Thursday, February 27, 2020

অল্প বয়সে বিয়ে করুনঃ Early Marriage (১ম অংশ)





অল্প বয়সে বিয়ে করুনঃ Early Marriage









কৃতজ্ঞতাঃ ‘আর্লি ম্যারিজ ক্যাম্পেইন’ গ্রুপ


















লেখাগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে আর্লি ম্যারেজ ক্যাম্পেইন গ্রুপ থেকে। যিনি সংকলন করেছেন তিনি অধিকাংশ লেখার মূল লেখকের নাম পান নি। আবার যাদেরটা পাওয়া গেছে তারা হয়তো কপি করেছে, সুতরাং মূল লেখকের নাম ঢাকা পড়ে গেছে। তাই কোনো লেখারই লেখকের ক্রেডিট দেয়া হয় নি। যদিও কাজটা দুঃখজনক, তবু আমরা মূল লেখকদের জন্য দুয়া করব।














যিনি লেখাগুলো একত্র করেছেন তার পোস্টের লিঙ্ক-
Early Marriage সম্পর্কিত সকল পোস্টঃ















এই সংকলনটি বিভিন্ন পোস্টের সম্মিলিত একটি নোট।

আমরা যারা বিভিন্ন সমস্যায় জড়িয়ে আছি,  বিয়ের কথা বাসায় বলতে পারছি না তাদের সবার উপকারে আসবে ইনশা আল্লাহ।

প্রত্যেক পোস্টের পর নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্যাপ থাকবে যাতে আলাদা অংশটুকু, যতটুকুই পছন্দ হয় সেটা আপনি নিজে উপস্থাপন করতে পারেন গার্ডিয়ানের সামনে।

তাহলে শুরু করা যাক। 

-     সংকলক







(১)

আপনি যদি ৩০ পার করে বিয়ে করেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার বয়সের কারণে আপনার মধ্যে যে গাম্ভীর্য চলে আসবে তার জন্য সম্পর্ক খুব বেশি মধুর ও ঘনিষ্ঠ হবে না। ব্যাপারটি বরং এমন হবে যে, বিয়ে করা উচিত তাই বিয়ে করেছি। এ কারণে আগেই বিয়ে করা ভালো। যখন আবেগ কাজ করে অনেক।



বেশি বয়সে বিয়ে করলে স্বামী-স্ত্রী নিজেদের জন্য সময় দিতে সময় পান না বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সন্তান গ্রহনের প্রয়োজন ও তাগিদ চলে আসে। আর সন্তান হয়ে গেলে দুজনের একান্ত সময় কাটানো খুব বেশি হয়ে ওঠে না। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ও বোঝাপড়া গড়ে ওঠেনা । কিন্তু অল্প বয়সে বিয়ে করলে সঙ্গীর সাথে অনেকটা সময় পাওয়া যায়। এতে সম্পর্ক অনেক ভালো ও মধুর থাকে। একজন উপর্যুক্ত সঙ্গিনী তার সঙ্গীকে খারাপ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিকর কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারে। যেমনঃ মদ্যপান, মাদক সেবন ইত্যাদি।



অনেকেই ভাবেন অল্প বয়সে বিয়ে করলে পড়াশোনা বা ক্যারিয়ার এর ক্ষতি হয়, কিন্তু আসলে কি তাই ? বরং পাশে প্রেরণা দেবার একজন মানুষ থাকলেই পড়াশোনা বা ক্যারিয়ার এর জন্য ভালো হয়। প্রেরণা, ভালবাসা, দায়িত্ব সব মিলিয়ে বিভিন্ন বাধা বিপত্তি সামলে-জীবন সফলতার দিকে অগ্রসর হতে সহায়ক হয় । অল্প বয়সে বিয়ে করলে জীবনের সবকিছু ভাগ করে নেয়া যায়। ফলে মানসিক চাপটাও কম পড়ে। এছাড়াও আপনি যখন কারো সান্নিধ্যে থাকবেন তখন বেঁচে থাকার একটা কারণ খুঁজে পাবেন। এক্ষেত্রে জীবন সঙ্গী আপনার ও জীবনে প্রতিষ্ঠা পাবার বিরাট অনুপেরণা ও অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়।



তিরিশের আগে বিয়েতে কিছু স্বাস্থ্যগত সুফলও আছে, জীবনসঙ্গী মানুষকে আবেগ অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়, সামাজিকভাবে একত্রে রাখে, মানসিকভাবে সমর্থন দেয়, যার সব কিছুই সুস্থ স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।



ভালোবাসা হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিবাহিত অথবা কোন সম্পর্কের মাঝে আছে তাদের হার্ট-অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা নিঃসঙ্গ মানুষের চেয়ে কম। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে যে সঙ্গীর নিবিড় সঙ্গ এবং নতুন পরিবারের নতুন সব আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু- বান্ধবের সাথে ভালো বন্ধনের কারণে হার্ট-অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। কারণ পরিবারের সাথে থাকলে মানুষ উৎফুল্ল থাকে।



বিয়ে শরীরের হাড় মজবুত করে। অবাক হচ্ছেন? আসলেও তাই। বিয়ে শরীরের হাড় শক্ত করে এবং বিভিন্ন হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমায়। বিয়ে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রেখে হাড়ের এক ধরণের রোগ অস্টিওপরোসিসহওয়ার ঝুঁকি কমায়।



২০১৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল মানুষ মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল তাদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এর বেশি মানুষ আরোগ্য লাভ করতে সক্ষম হত যদি তারা বিবাহিত হত। এই সাফল্যের হার কেমোথেরাপির থেকেও বেশি।



সুখী দম্পতিদের ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ফাইব্রোমাইলজিয়ার মত অসুখ বিশুক তুলনামূলক ভাবে অনেক কম হয় । তাই দেরী নয়, সঠিক সময়ে বিয়ে করুন, ভালো থাকুন ।



















(২)

ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ে



মানব জীবনে বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। বিয়ে মানুষকে দায়িত্ববান বানায়। জীবনে আনে স্বস্তি ও প্রশান্তি। বিয়ের মাধ্যমে নারী-পুরুষ সক্ষম হয় যাবতীয় পাপাচার ও চারিত্রিক স্খলন থেকে দূরে থাকতে। অব্যাহত থাকে বিয়ের মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে মানব সভ্যতার ধারা। বৈধ ও অনুমোদিত পন্থায় মানুষ তার জৈবিক চাহিদা মেটায় কেবল এ বিয়ের মাধ্যমে। এককথায় বিয়েতে রয়েছে প্রভূত কল্যাণ ও অননুমেয় উপকারিতা।



বিয়ের বিবিধ কল্যাণের প্রতি ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন, ‘আর তার নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলি রয়েছে সে কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে।’ (সূরা রুম : ২১)।



বিবাহ একটি বৈধ ও প্রশংসনীয় কাজ। প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির ক্ষেত্রেই এর গুরুত্ব অপরিসীম। বিয়ে করা নবী-রাসূলদের সুন্নত। আল্লাহ বলেন, ‘আর অবশ্যই তোমার আগে আমি রাসূলদের পাঠিয়েছি এবং তাদের দিয়েছি স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি।’ (সূরা রাদ : ৩৮)।



রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজে বিবাহ করেছেন এবং এর প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমি নারীকে বিবাহ করি। (তাই বিবাহ আমার সুন্নত)। অতএব যে আমার সুন্নত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।’ (বোখারি : ৫০৫৬)।



এজন্যই আলিমরা বলেছেন, সাগ্রহে বিবাহ করা নফল ইবাদতের চেয়ে উত্তম। কারণ, এর মধ্য দিয়ে অনেক মহৎ গুণের বিকাশ ঘটে এবং অবর্ণনীয় কল্যাণ প্রকাশ পায়। কারও কারও ক্ষেত্রে বিবাহ করা ওয়াজিব হয়ে পড়ে। যেমন- যদি কেউ বিবাহ না করলে হারাম কাজে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করে। তখন নিজেকে পবিত্র রাখতে এবং হারাম কাজ থেকে বাঁচতে তার জন্য বিয়ে করা ওয়াজিব হয়ে দাঁড়ায়।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হে যুব সম্প্রদায়, তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহের সামর্থ্য রাখে সে যেন বিবাহ করে। কেননা তা চক্ষুকে অবনত করে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে। আর যে এর সামর্থ্য রাখে না, তার কর্তব্য রোজা রাখা। কেননা তা জৈবিক উত্তেজনার প্রশমন ঘটায়।’ (বোখারি : ৫০৬৬)।



শরিয়তে বিবাহ বলতে বোঝায়, নারী-পুরুষ একে অপর থেকে উপকৃত হওয়া এবং আদর্শ পরিবার ও নিরাপদ সমাজ গড়ার উদ্দেশ্যে পরস্পর চুক্তিবদ্ধ হওয়া। এ সংজ্ঞা থেকে আমরা অনুধাবন করতে পারি, বিবাহের উদ্দেশ্য কেবল ভোগ নয়; বরং এর সঙ্গে আদর্শ পরিবার ও আলোকিত সমাজ গড়ার অভিপ্রায়ও জড়িত। বিয়ে যেহেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত তাই বিয়ে করার আগে উচিত বিয়ের করণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা অর্জন করা। যেমন- দোয়া পড়া : রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন কোনো নারী, ভৃত্য বা বাহন থেকে উপকৃত হয় (বিয়ে বা খরিদ করে) তবে সে যেন তার মাথার অগ্রভাগ ধরে, বিসমিল্লাহ পড়ে এবং বলেন (হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এর স্বভাবের কল্যাণ প্রার্থনা করছি এবং এর স্বভাবের অকল্যাণ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’) (বাইহাকি : ১৪২১১)।



দুই রাকাত সালাত আদায় করা : রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, স্ত্রী যখন স্বামীর কাছে যাবে, স্বামী তখন দাঁড়িয়ে যাবে। আর স্ত্রীও দাঁড়িয়ে যাবে তার পেছনে। অতঃপর তারা একসঙ্গে দুই রাকাত সালাত আদায় করবে এবং বলবে, ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার জন্য আমার পরিবারে বরকত দিন আর আমার ভেতরেও বরকত দিন পরিবারের জন্য। হে আল্লাহ, আপনি তাদের থেকে আমাকে রিজিক দিন আর আমার থেকে তাদেরও রিজিক দিন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের যতদিন একত্রে রাখেন কল্যাণেই একত্র রাখুন আর আমাদের মাঝে যখন বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দেবেন তখন কল্যাণের পথেই বিচ্ছেদ ঘটাবেন।’ (ইবন মাজা : ১৯১৮)।



স্ত্রী সান্নিধ্যের গোপন তথ্য প্রকাশ না করা : বিবাহিত ব্যক্তির আরেকটি কর্তব্য হলো স্ত্রী সংসর্গের গোপন তথ্য কারও কাছে প্রকাশ না করা।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কেয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে ওই ব্যক্তি সবচেয়ে নিকৃষ্ট বলে গণ্য হবে যে তার স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হয় এবং স্ত্রী তার ঘনিষ্ঠ হয়, অতঃপর সে এর গোপন বিষয় প্রচার করে।’ (মুসলিম : ৩৬১৫)।



অলিমা করা : বিয়ের আরেকটি সুন্নত হলো অলিমা করা তথা মানুষকে দাওয়াত করে খাওয়ানো। রাসূলুল্লাহ (সা.) এ কাজে উদ্বুদ্ধ করেছেন। এমনকি তিনি আবদুর রহমান বিন আউফ রাদিআল্লাহু আনহুর উদ্দেশে বলেন, ‘অলিমা কর, হোক না তা একটি ছাগল দিয়ে হয়।’ (বোখারি : ২০৪৯)।



বিয়ের দাওয়াত গ্রহণ করা : কেউ যদি বিয়ের দাওয়াত দেয় তাহলে সে দাওয়াত কবুল করা সুন্নত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কাউকে যখন বৌভাতের দাওয়াত দেয়া হয়, সে যেন তাতে অংশ নেয়।’ (বোখারি : ৫১৭৩)।



নব দম্পতির জন্য দোয়া করা : নব দম্পতির জন্য নিচের দোয়া করা সুন্নত। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন কোনো ব্যক্তি বিবাহ করত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলতেন, ‘আল্লাহ তোমাদের বরকত দিন এবং তোমাদের উভয়কে কল্যাণে মিলিত করুন।’ (আবু দাউদ : ২১৩০)





















(৩)

Early marriage কেন গুরুত্বপূর্ণ?

প্রথমত যখনি নারীপুরুষের মাঝে যৌবন উদয় হবে;শারীরিক চাহিদার জন্য উন্মাদনা আসবে, তখনি সে বিয়ের জন্য উপযুক্ত বলা যায়।কারণ আমরা যদি নিজেদের বয়সের অভিজ্ঞতা থেকে দেখি; তাহলে বলা যায় যৌবন বয়সে পাপ ও কুচিন্তার 80%এর মূলেই রয়েছে নব্য যৌবন প্রাপ্তির বেসামাল উন্মাদনা ।এই বেসামাল উন্মাদনা তে খেই হারিয়ে নীতিনৈতিকতা;ধর্মীয় বিধিনিষেধ সবকিছু জলাঞ্জলি দিয়ে চলে অবাধ মেলামেশা ।যৌবন অনেকটা তীব্র বন্যার জলের মত,আর বিয়ে না করে ;আগে ক্যারিয়ার; পড়াশুনা শেষ করি,এটা অনেকটা বানের পানি আটকাতে বালুর বাধ দেওয়ার মত অর্থহীন ব্যাপার ।ফলাফল লিটনের ফ্ল্যাট, অবৈধ গর্ভপাত, পাপাচার ।বাবামায়ের খেয়েপরে যদি তথাকথিত প্রেমের নামে যৌনতা বেহায়া পনা করা যায় অবলীলায়,তাহলে সেটা বিয়ে করে হালালভাবে করলে ক্ষতি কি? যখন দুজনের একজনের চাকুরি হবে;তখন তারা তাদের নিজেদের ভরণপোষণ, সন্তানগ্রহন করবে;যতদিন না তারা (দম্পতি )অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী না হচ্ছে, ততদিন তারা নিজনিজ অভিভাবকের অধীনে থেকে পড়াশোনা করবে;পড়াশোনাসহ যেকোন কাজে স্বামী স্ত্রী পরস্পরকে উৎসাহ অনুপ্রেরণা দিবে,স্বামী স্ত্রী বৈধ প্রেম মিলনে নিজেদের জৈবিক চাহিদা মেটাবে, সওপাব পাবে,উপরন্তু অবাধ যৌনতা,ব্যভিচার; বেহায়াপনা, ফিতনা থেকে নিজেদের হেফাজত করতে পারবে, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা, পরিপক্কতা অর্জন করতে পারবে।তথাকথিত প্রেমের পরস্পরের প্রতি আইনি;শরীয়াত ও সামাজিক ভাবে দায়িত্বহীন,ভিত্তিহীন ঠুনকো সম্পর্কের অভিশাপ ও ভয়াবহতা থেকে তরুণ প্রজন্ম রক্ষা পাবে।

































(৪) সৃষ্টিকর্তা নিজেই যখন বেকার যুবকদের বিবাহের জন্যে উৎসাহ দিয়েছেন, এমনকি আল্লাহ্ প্রতিজ্ঞাও করেছেন



বিয়ে করলেই তোমাদের ধনী করে দিবো।



তবুও মেয়ে বিয়ে দেয়ার সময় কেবলই চাকুরীজীবী ছেলে খোজাটা মূলত আল্লাহ্র উপর অনির্ভরশীলতার ইঙ্গিত।



আমি তো মনে করি,



একটা ভালো চাকুরীর পূর্বশর্তই হচ্ছে বিয়ে



কেননা, তখন তাকে রিজিক প্রদান করার দায়িত্ব স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা নিয়ে নেন।



পড়ুন সেই মহাপবিত্র আয়াতে কারীমা



ﻭﺃﻧﻜﺤﻮﺍ ﺍﻻﻳﺎﻣﻲ ﻣﻨﻜﻢ ﻭ ﺍﻟﺼﺎﻟﺤﻴﻦ ﻣﻦ ﻋﺒﺎﺩﻛﻢ ﻭ ﺇﻣﺎﺋﻜﻢ ﺇﻥ ﻳﻜﻮﻧﻮﺍ ﻓﻘﺮﺍﺀ ﻳﻐﻨﻬﻢ ﺍﻟﻠﻪ



(তোমাদের মধ্য হতে যারা বিবাহহীন তাদের বিবাহ দিয়ে দাও এবং দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ তাদেরকেও। তারা যদি নিঃস্বও হয়ে থাকেন তবে স্বয়ং আল্লাহ্ তাকে ধনী বানিয়ে দেবেন) সূরা নুর। আয়াতঃ ৩২।



.



অবশ্য উক্ত আয়াতে বিবাহহীনদের অবিভাবকদেরকেই আল্লাহ্ এ আদেশ করেছেন। কেননা আল্লাহ্ জানেন, অবিভাবকেরা কি সব চিন্তা করেন।



অবস্থা এমন দারিয়েছে কেউ বিয়ে করতে চাওয়া সামাজিকভাবে খারাপ চোখে দেখা হয়। আপনার আরেকটা মেয়ে থাকলে তাকে খাওয়াতেন না? তাহলে মেকে বিয়ে করিয়ে, মেয়ের এখনো বিয়ে হয়নি মনে করে খাওয়াতে অসুবিধা কোথায়?? প্রতিষ্ঠিত ছেলের সাথে বিয়ে দিতে হবে এই চিন্তা বাদ দিন। আপনার মেয়ে ও সমাজে অসংখ্য ছেলেকে চারিত্রিক শুদ্ধতা নিয়ে বেড়ে উঠতে সহযোগিতা করুন।নিশ্চই এখন যে ছেলেটা বেকার সেই কয়দিন পর প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করবে।তখন কিন্তু তার চাহিদাও বেড়ে যাবে।প্রতিষ্ঠিত হয়েই যখন বিয়ে করতে হল, তখন ভাল দেখেই বিয়ে করি।তখন দেখা যায় এসকল আপুদের আর বিয়ে হয় না।আবার কোন কোন অবিভাবক লেখা-পড়া শেষ করার আগে বিয়ে দিতে চায়না,ফলে মেয়ের বয়স বেড়ে যায় প্লাস চেহারার লাবন্নতা নষ্ট হয়।বয়স্ক মেয়েকে কেউ বিয়ে করতে চায়না আরো যদি লাবন্নতা হ্রাস পায়,তাহলেতো কথায় নাই।তাই দেখা যায় অনেক আপুদের বিয়ে হচ্ছেনা বলে অবিভাবকদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।কয়েক বছর আগেও যে সকল প্রস্তাব নাকোচ করে দিয়েছি,এখন তাদের হয় বিয়ে হয়েছে তা নাহলে এখন আর আগ্রহী নয়।তো আসুন সবাই বিয়েকে তথা হালালকে সহজ করি এবং প্রেম তথা হারামকে কঠিন করি।



ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দিন সাবালক হলেই



আপনি যদি বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার কলুষিত দিকগুলো দেখেন তার অধিকাংশের কারণ মূলত বিয়েতে দেরি করা। তা আপনি বুঝুন আর না-ই বুঝুন!



পিতা-মাতা তথা অভিভাবকদের জন্য দুটি দিকে খুবই দায়িত্ববান হওয়া দরকার। সন্তান লালন-পালনে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। সন্তানকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। বিয়ের উপযুক্ত বয়স হলেই বিয়ে দিতে হবে।



রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার কোনো সন্তান জন্ম লাভ করে সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব-কায়দা শিক্ষা দেয়। যখন সে বালেগ হয় তখন যেন তার বিবাহ দেয়। যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিবাহ না দেয় তাহলে সে কোনো পাপ করলে, সে পাপ তার পিতার উপর বর্তাবে।’ (বায়হাকী, মিশকাত হা/৩১৩৮)।



অর্থনৈতিক গ্যারারান্টির জন্য যদি মেয়ের অবিভাবকরা চাকরিজীবী খোজেন, তাহলে মৃত্যুর গ্যারান্টি কে দেবে।
























(৫) পোলাপাইন যখন প্রেম করে তখন আসলে কী হচ্ছে !!??

.

ছেলেটা থাকছে তার বাসায়, মেয়েটা তার বাসায় !!

.

দুজনে টাকা খরচ করে ডেট করতেসে, রেস্টুরেন্টে খাইতেসে, একে অন্যকে গিফট কিনে দিতেসে..........ডেট করা শেষে দুজনে আবার নিজেদের বাসায় ফিরে যাচ্ছে !!

তারপর রাত জেগে ফোনে কথা বলতেসে !!

.

এই যে কাজগুলা তারা করতেসে, এই সেম কাজগুলাই কি বিয়ে করে করা যায় না !!??

.

আকদ হয়ে থাকবে, মেয়েটা থাকবে বাবার বাড়িতে...........স্বামীর সঙ্গে ডেট করবে, স্বামী স্ত্রী রাত জেগে কথা বলবে !!

.

এরপরে ছেলে যখন কামাই করা শুরু করবে, তখন মেয়েকে ঘরে তুলে নিবে !!

.

এমনটা হইলে ফোনে কথা বলার মধ্যে কোনো লুকোচুরির দরকার হচ্ছে না........ডেটিংয়ে গিয়ে ধরা পড়ার ভয় থাকছে না !!

.

ছেলেটা চাইলে মেয়েটার বাসার ড্রয়িংরুমে বসে অপেক্ষা করতে পারে তাকে নিয়ে ঘুরতে যাবে বলে,

.

মেয়েটা কোনো এক ছুটির দিনে সকালে ছেলের বাসায় হাজির হয়ে যাইতে পারে তার শাশুড়ির সঙ্গে রান্না করবে বলে !!

.

যদি উদ্দেশ্য টাইম পাস না হয়ে একসঙ্গে বৃদ্ধ হওয়ার পরিকল্পনা থাকে,

তাহলে যার সঙ্গে প্রেম করতেসেন, তাকে বিয়ে করে ফেলেন না ক্যানো !!??

.

বাপ-মা যে ভয়ে বিয়ে দিতে চায় না সেটা হচ্ছে- বিয়ে করে বৌ কে খাওয়াবে কী !!??

.

প্রেমিক কাপল যে টাকাটা ডেটের পিছে খরচ করছে, অনেক বিবাহিত দম্পতিও তাদের ঘুরাঘুরির পিছে এর চেয়ে কম খরচ করে !!

.

তাই বাবা-মায়েরা যদি একবার সাহস করে স্রোতের বিপরীতে হেঁটে আর্লি ম্যারেজ দিয়ে দেন- তাহলে ছেলেমেয়গুলা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারবে, আপনাকেও তাদের গুনাহর ভাগীদার হইতে হবে না !!



.



এখন যে পর্ণোগ্রাফী মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে, ডাস্টবিনে পড়ে থাকে নবজাতকের লাশ- এসবের কারণ কী !!??

.



একজন মানুষের জৈবিক চাহিদা থাকবেই.............ব্যাপারটা স্রোতের মতো !!

.

যখনই আপনি এতে বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করবেন, তখনই সে তার বিকল্প রাস্তা তৈরি করে নিবে !!

.



হযরত আদম ( আঃ ) জান্নাতে থেকেও সুখ পান নাই, একজন সঙ্গীর জন্যে মলিন মুখে ঘুরে বেড়াতেন !!



আর মানুষ তো থাকে ধুলি-ধূসরিত পৃথিবীতে.........তার জীবনে অনেক বেশী হার্ডশিপ, অনেক বেশী স্ট্রাগল !!

.



একটা বয়সের পরে প্রচণ্ড কাজের চাপের মধ্যে কারো ছোট্টো টেক্সটের দরকার হয়, দিন শেষে ভালোবাসার একটা স্পর্শ লাগে !!



.



এখন বাপ-মা বিয়ে দিচ্ছে ত্রিশের পর কিন্তু ছেলে ম্যাচিউরড হয়ে যাচ্ছে আঠারো-উনিশে !!



.

যেহেতু সে জানে যে ত্রিশের আগে বিয়ে হবে না, তাই সে শুরু করে প্রেম, প্রেমিকার সঙ্গে রাত জেগে কথা বলা, তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত যাপন !!



.

প্রেমিকার সঙ্গে সে তাই তাই করতে চায় যা সে বিয়ের পর স্ত্রীর সঙ্গে করতো !!



.

এবং করছেও..........শুধুমাত্র বিয়ে না করার কারণে মাঝখান থেকে বাড়ছে গুনাহ !!



.



প্রেমের যে সম্পর্ক ওই সম্পর্কের তো কোনো প্রাতিষ্ঠানিক অথবা সামাজিক স্বীকৃতি নাই !!

.

আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে-

.

আল্লাহ্‌ না করুক, প্রেমের সম্পর্ক চলাকালীন ছেলেটা যদি মারা যায়, সেক্ষেত্রে মেয়েটার কি ইচ্ছা হয় না তার প্রেমিককে শেষবারের মতো দেখতে !!??

.



ছেলেটার বাড়িতে গিয়ে সে নিজের কী পরিচয় দিবে !!?? সে ছেলেটার কী হয় !!??



.



আমাদের সমাজ তামজীজ-সাদিয়া, প্রভা-রাজীবের ভিডিও দেখে তারপর তাদেরকেই গালি দিবে !!

.

গভীরভাবে ভেবে দেখুন- আঙ্গুলটা আগে তাদের বাবা-মায়েদের দিকে তোলা উচিত কিনা যারা এই নষ্ট সমাজের প্রচ্ছন্ন সমর্থক !!?


















(৬)

বর্তমানে চাকরি ছাড়া আমাদের সমাজের কোন বাবাই তাঁর মেয়েকে আপনার সাথে বিয়ে দিতে চাইবে না।আর চাকরি ছাড়া আপনার পরিবারও আপনাকে বিয়ে করাবে না।আপনিও হয়তো ছাত্রাবস্থায় বিয়ে করতে চাইবেন না। বলবেন-"আগে নিজের পায়ে দাঁড়াই।" আচ্ছা তাহলে কি এতদিন আপনি অন্যের পায়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন?উত্তর নিশ্চয় -না।

আপনি বলতে চাচ্ছেন,চাকরি বাকরি কিছু একটা হোক।তারপর বিয়ে।

আপনি এখন ছাত্র।আপনার চাকরি নেই।ঘরে আপনার বউ আছে।তখন কি আপনি চাইবেন না যে,আপনার ভাল একটা ক্যারিয়ার হোক।বিয়েটা এখানে কোন প্রতিবন্ধক না।বরং আপনার শিক্ষাঙ্গনের উন্মুক্ত পরিবেশটা আপনার জন্য প্রতিবন্ধক শুধু তাই নয় বরং বিপদজনক ।অবৈধ রিলেশনশিপের ব্যাপকতা ,অশ্লীলতা-বেহায়াপনা,নব্য জাহেলিয়াতের এই যুগে নিজেকে কতক্ষণ ভাল রাখবেন???

বরং এই সময়ে যদি ভালবাসার প্রিয় মানুষটি(স্ত্রী,বউ,জীবনসঙ্গিনী) আপনার কাছে থাকে,তখন আপনি পাবেন একমুঠো পবিত্র ভালবাসার হৃদয়স্পর্শী মুহুর্ত।বিবাহিত স্ত্রী কাছে থাকলে বরং লাভই বেশি।আপনি হয়তো এখনো আমার সাথে একমত না,আর বেশিরভাগেরই না হওয়ার ই কথা।

আরেকটা আইডিয়া শেয়ার করি- বিয়ে করলেন। আপনি থাকবেন আপনার জায়গায়। আপনার বউ তার বাপের বাড়িতে কিংবা তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।দুজনেই ব্যস্ত পড়ালেখা নিয়ে।স্বপ্নাতুর চোখে দেখছেন উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।নিজেদের মাঝে চ্যাটিং,ফোনালাপ,পারস্পারিক যোগাযোগ,খোঁজ খবর রাখা,উভয়ে উভয়ের পরিবারের সাথে কানেক্টিং থাকা,বিভিন্ন বন্ধে দেখা সাক্ষাৎ করা,এক সাথে ভ্রমণ,খাওয়া-দাওয়া করা,উপহার দেয়া,উদ্দীপনামূলক প্রতিযোগিতা,ঈদে বাসায় নিয়ে আসা,তার বাড়ীতে যাওয়া,সৎ পরামর্শ দেয়া, সুখ-দুঃখে অংশীদার হওয়া ইত্যাদি চলবে লেখাপড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত।

অত:পর আপনি দাঁড়ান আপনার নিজের পায়ে।বিয়ে করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোটা কোন প্রতিবন্ধকতাই নয়।

বরং ভাল ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের বিশ্বস্ত সহযোগী।

কি স্বপ্ন মনে হচ্ছে তাইনা?কিন্তু একটু চিন্তা করে দেখেন, বর্তমানে প্রচলিত অবৈধ প্রেমের চেয়ে এইরকম নিষ্পাপ ভালোবাসা কি ভালো ছিলনা???বর্তমানে অবৈধ প্রেমের ফলগুলো কি হচ্ছে জানেন? ??

#ডাস্টবিন, ড্রেন, পথেঘাটে অপরিপক্ব নবজাতকের মৃতদেহ,আত্নহত্যা, খুন,ধর্ষন, বিবাহবিচ্ছেদ, পরকীয়া,দাম্পত্যকলহ ইত্যাদি ইত্যাদি।

ছাত্রাবস্থায় বিয়ে করতে চাইলে যে প্রশ্নটা করা হয় তা হলো-বিয়ে করে বউকে খাওয়াবে কি?আচ্ছা বউ কি রাক্ষসী নাকি শুধু খাবে আর খাবে???

তবে হ্যাঁ এই রকম সিদ্ধান্তে ছেলে-মেয়েকে অবশ্যই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, সেক্রিফাইসের মনোভাব ও অত্যধিক উচ্চাবিলাসী মনোভাব পরিহার করতে হবে।

সমাজের দূষিত হাওয়ায় নিজেকে ভাসিয়ে দেয়ার অনেক উপাদানই আমাদের হাতের কাছে।স্কুল,কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় সব জায়গাতেই আজ নোংরামি আর ভন্ডামি মিলেমিশে একাকার। যারা নিজেকে এসব অনিয়ন্ত্রিত পথ থেকে হেফাজত করতে চায়,তাদেরকে তো সাধুবাদ জানানো দরকার।বিয়ের কথা বলার নির্লজ্জ্ব ভঙ্গিটা পাপ না,কিন্তু নির্লজ্জ্ব পথ তৈরি করে দেয়া,ঐ পথে হাটতে দেয়াটা পাপের।

#যেই_সমাজে বিয়ে কঠিন হয়ে যায় সেখানে স্বাভাবিক ভাবেই অবৈধ প্রেম,ধর্ষন, যিনা-ব্যভিচার চরিত্রহীনতা বেড়ে যায়।যা আমাদের সমাজে বর্তমানে অহরহ ঘটছে।

একটা হাদীস শেয়ার না করে পারলাম না....

আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এরশাদ করেন, হে যুব সম্প্রদায় তোমাদের মধ্যে যে বিবাহের সামর্থ রাখে সে যেন বিয়ে করে নেয়, কেননা তা #চক্ষুকে_অবনত রাখে এবং #লজ্জাস্থানকে_হেফাযতে রাখে। -- বোখারী, মুসলিম)

সমাজ-ব্যবস্থার পরিবর্তন হোক।

অভিভাবকদের সুবুদ্ধি হোক.....

আল্লাহ আমাদেরকে নব্য জাহেলিয়াতের এই যুগে ঈমান নিয়ে বাঁচার তাওফিক দিন,আমীন।





























(৭) বিয়ের মাধ্যেম আল্লাহ রিজিক বৃদ্ধি করে দিবেন , অভাবমুক্ত করে দিবেন এই ওয়াদা রয়েছে, আর আমরা বলি বিয়ে করে বউকে কি খাওয়াবো?

- মনে হয় যেন বউ হচ্ছে একটা রাক্ষস সে আসার পর সব সে একাই

খেয়ে ফেলবে। যে আসবে সে তার রিজিক নিয়েই আসবে।

বরং সে আসলে রিজিক বৃদ্ধি পাবে। অভাবমুক্ত হবে ইনশা আল্লাহ।



আল্লাহ বলেন- আর তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।’ {সূরা আন-নূর, আয়াত : ৩২}






















(৮) বিয়ে মানে? একজন একান্ত পবিত্র সঙ্গী বেছে নেয়া। যে আমার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য দাষত্রুটিগুলো সম্পর্কে জেনে যাবে। আন্তরিকভাবে সংশোধনের চেষ্টা করবে। শোধরাতে না পারলেও, ভালোবেসে অসম্পূর্ণতাগুলো মেনে নেবে। অন্যের কাছে সেসব ফাঁস করে বেড়াবে না।














(৯) বিয়ের ক্ষেত্র রাসূল সাঃ এর বর্নীত হাদিসটা আমরা অধিকাংশ ভুল বুঝে থাকি,,,, আর তা হলো সক্ষমতার ব্যাপারটা,,,,,,, রাসূল সাঃ বলেছেন যারা সক্ষম তারা বিয়ে করো,,,, আর যারা অক্ষম তারা রোজা রাখো,,,,,,,,,, ,

এখন প্রশ্ন হলো সক্ষমতা কি????? কি কি থাকলে আপনি সক্ষম??????

প্রশ্নটির জবাব আমি বেশ কিছু আলেমের থেকে পেয়েছি, তারা যা বলেছেন,,,, সক্ষমতা হলো ::::::

১) প্রসাবখানা, পায়খানা,বৈঠক খানা,,,গোসলখানা,,, থাকার মতো একটা ঘর যেখানে পর্দা করা সম্ভব।

২) শারীরিক সক্ষমতা

৩) মোহর

৪) ভরণ পোষণ ক্ষমতা



এখন বিস্তারিত :::;

পয়েন্ট ১ ; এখন আমারা যারা আছি সবাই বাড়িতে থাকি কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সবার বাড়িতেই এসব আছে,,,,, অধিকাংশই আলাদা এক ঘরে আমরা থাকি,,, অতএব আমরা এটাতে সক্ষম। ��

পয়েন্ট ২ ;;;;

যারা যৌবনকে হেফাজত করতে চাচ্ছি, গোনাহ ও অশ্লীলতা থেকে বাচতে চাচ্ছি,,,, আমরা অবশ্যই শারীরিক ভাবে সক্ষম,,,, তাই তো বিয়েটা জরুরি ���

পয়েন্ট ৩ ;;;;;;

মোহর ::::: এটা খুবই সহজ বিষয়,,,,, মোহর ১ টাকাও হতে পারে, সাহাবীরা কুরআনের আয়াত লোহার আংটি দিয়েও বিয়ে করেছে,,,,,,,, আমি জানি যারা পোষ্টটি দেখছেন, সবার পকেটে হাত দিলে এখনি অনেক টাকা পাওয়া যাবে,,, তারপরও চেষ্টা করুন,,, দু' একটা টিউশনী করার কয়েক মাস কয়েক হাজার টাকা জোগাতে পারলে ভালো,, কিছু আলেমদের মতে সর্বনিম্ন ১০ দিরহার প্রায় ৩০০০ টাকা,,,, এটা জোগার করা তেমন কঠিন কিছু নয় এখনকার যুগে,,,,,, আমাদের অনেকের তো মাসিক হাত খরচই ৫/৭ হাজার টাকা হয়,,,,,,,,, তাই আশা করি আমরা সক্ষম���



পয়েন্ট ৪ ;;;;;;

ভরণ পোষণ,,, এটাও কঠিন কিছু না,,,,,, বিয়ের সময় স্বামীর ওপর স্ত্রীর যে হক গুলো থাকে, তা হলো স্বামী যা খাবে স্ত্রীকেও তাই খাওয়াবে,, স্বামী যে মানের পোষাক পড়বে স্ত্রীকেও সে মানের পোষাক পড়াবে,,,,,,,,, তো কথা হলো আপনি আমি প্রতিদিন পেট ভরে খাবার খাই, কেউ না খেয়ে থাকি না,,,, এমনকি অধিকাংশ সময় খাবার বেচে যায়,,,তাই আপনার সাথে আরো একজন যোগ হলে তেমন কোন অসুবিধা হবে না আশা করি,,,,,,,,,, আর নিতান্তই যদি অসুবিধা হয় স্ত্রীর জন্য খাবার যোগাতে, তবে আপনার খাবার না হয় দুজনে ভাগ করে খাবেন,,,,,,,,,,,আর রিজিকের মালিক তো আল্লাহ,,,,,এবং যার যার রিজিক সাথে নিয়েই সে জন্মায়,,,, তাই অন্যের রিজিক নিয়ে আপনার চিন্তার কোন কারণ নাই,,,,,,,,,

এবার পোষাক : আপনি নিশ্চয় এখন পোষাক পড়ে আছে,, অনেকের তো দামি দামি ব্যান্ডের পোষাক,,,, আলমারি ভর্তি পোষাক,,,,,,, অনেক অতিরিক্ত পোষাক,,, ,, অথচ যে সাহাবীরা বিয়ে করতো, তাদের অনেকের একদুটোর পোষাক ছিলো না,,,, এমনকি আমরা তো একটা ঘটনাও জানি যে, এক সাহাবীর তার ও তার স্ত্রীর দুজনের মিলে একটা মাত্র পোষাক ছিলো,,, যখন স্বামী সলাত আদায়ে বাইরে যেতো তখন স্ত্রী পোষাক খুলে স্বামীকে দিতো এবং স্ত্রী কুয়ার মধ্যে নেমে থাকতো,,,,,,, দুজন মিলে এক পোষাক থাকার পরেও কিন্তু তিনি স্ত্রীকে ছেড়ে দেননি বা বিয়ে না করে থাকেননি,,,,,,,,,, আর আপনার আমার তো অনেক পোষাক,,,,,,, আর পর্দানশিন স্ত্রীর পর্দার জন্য আহামোরি পোষাকের প্রয়োজন হয় না,,,, তাই সহজেই ব্যবস্থা করতে পারবেন,,,,,,,, আর না পারলে আমাদের গ্রুপের ভাইদের বলেন,,,,, আশা করি আপনাদের অনেক পোষাক গিফ্ট দেওয়া যাবে,,,,,,,,,,,,,, তাই বোঝা গেলো এটাতেও আমরা সক্ষম,,,,,, ����



তাই আর অবহেলা করে দেড়ি কেন,,, এখনই দৌড়ে যেয়ে ইমানী তেজ নিয়ে বাবা মাকে বলে ফেলুন বিয়ে করতে চাই এবং আমি বিয়ে করবো, করবোই করবো,,,, আমি সক্ষম,,, আমি সক্ষম,, ,,,,,,,,



তবে যারা কাপুরুষ সক্ষমতা থাকার পরেও চোখ বন্ধ করে মোটকা মেরে বসে থাকে,,,, দিনরাত পর্ন নষ্ট গল্প, হস্তমৈথুন, অবৈধ প্রেম করে সময় কাটাতে চায়, তাদের কথা ভিন্ন,,,,, এরা বাবা মাকে বলতে পারে না,,, কারণ এরা কাপুরুষ,,, এদের ইমানী তেজ নাই,,,, হারাম ত্যাগে হালাল গ্রহণে এদের আগ্রহ নাই,,, তাই এদের বিয়েও নাই,,,, এরা কাপুরুষ, অক্ষম,,,,,,,,, ঐ কাপুরুষ, হ্যা,, তোকেই বলছি,, তোকেই লজ্জা নাই তোর ১৮/১৯ বছর বয়স হলো তাও তুই বিয়ের জন্য সক্ষম হলি না!!!!! অথচ আমাদের পূর্ববর্তীরা যারা ছিলো পূরুষ তারা ১৫/১৬ বছরে বিয়ে করে ১৭ বছর বয়সে রাজ্য জয় করতো,,,,,,, কাফের বর্বরদের থেকে ফিলিস্তিন কে মুক্ত করতো,,,,,,,,, নাম শুনিসনি সেই পুরুষের??? সালাউদ্দিন আয়ূবী,,, যিনি ১৫ বয়সে বিয়ে করে ১৭ বছর বয়সে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করেছিলো,,,,,,,,

আর তোরা নিজেদের পুরুষই প্রমান করতে পারলি না,,,,,,, তোদের বয়স ২৪/২৫,,, ৩০/৩২ হয়ে যায়,,, তারপরও নাকি তোদের বিয়ে করার সক্ষমতাই অর্জন হয় না,,,,,, তোরাই যুগের কাপুরুষ,,, তোদের উচিৎ হাতে চুড়ি পড়ে ঘরে বসে থাকা বরং তার চেয়ে উত্তম তোদের মাটির নিচে (কবরে) থাকা,,,,,,, কাপুরুষরা দুনিয়ার বুকে থাকতে পারে না,,,,,,, তোরা নিজেদের দ্বীনদার দাবি করিস,, সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চাস,,,, অথচ তোরা ২৪/২৫ হওয়ার পরও নিজেদের অক্ষম মনে করিস,,,,,,, বাবা মাকে বলতে পারিস না,,,,,, ধিক্কার হে কাপুরুষ,,,,,,,,, ধিক্কার.......























(১০) মানুষ জ্ঞানগম্যিতে যত বড় হয়, তার কথা ততই কমতে থাকে। মানুষেরই যদি এ-অবস্থা হয়, আল্লাহ তাআলার কথা কেমন হবে? বিয়েশাদি বিষয়ক আয়াতগুলোর দিকে তাকালেই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যায়। মাত্র তিনটা শব্দে কুরআন কারীম পুরো দাম্পত্য জীবনকে তুলে ধরেছে। কয়েকটা আয়াতের ভাব-তরজমা দেখি:

১: তিনিই পানি দ্বারা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর তাকে বংশগত ও বৈবাহিক আত্মীয়তা দান করেছেন (ফুরকান: ৫৪)।

.

২: আল্লাহ তিনি, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন। এবং তার থেকে তার স্ত্রীকে বানিয়েছেন। যাতে সে তার কাছে এসে শান্তি লাভ করতে পারে (আরাফ: ১৮৯)।

.

৩: নারীদের মধ্য থেকে যাকে তোমাদের পছন্দ হয় বিবাহ করো (নিসা: ৩)।

.

৪: তারা তোমাদের জন্যে পোশাক এবং তোমরাও তাদের জন্যে পোশাক (বাকারা: ১৮৭)।

.

৫: তার এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদেরই মধ্য হতে স্ত্রী সৃষ্টি করেছেন। যাতে তোমরা তাদের কাছে গিয়ে শান্তি লাভ করো এবং তিনি তোমাদের পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয়ই এর মধ্যে নিদর্শন আছে, সেইসব লোকের জন্যে যারা চিন্তাভাবনা করে (রূম: ২১)।

.

৬: আর স্ত্রীদেরও ন্যায়সঙ্গত অধিকার রয়েছে যেমন তাদের প্রতি স্বামীদেরও অধিকার রয়েছে (বাকারা: ২২৮)।

.

৭: পুরুষ নারীদের অভিভাবক। যেহেতু আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। এবং যেহেতু পুরুষগণ নিজেদের অর্থসম্পদ ব্যয় করে (নিসা: ৩৪)।

.

আয়াতগুলো তিলাওয়াত করলে, অনেক অনেক দিক ধরা পড়া। তাফসীরের কিতাবগুলোতেও দীর্ঘ দীর্ঘ আলোচনার অবতারণা করা হয়েছে। চমৎকার সব দিক উঠে এসেছে! আমরা শুধু শিরোণামের তিনটা শব্দ সম্পর্কে সংক্ষেপে বলছি:

(এক) বিয়েশাদি আল্লাহর অপূর্ব এক নিদর্শন। আয়াত। তুচ্ছ কোনও বিষয় আল্লাহর নিদর্শন হতে পারে না।

(দুই) বিয়েটা স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের জন্যেই শান্তি ও প্রশান্তির। সাকান (سكن)সান্ত¦না। প্রবোধ। নিরাপদ আশ্রয়। নির্ভরতা। যাবতীয় অস্থিরতা দূর।

(তিন) বিয়ে দুটি মানুষের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টির মাধ্যম। মাওয়াদ্দাহ (مودة) সৌহার্দের উৎস। মাওয়াদ্দাহ মানে, কাঙ্খিত বস্তু পাওযার প্রবল তাড়না ও তামান্না। যৌবনে যা হয়ে থাকে, সেটাকে মাওয়াদ্দার ফল বলা যেতে পারে। স্বামী ও স্ত্রী একে অপরকে চুম্বকের মতো আকর্ষণ করতে থাকে! দূরে গেলে কাছে টেনে নিয়ে আসে। অদৃশ্য এক সম্মোহনী শক্তি দুজনকে বেঁধে রাখে। অদেখা এক বাঁধন দুজনকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রাখে। যৌবনের সম্পর্ক বোঝানোর জন্যে মাওয়াদ্দাহ ব্যবহার করা হয়েছে।

(চার) বিয়ের প্রথম দিকে পরস্পরের প্রতি জৈবিক আকর্ষণ থাকলেও, শেষ বয়েসে এসে এই তাড়না থাকে না। তখন দুজনের মধ্যে জন্ম নেয় এক ধরনের নির্ভরতা। না বলা এক অনুরাগ। রহমত (رحمة)দয়া। অচ্ছেদ্য এক বাঁধন! বার্ধক্যের সম্পর্ককে বোঝানোর জন্যে রহমত ব্যবহার করা হয়েছে।

































(১১) ধার্মিক এক যুবক, দ্বীনদার এক বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন কিন্তু মেয়ের বাবা প্রস্তাব মেনে নেন নি, কারণ ছেলেটা ছিল গরীব।



কিছুদিন পরে আরেকজন যুবক বিয়ের প্রস্তাব দেয়। যদিও সে ধনী ছিল, কিন্তু তার পাপের কথা লোকদের অজানা ছিল না। অথচ মেয়ের বাবা ছেলে ধনী বলেই প্রস্তাবটি সাথে সাথে মেনে নেন।



মেয়ে বিয়েতে অমত পোষণ করলে বাবা তাকে বার বার বোঝাতে লাগলেন। বললেন, “ দেখ, আল্লাহই তাকে হেদায়েত দিবেন।



একথা শুনে মেয়েটি বলল , “যিনি হেদায়েত দানের মালিক, তিনি কি রিযিক দানের মালিকও নন ?



- শায়খ আল মুনাজ্জিদ














(১২) আমাদের সমাজ(পরিবার) গুলো ভাবে আমাদের ছেলেকে বিয়ে করালে বউ খাবে কোথা থেকে??

.

এখন ইনকাম ১০ টাকা যা দিয়ে বর্তমানে সংসার চলতেই টানাপোড় লেগে যায়, তার উপর পরিবারে আরেক সদস্য যোগ হওয়া।একে বলে "পুরাতন পাগলের ভাত নাই নতুন পাগলের আমদানি!"

.

.

.

.

.

.

.

.

.

অথচ, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা"আলার ওয়াদা হল•••••••••••••



তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।

(সূরা আন-নূরঃ৩২)

.

.

.

.

.

.

.

.

মহান আল্লাহ দ্বীনকে সহজ করে দিয়েছেন, আর তথাকথিত জাহিল সমাজ দ্বীনি সব কাজকে করেছে কঠিন,

.

আর হারাম কাজকে করেছে সহজ থেকে আরও সহজ!

.

আর স্বাধারন মোসলিম এসব ফাধে পা দিয়ে নিজের মহামুল্যবান সম্পদ (ঈমান)কে সস্তা দামে বিক্রি করে দিতেছে!

.


























(১৩) রাসূল সা. বলেন, "যখন কোন ব্যক্তি বিবাহ করল, তখন সে

দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করল, বাকী অর্ধাংশে সে যেন

আল্লাহকে ভয় করে।" (১)

মানুষ দ্বীনের ক্ষেত্রে ফিৎনায় পতিত হয় মূলতঃ

লজ্জাস্থান ও পেটের কারণে। বিবাহের মাধ্যমে তার

একটা নিয়ন্ত্রিত হয়। কেননা এর দ্বারা শয়তান থেকে

নিরাপদে থাকা যায়, কামনা-বাসনা ও প্রবৃত্তিকে দমন

করা যায়, দৃষ্টি অবনমিত হয় এবং লজ্জাস্থান হেফাযত

করা যায়। (২) # যাদের_সামর্থ_আছে_দ্রুত_বিবাহ_

ন্ধনে_আবদ্ধ_হোন !

বিয়ের বয়স:---

রসুল(স) বলেন, "যদি তোমাদের কাছে এমন কোন

ছেলে বিয়ের পয়গাম দেয়, যার দ্বীনদারী এবং

সৎচরিত্রতার ব্যাপারে তোমরা সন্তুষ্ট, তখন ঐ ছেলের

সাথে তোমাদের মেয়েকে বিয়ে দাও। যদি না দাও,

তাহলে পৃথিবীতে ফিৎনা ও বড় ধরণের ফ্যাসাদ সৃষ্টি

হবে।"(তিরমিঝি, মিশকাত:৩০৯০)।

"বয়সে যারা নবীন তাদেরক তাদেরই মতন নবীনদের

বিয়ে করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে,

বর্তমান মুসলিম বিশ্বে সন্তানদেরকে বলা হয় তাদের

পড়াশোনা আগে শেষ করতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের

ডিগ্রি,অন্যান্য ডিগ্রি ইত্যাদি শেষ করে, তারপর বিয়ে

করতে। এই কারণে অনেক সন্তানকে তাদের জীবনের

সবচাইতে কঠিন সময়টা অবিবাহিত অবস্থায় পার করতে

হয়। যখন তারা ত্রিশের কাছাকাছি পৌছে,তখন তারা

বিয়ে করে! তাহলে ১৩-থেকে ৩০-বছরের এই প্রায় বিশটি

বছর কী ঘটে? কী হয় তাদের জীবনে? আর এই ভুলের জন্য

দায়ী কে? প্রাথমিক ভাবে, এটা বাবা-মায়ের দোষ!

যখন সন্তানরা বয়ঃসন্ধিতে পৌছে যায় এবং শারীরিক

ভাবে সাবালক হয়, তখন তাদের সকল কাজের দায়ভার

অবশ্যই তারাই বহণ করে; কিন্তু বাবা-মায়েরাও তাদের

এই বিশাল পাপের ভাগীদার হয়,তাদেরকে এই অবস্থাটি

থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য

না করার জন্য।"

জনৈক ভাই বলেন ...!

একজন অশিক্ষিত লোক ১৮তে বিয়ে করে, উনিশে

বাবা হয়, চল্লিশে দাদা হয়, ষাটে হয় পরদাদা, আশি

পর্যন্ত গেলে মহাদাদাও হয়ে যেতে পারে।

আর শিক্ষিত লোক আজকাল বিয়েই করে পয়ত্রিশে,

বাপ হয় চল্লিশে, আর তার পোলাপান যখন স্কুলে ঢোকে

তখন হঠাৎ একদিন ফট করে হৃদরোগে মারা যায়। তো, এত

শিক্ষিত হয়ে লাভটা কী হইলো?

১৮ বা ২১ বছর পর্যন্ত বিবাহ বন্ধ করা রাখা মানেই,

মানুষকে যিনার দরজা খুলে দেওয়া....... এবং তা

শরীয়ত পরিপন্থী ও ।

তথ্যসূত্রঃ (১) বায়হাক্বী, মিশকাত হাদিস: ৩০৯৬;

ছহীহুল জামেহাদিস নং- ৪৩০, ৬১৪৮। (তাহক্বিকঃ সনদ হাসান)

































(১৪) বিয়ের সঠিক বয়স

বিয়ের বয়স নিয়ে অনেকের অনেক মন্তব্য; এই বিষয়টায় একেক লোকের একেক গন্তব্য। কেউ বলে বিয়ের সঠিক সময় অল্প বয়সে আবার কেউ বলে বুড়ো হলে বা মূল যৌবন চলে গেলে। এই বিষয়টাতেও মুমিন, কাফির, মুশরিক ও মোডারেট একেকজনের একেক মত; সবার ভিন্ন-ভিন্ন পথ এবং বিচ্ছিন্ন মত। আমরা মুসলিম, আমাদের প্রয়োজন ঈমান, আল্লাহ্‌ আমাদের ভরসা রাসুল আমাদের দিকনির্দেশক তাই আমাদের একটাই মত ও পথ তা হলো, শরিয়ত।

ইসলামে বিয়ের বয়স ১৮/২৬ বা ২৮ নয় যখন যুবক-যুবতী বালেগ/বালেগা বা প্রাপ্তবয়স্ক হয় সেদিন থেকেই তার বিয়ের সঠিক সময়। বর্তমানে একজন মেয়ের বেশির থেকে বেশি ১৩ আর যুবকের উর্ধ্বে ১৫বছর বয়সে বালেগ হয় যদিও আমাদের দেশে ১৮-র আগে বিয়ে করা অপরাধের বিষয়।

আল্লাহ্‌ তায়ালা তরুণ বয়সে বিয়ের প্রতি ঝুঁক রেখেছে তাই সঠিক সময়ে বিয়ে করলে অন্তরে প্রশান্তি পাবে এবং দীলের সব অশান্তি স্ত্রীর মাধ্যমে দূর হবে। যুবক হয়ে তার বিয়ে করা কতটা প্রয়োজন তা দেখার জন্য পাশ্চাত্যমুখী এই সমাজের অবস্থা দেখলেই বুঝে আসবে; কারণ এই বিয়ের কারণেই যে, সবদিকে জিনা, জুলুম, ধর্ষণ ও নির্যাতন তা অস্বীকার করা যে অসম্ভব।পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানী ও দার্শনিকরাও স্বীকার করে যে, বালেগ হয়ে গেলে তার জীবনসঙ্গিনী যা তাদের চোখে গার্লফ্রেন্ড তা খুব প্রয়োজন তবে বিয়েটা তাদের চোখে সেকেলে তাই তা থেকে দূরে সরানোর জন্যই অল্প বয়সে বিয়ে করার হাস্যমর অপকারীতা বর্ণনা করা আর কয়েক ডজন গার্লফ্রেন্ডের দিকে তরুণদের ঝুঁকিয়ে রাখতে তাদের শতশত আয়োজন; দুঃখের বিষয় অনেক মুসলিম ভাই কাফিরদের মত অনুযায়ী বিয়ে থেকে নিজে দূরে সরে এবং অন্যকেও উপদেশ দিয়ে দূরে সরিয়ে দীনি পথ থেকে নিজেদের করে ফেলে বিয়োজন।

সমাজের এই অবস্থা এমন অশ্লীলতা ও অসভ্যতার ছোঁয়া সবকিছুর কারণ তরুণ-তরুণীদের বিয়ে না দিয়ে দু'একটা উপদেশ বাক্য শুনিয়ে গোনাহের দিকে ঠেলে দেয়া। এই সমাজের অনেকেই তাসাউফ বা তাজকিয়াতুন নফস এর কথা বলে যুবকদের বিয়ে থেকে দূরে ঠেলে দেয়ার জন্য উপদেশ আওড়ায়। তারা হলো ওই বিচারক যে ফাঁসির বিধান দিয়ে খাতার কোনায় একটা সাইন মেরে নিজ আসন থেকে নেমে সুখে শান্তিতে দিন কাটায় কিন্তু যে লোককে ফাঁসির কাষ্ঠে নিয়ে যাওয়া হয় সেই বুঝে ঝুলে মৃত্যু বরণ করা কত কষ্টের বিষয়। তাই কথায়-কথায় যুবকদের নীতি-নৈতিকতার উপদেশ না দিয়ে উপদেশ দেয়ার আগে যুবসমাজে নামুন, দেখুন তারপর বুঝুন আপনার এসব উপদেশ বা নীতিবাক্য কিংবা দীনের আলোকে তাসাউফী বয়ান তার বাস্তবতার কতটা বিপরীত।



ক্ষুধা লাগলে বয়ান করে ক্ষুধার্তের মনের অশান্তি দূর করে অন্তরের প্রশান্তি দেয়া কি সম্ভব? না। তেমনি একটা সুস্থ যুবককে দুইএকটা উপদেশ শুনিয়ে বর্তমান সময়ের এত-এত গোনাহের রাস্তা থেকে বিমুখ রাখাও অসম্ভব। তবে হ্যা! এটা অস্বীকার করাও সম্ভব নয় যে আল্লাহ্‌ তায়ালা কাউকে কন্ট্রোল শক্তি দেননি বা কোনো যুবক-যুবতীকে অসুস্থ বা ধ্বজভঙ্গ সৃষ্টি করেননি। অসুস্থ ও গোনাহ থেকে বিমুখ থাকতে পারা ভাইদের কথা ভিন্ন; কথা বলছিলাম যারা রাত জেগে বিছানার পাশে প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরতে হন্নে হয়ে থাকে; যাদের মন ক্ষুধার্ত, দীল অশান্ত, শরিরের চাহিদায় কলব বিভ্রান্ত। যেই যুবকদের প্রয়োজন শারীরিক শান্তি, অন্তরের প্রশান্তি তাদের জন্যই বিয়ে খুব অল্প বয়সেই জরুরি আর যাদের তেমন চাহিদা নেই তারাও হতে পারে নবির সুন্নত আদায়কারী ও ঈমানের অর্ধেক পূর্ণকারী। তাই আসুন, যুবকদের জাহেলিয়াতে উদ্বুদ্ধ করে গোনাহের দিকে দাওয়াত না দিয়ে হারাম থেকে দীনি পথে টানি এবং তাদের উপদেশ দেয়ার আগে বাস্তবতা সম্পর্কে জানি। মনে রাখবেন! কাউকে গোনাহের পথে ছেড়ে দেয়ার কারণে আপনিও কিন্তু একসময় এই আযাবের ভাগিদার হবেন।












(১৫) বিয়েতে কত বরকত,  আমল।নামা কত পরিপূর্ণ হবে দেখে নেয়া যাক



যে ঘরে স্বামী ও স্ত্রী এক সাথে তাহাজ্জুদ এর

নামায পড়বে, সে ঘরে জীবনে কোনো দিন অশান্তি

হবেনা"-- বুখারী ও মুসলিম।

"যে স্বামী তার স্ত্রীকে এক লোকমা ভাত খাইয়ে দিবে,

আল্লাহ ঐ স্বামীর ছগীরা গুনাহগুলো মাফ করে দিবেন এবং যে স্ত্রী তার স্বামীকে এক লোকমা ভাত খাইয়ে দিবে

আল্লাহ ঐ স্ত্রীর ছগীরা গুনাহগুলো মাফ করে দিবেন এবং প্রতি লোকমার বিনিময়ে ১০০০ নেকি উভয়ের আমলনামায় দান করবেন।

-- মুসলিম শরীফ.

যে ঘরে স্বামী ও স্ত্রী একই প্লেটে খাবার খাবে যতক্ষণ খাবার খেতে থাকবে ততক্ষণ তাদের আমলনামায় সওয়াব লিখা হয়।

-- তিরমিজি।

স্বামী ও স্ত্রী যখন একই বিছানায় শয়ন করে বা বসে অথবা

গল্প করে অথবা হাসি খুশি কথা বলে তখন প্রতিটা মিনিটে এবং সামী স্ত্রীর প্রতিটা কথাতে প্রতিটা সেকেন্ডে তাদের আমল নামায় ১০ টা করে

নেকি লিখা হয়।

__আবু দাউদ ( স্বামী স্ত্রী অধ্যায়)

যে স্ত্রী তার স্বামীকে সকালে ঘুম থেকে জাগিয়ে পবিত্র করে ফজরের সালাতে মসজিদে পাঠিয়ে দেয়,

ঐ স্ত্রীর প্রতি স্বামীর অন্তরে আল্লাহর তরফ থেকে ভালোবাসার নুর পয়দা হয়"

--বুখারী শরিফ।

যে স্বামী তার স্ত্রীকে একবার চুমু

দিবে এবং যে স্ত্রী তার স্বামীকে একবার চুমু দিবে,

প্রতিটা চুমুর বিনিময়ে ১০০ টা নেকি তাদের আমলনামায় লিখা হয়।

---মুসনাদে আহমদ (স্বামী স্ত্রী অধ্যায়)

যে স্বামী তার স্ত্রীর নিকট গমন করে

এবং শারীরিক মিলনের আগে ২ রাকাত নামাজ পড়ে নেয় ও রাসুল সঃ এর সুন্নত মতো স্ত্রীর সাথে শারীরিক

মিলন করে তাদের প্রতিবার মিলনে একটি উট কুরবানি করার সওয়াব তাদের উভয়ের আমল নামায়

লিখা হয়।

--বায়হাকী ( স্বামী স্ত্রী ও পারিবারিক অধ্যায়)..

যে স্বামী তার স্ত্রীকে কোরঅানের এলেম শিখাবে এবং নিজেও শিখবে এবং সে অনুযায়ী আমল করবে আল্লাহপাক মৃত্যুর পর তাদেরকে

জান্নাত দান করবেন।

যে সন্তান তার পিতামাতার

ভরণ পোষন করবে বা সেবা করবে এবং নিজ স্ত্রীর ইজ্জতের হেফাজত করবে তাদের জীবনের সমস্ত

গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।

-- মুসলিম শরীফ।

যে স্ত্রী তার স্বামীর অনুমতি ছাড়া সেবা করবে সে স্ত্রীর নিজের শরীরের ওজনের সমান সোনা ছদকা দান করার সওয়াব তার আমল নামায় প্রতিদিন লিখা হয় ৷ আর যে স্বামী তার স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া তার সেবা করবে সে স্বামীর শরীরের ওজনের সমান সোনা দান করার সওয়াব তার আমল নামায় লিখা হয়।

- আবু দাউদ শরীফ

যে স্বামী স্ত্রী উভয়ে একে অপরের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসি দিবে,

তাদের প্রতিটা হাসিতে তাদের আমলনামায় ১০ টা করে

নেকি দেওয়া হয়।

-- আবু দাউদ

যে স্বামী বাহিরে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী ও সন্তানদেরকে সালাম করে বাসা থেকে বের হয় এবং যখন বাহির থেকে এসে আবার সালাম করে অথবা স্বামী বাসায় আসলে বা বাহিরে যাওয়ার

সময় স্ত্রী তার স্বামীকে সালাম করে সে ঘরে কখনো শয়তান প্রবেশ করতে পারেনা এবং সব সময় রহমত ও বরকত নাজিল হতে থাকে,

কখনো ঝগড়া বিবাদ হবে না সে ঘরে।

- আবু দাউদ,তিরমিজি।

যখন কোন পুরুষ বিয়ের সময় তার স্ত্রীকে কালেমা পড়ে কবুল বলে দোয়া করলো তখন সেই সময় হতে মৃত্যু পর্যন্ত তাদের আমলনামায় সওয়াব লিখা হয়।

--মুসলিম।


























(১৬)

যারা পরস্পরকে ভালোবাসে, তাদের জন্য বিয়ের চেয়ে উত্তম আর কিছুই নেই ” [সুনান ইবন মাজাহ]



আর বিশ্বাসী পুরুষ এবং বিশ্বাসী নারীরা হচ্ছে একে অপরের বন্ধু। তারা সৎ কাজের নির্দেশ দেয় এবং অসৎ কাজে নিষেধ করে, আর তারা সালাত প্রতিষ্ঠা করে এবং যাকাত আদায় করে, আর তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আদেশ মেনে চলে। তাদের প্রতি অবশ্যই আল্লাহ করুণা বর্ষণ করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সম্মানিত এবং মহাজ্ঞানী ” [সূরা তাওবা, আয়াত ৭১]





(১৭)যারা ছাত্রবস্থায় বিয়ে করতে চান, তাদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যেঃ

অনেকে ছেলেই আছে যারা শুধু প্রেমভালবাসার টানে নয় বরং ফিতনা এড়াতে কিংবা চরিত্র রক্ষার্থে ছাত্রবস্থায় বিয়ে করতে চান কিন্তু পরিবার সম্মত হয় না।

প্রথমত আমাদের সমাজে ছাত্রবস্থায় বিয়ে করতে চাওয়া টা বিরাট অপরাধ ধরা হয়। এই অসুস্থ্য সমাজে পাত্রীর অভিভাবক স্বাভাবিক ভাবে কখনই একজন ছাত্র জামাই মেনে নিতে চান না, পাত্রীর অভিভাবক তো অনেক পরে, স্বয়ং পাত্রের অভিভাবকই ছাত্রবস্থায় ছেলেকে বিয়ে দিতে কোনভাবেই পছন্দ করেন না।

আফসোসের বিষয়, যেসব অভিভাবকের দ্বীনের বুঝ আছে, তারা সব জানে বুঝে তবুও এই এক জায়গায় আপত্তি- ছেলেকে ছাত্রাবস্থায় বা চাকরি পাবার আর্লি স্টেজে বিয়ে দিবেন না।
.
এই পোস্টে কেবল ছেলের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে একজন সন্তান হয়েই, অন্যান্য সন্তানদের পক্ষ থেকে ছোট মুখে বড় কিছু কথা বলার আছে।

কারন অভিভাবক সাহায্য করলে বিষয়টা অনেক সহজ হয়ে যায়।

.
আপনারাও পড়াশোনা করেছেন, আমাদের বয়স পার করে এসেছেন, দুনিয়াকে আমাদের থেকে বেশী দেখে এসেছেন আমরা স্বীকার করি এবং আপনাদের অভিজ্ঞতাকে সম্মান করি।
এতে কোন সন্দেহ নাই আপনারা সন্তানের জন্য সব থেকে বেস্ট টা চান, সন্তানের ভালোর জন্য নিজেদের জীবনও উতসর্গ করতে পারেন ।

কিন্তু এখনকার দুনিয়া আমরা যেভাবে দেখছি আপনাদের তা কল্পনারও বাইরে।

এখন আমরা রাস্তায় বের হলেই ফিতনা, ভার্সিটি তে গেলে ফিতনা, ইন্টারনেটে ঢুকলে ফিতনা, ফেসবুকে ঢুকলে ফিতনা।

এই অপরাধ গুলো করলে, কেউ সাক্ষী থাকবেনা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া, তাই আল্লাহ এর ভয় না থাকলে এই ফিতনা গুলো এড়িয়ে চলা কঠিন না, জাস্ট অসম্ভব।
.
দৃষ্টি সংযত কতদিকে করব ? ডান দিকের ফিতনা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে বাম দিকে চোখ ঘুরালে বামদিকেও ফিতনা।

জৈবিক চাহিদার ব্যাপারটা তো আছেই, এটা লজ্জার কিছু না স্বয়ং আল্লাহ তায়ালারই তা সৃষ্টি, কিন্তু মানসিক চাহিদা ও আধ্যাত্মিক চাহিদার ব্যাপার গুলোও ব্যাপক।

বিপরীত লিংগের প্রতি মানুষের আকর্ষন স্বভাবজাত, মূলত জন্মজাত। একটা ছেলে তার যাবতীয় কথা কিন্তু অপর একটা ছেলের থেকে একটা মেয়েকে শেয়ার করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং এটা স্বাভাবিক, বৈজ্ঞানিক ভাবেও স্বীকৃত, হরমনাল ব্যাপার।
.
আপনার ছেলে ভার্সিটিতে, রাস্তাঘাটে যথাসাধ্য দৃষ্টিসংযত রাখছে, ইন্টারনেটে ঢুকার সময় "আউজুবিল্লাহি মিনাশ.." পড়ে ঢুকছে, আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করে এত ভদ্র জীবন যাপন করছে, তাকে কী বিয়ের ব্যাপারে সহযোগিতা করে পথ সহজ করে দেওয়া আপনাদের উচিত নয় ?

অনেক সময় যে বিয়ের প্রয়োজন বোধ করলেও বলতে লজ্জা বোধ করে, আপনাদেরই উচিত তাকে জিজ্ঞাসা করে ব্যাপারটায় সহজ করে দেওয়া, তা না করলে অন্তত সে নিজে থেকে বলার পর সহজ করে দিন।

যে ব্যাক্তি চরিত্র রক্ষার্থে বিয়ে করতে চান, স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা তাকে রিজিক সহ যাবতীয় ব্যাপারে সাহায্য করার ওয়াদা দিচ্ছেন, তাহলে অভিভাবক হয়ে কেন সাহায্যের ওয়াদা দিতে পারেন না ? আল্লাহ তায়ালা র ওয়াদা কি যথেষ্ট নয় ?
.
আপনি বলতে চাচ্ছেন,চাকরি বাকরি কিছু একটা হোক। তারপর বিয়ে।

ওকে ফাইন, কিন্তু লজিক কী ? যদি ছেলে বউ এর খাওয়া দাওয়াটাই একমাত্র ফ্যাক্ট হয়, তাহলে আপনারা অবশ্যই স্বীকার করবেন বাড়ির ৩/৪ জন সদস্যের রান্না করা খাবারে আর একজন এক্সট্রা থাকলে আনায়াসে হয়ে যায়।

আর তাও যদি আপত্তি থাকে তাহলে নাহয় আপনার ছেলের খাবারের অংশ টুকু সে আর তার বউ ভাগা ভাগি করে খাবে ইনশাআল্লাহ। ছেলেবউ থাকবে স্বামীর ঘরেই, ঘুমোবে স্বামীর বিছানাতেই। কসমেটিক বা প্রাসংগিক কিছু খরচ তো আপনার মেয়ে থাকলে আপনিই করতেনই যথাসাধ্য।

আর আপনাকে তো সারাজীবন ছেলে বউ এর দায়িত্ব নিতে বলা হচ্ছেনা, কয়েকটা বছর, বড়জোর ২-৩ বছর। আল্লাহ এর সন্তুষ্টি এবং ছেলের ভালোর জন্য এটা কি খুব কষ্টসাধ্য ?

.
যদি খাওয়া দাওয়া ফ্যাক্ট না হয়, ভাবেন যে ছেলের ক্যারিয়ারে এটা প্রতিবন্ধক, তাহলে জেনে রাখুন বিয়েটা ক্যারিয়ারে কোন প্রতিবন্ধক না। বরং সাপোর্টিভ। ছেলের শিক্ষাঙ্গনের উন্মুক্ত পরিবেশ, অবৈধ রিলেশনশিপের ব্যাপকতা ,অশ্লীলতা-বেহায়াপনা এগুলোই বরং ক্যারিয়ারের জন্য প্রতিবন্ধক, বিপজ্জনকও বটে।

ছাত্রবস্থায় বিয়ে করে ভালবাসার প্রিয় মানুষটি (স্ত্রী,বউ,জীবনসঙ্গিনী) আপনার সন্তানের কাছে থেকে ক্যারিয়ারের ব্যাপারে যখন উতসাহ দিবে, তখন সে পাবে একমুঠো পবিত্র ভালবাসার হৃদয়স্পর্শী উতসাহ, আর দায়িত্বশীলতা যখন ঘাড়ে চলে আসবে সে নিজে নিজেই ক্যারিয়ার গঠনে আরো উঠে পড়ে চেষ্টা করবে।

বিয়ে করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোটা কোন প্রতিবন্ধকতাই নয়। বরং ভাল ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের বিশ্বস্ত সহযোগী।

.
হয়ত ভার্সিটি লাইফ শেষে এখন থেকে ২/৩ বছর পরে আপনার ছেলে বিয়ের সামর্থ্য লাভ করবে, কিন্তু এখন যদি আপনারা সাহায্য করেন তাহলে এই নশ্বর জীবনে কিন্তু তার মহামুল্যবান ২-৩ বছর নষ্ট হবে না, তার দ্বীনও অর্ধেক পূরন হবে, সে আপনাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ থাকবে। পরবর্তীতে তার সন্তান লাভ, আপনাদের দাদা দাদী হওয়া, নাতিপুতিদেরও বিয়ে শাদী ইত্যাদি সব বিষয় গুলোই ২-৩ বছর এগিয়ে গেল ইনশাআল্লাহ।
.
আর যেখানে রিজিকের ব্যাপারে আল্লাহ ওয়াদা দিয়েছেন তবুও আপনাদের মন খুত খুত করে, সেক্ষেত্রে আরেকটা আইডিয়া আছে, বিয়ের পর ছেলে থাকল তার জায়গায়, বউ তার জায়গায়। দুইজনই আগের মত যেমন নিজের বাপের টাকায় চলছিল চলুক।

বউ তার বাপের বাড়িতে কিংবা তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।দুজনেই ব্যস্ত পড়ালেখা নিয়ে।

এইদিকে নিজেদের মাঝে চ্যাটিং,ফোনালাপ,পারস্পারিক যোগাযোগ,খোঁজ খবর রাখা, উভয়ে উভয়ের পরিবারের সাথে কানেক্টিং থাকা, বিভিন্ন বন্ধে দেখা সাক্ষাৎ করা,এক সাথে ভ্রমণ, খাওয়া-দাওয়া করা,উপহার দেয়া,উদ্দীপনামূলক প্রতিযোগিতা,ঈদে বাসায় নিয়ে আসা,তার বাড়ীতে যাওয়া,সৎ পরামর্শ দেয়া, সুখ-দুঃখে অংশীদার হওয়া ইত্যাদি চলল লেখাপড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত।

তবে হ্যাঁ এই রকম সিদ্ধান্তে ছেলে-মেয়েকে অবশ্যই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, সেক্রিফাইসের মনোভাব ও অত্যধিক উচ্চাবিলাসী মনোভাব পরিহার করতে হবে দুই পরিবারেরই।

//

আর যদি এইসব কিছু্র কোনটাই কারন না হয়, নিছক সামাজিকতা রক্ষার দায় কিংবা মানুষ কী ভাববে সেটাি কারণ হয় , তাহলে প্রস্তুত থাকুন, আপনার সন্তান ফিতনায় পড়ুক, খারাপ কাজ করুক, অবৈধ যেকোন উপায়ে নিজের প্রয়োজন মেটাক, বা আপনাদের উপর তার মনে বিষন্নতা তৈরী হোক, আপনাদের ছেড়ে চলে যাক সে তো পাক্কা গুনাহগার হবে তবে এই গুনাহের শুরু করে দেওয়ার জন্য একটা অংশ নিতে আপনারাও প্রস্তুত থাকুন।

সে নিজেও জাহান্নামে তার জায়গা বানাবে আর আপনাদেরও টেনে নিয়ে যাবে।
.
তারপর আল্লাহ যেদিন আপনাদের পাকড়াও করবেন, প্রশ্ন করবেন, কিংবা ইহকালেই সন্তান রিলেটেড বড় কোন বিপদের সম্মুখীন হবেন, তখন আপনার কোন সমাজ আপনাকে রক্ষা করবে ? আপনার হয়ে আল্লাহ তায়ালা কে উত্তর দেবার সাহস করবে ?

বিয়ের কথা বলার নির্লজ্জ্ব ভঙ্গিটা পাপ না,কিন্তু নির্লজ্জ্ব পথ তৈরি করে দেয়া,ঐ পথে হাটতে দেয়াটা পাপের।

"জন্ম -> মানুষ কী ভাববে -> মৃত্যু " এইভাবেই জীবনটা পার করে দিয়েন না । আল্লাহ বুঝার তৌফিক দিন।



























(১৮)
যে সমাজে বিয়ে কঠিন,সেই সমাজে এক্সট্রা ম্যারিটাল রিলেশন তত সহজ এবং ব্যাপক ।

নবী(সাঃ) এর যুগে, সাহাবাদের মত বিয়েটা যদি সহজ হত তাহলে অন্তত মুসলমানের ছেলেমেয়েদের টাইমলাইনে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসে "it's complicated" বা "in a relationship" অহরহ থাকত না।
.
রাসুল (সাঃ) এর একটা হাদীস আছে ,
"তোমরা বিবাহ কে সহজসাধ্য করো যাতে যিনা কঠিন হয়ে যায়"

আর এখন তো যিনা যতই সহজ হয়ত পাচশ টাকায় করা যায়, আর বিয়ে তরই কঠিন। দশ/পনের লক্ষ টাকা লাগে। বয়স লাগে, তাও প্রাপ্ত বয়স্ক হলেই হয়না,
অভিভাকের মতানুযায়ী পূর্ন বয়স্ক হওয়া লাগে।

.
সাহাবাদের জীবনে বিয়ে এমন আহামরি কোন বিশেষ কিছু ছিল না, বরং এটা ছিল একটা বরকতময় আমল এবং তার চেয়েও বড় বিষয়-ফিতনা থেকে বাঁচার পন্থা। এবং খরচ বলতে মোহর আর ছেলেপক্ষের অলিমা। মেয়ের খরচ শূন্য, যেখানে বর্তমানে মেয়ের বিয়ে মানেই খরচের পাহাড়।

বিবাহপূর্বক প্রেম ভালোবাসা ইত্যাদি হারাম সম্পর্ক সৃষ্টিতে সমাজ তো বটেই আর অভিভাবকরাও অনেকাংশেই দায়ী, মুলতঃ ছেলেদের ক্ষেত্রে অভিভাবক দায়ী আর মেয়েদের ক্ষেত্রে সমাজ দায়ী।
শো-অফের ব্যাপার জেকে বসেছে।
.
বউ কে কি খাওয়াবি ? কোথায় রাখবি ?”- ছেলেদের প্রতি বাবা-মা এর কমন প্রশ্ন। অথচ সংসারে বাড়তি একজনের খাওয়া সবার মধ্যে আনায়াসেই হয়ে যায়। আর থাকবে স্বামীর সাথেই।

টাকা পয়সা যোগার না করলে ভালো পাত্র পাবো কি করে ? - মেয়েদের প্রতি কমন প্রশ্ন। অথচ সত্যকার ভাল পাত্র, দ্বীনি পাত্র কেবল দ্বীনদারিতা দেখেই মেয়ে বিয়ে করে।
.
রিযিকের মালিক আল্লাহ। আর বরকতের কাজে তিনি রহমত ঢেলে দেন। সদিচ্ছা, সৎ নিয়ত থাকলেই সব কিছুর সমাধান থাকে।

আমাদের অভিভাবক সমাজ এর মেজর পরশন ই অল্প বয়সে ছেলে বিয়ে করতে চাইলে ভাবেন ছেলে নষ্ট হয়ে গিয়েছে আর পাত্রী সমাজের অভিভাবকও মেয়ের বিয়ে তো দেয়না, তাদের মনোভাব এমন যেন অর্থ দিয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত জামাই কিনতে চাই !
.
হাদীস মোতাবেক, পৃথিবীর নাকি সব হত্যাকারীদের পাপের একটা অংশ হযরত আদম (আঃ) এর পুত্র কাবীলের উপর বর্তাবে,কারন পৃথিবীর বুকে সে সর্বপ্রথম হত্যাযজ্ঞের সুচনা করেছিল, তাহলে

সন্তানদেরকে বৈধ ব্যাপারে জলদি অনুমোদন না দিয়ে এবং সাহায্য না করে, পরোক্ষভাবে প্রেমের সুযোগ করে দেওয়াই সন্তানরা যে গুনাহগার হচ্ছে, তাদের মধ্যে অশ্লীলতা প্রসার লাভ করছে, তারা তো অবশ্যই গুনাহগার কিন্তু এই গুনাহ এর একটা অংশ অবশ্যই অভিভাবকের উপরও বর্তাবে।

গুনাহ এর একাংশ এবং ফিতনা সৃষ্টিতে সহয়তার দায় অভিভাবক সমাজ নিতে প্রস্তুত আছেন তো ?


























(১৯)
উঠতি বয়সে প্রায় সব মেয়েদেরই প্রচন্ড বিয়ের মোহ থাকে । সারাক্ষন দুচোখ দিয়ে চারপাশে শুধু সুন্দর ছেলে খুঁজে বেড়ায় । এ বয়সে মেয়েরা প্রেমে পড়লেই বিয়ের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে । এমন কি পালিয়ে বিয়ে করতেও এক পায়ে প্রস্তুত থাকে তারা ।

কিন্তু যদি না কারো সাথে দীর্ঘ ও গভীর কোন এফেয়ার থাকে, বয়স বাড়লে, শিক্ষিত হলে, বিয়ের প্রতি তাদের অধিকাংশেরই একটা অনীহা জন্ম নেয় । বাবা মা তাদের জন্য বিয়ের সম্বন্ধ আনলে তারা প্রতিবাদে নাকের জল চোখের জল এক করে ছাড়ে । জগতটাকে দেখবার, বয়সটাকে উপভোগ করবার, অভিজ্ঞতাটাকে সমৃদ্ধ করবার, পড়ালেখা করে ক্যারিয়ার গড়বার এক দুরন্ত জেদ চেপে বসে তাদের মনে । সে সময়ে অনেক ছেলেকে ভালো লাগলেও পছন্দ করবার মতো যোগ্য ছেলেটিকে তারা তখন আর খুঁজে পায় না কিংবা খোঁজার গরজও বোধ করে না ।

ইয়্যূনিভার্সিটি পাশ করতে করতে বয়স পঁচিশ ছাব্বিশ পার হয় । বিসিএস কিংবা অন্য কোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পুরুষদের পাশাপাশি যোগ্যতার প্রমান দেয়ার প্রচন্ড নেশা চাপে তাদের । সে পরীক্ষায় অনেকে সাফল্যও পায় । তারপর চলে নিজের পায়ে দাঁড়াবার, স্বাবলম্বী হবার সংগ্রাম, নিজেকে গুছিয়ে নেয়ার সংগ্রাম ।

কিন্তু ততদিনে পদ্মা মেঘনা যমুনার জল গড়িয়ে যায় অনেক । মেঘে মেঘে হয়ে যায় অনেক বেলা । খরচ হয়ে যায় আয়ুর সোনালী অধ্যায় ।

বিয়ের বাজারে নিজের চাইতে যোগ্য ছেলে খুঁজে পাওয়া তখন দুস্কর হয়ে দাঁড়ায় তাদের জন্য । প্রচন্ড মেধাবী যে মেয়েটি অনার্স মাস্টার্স পাশ করে এমফিলও শেষ করে ফেলে, কিংবা হয়ে যায় বিসিএস ক্যাডার, বিয়ের বাজারে তারচে অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন পাত্রের খোঁজ করতে গিয়ে এক বিশাল ধাক্কা খায় সেতিরিশ প্লাস যোগ্য পাত্রগুলি তার তিরিশ প্লাস বয়সটার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নেয় । পাত্রের স্বজনরা তাকে আধুনিক হৈমন্তীর মর্যাদা দিয়ে বসে ।

একুশ বাইশ বয়সের যুবতীর বর্ণিল স্বপ্নগুলি তিরিশ পেরিয়ে বিবর্ণ হয়ে পড়ে । তার একদা উপচে পড়া চকচকে যৌবনের কোথাও কোথাও গোপন মরচে পড়ে । তার বিশাল আর আলো ঝলমলে পৃথিবীতে রাত নামতে থাকে । পুরুষতান্ত্রিক এই পৃথিবীতে একটা নিরাপদ আশ্রয় আর অবলম্বন ছাড়া যে সে ভীষন অসহায় এতদিন পর এই নির্মম সত্য অনুধাবন করে সে কাঁপতে থাকে ভয়ে আর অনিশ্চয়তায় । স্বামী সন্তান নিয়ে একটা ছোট্ট সংসারের জন্য সে সারা জীবনের কষ্টার্জিত সকল ডিগ্রী ও যোগ্যতা বিসর্জন দিতেও প্রস্তুত হয়ে পড়ে ।

পাত্রী খোঁজার সময় আমি নিজে এ ধরনের দুর্ভাগা কিছু নারীর দেখা পেয়েছি । এমনই আরো কিছু দুঃখজনক ঘটনা উঠে এসেছে আমার পরিচিত এক ফেইসবুক ফ্রেন্ডের নীচের স্ট্যাটাস থেকে ।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
০১- ফ্রেন্ড লিস্টের একজন নারী বিসিএস কর্মকর্তা আছেন যিনি ৩৪ বছর বয়সে এসে 'যোগ্য' পাত্র খোজা বন্ধ করে এখন 'মোটামুটি' মার্কা পাত্র খুঁজছেন।

০২- ফ্রেন্ড লিস্টের একজনের বড় বোন ডাক্তার। ৬ বছর ধরে 'যোগ্য' পাত্র খুজতে খুজতে তিনি নিজেই অযোগ্য হবার যোগাড় হয়েছেন। বয়স ৩৫ চলছে। ওনার পরিবারের প্রথম টার্গেট ছিল ডাক্তার পাত্র ছাড়া বিয়ে করবে না। ২৯ বছর বয়সে যখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিল তখন কিছু সিনিয়ার অবিবাহিত ডাক্তার পাত্র পাওয়া যাচ্ছিল কিন্তু সেগুলো তাদের পছন্দ হচ্ছিল না। পাত্র খুজতে খুজতে বয়স এখন ৩৫ এ এসে দাঁড়িয়েছে। এখন আর ডাক্তার পাত্র পাচ্ছে না। মনে হয় আর পাবেনও না। এখন 'অডাক্তার' ছেলে পেলেও চলবে। ইভেন জুনিয়ার কোন ব্যাপার না।

০৩- এই আপু একজন উচ্চ শিক্ষিতা, বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রী নিতে গিয়ে বিয়ের বয়স পার হয়ে গেছে। ওনার জীবনের লক্ষ্যই ছিল উচ্চতর ডিগ্রী নেয়া। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে কিন্তু ততক্ষনে বিয়ের বয়স পার হয়ে গেছে। এখন এত এত ডিগ্রী সত্বেও পাত্র পাচ্ছেন না। ওনার বয়স এখন ৩৮/৩৯ ।

০৪- ফ্রেন্ড লিস্টের এই আপু আমাকে ধরেছেন ওনার ঘটকালী করার জন্য। আমার সাথে মাঝে মাঝেই কথা হয়। বয়স ৩৮ চলছে। পারিবারিক কী এক ঝামেলার কারনে এখনো বিয়ে করতে পারেন নি।

আসলে সময়ের কাজ সময় থাকতেই করতে হয়। লেখাপড়া, ক্যারিয়ার ইত্যাদির জন্য অনেক মেয়ে বিয়ের ব্যাপারে উদাসীন থাকেন। কিন্তু যত বড় ক্যারিয়ার থাকুক না কেন ছেলেরা চাইবে তার চাইতে মিনিমাম ৫/৬ বছর জুনিয়ার মেয়েকে বিয়ে করতে। সেই হিসেবে শিক্ষিত সমাজে সবচেয়ে বেশি ডিমান্ডের মেয়েরা হয় ১৬ থেকে ২২ বছর বয়সী।
অফিসে এক সিনিয়র কলিগ কইলো,

"একটা সময় টাকার অভাবে চুলে শ্যাম্পু দিতে পারতাম না, আর এখন চুলের অভাবে শ্যাম্পু দিতে পারি না ।"
সুতরাং বিয়ের ব্যাপারে দেরি করতে নেই।

   




























(২০)
ভার্সিটি, কলেজ, কর্পোরেট অফিসের নারী পুরুষ, বিভিন্ন ক্যাটাগরির লোকজন যারা ব্যক্তিজীবনে ইসলামকে লালন করেনা, তাদের বিয়ে জিনিসটা বিলম্ব হলে কিছু যায় আসে না। কারণ তারা ঠিকই ‍জায়গামতো গিয়ে তাদের চাহিদা পূরণ করবে। মাঝখান থেকে আমাদের মতো প্রেকটিসিং মুসলিম যারা আছে, যারা ব্যক্তিজীবনে সর্ব অবস্থায় ইসলামকে ধারণ করে চলেছে, তারা পড়েছে বিরাট এক মাইনকা চিপায়। না পারছে তার‍া লিটনের ফ্ল্যাটে যেতে, না পারছে বিয়ে করতে। রসুল স: বোধয় এজন্যই বলেছিলেন, শেষ জামানায় ঈমান ধরে রাখা, হাতের তালুতে আগুন ধরে রাখার মতো কঠিন হবে।











(২১) এবং একটি অনুপ্রেরণা
বিয়ের সিদ্ধান্ত যখন নেই, তখন চাকরির বয়স মাত্র ৪ মাস। নো সেভিংস। স্বাভাবিক।
.
বেশ কয়েকজন উপদেশ দিল যে অন্তত ২ বছর চাকরি করো, কিছু টাকা জমিয়ে নিয়ে বিয়ে করো। বিয়ে মানেই খরচ, তারপর নতুন একজন আসছে তার ভরন পোষন এরও ব্যাপার আছে।

মনে মনে ভাবলাম আচ্ছা দুই বছর পরই নাহয় বিয়ে করলাম, কিন্তু এই ২ বছর কী ফিরে পাবো আর ?

দাম্পত্য জীবন থেকে দুইটা বছর বাদ যাবে, দ্বীনের অর্ধেক পূরন দুইটা বছর পরে হবে, আল্লাহ্‌ সন্তান দিলে সন্তানের সাথেও ২ বছর কম কাটাতে পারব ইত্যাদি।
প্ল্যান করলাম ধার করব। তাছাড়া ভালো কাজ করতে যাচ্ছি, সাহায্যের মালিক আল্লাহ্‌।
.
বিয়ে যদি সব থেকে কম খরচেও করতে চান তবুও কিছু খরচ থাকবেই। অবশ্যই যে বিয়েতে যত কম খরচ সে বিয়ে তত বরকতের- তবে স্ত্রীর দেনমোহর (সাধ্যমত), সামর্থ্যমত আত্মীয় স্বজনদের ওয়ালিমা খাওয়ানো ব্যাপারগুলো আছে।
.
বিয়েতে অধিকাংশ খরচ আব্বুই করেছিল, আমার তরফ থেকে যাবতীয় প্রাসংগিক কসমেটিকস আর বিয়ের আংটি ও এক জোড়া স্বর্ণের চুড়ির দায়িত্ব নিয়েছিলাম। ইচ্ছা ছিল শেষমেষ কিছু টাকা বাচাতে পারলে সারপ্রাইজ হিসেবে তাকে বিয়ের রাতে একটা ডায়মন্ড নোজপিন দেবার। (ডায়মন্ড শুনে আতকানোর কিছু নেই, তিনহাজারেও পাওয়া যায়)

কাছের ৩ জন বন্ধুর থেকে ধার নিয়েছিলাম। সময় নিয়েছিলাম ৩ মাস। মোটামুটি বড় একটা এমাউন্ট। আর তারাও আল্লাহ্‌ এর ইচ্ছায় সাহায্য করেছিল।
মাশাআল্লাহ্‌ বিয়েটা সম্পন্ন হয়ে গেল। আমার প্ল্যান গুলোও সাকসেসফুল হয়েছিল ঠিক যেভাবে চেয়েছিলাম।
.
যে একমাত্র রব আমার সাহায্যকারী, তার সম্মানের কসম, বিয়ের পর আমার রিজিকে বরকত অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গেল। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই সবার টাকাও শোধ করে ফেললাম। আল্লাহ্‌ এর উপর ভরসা করে টাকা জমাতে দুই বছর অপেক্ষা করেছিলাম না, আল্লাহও নিরাশ করেন নাই।
.
বিয়ের পর আমার কোন খরচই বাড়েনি, খাওয়া দাওয়া তো পরিবারের খাবারের মধ্যেই বাড়তি একজনের আরামেই হয়ে যায়। বউকে পড়াশোনা, হাতখরচ, কসমেটিক ইত্যাদি বাবদ শুধু হাত খরচটা দিতে হয়, আর মাশাআল্লাহ্‌ আমার স্ত্রী কেও ক্রেডিট দিতে হয়, সে কোন অহেতুক খরচ করেনা। জাস্ট যেটুকু প্রয়োজন সেটুকু করে।

এখন আল্লাহ্‌ আমার উপার্জন প্রায় দ্বিগুন বাড়িয়ে দিয়েছেন। অপ্রত্যাশিত ভাবে একের পর এক রিজিক আসতেই আছে। অথচ পূর্বের তুলনায় এক্সট্রা কোন পরিশ্রম বা ইবাদাত করিনি। বিয়েই তো একটা ইবাদাত।
.
আশ্চর্যের বিষয় আরো যে আজও যখনই কোন খরচ বেড়ে যায় তখনই প্রায় অলৌকিক ভাবে হাতে একের পর এক ভালো ধরনের এমাউন্ট আসতে থাকে মাসিক ফিক্সড উপার্জনের বাইরেও। যেই মাসে খরচ বেশী হয় সেই মাসে উপার্জন আরো বেশি হয়। এগুলো কেবলমাত্র আল্লাহ্‌ এর বিশেষ অনুগ্রহ ফলেই সম্ভব। আল্লাহ্‌ তার কৃত ওয়াদা রেখেছেন।

[ রসূল (সাঃ) বলেছেন যে, তিন ব্যক্তির আল্লাহর উপর হক রয়েছে যে তিনি তাদের সাহায্য করবেন তার মধ্যে এক ব্যাক্তি হলো "যে চরিত্র রক্ষার জন্য বিয়ে করতে চায়" আত-তিরমিযী ১/৩১১ ]
.
হয়ত লাখ পতি বা কোটিপতি হয়নি, আর হবার ইচ্ছাও নেই। আল্লাহ্‌ যেটুকুর উপযোগী মনে করবেন, যেটুকু দিলে হালাল ভাবে বাবা,মা, স্ত্রী, পরিবারবর্গ নিয়ে জীবন যাপন করতে পারব, আল্লাহ্‌ ও তার সৃষ্টিকুলের হক আদায় করতে পারব সেটুকুই প্রত্যাশা।

তবে মাশাআল্লাহ আল্লাহ্‌ অভাবে রাখেন নি, মধ্যবিত্ত সুন্দর জীবন যাপন করতে পারছি। রিজিকও বেড়ে চলেছে। নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার সারমর্ম থেকে এটাই বলতে চাই,
টাকা জমাতে বা জীবন গোছানোর অপেক্ষায় বিয়েতে দেরী করার ব্যাপার টা হাস্যকর।
.
বিয়েই স্বচ্ছলতার দরজা !!!

"তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।" (সূরা নুরঃ ৩২)
.
উমার ইবন আল খাত্তাব(রাঃ) বলেছেন-" বিয়ের মাধ্যমে স্বচ্ছলতা তালাশ কর"

বর্ণিত আছে যে তিনি আরো বলেছেন-" আমি এমন অদ্ভূত লোক আর দেখিনি যে বিয়ের মাধ্যমে স্বচ্ছলতা তালাশ করেনা অথচ আল্লাহ্ ওয়াদা করেছেন যে--"তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন।" "
তাহলে আল্লাহর বান্দাগণ কি আপনাদের বিয়ে করা থেকে আটকে রেখেছে??
.
যারা স্বচ্ছলতার দোহাই দেন, তারা কী আসলেই স্বচ্ছল হতে চান না??

আল্লাহ এর ওয়াদা কি আপনাদের জন্য যথেষ্ট নয়??
.
মূল লেখা: শাহ মোহাম্মদ তন্ময় ভাই

  
































(২২)

সাবধান!!
অল্প বয়সে বিয়ে দেয়া যাবেনা। অল্প বয়সে বিয়ে হলে মেয়েদের শরীর ভেঙ্গে পড়ে। কখনো কি ভেবেছেন পৃথিবীতে ১৬ বছরের নিচে অনেকেই বাচ্চা প্রসব করে?
ও বুঝেছি, বিয়ে করে বাচ্চা প্রসব করলে মেয়েদের শারীরিক সমস্যা হয়। আর বিয়ের আগে বাচ্চা হলে তাতে সমস্যা নেই।
.
ধিক্কার জানাই সে সমাজকে যে সমাজে ছেলে মেয়েদের অবাধ মেলামেশাকে কিছু মনে করা হয় না। আর বিয়ে করতে চাইলে বলে ইচড়ে পাকা। বর্তমান সমাজে ধিক্কার ঐসকল বাবা মাকে যারা সন্তানের জেনাকে সাপোর্ট করে আর বিবাহকে সাপোর্ট করে না।
.
ছেলেঃ বাবা বিয়ে করতে চাই।
বাবাঃ নাক টিপলে দুধ পড়ে বিয়ে করবে?
চোখের সামনে থেকে দূর হ।
.
জনৈক ব্যক্তিঃ বড়ভাই আপনার ছেলেকে দেখলাম একটি মেয়ের সাথে প্রেম করছে।
বাবাঃ আরে এ বয়সে একটু আধটু এরকম হয়। এখনই তো বয়স।
.
ইসলাম বলে, "যে সমাজে বিবাহ কঠিন হয়ে যায় সে সমাজে জেনা ব্যাভিচার সহজ হয়ে যায়। আর যে সমাজে বিবাহ সহজ হয়ে যায় সে সমাজে জেনা ব্যভিচার কঠিন হয়ে যায়।" আজ এই সকল অভিভাবকের উদাসীনতার কারণে সন্তানের বিয়ে না দিয়ে জেনা করার সুযোগ করে দিচ্ছে। তারা সমাজের শত্রু, আল্লাহর দুশমন, ইসলামের দুশমন।
.
আজ কোথায় যাচ্ছি আমরা!!
একটি সন্তান বিবাহের আগে পিতামাতার উদাসীনতার কারণে যতো গুনাহ করবে তার সব পিতামাতার আমলনামায় লেখা হবে। পরিবার থেকেই একটি সন্তান মানুষরূপে গড়ে ওঠে। আর এই পরিবার থেকেই একটি মানুষ পশুর মতো বেড়ে ওঠে। বর্তমান সমাজটা মানুষরূপী পশুতে ভরে যাচ্ছে।
.
হে যুবক/যুবতী, আর কতো গুনাহ করবে তুমি?
আর কতো সময় অপচয় করবে। যৌবনকাল খুব দামী সময়। কঠিন হাশরের ময়দানে এই যৌবনকাল সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হতে হবে। ফিরে এসো ভাই,বোন। তোমার রবের দিকে ফিরে এসো। মৃত্যু অতি নিকটে। মত্যু হয়েই যাবে। কেউ মৃত্যুকে এড়াতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন।

  


















No comments:

Post a Comment