি। যদি পুরুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন তো কিভাবে বউ-মা দুজনকে এক সাথে হ্যাণ্ডল করতে হয় সেটা সে দেখবে, যদি আপনারা ঠিক থাকতে চান।

#এখন আমাদের অভিভাবকদের এই মেসেজটা দেয়ার সময় হয়েছে, তারা ঠিক করুক তারা কি চায়। তারা যদি চায় আগামী পাঁচ ছয় বছর ছেলে দিনে ডেট আর রাতে অপকর্ম করে কাটাক এবং মানসিক বিকৃতির শিকার হোক, তবু সমাজের চোখে তার মুখ রক্ষা করুক, তবে তারা আগের সিদ্ধান্তেই অটল থাকতে পারেন।

যদি তা না চান, তবে একটু সাহস করে আল্লাহর ওপর ভরসা করে বিয়েটা করিয়ে দিতে পারেন। ছেলে-মেয়ে সবাই এখন রোজগার করতে পারে। বিয়ে করার কারনে কেউ না খেয়ে মরবে না। মোস্ট ইম্পর্ট্যান্টলি, দুজন তখন প্রেমের অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত হয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ক্যারিয়ারের হিসেবটা কষতে পারবে, একজন আরেকজনকে আরও বেশি সময় দিতে পারবে সবকিছু ঠিক রেখেই এবং তাতে আপনার হার্ট অ্যাটাক হবার কোন সম্ভাবনা থাকবে না কারণ আপনি জানেন আপনার ছেলে/ মেয়ে তার স্ত্রী বা স্বামীর সাথেই আছে।

আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেন:
وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِنْ أَنْفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُمْ مَوَدَّةً وَرَحْمَةً إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ (21)

অর্থাৎ, আর এটাও আল্লাহ তায়ালার নিদর্শনসমুহের মধ্যে একটি যে,তিনি তোমাদের মধ্য থেকেই তোমাদের স্ত্রীদেরকে তৈরী করেছেন যেন তোমরা তাদের কাছ থেকে প্রশান্তি লাভ করতে পারো। আর তিনি তোমাদের মাঝে হৃদ্যতা ও মায়া-মমতা সৃষ্টি করে দিয়েছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল ব্যক্তিদের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে।" (সুরা রুমঃ২১)

এ আয়াতের (لِتَسْكُنُوا) "যেন তারা প্রশান্তি লাভ করতে পারে" অংশটুকু সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করছে, মানুষের মনে বিবাহের পরে আত্মিক প্রশান্তির সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া আয়াতের (مَوَدَّةً وَرَحْمَةً) "হৃদ্যতা ও মায়ামমতা" অংশটুকু জৈবিক কামনা পুরণের দিকেই ইংগিত করছে।

একটু ভেবে দেখেন, এই বয়সে আপনার ডিসিশনের কারনে বিয়ে না করে যে ছেলেটা বা মেয়েটা বছরের পর বছর ধরে গুনাহ করে যাবে, এগুলোর হিসাব আপনাকেই হাশরের ময়দানে চুকাতে হবে। তখন কাকে কৈফিয়ত দেবেন?

  














(37)
বন্ধুদের ভেতর কয়েকজন বিয়ে করেছে ছাত্রাবস্থায়। দুজনে একসাথে পড়ালেখা করেছে। দুজন মিলে টিউশনি আর অনলাইনের ছোটখাটো কাজ করে সংসার চালাইছে।
ছেলের ফ্যমিলি বেশ হেল্পফুল ছিল মেয়ের ফ্যমিলি থেকে দেখেছি।
যখনি জিজ্ঞাসা করতাম কেমন আছো। একটু যোগ করে বলতো তোর ভাবি খুব সাপোর্ট দেই রে খুবই ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।

লজ্জা ভেঙে বলতে গেলে অবৈধ প্রেম এর চেয়ে কষ্ট করে হলেও বিয়ে করে বউ এর সাথে প্রেম করতে চাওয়া ছেলেদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। সচেতনতা বাড়ছে হু হু করে।
ছাত্রাবস্থায় যেই ছেলে নিজের হাতখরচ এর টাকা ম্যনেজ করতে হিমশিম খায়। মাস শেষে ফুটো পকেট নিয়ে ইউটিউব এ পড়ে থাকে অথবা স্বভাববিরুদ্ধ বই নিয়ে কাটিয়ে দেই।
সে কিভাবে একটা মেয়ে কসমেটিক এর খরচ জোগাবে?? এই ভয় তাকে গ্রাস করে।

স্বাভাবিকভাবে মেয়েদের জন্য বাড়তি যে খরচ লাগে তা খুবই সামান্য জানামতে। কিন্তু ছেলেরা ভয় পায় অতিরিক্ত চাহিদাসম্পন্ন মেয়েদের। এবং বেশীরভাগ মেয়েকেই তারা একই দলে ফেলে।

এক বন্ধুর বউয়ের ডেলিভারি হলো সেদিন। দুমাস আগে থেকে চাকরি ছেড়ে বউ এর কাছে থাকে। গ্রামে থাকার সুবাদে ডেলিভারির একমাস আগে থেকে নিয়মিত পেয়াজ লাগাইছে ডেলিভারি পরবর্তী খরচ জোগানোর জন্য। বাবা হওয়ার পর সে কি খুশী পারলে কেদে ফেলে। ওই মেয়ের কি সম্ভব ছেলের এই কষ্ট দেখার পরেও ভবিষ্যতে তাকে কোন কষ্ট দেয়া??

দিনশেষে যা দেখলাম তালাক এর সংখ্যা সম্ভবত বিয়ের সংখ্যার কাছাকাছি চলে যাচ্ছে। প্রত্যেকের আলাদা সম্পর্ক যেন দুধভাতের মতই সরল অথচ বিয়েটা যদি সহজ হত। তাহলে হয়তো দুয়েকটা খারাপ কিছু সংবাদ পেলেও পুরো সমাজটা ঠিক থাকতো।

বিয়ে করলে রিজিক্ব বাড়ে কয়েকজনকে দেখে আমি এই ব্যপারে নিশ্চিত বলতে পারেন প্রমানিত ।
এসময় চাপও বেড়ে যায়, আর চেষ্টা করলে কিই না সম্ভব!!
সুখী হতে, সুন্দরভাবে বেচে থাকতে খুব বেশী কিছু লাগে না। আর তারউপর যদি দুজনের ভেতর আল্লাহ ও তার রাসূলের(সাঃ) এর উপর ভালবাসা থাকে তবে তো আসবাব এর প্রয়োজনীয়তা আরও কমে যায়।






















(38)
পুরুষদের চরিত্র ধ্বংসের জন্য সর্বত্র রয়েছে আকর্ষণীয় সব উপাদান। সিনেমা, নাটক, বিজ্ঞাপন, নিউজ, ইউটিউব ভিডিও সবখানেই রয়েছে আকর্ষণীয় নারীদেহ, নারীকণ্ঠ।

যেসব বিজ্ঞাপনে নারীর দরকার নেই সেখানেও নারী, নিউজ পড়তে পুরুষের চেয়ে মেয়েদের কদর বেশি। সিনেমা-নাটকে তো কথাই নেই। ছেলে ও মেয়ের প্রেম থাকবে না এমন নাটক সিনেমার সংখ্যাই কম।

পত্রিকাগুলোতে বিনোদন পাতায় হলিউড বলিউডের অর্ধকাপড় বা এর চেয়ে কম কাপড়ের নায়িকাদের ছবি ছাপা হয়। সাহিত্যে নারী ছাড়া চলেই না। বিবাহ-বহির্ভূত প্রেম পীরিত থাকবেই, অনেকের সাহিত্য তো পুরাই চটি পর্যায়ের। সব খানেতে বিবাহ বহির্ভূত প্রেমকে ফোকাস করা হচ্ছে। যেন প্রেমই জীবন। একটা মেয়ের সাথে বিয়ের আগে প্রেম না করা মানে জীবন বৃথা। এতসব আয়োজনের উদ্দেশ্য কি? এখনি তা উল্লেখ করব।

এসবের উদ্দেশ্য হচ্ছে-

১- ছেলে মেয়ে বিয়ের আগেই প্রেমে লিপ্ত হবে, জিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হবে।

২- যারা প্রেমের মানুষ খুঁজে পাবে না তারা টিভির নায়িকাদের দেখে তৃপ্তি নিবে, রাস্তাঘাঁটে মেয়েদের শরীরের মাপজোক করবে। আর যদি ইন্টারনেট থাকে তাহলে পর্নোগ্রাফি ও চটি পড়ে উত্তেজিত হবে। অতঃপর হস্তমৈথুন করে যৌবন অতিবাহিত করবে। কারণ সমাজের অলঙ্ঘনীয় নিয়ম, চাকরির আগে বিয়ে নাই। ফলে যৌবনের শুরু থেকে চাকরির আগ পর্যন্ত ১০-১২ বছর হয় প্রেম করে জিনা করবে নয়তো পর্ন-হস্তমৈথুনে শান্ত থাকবে।

আমরা প্রথম ধাপ লক্ষ্য করলে দেখবো সর্বত্র প্রেম করতে, জিনা করতে উস্কানি দেয়া হচ্ছে, দ্বিতীয় ধাপে ছেলেরা প্রেম করছে নতুবা পর্ন দেখে নিজেকে নষ্ট করছে, এবং অনেকে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ধর্শনও করে ফেলছে।

আর ধর্ষণ বন্ধের জন্য আইন করা হয়, প্রচারণা চালানো হয়, আন্দোলন করা হয় কিন্তু আসল কারণ নিয়ে কেউ কথা বলে না, অর্থাৎ যেসব কিছু প্রেম, জিনা, ধর্ষণ বা চরিত্রহীনতার দিকে উস্কে দিচ্ছে। ফলে ধর্ষণ কমে না বরং বাড়ে।

প্রেম, জিনা, ধর্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে উস্কানি দেয়া হচ্ছে শুধুমাত্র বিয়ে আটকে রাখার জন্য। এবার দেখা যাক, কেন বিয়ে আটকে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিয়ে আটকানোর জন্য আইন করা হয়, প্রচারণা চালানো হয়, জন্ম নিয়ন্ত্রণের বুলি ছড়ানো হয়।

যেমনঃ

বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ। (অথচ বাল্যপ্রেম করা নাকি সাহসি কাজ)

দুইয়ের অধিক সন্তান নেয়াকে অনুৎসাহিত করা হয়।

সমাজের নিয়ম অনুযায়ী চাকরির আগে বিয়ে নাই।

একদিকে বিয়ে করতে বাধা। অন্যদিকে যৌবনজ্বালা। আরেকদিকে প্রেম, জিনাতে উস্কানি। ফলে ছেলেরা চরিত্রহীন হয়ে প্রেম জিনাতে লিপ্ত হবে এটাই স্বাভাবিক।

কেন বিয়েকে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে সেটা দেখা যাক।

১- মেয়েদের চাকরির বাজারে আনা গেলে কর্পোরেটগুলো বেশি লাভবান হয়। মেয়েদেরকে পণ্য বানিয়ে সবাই লাভের চিন্তায় বিভোর।

২- এজন্য মেয়েদের বিয়েতে দেরি করানো, বাচ্চা কম নেয়া, পড়াশোনা করে ক্যারিয়ার গড়া ইত্যাদি চেতনা সমাজে প্রবেশ করিয়ে দেয়।

৩- ফলে একটি মেয়ে পড়াশোনা শেষ করে চাকরির বাজারে প্রবেশ করে আর বিয়েতে অনাগ্রহি হয়, বিয়ের আগ পর্যন্ত প্রেম জিনা করে যৌবনের চাহিদা মেটায় এবং বিয়ে করলেও বাচ্চা কম নেয়। আর এতে কর্পোরেটে বেশি সময় দিতে পারে।

৪- আর নারীবাদ নামক মতবাদটি মেয়েদেরকে আরও বেশি চাকরি ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে উৎসাহিত করে। ফলে নারীদের শিক্ষা ও ক্যারিয়ার গড়া, পরিবারের সেবার বদলে কর্পোরেটে দাসত্ব, বিয়ের বদলে জিনার সহজলভ্যতা, সন্তান নেয়ায় অনাগ্রহ, মেয়েদেরকে পণ্য বানিয়ে পুরুষদের চরিত্রহীন করা, অশ্লীলতার প্রসার ঘটানো, এসবগুলো কাজে সহযোগিতা ও সমর্থন জানায় নারীবাদ, সেকুলারিজম। কিন্তু এগুলোর পথে বাধা দেয় ইসলাম। ফলে মানুষকে ইসলামী চেতনা থেকে বের করে আনতে নাস্তিকতা ও সেকুলারিজম তাত্ত্বিকভাবে কাজ করে। এতে এইসব পাপের পথ সুগম হয়।

৫- বর্তমানে ইসলাম হচ্ছে পুঁজিবাদ, নাস্তিকতা, সেকুলারিজম, নারীবাদ ও অশ্লীলতার সবচেয়ে বড় শত্রু। কারণ ইসলাম এইসব পাপের বিরুদ্ধে, এবং বিয়ের পক্ষে। ইসলাম যুবকদের বিয়ে করতে উৎসাহিত করে, জিনা প্রেম থেকে বেঁচে থাকতে বলে, চোখের হেফাযত করতে বলে, পর্দা করতে বলে, নারীদের ঘরে রাখতে বলে, পুরুষদের জীবিকা উপার্জন করতে বলে, পাপ ও অশ্লীলতা থেকে দূরে থাকতে বলে, বেশি সন্তান গ্রহণ করতে বলে, সুশৃঙ্খল ও নৈতিক জীবন যাপন করতে বলে। এতে ইসলাম শত্রু হয়েছে নারীবাদ, নগ্নতাবাদ, সেকুলারিজম, নাস্তিকতা ও পুঁজিবাদের।




















(39)

বিয়ে না করতে পারলে সাওম ???
"আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না" সুরা বাকারাহ ২৮৬
এবং সামর্থ্য না থাকলে বিয়ে করা যাবে না

দুটোই ঠিক আছে। তবে আমজনতা সামর্থ বললে যা বুঝে বসে আছে তাতে গন্ডগোল আছে। কোন ছেলে বিয়ের কথা বললেই যারা মুখস্ত রোজার কথা বলে বসেন তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সাওম জিনিসটা কোন প্রকটতায়, কোন প্রেক্ষাপটে সেটা ভেবে দেখার সুযোগ পান নি।

একটু ভালভাবে নিচের হাদিসটির দিকে খেয়াল করা যাক
==================================
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম,"হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন যুবক এবং আমি ভয় করি যে আমি হয়ত অবৈধ পথ বেছে নিতে বাধ্য হব কিন্তু আমার বিয়ে করার সামর্থ্যও নেই" তিনি [রাসুল (সাঃ)] চুপ থাকলেন।

অতঃপর আমি আমার প্রশ্নটি পুনরায় করলাম কিন্তু তিনি চুপ থাকলেন।

আমি (তৃতীয়বার) একই প্রশ্ন আবার করলাম এবং তিনি চুপ থাকলেন।

তারপর আমি আমার প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি (চতুর্থবার) করলে কেবল তখন তিনি বললেন, "হে আবু হুরাইরা! তুমি কি করতে যাচ্ছ তা লিখে কলম শুকিয়ে গেছে। তুমি খাসি হয়ে যাও আর না যাও"
==================================
সহীহ বুখারী, ভলিউম ৭, অধ্যায় ৬২, হাদিস ১৩

লক্ষনীয় বিষয়,
১. আবু হুরাইরা (রাঃ) আল্লাহর রাসুল (সা;)এর একজন সম্মানিত সাহাবা যিনি সাহাবা(রাঃ) গনের মধ্যে সবচাইতে বেশি হাদিস বর্ণনা করেছেন।
২. আল্লাহর রাসুলের সম্মানিত সাহাবা হওয়া সত্ত্বেও অক্ষমতার জন্য বিয়ে না করতে পারায় যে ফিতনার সম্মুখীন হচ্ছিলেন তা অসহনীয় ছিল।
৩. আল্লাহর রাসুল(সাঃ) সমস্যার কথা শুনে তিন তিন বার চুপ থেকে চতুর্থবারে জবাব দিয়েছেন। প্রথমবারে শুনেই মহাআনন্দে বিয়া করতে না পারলে রোযা রাখবলে দিয়ে দিগ্বিজয়ী হাসি হাসেন নি।

হ্যাঁ। আল্লাহর রাসুল(সাঃ) অবশ্যই বলেছেন, “হে যুবকেরা তোমাদের মধ্যে যে সামর্থ্য রাখে বিয়ে করবার, সে যেন বিয়ে করে। কেননা এটা দৃষ্টিকে নত রাখা ও গোপন অংগসমূহের হেফাযতের জন্য সবচাইতে কার্যকর। আর যে তা পারবে না, সে যেন সাওম পালন করে, কেননা এটা তার জন্য ঢাল স্বরুপ” [সহীহ বুখারী ৫০৬৫, সহীহ মুসলিম ১৪০০]

দুঃখের বিষয় হচ্ছে সবাই বিনা বাক্যব্যয়ে বুঝে যায় যে এখানে সামর্থ্যহীন বলতে তাকেই বোঝানো হয়েছে। সুরা নুরের ৩২ নং আয়াতের সম্পূর্ণটা উপলব্ধি করার প্রয়োজনও বোধ করে না। আল্লাহতালা যে বলছেন, “যদি তারা নিঃস্ব হয় তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে স্বচ্ছলতা দান করবেন।এই নিঃস্বরা তাহলে কারা?

এই নিঃস্বদের মধ্যে একজন ছিলেন ইতোপূর্বে উল্লিখিত সাহাবা আবু হুরাইরা (রাঃ)। তিনি বলেছেন,

.
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলতেনঃ

আল্লাহর কসম! যিনি ব্যতীত কোন মাবূদ নেই। আমি ক্ষুধার তাড়নায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকতাম। আর কখনও পেটে পাথর বেঁধে রাখতাম।

একদিন আমি (ক্ষুধার যন্ত্রণায় বাধ্য হয়ে) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সহাবীগণের রাস্তায় বসে থাকলাম। আবূ বাকর (রাঃ) যাচ্ছিলেন। আমি কুরআনের একটা আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। আমি তাঁকে প্রশ্ন করলাম এই উদ্দেশে যে, তিনি আমাকে পরিতৃপ্ত করে খাওয়াবেন। কিন্তু তিনি কিছু করলেন না। অতঃপর উমার (রাঃ) যাচ্ছিলেন। আমি তাঁকে কুরআনের একটি আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। আমি প্রশ্ন করলাম এ উদ্দেশে যে, তিনি আমাকে পরিতৃপ্ত করে খাওয়াবেন। কিন্তু তিনি চলে গেলেন। কিছু করলেন না।

অতঃপর আবুল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাচ্ছিলেন। তিনি আমাকে দেখেই মুচ্কি হাসলেন এবং আমার প্রাণের এবং আমার চেহারার অবস্থা কী তিনি তা অাঁচ করতে পারলেন। অতঃপর বললেন, হে আবূ হির! আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি হাযির, তিনি বললেনঃ তুমি আমার সঙ্গে চল। এ বলে তিনি চললেন, আমিও তাঁর অনুসরণ করলাম। তিনি ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন এবং আমাকে প্রবেশের অনুমতি দিলেন। তারপর তিনি ঘরে প্রবেশ করে একটি পেয়ালায় কিছু দুধ পেলেন।

তিনি বললেনঃ এ দুধ কোত্থেকে এসেছে? তাঁরা বললেন, এটা আপনাকে অমুক পুরুষ বা অমুক মহিলা হাদিয়া দিয়েছেন। তিনি বললেনঃ হে আবূ হির! আমি বললাম, আমি হাযির হে আল্লাহর রাসূল! তুমি সুফ্ফাবাসীদের কাছে যাও এবং তাদেরকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে এসো। রাবী বলেন, সুফ্ফাবাসীরা ছিলেন ইসলামের মেহমান। তাদের ছিল না কোন পরিবার, ছিল না কোন সম্পদ এবং কারো উপর ভরসা করার মত তাদের কেউ ছিল না। যখন তাঁর কাছে কোন সদাকাহ আসত তখন তিনি তা তাদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন। তিনি এর থেকে কিছুই গ্রহণ করতেন না। আর যখন কোন হাদিয়া আসত, তখন তার কিছু অংশ তাদেরকে দিয়ে দিতেন এবং নিজের জন্য কিছু রাখতেন। এর মধ্যে তাদেরকে শরীক করতেন। এ আদেশ শুনে আমি নিরাশ হয়ে গেলাম। মনে মনে ভাবলাম যে, এ সামান্য দুধ দ্বারা সুফ্ফাবাসীদের কী হবে? এ সামান্য দুধ আমার জন্যই যথেষ্ট হতো। এটা পান করে আমার শরীরে শক্তি আসত। যখন তাঁরা এসে গেলেন, তখন তিনি আমাকে আদেশ দিলেন, আমিই যেন তা তাঁদেরকে দেই। আর আমার আশা রইল না যে, এ দুধ থেকে আমি কিছু পাব। কিন্তু আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ না মেনে কোন উপায় নেই। তাই তাঁদের কাছে গিয়ে তাঁদেরকে ডেকে আনলাম। তাঁরা এসে ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি চাইলে তিনি তাদেরকে অনুমতি দিলেন। তাঁরা এসে ঘরে আসন গ্রহণ করলেন। তিনি বললেনঃ হে আবূ হির! আমি বললাম, আমি হাযির হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, তুমি পেয়ালাটি নাও আর তাদেরকে দাও। আমি পেয়ালা নিয়ে একজনকে দিলাম। তিনি তা তৃপ্ত হয়ে পান করে পেয়ালাটি আমাকে ফিরিয়ে দিলেন। আমি আরেকজনকে পেয়ালাটি দিলাম। তিনিও তৃপ্ত হয়ে পান করে পেয়ালাটি আমাকে ফিরিয়ে দিলেন। এমন কি আমি এভাবে দিতে দিতে শেষতক নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছলাম। তাঁরা সবাই তৃপ্ত হলেন।

তারপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পেয়ালাটি নিজ হাতে নিয়ে রেখে আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলেন। আর বললেনঃ হে আবূ হির! আমি বললাম, আমি হাযির, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ এখন তো আমি আছি আর তুমি আছ। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি ঠিক বলছেন। তিনি বললেন, এখন তুমি বস এবং পান কর। তখন আমি বসে পান করলাম। তিনি বললেন, তুমি আরও পান কর। আমি আরও পান করলাম। তিনি আমাকে পান করার নির্দেশ দিতেই থাকলেন। এমন কি আমি বললাম যে, আর না। যে সত্তা আপনাকে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন, তাঁর কসম। আমার পেটে আর জায়গা পাচ্ছি না। তিনি বললেন, তাহলে আমাকে দাও। আমি পেয়ালাটি তাঁকে দিলাম। তিনি আল্লাহর প্রশংসা করলেন ও বিসমিল্লাহ্ বলে বাকী পান করলেন।[1] [৫৩৭৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০০৮)
না। এই সাহাবা (রাঃ) যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখত না, তারা গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ফাস্টফুডের দোকানে যাবার সামর্থ্য রাখতেন না। উনাদের বাবা-মা উনাদেরকে ল্যাপটপ, আইফোন, আইপ্যাড সব কিনে দিতে পারা সত্ত্বেও সামর্থ্যহীন সান্তনা দিয়ে বিয়ে থেকে দূরে রাখতেন না। কিংবা প্রতিমাসে ছেলে মেয়ের শিক্ষার পেছনে মৌলিক অধিকার হবার কারনে বস্তায় বস্তায় টাকা ঢালার সামর্থ্য রাখলেও যৌন চাহিদাকে গৌণ বিবেচনায় বিয়ে থেকে দূরে রাখতেন না। ওনাদের সমস্যা ছিল কি জানেন?

Volume 9, Book 92, Number 425:
Narrated Muhammad:
We were with Abu Huraira while he was wearing two linen garments dyed with red clay. He cleaned his nose with his garment, saying, "Bravo! Bravo! Abu Huraira is cleaning his nose with linen! There came a time when I would fall senseless between the pulpit of Allah's Apostle and 'Aisha's dwelling whereupon a passerby would come and put his foot on my neck, considering me a mad man, but in fact, I had no madness, I suffered nothing but hunger."

যে সকল আর্থিক অস্বচ্ছল মুসলিম ভাইয়েদের একটা ল্যাপটপ বা পিসি আর একটা দামী মোবাইল সেট ছাড়া সম্পদ বলতে কিছুই নেই বিধায় সাওম পালন করে মাশা আল্লাহ কালাতিপাত করছেন তারা জেনে রাখুন ঐ সাহাবা (রাঃ) এর কথা যিনি বিয়ের মোহরানা হিসেবে একটা লোহার আংটিও যোগাড় করতে পারেন নি। আরো জেনে রাখুন আল্লাহর রাসুল (সাঃ) তার বিয়ে দিয়েছিলেন কেবল কুরআনের জ্ঞানের কারনে। [ দেখুন বুখারী Volume 9, Book 92, Number 425]

আরো জেনে রাখুন লেখাপড়া-ক্যারিয়ার নামক যেসব মরিচীকার আশায় পবিত্রতা নামক জিনিসটিকে বিসর্জন দেয়া হচ্ছে সেটি বিয়ে না করার কোন বৈধ কারন নয়। দিব্যি চাকরী-বাকরী করা প্র্যাকটিসিং মুসলিম ভাইয়েরা কোন এক কারনে ফিতনা থেকে দূরে থাকতে এতটাই পারদর্শী হয়ে উঠেছেন আল্লাহর রাসুল (সাঃ) যেই ফিতনাকে উম্মাতের জন্য সব চাইতে বড় বলে গেলেন সেই ফিতনার দরজা বন্ধ করবার জন্য তাড়াহুড়োর কিছু নেই ভেবে নিশ্চিন্ত আছেন।

আমি অবাক হই বর্তমান যুগের মুসলিম ভাইয়েদের আত্নসংবরণ ক্ষমতা দেখে। ইবনে মাসউদ (রাঃ) যেখানে বলতেন,”আমি যদি বেচে থাকার জন্য দশ দিন সময় পেতাম আর আমি জানতাম যে এই সময়ের পর আমি মারা যাব আর আমার বিয়ে করার ইচ্ছা থাকত তবে আমি বিয়ে করতাম ফিতনায় জড়ানোর আশংকায়।

আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে এই সব ভাইবোনদের কাছে যারা আল্লাহকে ভয় করেন, প্রায় বছর দুই এক ধরে একটা কোন রকম জবও করছেন তারা বছরে ত্রিশ দিনের বেশি কয় দিন সাওম পালনের মাধ্যমে এমন কঠিন সবর ধারনের ক্ষমতা পেলেন যে আরও দুই তিন বছর এভাবেই কাটিয়ে দিতে পারার অনুপ্রেরণা পেলেন।

আল্লাহতালা আমাদেরকে যা দিয়েছেন তাতে সন্তুষ্ট থাকা ও তাওয়াক্কুল করবার তওফীক দান করুন। আমীন।

(সংগৃহীত)


































আর্লি ম্যারেজ ক্যাম্পেইন গ্রুপ নিয়ে কিছু কথাঃ

এই গ্রুপ মূলত মোঃ নিজামুল হক ভাই চালান। আরও কয়েকজন ভাই সাথে আছেন, যেমন গাজী মুহাম্মাদ তাঞ্জিল ভাই এবং আরও কয়েকজন। এমনকি এই গ্রুপে রোহিঙ্গাদের বিয়ে করার প্রতি উৎসাহ দেয়ায় একটা জাতীয় দৈনিক এই গ্রুপের বিরুদ্ধে সেকুলাঙ্গার সাংবাদিকরা নিউজ করে।
এই গ্রুপটি স্রোতের বিপরীতে টিকে থাকা গ্রুপ। এদেশে ১৮ বছরের নিচে বিবাহকে বাল্যবিবাহ ধরা হয় যা সমাজে নিষিদ্ধ এবং এর ব্যাপারে মানুষকে খারাপ ধারণা দিতে সেকুলাররা ব্যাপক পাঁয়তারা চালায়। তাছাড়া আধুনিক জমানায় প্রেম, সেক্স সবকিছুর সুযোগ সুবিধা থাকতে নতুন প্রজন্মই বা কেন বিয়ের প্রতি আগ্রহি হবে। ফলে এই গ্রুপ চালানো খুবই রিস্কি এবং একই সাথে সাহসি কাজ ছিল। এডমিন ভাইদের ধন্যবাদ। এই গ্রুপের কারণে এতো মূল্যবান অনেকগুলো লেখা এখানে প্রকাশ হয়। এগুলোই একত্র করেছেন এক ভাই। মজার ব্যাপার হচ্ছে যিনি এই লেখাগুলো একত্র করেছেন তিনি নিজেই আর্লি ম্যারেজের প্রতি এই গ্রুপ থেকে উৎসাহিত হয়ে স্রোতের বিপরীতে গিয়ে নিজের ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করেছেন যেন হারাম প্রেম আর না করতে হয়। আহামদুলিল্লাহ।
সুতরাং এই গ্রুপ সমাজে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। হারাম কাজ থেকে বিরতিকরণে এর অবদানের জন্য উম্মাহ তাদের মনে রাখবে। একসময় এই গ্রুপে কথিত আধুনিক যুগের আধুনিক পোলাপানরা পোস্টে হা হা রিয়েক্ট দিত। আর সেকুলারদের উৎপাত তো ছিলই। তবু সাহস করে ভাইরা গ্রুপটা চালিয়ে গিয়েছেন। আল্লাহ তাদের উত্তম প্রতিদান দিন।









উল্লেখ্য, আর্লি ম্যারেজ শব্দের অর্থ ‘অল্প বয়সে বিয়ে’ বোঝালে সঠিক হয়। বাল্যবিবাহ শব্দের বাল্য শব্দটা সমস্যা সৃষ্টি করে, কারণ এটা অর্থগত দিক শিশুবিবাহ বোঝায়। কিন্তু সেকুলাঙ্গাররা বালেগ হওয়ার পরের বিবাহকেও বাল্যবিবাহ বলে চালিয়ে দেয়। তাই আমরা বাল্যবিয়ের পক্ষ নিয়েছি। কিন্তু এর মানে এই না বাল্যবিয়ে মানে শিশুবিবাহকে সমর্থন করছি। আমরা বরং বালেগ/বালেগা বিবাহের পক্ষে।





No comments:

Post a Comment