Thursday, February 27, 2020

অকাল্টিজম, সাইন্টিজম ও অন্যান্য (২য় অংশ)




বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান? ।। Occult Origin of Mainstream
physics and Astronomy: [পর্বঃ২]


গতপর্বে অকাল্টিজম নিয়ে খানিকটা আলোচনা হয়েছিল। আরবি 'কুফর' শব্দের আক্ষরিক অর্থ গোপন করা বা ঢেকে রাখা। occult শব্দের অর্থও গোপন করা বা গুপ্ত/লুক্কায়িত/গুহ্য/লুকিয়ে রাখা/দুর্জ্ঞেয় প্রভৃতি। অকাল্টিজম হচ্ছে হচ্ছে কুফরি মতাদর্শের প্যাকেজ অথবা অংশবিশেষ। অকাল্টিজমের মধ্যে যাদুবিদ্যা/জিওম্যান্সি/ন্যাক্রোমেন্সি/এস্ট্রলজি/আলকেমি/ভাগ্যগণনা ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত।
1871, book Primitive Culture, the anthropologist Edward Tylor used the term "occult science" as a synonym for "magic"(Wikipedia).
.
গত পর্বে অকাল্টিস্ট/মিস্টিকদের বিশ্বাস বা মতাদর্শ খানিকটা আলোচনা হয়েছিল। আজও তাদের মৌলিকই আকিদার বিষয়গুলি সংক্ষেপে আলোচনা হবে,ইনশাআল্লাহ।
* এস্ট্রোথিওলজি! প্রত্যেক স্বঘোষিত মিস্টিক/জাদুকররা যে যে মাজহাবেরই হোক না কেন, এস্ট্রথিওলজিক্যাল ডক্ট্রিন তাদের কমন গ্রাউন্ড। এটা থাকবেই। আল্লাহর রাসূল(স) এমনিই তো বলেননি যে এস্ট্রলজি কালোজাদুবিদ্যারই একটি শাখা।
.
It was narrated that Ibn ‘Abbaas (may Allaah be pleased with him) said: the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said: “Whoever seeks knowledge from the stars is seeking one of the branches of witchcraft…” Narrated by Abu Dawood with a saheeh isnaad
.
ব্যবিলনে গজিয়ে ওঠা এই জ্যোতিষবিদ্যায় গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান মানুষের উপর প্রভাব ফেলে, বলা হয়। বলা হয়, ওরা নাকি মানুষের জীবনযাত্রা, মানসিকতা এবং ভাগ্য নিয়ন্ত্রন করে! এরূপ বিশ্বাসের কারন সকলে বলতে পারে না। এর গোপন কারন হচ্ছে সেই ওয়াননেসের আকিদা! অর্থাৎ Monismগ্রহ নক্ষত্র এবং আমাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ যদি একই উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত হয় এবং উভয়ের মধ্যে উপাদানগত এবং স্বত্ত্বাগত পার্থক্য না থাকে তবে একটি অপরটিতে ফিজিক্যাল প্রভাব ফেলতে পারবে। যেমনটি,পাশাপাশি দুটি চুম্বক একে অন্যের উপর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। আর যদি এর উপরে মহাবিশ্ব যদি 'ইউনিভার্সাল সি অব কনসাস্নেস' হয় তাহলে তো কথাই নেই। একটি এনটিটির পরিবর্তন অন্যটিতে স্বাভাবিক পরিবর্তনই আনবে। সাবএটোমিক লেভেলে সব কিছুই এনার্জি ও ভাইব্রেশন, এটা সব অকাল্টিস্টরা জানে ও মানে। তাই যত দূরেই হোক না কেন একটি সেলেস্টিয়াল বস্তু অপরটিতে পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম। এখানে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার চেষ্টা করেছে কেউ http://www.askamathematician.com/…/q-how-much-of-a-direct-…/
.
আমাদের অস্তিত্বের সাথে তারকাগ্রহ একই উপাদানের সমন্বয়ে সৃষ্ট কথাটি কেমন! এর সরল ব্যাখ্যা এই যে, আমাদের অস্তিত্বের পূর্বে নক্ষত্র - গ্রহসমূহ ধীরে ধীরে গঠিত হয় অনেক বছর ধরে। এরপরে মহাকাশের গ্রহনক্ষত্রেরই কোন না কোন অংশ থেকে ধীরে ধীরে আমাদের অস্তিত্ব যাত্রা শুরু করে। সুতরাং তারকা-গ্রহরা মূলত আমাদেরই Ancestors! আমাদের বাপদাদা!! প্রাচীন এস্ট্রোল্যাট্রিতে প্যাগানরা এটাই বলতো যে আমরা তারকাদের খসে পড়া অংশ, মৃত্যুর পরে পূর্ন রূপে এনলাইটেন্ড হলে সেখানেই(Home)ফিরে যেতে হবে। অর্থাৎ তাদের কাছে পরকাল নেই। পড়ে দেখুন এস্ট্রোলজাররা কি বলছেঃ http://starseedastrology.tumblr.com
অর্থাৎ উইটোল্ড পুরুসযকোস্কির 'ফলিং স্টারে' বর্নিত, আমাদের ফিজিক্যাল কারেন্ট ফর্মেশনের পূর্বে আমরা তারকারাজি সর্বপরি মহাবিশ্বে সাথে একাকার হয়ে ছিলাম। পরে আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের থেকে আলাদা হয়ে যাই। ঠিক এ কথাটাই বর্নিত আছেঃ
"Before being granted a physical form, we were one with the universe, dissolved in its starry, scintillating waters. This is represented by the 12th house, where universal consciousness links all existing things together as if they were one and the same, despite physical attributions and tangible limits. In the 12th house, we were everything. We had nothing to separate us from everything else; no identity. We had no end — and no beginning....."

.
এজন্য এখনো সেই পূর্বপুরুষ তারকাদের গতিবিধি আমাদের তনুমনে প্রভাব ফেলে। সুতরাং এরূপ বিশ্বাসযুক্ত কাফেরদের মধ্যে যারা ক্ষমতাধর এবং বিশ্বের কুফরি শক্তি গুলোর কর্ম ও চিন্তাব্যবস্থার দিকনির্দেশক,তাদের একান্ত চেষ্টা থাকবে এমনভাবে জ্ঞান-বিজ্ঞানকে ঢেলে সাজানো, যাতে করে আপনাকে নামে এস্ট্রোনমি শিখলেও এস্ট্রলজিই শিখতে হয়(সামনের পর্বে এ বিষয়টি আবারো আসবে ইনশাআল্লাহ)!
এস্ট্রলজিতেও ক্লাসিক্যাল ইলিমেন্টস এর ব্যবহার আছে। এস্ট্রোলজাররা ১২ টি এস্ট্রোলজিক্যাল সাইনকে প্রতিটায় তিনটি করে ৪টি ক্লাসিকাল ইলিমেন্ট এ (পানি,বায়ু,আগুন,পৃথিবী) অন্তর্ভুক্ত করে। মূলত এর ব্যবহার জাদুবিদ্যায়। একথা উইকিপিডিয়াতেও উল্লিখিত- "These associations are not given any great importance in modern astrology, although they are prominent in modern Western Ceremonial Magic, neopaganism, druidism and wicca"
.
বিস্তারিত দেখুনঃ https/en.m.wikipedia.org/wiki/Astrology_and_the_classical_elements
.
একটা বিষয় অবাক করে, আপনি উদয়াচল থেকে অস্তাচল, দক্ষিন থেকে উত্তরে যেদিকেই যান না কেন প্রত্যেক সভ্যতায় এস্ট্রলজির নীতিমালা একই। সুতরাং এক স্থান থেকে এ বিদ্যার জন্ম,অতঃপর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
.
তারকা ও আমাদের স্বত্ত্বাকে অভিন্ন করতে গেলে এর শুরুর দিকে যেতে হয়। আর সেটা অবশ্যই বস্তু/বিন্দু/উৎস হবার কথা।
যা থেকে সবকিছুর সৃষ্টি।
*
এখানেই মনিজমের(সৃষ্টি-স্রষ্টার অভিন্ন অস্তিত্বের) শুরু। একে Pandeism বা panentheism শব্দ দ্বারাও প্রকাশ করা হয়। পড়ুনঃ
m.wikipedia.org/wiki/Pandeism
m.wikipedia.org/wiki/Panentheism
সুতরাং সৃষ্টি শুরু হয়েছে একক বস্তু/ঘনবিন্দু থেকে। হ্যা, sound like BigBang! ইহুদীদের কাব্বালা যেন বিগব্যাং এরই কথা বলে। পড়ুনঃ https://m.wikipedia.org/wiki/Tzimtzum
.
http://www.kosmic-kabbalah.com/big-bang
.
কাব্বালিস্টরা শক্তভাবেই জাহির করে যে, বিগব্যাং এর কথা কাব্বালায় বলা হয়েছে। পড়ুনঃ http://www.levity.com/alchemy/luria.html
.
http://www.kabbalah.info/eng/content/view/frame/97305…
.
http://www.revealingscienceofgod.com/index.php…
.
এমুহূর্তে আলোচ্য বিষয় বিগব্যাং নয় বরং আলোচ্য বিষয় 'এক অস্তিত্ব ' থেকে শূন্য থেকে সৃষ্টি'র কল্পনা!
.
সৃষ্টির শুরুর পদ্ধতিকে রোজাক্রুশানিজম(Equivalent: Freemason/theistic Satanism/mysticism) 'Cosmic Egg' শব্দ দ্বারা প্রকাশ করে। রোজাক্রুশানিজমের সিক্রেট ডক্ট্রিনে উল্লেখ আছে:"The Germ within the Cosmic Egg takes unto itself Form. The Flame is re-kindled. Time begins. A Thing exists. Action begins. The Pairs of Opposites spring into being. The World Soul is born, and awakens into manifestation. The first rays of the new Cosmic Day break over the horizon.” দেখুনঃ
http://www.sacred-texts.com/sro/sdr/sdr04.htm
.
'
কস্মিক এগ' বিষয়টি মাথায় রাখুন। সামনে হয়ত আলোচনায় পুনরায় আসবে। ইনশাআল্লাহ।
.
*'
একক অস্তিত্ব/বিন্দু' থেকে সৃষ্টি হলে বর্তমান সময়ে মহাবিশ্বের পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত এরূপ অবস্থার ব্যাখ্যাও অকাল্টিস্টদের কাছে আছে। আর সেটা হচ্ছে- ক্রমাগত বিবর্তন। আমি সরাসরি মেইনস্ট্রিম সাইন্সের বিবর্তনবাদের আলোচনা করছি না।
বরং এই মতবাদের শেকড়ে যাচ্ছি।
.
অকাল্টিজমে বিবর্তনবাদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রত্যেক প্যাগান অকাল্টিস্টরা হার্ডকোর বিবর্তনবাদী হয়। তাদের কাছে এর ব্যপারে জ্ঞান এত সমৃদ্ধ যে আপনার কাছে মনে হবে মেইনস্ট্রিম বিজ্ঞান অর্ধেক বিবর্তনবাদের শিক্ষা দেয়! বাকিটা গোপন রাখে। থিওসফির প্রতিষ্ঠাতা H.P Blavatsky তার সিক্রেট ডক্ট্রিনে বিবর্তনের ধারাবাহিকতার বিশদ বিবরন দিয়েছেন। তিনি এই বিবর্তন প্রক্রিয়াকে "রুট রেস" শব্দ দ্বারা বিভিন্ন পর্যায়ে ভাগ করেছেন। এরমধ্যে আছে লুমেরিয়ান, হাইপারবোরিয়ান, আটলান্টিয়ান, আরিয়ান(আর্য), সিক্সথ রেস ও সেভেন্থ রেস। এক কোষী এ্যামিবা থেকে শুরু করে বিপুল সাইকিক সুপারপাওয়ার সম্পন্ন এনলাইটেন্ড বিং পর্যন্ত সবগুলো ধাপই আছে!
দেখুনঃ m.wikipedia.org/wiki/Root_race
.
https/en.m.wikipedia.org/wiki/The_Secret_Doctrine
.
নিচে ছবিতে যে বিবর্তনবাদী ছবি দেখছেন সেটা এই প্যাগান মিস্টিকদেরই তৈরি। তারা পূর্নবিবর্তন প্রক্রিয়াকে দেখিয়েছে। এবং সর্বোচ্চ চূড়ায় দেখিয়েছে অরোবোরাস বা Self eating snake যার দ্বারা ওরা ইনফিনিট চক্রকে বোঝায়। অর্থাৎ স্টার ডাস্ট থেকে বিবর্তিত হতে হতে মানবে রুপান্তর, অতঃপর সুপারহিউম্যান..Complete Enlightened! এটা শুধু বিশ্বাসই না। অকাল্টিস্টদের অকাল্ট টিচিংয়েও যুক্তিপ্রমান দিয়ে বিবর্তনের প্রমানও বুঝিয়ে দিচ্ছে। এমনকি কনফিডেন্সের সাথে বলছে আমরা এখনো পরিবর্তিত হচ্ছি! সরাসরি ভিডিও দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=ha_9Omn9obk
.
সুতরাং, এবার বুঝতে পারছেন Occult knowledge এর কমপ্লেক্স মেকানিক্স এবং বিলিফ! সেক্রিড জিওম্যাট্রি দ্বারা বিবর্তনকে বুঝিয়ে দিল! আর সেই সাথে ব্যাকআপ হিসেবে এ্যালাইড বৈজ্ঞানিক তথ্য তো ছিলোই। আমাদের ডিএনএ'র স্ট্রেইন প্যাটার্ন নাকি ডাবল হেলিক্স থেকে ট্রিপল হেলিক্সে যাচ্ছে। আমরা নাকি অদূর ভবিষ্যতে হলিউডের ফ্যান্টাসটিক ফোরের ন্যায় সুপার হিউম্যানে রুপান্তরিত হতে যাচ্ছি,https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/f2d/1.5/16/1f606.png😆 অনেক অতিমানবিক ক্ষমতাও নাকি এজন্য দৃষ্টিগোচর হচ্ছে।
.
বিবর্তনবাদের চিন্তা অতিপ্রাচীন। প্রাচীন ব্যবিলনের ইতিহাসে এর গোড়া পাওয়া যায়। ব্যবিলনের গিলগামেশের মহাকাব্যে বিবর্তনবাদী চিন্তার উল্লেখ পাওয়া যায়। এরপরে পিথাগোরিয়ান স্কুল অব থট দ্বারা ইনফ্লুয়েন্সড বিখ্যাত অকাল্টিস্ট/দার্শনিক Anaximander কে
সর্বপ্রথম সুস্পষ্টভাবে বিবর্তনকে বর্ননা করতে দেখা যায়। এনাক্সিম্যান্ডার ছিলেন যাদুবিদ্যার ক্ল্যাসিক্যাল চার ইলিমেন্টের(পানি,বায়ু, আগুন, পৃথিবী) একজন অন্যতম প্রবক্তা। তার সময়টাতে তিনি একে ফিজিক্স বলতেন।তিনিই প্রথম বলেছিলেন যে, পৃথিবী মহাশূন্যে ভাসছে! তিনি অলৌকিকতামুক্ত মেকানিক্যাল আকাশ ব্যবস্থার বিশদ বর্ননা দেন। সেই সাথে আংশিকভাবে পানিচক্রেরও বর্ননা দিয়েছেন। বিবর্তনবাদের কথক হিসেবে তিনি সুপরিচিত। তিনি বলতেন সকল প্রাণীজগৎ এর পূর্বাবস্থা হচ্ছে মাছ। ৩য় শতাব্দীর রোমান লেখক Censorinus তার ব্যপারে বলেন:
"Anaximander of Miletus considered that from warmed up water and earth emerged either fish or entirely fishlike animals. Inside these animals, men took form and embryos were held prisoners until puberty; only then, after these animals burst open, could men and women come out, now able to feed themselves". [
সূত্র:উইকিপিডিয়া]
.
পিথাগোরিয়ান অকাল্টিজমে বিশ্বাসী Empedocles একই বিবর্তনবাদের কথা বলে গেছেন। তিনিই ন্যাচারাল সিলেকশনের প্রথম প্রবক্তা।কস্মোজনী সেকশন পড়ুনঃ https/en.m.wikipedia.org/wiki/Empedocles
.
লুক্রেটিয়াস নামের আরেক গ্রীক দার্শনিক ঈসা(আ) এর জন্মের ৯৯ বছর পূর্বে আসেন তিনিও বিবর্তনের জ্ঞান বিতরন করে গেছেন।
.
সুতরাং বুঝতে পারছেন বিবর্তনবাদের গপ্প কোথা থেকে এসেছে।
.
চারটি ক্লাসিকাল ইলিমেন্ট বা প্লেটোনিক সলিড বা ফান্ডামেন্টাল বিল্ডিং ব্লক তথা যাদুকরদের চারটি উপাদান ও 'অপবিত্র জিওমেট্রি এবং বিবর্তনবাদ এর কম্বিনেশন আরো ভাল করে বুঝতে চাইলে পড়ুনঃ
https://buddyhuggins.blogspot.in/…/spirit-science-18-four-e…
.
অপবিদ্যার জ্ঞানে 'জ্ঞানী' যাদুকরদের অপর এক বিশ্বাস- মহাবিশ্ব সম্পূর্ন নাম্বার এবং কমপ্লেক্স জিওমেট্রিক প্যাটার্ন দ্বারা তৈরি। আর এসবের বিল্ডিং ব্লক হচ্ছে চারটি প্লেটোনিক সলিড তথা পানি, বায়ু,আগুন ও পৃথিবী। একদম সস্তা তান্ত্রিক-যাদুকররাও এর সাথে ভালভাবেই পরিচিত।
.
আগের পর্বেই বলেছিলাম অকাল্ট নলেজ অনুযায়ী এই রিয়েলিটি ইল্যুশন। ফিজিক্যাল সকল ম্যাটারই কালেক্টিভ কনসাসনেসের অংশ। ইউনিভারসাল কালেক্টিভ কনসাসনেসের ড্রিম(বা হলোগ্রাফিক সিমুলেশন) বা কল্পনাই হচ্ছে আমাদের রিয়েলিটি। ওরা এও বলে যে, এই ইল্যুশন-রিয়েলিটির ম্যাটারের ক্ষুদ্রতম স্তরটি ইনফরমেশন দ্বারা পরিপূর্ণ। এদের কেউ বলে, একদম বাইনারী ডিজিট দ্বারা পরিপূর্ণ। সেক্রিড জিওমেট্রি, ফিবোনাক্কি সিকোয়েন্স, গোল্ডেন রেশিও ইত্যাদির কমপ্লেক্স স্ট্রাকচারের সমন্বয়ে সুসংগঠিত! বাইনারী ডিজিটে ভরা রিয়েলিটির উদাহরণ ম্যাট্রিক্স মুভি। না বুঝতে পারলে চিত্রটি দেখুনঃ http://images.google.com/url…
.
দ্য ম্যাট্রিক্স একটি pure Occult movie! যারা দেখেছে অধিকাংশ মানুষই সেটার ম্যাসেজ বুঝতে পারেনা,কেননা তাদের কাছে Occult Belief এর ব্যপারে কোন জ্ঞান নেই। একারনে শুধু একশ্যনগুলোই ইঞ্জয় করে কিন্তু এতে কি ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে, তা ডিকোড করতে পারেনা।
পড়ুনঃ
http://disinfo.com/…/esoteric-symbolism-hidden-meaning-unc…/
.
আজ হলিউডের সিংহভাগ চলচ্চিত্র নির্মাতারাই বিভিন্ন বামপন্থার পথিক। ৯৫% ফিল্মেই এসোটেরিক ইনিসিয়েশন আছে। কখনো স্যাটানিজম, কখনো অকাল্ট ম্যাসনিক সিম্বলিজম, কখনো অন্যান্য Mystical belief কে প্রমোট করে। যাহোক, সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ।
.
ম্যাট্রিক্স মুভির পরিচালক লিলি ও লানা ওয়াচোস্কি। দুজনই ট্র‍্যান্সজেন্ডার! ওদের পিতা একজন কট্টর নাস্তিক। মা এক্স ক্যাথলিক এবং বর্তমানে শামানিস্ট https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/f2d/1.5/16/1f606.png😆! এজন্যই 'দ্য ম্যাট্রিক্স' এরকম শামানিস্টিক অকাল্ট বিলিভবেজড ফিল্ম!
https://en.m.wikipedia.org/wiki/The_Wachowskis
.
New Age
গুরু দীপক চোপরা ইনফরমেশন বেজড কনসাস সিমুলেটেড রিয়েলিটির ব্যপারে কিছু বলছেন। দেখুনঃ
http://youtube.com/watch?v=cf_x5Vz-bRo
.
আগের পর্বে উল্লেখ করেছিলাম কেন অকাল্টিস্টদের মতে 'ল অব এট্রাকশন কাজ করবে। এ বিষয়ে অবশ্য আলাদা আর্টিকেলও আছে। আরো দেখুন, সিমুলেটেড ইল্যুশন রিয়েলিটি বা ম্যাট্রিক্স বা কালেক্টিভ কনসাসনেসে আকর্ষনের নীতি কিভাবে কাজ করে।
https://m.youtube.com/watch?v=795NcKABpUM
.
যাদুবিদ্যা ও এস্ট্রলজির থিওলজিকাল শিক্ষার বিখ্যাত চ্যানেল 'কই ফ্রেস্কো' কি বলছে দেখুন...! সত্যি সত্যি Red পিল গ্রহন করবেন না আবার। সাবধান!
https://m.youtube.com/watch?v=OxsLVwM9ewQ
.
এ ব্যপারে আরেকটি মিস্টিকদের চ্যানেলে(এস্ট্রো সোল সিন) দেখুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=FKhtzRT6Pdg
.
Reality= illusion(
মায়া)/consciousness এই ধারনা সবার প্রথম আসে ইস্টার্ন অকাল্টিজম থেকে। বৌদ্ধ ও হিন্দুদের কিছু গ্রন্থে এর ব্যপারে উল্লেখ আছে। https/en.m.wikipedia.org/wiki/Maya_(illusion)
.
Monier William
এর মতে মায়া হলো- "wisdom and extraordinary power" in an earlier older language, but from the Vedic period onwards, the word came to mean "illusion, unreality, deception, fraud, trick, sorcery, witchcraft and magic".
একই (ব্যবহারিক)অর্থ তান্ত্রিক বৌদ্ধদের মতেও।(Wikipedia)
.
আর এটার উপর ভিত্তি করে অকাল্টিস্ট HP. Blavatsky তার সিক্রেট ডক্ট্রিন(১৮৮৮) কিতাবে রিয়েলিটির অভিন্ন ব্যাখ্যা দেন, যা আজ সকল এসোটেরিস্টদের মধ্যে কমন।
দেখুনঃ https/en.m.wikipedia.org/wiki/The_Secret_Doctrine এর "Cosmic evolution: Items of cosmogony" সেকশনে ৪ ও ৫ নং।
.
কাব্বালাঃ
__________
বাবেল শহরে হারুত মারুত ফেরেশতারা আল্লাহ নির্দেশে পরীক্ষাসরূপ যে যাদুবিদ্যা নিয়ে এসেছিলো এবং শয়তানরা যে যাদুবিদ্যার কিতাব রচনা করে হযরত সুলাইমান আলাইহিসালাম এর চাপিয়েছিলো, তা তৎকালীন ইহুদীরা গ্রহন করে চর্চা করা শুরু করে। সে এক লম্বা ঘটনা। তাদের একটা অংশ বলতো, যে সুলাইমান (আ) কুফরি করেছিল এবং তার শক্তিই হচ্ছে এই গুপ্তবিদ্যা অপর এক অংশ বলত সুলাইমান (আ) আল্লাহর নবী ঠিকই এবং তার ক্ষমতার উৎস হচ্ছে এই গুপ্তবিদ্যা। অতএব, ইহুদীরা খুব আগ্রহের সাথেই সেসব গ্রহন করে চর্চা করত। তারা তাওরাতের অনুসরণ না করে যাদুবিদ্যার অনুগামী হয়ে পড়ে। ইহুদীদের যাদুবিদ্যা চর্চার বিষয়ে আল্লাহ বলেনঃ
.
"
তারা ঐ শাস্ত্রের অনুসরণ করল, যা সুলায়মানের রাজত্ব কালে শয়তানরা আবৃত্তি করত। সুলায়মান কুফর করেনি; শয়তানরাই কুফর করেছিল। তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা এবং বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুই ফেরেশতার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল, তা শিক্ষা দিত। তারা উভয়ই একথা না বলে কাউকে শিক্ষা দিত না যে, আমরা পরীক্ষার জন্য; কাজেই তুমি কাফের হয়ো না। অতঃপর তারা তাদের কাছ থেকে এমন জাদু শিখত, যদ্দ্বারা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তারা আল্লাহর আদেশ ছাড়া তদ্দ্বারা কারও অনিষ্ট করতে পারত না। যা তাদের ক্ষতি করে এবং উপকার না করে, তারা তাই শিখে। তারা ভালরূপে জানে যে, যে কেউ জাদু অবলম্বন করে, তার জন্য পরকালে কোন অংশ নেই। যার বিনিময়ে তারা আত্নবিক্রয় করেছে, তা খুবই মন্দ যদি তারা জানত"। (২:১০২)[তাফসীর বিস্তারিত জানুন তাফসীর ইবনে কাসীর বা তাফসীর আত্ব তাবারী থেকে]
.
বাবেল শহরে যে কাব্বালা বিদ্যার অরিজিন সেটা পৃথিবীর সর্ববৃহত্তম কাব্বালা গবেষণা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান 'Bnei Baruch kabbalah institute' এর founder র‍্যাবাই মিকাঈল লেইটম্যানের মুখ থেকেই শুনুনঃ
https://m.youtube.com/watch?v=pCXAvRoE2OY
.
মজার একটি বিষয় হচ্ছে, উনি নিষেধ করছেন প্রাচীন বাবেল শহর থেকে আসা এই বিদ্যাকে যাদুবিদ্যা বলতে। এটা নাকি 'সাইন্স'! যা অনেক বছর গোপন অবস্থায় ছিল।এই কাব্বালিস্টিক সাইন্সের পার্স্পেক্টিভে গবেষনার জন্য অনেক ফিজিসিস্ট/মেডিসিন/সাইকোলজিস্টরা নিয়োজিত আছেন! তিনি বলেন, "এখন এই (যাদু)বিদ্যার ইভলভড হচ্ছে কারন, এটা আমাদের দরকার। এই কাব্বালায় আছে প্রকৃতির নীতি গুলো,আমরা কিভাবে সেটা কাজে লাগাতে পারি এবং মানুষের জীবনের সাথে প্রকৃতির হার্মোনি তৈরি করতে পারি"। উনি আরো বলেন, আমাদের প্রয়োজন নতুন ধরনের অর্ডার বা আইন যা হবে গ্লোবাল ইন্টিগ্রাল! তিনি বলেন," কাব্বালায় সংযুক্ত হবার সাথে সাথে আমরা দেখছি মহাবিশ্বের সকল বস্তুই ট্রান্সপারেন্ট বা স্বচ্ছ, এবং আমরা দেখছি ওই শক্তিকে যা মহাবিশ্বের চালিকাশক্তি, সেটা কি করে মহাবিশ্বে চালিকাশক্তিরূপে কাজ করছে। এটা অনেকটা একটি এমব্রয়ডারি করা কাপড়ের ন্যায় যার একদিক দিয়ে আপনি ছবির ন্যায় দেখছেন, অপর দিক দিয়ে দেখা যায় এর সুতার বুনন। এখানে কাব্বালা যেটা করে সেটা হলো,কাব্বালা আমাদেরকে ওই বুনন সমূহ যা পৃথিবীর ছবি(রিয়েলিটি) তৈরি করছে তা জানতে সাহায্য করে এবং কিভাবে আমরা এই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সঠিক ভাবে ছবিকে(রিয়েলিটিকে) আটকে(নিয়ন্ত্রন করতে) দিতে পারি।...."! তিনি শেষাংশতে বিভিন্ন সমস্যার সাথে সাথে 'গ্লোবাল টেররিজম' যা প্রকৃতি চায় না সেটার ব্যপারে ব্যবস্থা নিয়ে ন্যাচারের সাথে হার্মোনি আনতেই কাব্বালার উত্থান। গ্লোবাল টেররিজম বলতে এই ইহুদী কি বুঝিয়েছে সেটা বুঝদারদের জন্য ইশারাই কাফি।
.
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Bnei_Baruch
.
এই প্রথম পর্যায়ে ইহুদীদের মধ্যে যাদুবিদ্যা খুব গোপণীয়ভাবে প্রচলিত ছিল। বলা হয় প্রাচীন সময়কার যাদুবিদ্যার ট্রেডিশনের নাম মার্কাভা।ঈসা(আ) এর জন্মের ১০০০ বছর পূর্বে প্রায় ১০ লক্ষেরও বেশি ইহুদীরা প্রকাশ্যে যাদুবিদ্যার জ্ঞান চর্চা করত। অল্প কিছু খুবই উচুমানের র‍্যাবাইদের কাছে এই রহস্যময় যাদুবিদ্যার জ্ঞান থাকত। সেসব ওরাল ট্রেডিশনে এক গুরুর থেকে শিষ্যের কাছে পৌছতো। ওদের ভাষায় কাব্বালাকে 'হোয়াইট ম্যাজিক'ও বলা হতো। "Practical Kabbalah properly involved white-magical acts, and was censored by kabbalists for only those completely pure of intent. "[Wikipedia]
.
সুতরাং ওদের কাছে এই যাদুবিদ্যাটি বৈধরূপে ছিল। ওদের যাদুচর্চা ইহুদী কমিউনিটির মধ্যে থাকার অবস্থা ১৩ শতক পর্যন্ত ছিল। এর পরেই তাদের গুপ্তবিদ্যা প্রকাশ্যে চলে আসতে শুরু করে। মোসেস ডেলিওন নামের এক র‍্যাবাই 'জোহার' নামের একটা বই ১৫ শতকে রচনা করেন। জোহার শব্দের অর্থ Radiance! এটা এরামেইক ভাষায় লেখা হয় যাতে কাব্বালার বেশ কিছু কুফরি মতাদর্শ লিপিবদ্ধ হয়। এতে পৃথিবী গোলাকৃতি,বিগব্যাং ও বিবর্তনবাদের ব্যপারেও উল্লেখ আছে। পরবর্তীকালে এটাই কাব্বালার একটি বেসিক কিতাবে রুপান্তরিত হয়। https/en.m.wikipedia.org/wiki/Zohar
.
রেনেসাঁ বিপ্লবের সময় থেকে কাব্বালা ইহুদীদের বাহিরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। নস্টিক খ্রিষ্টান ও হার্মেটিক যাদুবিদ্যার্থীরা কাব্বালিস্টিক টেক্সট গুলো হিব্রু থেকে পাশ্চাত্যের বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ শুরু করে। সকল অকাল্টিস্টরা একে "Universal Ancient Wisdom" বলে ঝাপিয়ে পড়ে কাব্বালার মধ্যে। তৈরি হয় 'হার্মেটিক ক্কাবালা'! যাদুবিদ্যা,আলকেমি আরো ব্রড স্কেলে চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। মানুষের মধ্যে ইহুদীদের যাদুবিদ্যার জ্ঞানকে এত বছর চেপে রাখার বিষয়টা নেতিবাচক ধারনা দেয়। মানুষ জানতে শুরু করে Golem এর মত বিষয় গুলো। কাব্বালার প্রভাব ইহুদীদের তালমূদেও ব্যাপক হারে রয়েছে।
.
কাব্বালা তৎকালীন জ্ঞান- বিজ্ঞান ও দর্শনে চরম প্রভাব ফেলতে শুরু করে। বর্তমানের স্বীকৃত অনেক বিজ্ঞানীও কাব্বালার অন্ধকার জ্ঞানের সমুদ্রে ডুব দিয়েছিলেন।সেসব সামনে আলোচনায় আসবে। কাব্বালার ব্যপারে দাবী ওঠে যে এটার সূচনা হয় 'জান্নাতুল আদন' থেকে। "When read by later generations of Kabbalists, the Torah's description of the creation in the Book of Genesis reveals mysteries about God himself, the true nature of Adam and Eve, the Garden of Eden(Hebrew: גַּן עֵדֶן), the Tree of Knowledge of Good and Evil (Hebrew: עֵץ הַדַּעַת שֶׁל טוֹב וְרַע), and the Tree of Life (Hebrew: עֵץ חַיִּים)"[Wikipedia]
.
কাব্বালায় 'ট্রি অব লাইফের' কনসেপ্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয়। কাব্বালায় কেউ প্রবেশ করতে চাইলে সর্বপ্রথম তাকে এই শিক্ষা দ্বারাই শুরু করা হয়। দেখুনঃ https/en.m.wikipedia.org/wiki/Tree_of_life_(Kabbalah)
.
'
সাজারাতুল খুলদ' বা 'Tree of Life'(অনন্ত জীবন প্রদায়ী বৃক্ষ)। আল্লাহ বলেনঃ
.
فَوَسْوَسَ إِلَيْهِ الشَّيْطَانُ قَالَ يَا آدَمُ هَلْ أَدُلُّكَ عَلَى شَجَرَةِ الْخُلْدِ وَمُلْكٍ لَّا يَبْلَى
অতঃপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রনা দিল, বললঃ হে আদম, আমি কি তোমাকে বলে দিব অনন্তকাল জীবিত থাকার বৃক্ষের কথা এবং অবিনশ্বর রাজত্বের কথা? [২০:১২০]
.
সুতরাং আশা করি বুঝতে পারছেন মেটাফোরিক্যালি ইহুদীদের এই কাব্বালা কোথাকার কথা বলছে। অর্থাৎ কাব্বালা এমনই জ্ঞান যা মানুষকে অনন্ত জীবনের এবং ভালমন্দের আকল সৃষ্টিকারী বিদ্যা দেয়। যার রাস্তা জান্নাতে আমাদের আদি পিতামাতাদের কাছেও শয়তান বাতলে দিয়েছিল। সেটা কতখানি সত্য ছিল, তা আপনারা ভালকরেই জানেন। একই রকমেরই জিনিস কাব্বালাতেও দিচ্ছে কিন্তু ভিন্নভাবে।। বস্তুত, শয়তান মানুষকে মিথ্যা ওয়াদাই দেয়।কাব্বালিস্ট র‍্যাবাইরাও জনসাধারনকে ইবলিসের মতই বলে এই ট্রি অব লাইফের জ্ঞান অর্জন করলে লাভ করবে এঞ্জেলিক সাইকিক এবেলিটি,এই জ্ঞান পেলেই জানতে পারবে কিভাবে evolve হয়ে complete Enlightenment অর্জন করবে! Be god of yourself! ছবিতে mysticism এর বিবর্তনের চিত্র দেখছেন। পূর্বেই উল্লেখ করেছিলাম র‍্যাবাই লেইটম্যান এর কথা। তিনি এটাও বলেছিলেন, কাব্বালা একটি গ্লোবাল ইকোনমিক পলিসির কথাও শেখায়, আরো দেয় নতুন গ্লোবাল আইন বা সংবিধান (নিউ অর্ডার)। হয়ত আপনারা জানেন সকল মিস্টিক, জায়োনিস্টরা একটি Utopia(New World Order) এর স্বপ্ন দেখে। অর্থাৎ একটি অনন্ত রাজত্বের। কমপ্লিট এনলাইটমেন্ট/এঞ্জেলিক বিং এ ট্রান্সফর্মেশন,অনন্ত রাজ্যের আশা প্রভৃতি সকল প্যাগান যাদুবিদ্যা অন্বেষী কাফেরদের এক অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা । এজন্যই মিকাইল লেইটম্যান অন্যান্য স্পিরিচুয়ালিস্ট কমিউনিটির মত ইএসপি(এক্সট্রাসেন্সরি পার্সেপশন),সাইকিক এবিলিটির(অতিমানবীয় ক্ষমতার) প্রমোট করছেন বিভিন্ন যুক্তি তর্কের দ্বারা। দেখুনঃ http://youtube.com/watch?v=vOOBNFwVZUs
শয়তানও একই প্রতিশ্রুতি প্রথম মানব মানবীদের দিয়েছিল। আল্লাহ বলেনঃ
.
فَوَسْوَسَ لَهُمَا الشَّيْطَانُ لِيُبْدِيَ لَهُمَا مَا وُورِيَ عَنْهُمَا مِن سَوْءَاتِهِمَا وَقَالَ مَا نَهَاكُمَا رَبُّكُمَا عَنْ هَـذِهِ الشَّجَرَةِ إِلاَّ أَن تَكُونَا مَلَكَيْنِ أَوْ تَكُونَا مِنَ الْخَالِدِينَ
.
অতঃপর শয়তান উভয়কে প্ররোচিত করল, যাতে তাদের অঙ্গ, যা তাদের কাছে গোপন ছিল, তাদের সামনে প্রকাশ করে দেয়। সে বললঃ তোমাদের পালনকর্তা তোমাদেরকে এ বৃক্ষ থেকে নিষেধ করেননি; তবে তা এ কারণে যে, তোমরা না আবার ফেরেশতা হয়ে যাও-কিংবা হয়ে যাও চিরকাল বসবাসকারী(7:20)
.
অতঃপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রনা দিল, বললঃ হে আদম, আমি কি তোমাকে বলে দিব অনন্তকাল জীবিত থাকার বৃক্ষের কথা এবং অবিনশ্বর রাজত্বের কথা? [২০:১২০]
.
দেখুনঃ https://www.rabbidavidcooper.com/…/2364-the-mystical-garden…
.
কাব্বালায় আকিদাগত সেসব শিক্ষাই দেওয়া হয়, যা পূর্বে সংক্ষেপে আলোচনা করেছি। ওরাও সর্বেশ্বরবাদ (ওয়াহদাতুল উজুদ) পূর্নজন্মবাদে(রিইনকারনেশন) বিশ্বাসী। ওদের মধ্যেও ধ্যানচর্চা ব্যাপকভাবে রয়েছে।ওরা ধ্যানকে ওদের ভাষায় হিতবোনেতুত বলে। দেখুনঃ https/en.m.wikipedia.org/wiki/Hitbonenut
.
ওয়াহদাতুল উজুদকে যারা প্রমোট করে এবং বিশ্বাস করে, তাদের উচিৎ এই কাব্বালিস্টের কাছে থেকে তাদের কুফরি আকিদা আরো গভীরভাবে শেখা এবং নিকৃষ্টতম কাফের হয়ে জাহান্নামে যাওয়া অথবা তওবা করে ফিরে আসা। সত্যিই 'এক অস্তিত্বের' ব্যপারে ব্যাখ্যা আমি কাব্বালিস্ট ইহুদীদের চেয়ে প্রফাউন্ড আর কোথাও পাইনি।দেখুনঃ http://youtube.com/watch?v=vPP0Mt-RO8M
.
ওরা সাধারন সকল অকাল্টিস্টদের ন্যায় বলে, যে কেউ যেকোন ধর্মে থেকে বা ধর্ম পালন না করে সৃষ্টিকর্তার সাথে সংযুক্ত হতে পারে। এর কারন সেই মনিজম বা ওয়াহদাতুল উজুদ। অর্থাৎ সে যে ধর্মেরই হোক না কেন সৃষ্টিগতভাবে সে স্রষ্টার সাথেই যুক্ত আছে(নাউজুবিল্লাহ)।
.
কাব্বালা নন জিউইশ কমিউনিটিতেও অকাল্টিজমের সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন অকাল্ট কমিউনিটির সুবিধার্থে কাব্বালার র‍্যাবাই গুরুদের মধ্যে ইউনিভার্সালিস্টরা বিভিন্ন দেশে কার্যালয় খুলেছে। এখনো ইহুদীদের কিছু গ্রুপ ৪০ বছরের নিচের কাউকে কাব্বালার অপবিদ্যার কাছে ঘেষতে দেয় না। কিন্তু অধিকাংশ র‍্যাবাইরা এখন বলছে, সব বয়সীদের জন্য এটা উন্মুক্ত করা প্রয়োজন। অ-ইহুদী সংগঠনের মধ্যে বিভিন্ন রহস্যবাদী আধ্যাত্মিক দল, ফ্রিম্যাসন, রোজাক্রুশানিজম, গোল্ডেন ডন, নিউএজ ইত্যাদির কাছে কাব্বালা সহায়ক জ্ঞানের উৎস।
"A third way are non-Jewish organisations, mystery schools, initiation bodies, fraternities and secret societies, the most popular of which are Freemasonry, Rosicrucianism and the Golden Dawn, although hundreds of similar societies claim a kabbalistic lineage."[Wikipedia]
.
কাব্বালা আমাদেরকে পূর্বোল্লিখিত রিয়েলিটির ব্যপারে অভিন্ন অকাল্ট ধারনা দেয় যে, এটা একটা ইল্যুশনাল ম্যাট্রিক্স। তাছাড়া প্যারালাল ইউনিভার্স, ম্যাটারের এটমিক নোশন এরও ধারনা দেয়। এর বিখ্যাত গ্রন্থ জোহারে উল্লিখিতঃ "The Whole world roll around like a ball,so that some people are above and some are below"[Zohar] অর্থাৎ পৃথিবীর প্রচলিত স্ফেরিক্যাল গ্লোব মডেলের সুস্পষ্ট বর্ননা দিচ্ছে এই বিখ্যাত কাব্বালিস্টিক কিতাব।
.
কাব্বালা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় প্রকৃতির ডাইমেনশাল নলেজে।
কাব্বালা শিক্ষক বিলি ফিলিপ্স বলেন, "জোহার আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যে রিয়েলিটি ১০টি ডাইমেনশন দ্বারা তৈরি। একপার্সেন্ট আমরা দেখছি এবং ৯৯%ই আমাদের থেকে গোপন।" কাব্বালার ডাইমেনশনের শিক্ষা ট্রি অব লাইফের চার্টেই রয়েছে।
বিস্তারিত দেখুনঃhttp://www.kabbalah.info/eng/content/view/frame/86657?/eng/content/view/full/86657&main
.
http://www.zohar.com/article/10-dimensions-reality
.
http://youtube.com/watch?v=4mlKd1BA6BM
.
http://youtube.com/watch?v=0drT_L4G8w8
.
সরাসরি যাদুবিদ্যার ক্ষেত্রে কাব্বালা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় 'নজর'ভিত্তিক যাদু। ওরা গতানুগতিক সকল প্যাগান অকাল্টিস্টদের মত রিয়েলিটিকে অবজারভারকেন্দ্রিক তথা নিউথটের 'ল অব এট্রাকশন'কে মানে। অর্থাৎ রিয়েলিটিতে ম্যাটারের পরিবর্তনে অবজারভার দায়ী থাকে বলে বিশ্বাস করে।এ নিয়ে প্রথম পর্বে বিস্তারিত ভেঙ্গে আলোচনা হয়েছিল।কয়েক লাইনে আবারো উল্লেখ করি, প্যাগান যাদুকররা বিশ্বাস করে, প্রকৃতির সবকিছুই বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি ও ভাইব্রেশনের এনার্জি। সলিডিটি বলে কিছু নেই। সাবএটমিক পর্যায়ে সবই এনার্জি। আর ইউনিভার্সের গোটা এনার্জি ফিল্ডকে একত্রে বলা হয় কালেক্টিভ কনসাসনেস। এই ইউনিভার্সাল কনসাসনেসের ইল্যুশন হচ্ছে রিয়েলিটি যা প্রকৃতিকে বিভিন্ন ম্যাটারে আলাদাভাবে রেখেছে। সাবএটমিক পর্যায়ে মানুষের চিন্তা বা Thought এনার্জি। তাই Human Consciousness এর thought Energy(অবজারভার) , universal unified energy field এর উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এজন্য রিয়েলিটি একদম ভিত্তিগত পর্যায়ে অবজারভার দ্বারা প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। https://kabbalah.com/…/concep…/consciousness-creates-reality
https://kabbalah.com/en/concepts/476-creating-our-reality
এমতাবস্থায় নিয়ন্ত্রনকরতে সক্ষম যারা তারা সিদ্ধিলাভকারী(এনলাইটেন্ড)। কাব্বালিস্টরা অবজারভারের শুধু নযরকে ব্যবহার করে হত্যা করার বিদ্যাও শেখায় এবং ইচ্ছেমত নিয়ন্ত্রন করা শেখায়। ইসলামে আমরা নযর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াকে 'বদনযর'(Evil Eye) বলে থাকি।[ওদের নিষিদ্ধ কুফরি আকিদা দ্বারা বদনযরের মেকানিক্সকে বুঝতে চাইলে কুফরের দিকে ধাবিত হবার সমূহ সম্ভাবনা থাকে,যা থেকে দূরে থাকার অনুরোধ করি]
.
কাব্বালার(হার্মেটিক ট্রেডিশন) ব্যপারে স্পিরিট সাইন্স চ্যানেলঃ
https://m.youtube.com/watch?v=DZnUXa4CIa4
.
https://m.youtube.com/watch?v=7D-W9XyJ_BA
.
https://m.youtube.com/watch?v=eQx4q9nBonE
.
কাব্বালার ইতিহাসের ব্যপারে বিস্তারিতঃ
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Kabbalah
.
https://m.youtube.com/watch?v=ibuSPtXG5dg
.
http://www.conspiracyschool.com/kabbalah
.
http://www.howardnema.com/…/secrets-of-the-kabbalah-ancien…/
.
https://m.youtube.com/watch?v=mtslmfYg3bI
.
https://m.youtube.com/watch?v=DQ3ByjMtmx4
.
বিঃদ্রঃ সঙ্গত কারনে কাব্বালার ভেতরের এসোটেরিক অপবিদ্যার স্বরূপ বিস্তারিত বা সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা বিরত থাকছি। উপরে অনেক তথ্যের ওয়েব লিংক, ডকুমেন্টারি ভিডিও ইত্যাদি উল্লেখ করেছি। সাধারনকে কৌতূহল প্রশমনের অনুরোধ করি। যারা তাওহীদের গভীর জ্ঞান রাখে না তাদের জন্য এই ইত্তেহাদের জগৎ নিয়ে ঘাটাঘাটি করাটা মহাবিপদের। এসব ইল্ম কাফের করে দিতে সমূহ সম্ভাবনা রাখে। মনে রাখা উচিৎ মধ্যযুগে অনেক মুসলিম নামধারীরা এসব বিদ্যার চর্চা করেই 'বিজ্ঞানী' নাম কামিয়েছিল, কিন্তু তারা ভেতরে ছিল কাফের।
.
অনেকে এখনো বুঝতে পারছেন না কেন এই বামপন্থী আধ্যাত্মবাদ ও যাদুবিদ্যার আলোচনা গুলো বার বার আসছে। অতিসত্বর বুঝতে পারবেন। যখন কোন মানুষ মদ ও অন্য সাধারন পানীয় এর মধ্যে তফাৎ করতে না পারে, তখন সে উভয়কেই হালাল মনে করে গ্রহন করে। এমতাবস্থায় তাকে আচমকা এলকোহলিক পানীয় বর্জন করতে বললে সে উলটো বেপরোয়া হয়ে যায় এবং তা উলটো আঁকড়ে ধরতে সংকল্প করে। প্রচলিত বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। এসব আলোচনা এখনো শুরু হয়নি। এই পর্ব ও ১ম পর্ব সামনে আসন্ন বিষয়গুলো বুঝতে ও সংযোগ করতে সাহায্য করবে। ১ম পর্বের লিংকঃ https://m.facebook.com/story.php…
.
এখন যারা দম্ভের সাথে বিজ্ঞানকে স্বতঃসিদ্ধ গ্রহনযোগ্য সত্যরূপে মানে,বিশেষ করে এদের মধ্যে যারা নিজেদের 'মুসলিম' দাবি করে, তাদের মুখের অবস্থা ভাবছি যখন হক্ক ও গোমরাহি সুস্পষ্ট হয়ে যাবে। নিশ্চয়ই অধিকাংশ মানুষই পথভ্রষ্টতা ও শয়তানের ফাঁদেই আটকে আছে, অথচ ভাবে তাদের অবস্থানই শুদ্ধ।
.
আল্লাহ সর্বজ্ঞ।
.............................................….………[
চলবে বিইযনিল্লাহ]












বিজ্ঞান নাকি অপবিজ্ঞান? ।।  Occult Origin of Mainstream
physics and Astronomy: [পর্বঃ৩]


আজ ৩য় পর্বেও আমরা পূর্বের ন্যায় আংশিকভাবে প্যাগান ধর্ম/সংগঠন নিয়ে আলোচনা করব ও ধীরে ধীরে "বৈজ্ঞানিক" অরিজিনের শেকড়ে ফিরব, সেই সাথে Global Scientific illumination এর মহান পথিকৃৎদের নিয়ে আলোচনা করব। ইনশাআল্লাহ।
.
Eastern Occultism:
………………………………..
Occult philosophy
গুলোতে সবচেয়ে এডভ্যান্স হচ্ছে Eastern occultism বা Eastern Mysticismগ্লোবাল প্যাগান রিভাইভালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে পূর্বাঞ্চলীয় আধ্যাত্মবাদ। বলা যায়, পশ্চিমা প্যাগানিজমের চালিকাশক্তিই এই পূর্বাঞ্চলীয় মিস্টিসিজম। খোদ আমেরিকায় ইস্টার্ন অকাল্টিজমের প্রভাব লক্ষ্য করবার মত। আমেরিকায় সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় সুবিস্তীর্ণ অঞ্চলকে ভারতবর্ষ থেকে আগত বহু সাধু-গুরুজীদের জন্য দিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের গুপ্তদর্শন প্রচারের জন্য। জাতিসংঘ এবং মার্কিন সরকারের নিবিড় পৃষ্ঠপোষকতায় আজ আমেরিকার প্রতি চার জনে একজন নাগরিক ভারতীয় অকাল্ট স্পিরিচুয়ালিস্টিক ওয়ার্ল্ডভিউ লালন করে। সেখানকার স্কুল কলেজে বাধ্যতামূলক ইয়োগা শিক্ষাও চালু করেছিল সরকার। বর্তমানে ব্যাঙের ছাতার মত আমেরিকার এখানে সেখানে মেডিটেশন-ইয়োগা ট্রেনিং সেন্টার গড়ে উঠেছে। ক্যাথলিক খ্রিষ্টানরা সবচেয়ে বেশি ইস্টার্ন স্পিরিচুয়ালিজমের ফাদে পড়েছে। টেলিভিশন প্রোগ্রামে তো করছেই, এমনকি হলিউডের ক্যারেক্টারদের দ্বারাও প্রোমোট করা হচ্ছে। আমি অবাক হয়েছিলাম 'ডেথ রেস থ্রি' এর হিরো Luke Goss এর পিঠে 'Om' সিম্বল দেখে। দেখুনঃ https://a3-images.myspacecdn.com/…/e30edbaad4a14db…/full.jpg
.
এটা বর্তমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটা ট্রেন্ড। কেউ হাতে, কেউ বুকে, কেউবা পিঠে এরকম ইস্টার্ন Esoteric symbol এর উল্কি/ট্যাটো করে থাকে। ইস্টার্ন মিস্টিসিজম বলতে মেইনস্ট্রিম বৌদ্ধ,হিন্দু,জৈন,বৈষ্ণবদের বোঝায়। আমরা যখনই সর্বেশ্বরবাদ(monism) ও পুনঃজন্মবাদের আকিদার কথা শুনি তখন প্রথমেই মনে হিন্দুবৌদ্ধদের কথা চলে আসে। অথচ এটা শুধু তাদের একার বিশ্বাসই না।বরং পৃথিবীর সকল প্রান্তের সকল প্যাগানদের এবং সকল গুপ্তজ্ঞানবাদী দার্শনিকদের মধ্যে অভিন্নভাবে বিদ্যমান। সেজন্য পূর্বাঞ্চলীয় কুফরি মতাদর্শগুলোকে সাধারন ধর্মের কাতারে রাখা ভুল।
এগুলো মূলত Ancient Indian philosophical school of thought! এদের যারা বৈদিক ডোমিনিয়ন মানে তাদেরকে আস্তিক বলে আর যারা বেদকে মূল হিসেবে মানে না তাদেরকে নাস্তিক স্কুল অব থট বলা হয়। বৌদ্ধ,জৈন মতবাদ 'নাস্তিক' শাখাভুক্ত। উভয়ের মাঝেই অকাল্ট ট্রেডিশন হিসেবে 'তন্ত্র'কে মান্য করা হয়।'তন্ত্র' ইস্টার্ন মিস্টিসিজম বা অকাল্ট ফিলোসফির প্রধান পথ। আপনারা জানেন তান্ত্রিকরা যাদুবিদ্যায় সিদ্ধহস্ত। অনেক হিন্দু তন্ত্রকে দূরে ঠেলে দিতে চায় কিন্তু ভারতের সব মতবাদই আসলে একে অপরের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে।কেউ তান্ত্রিক ট্রেডিশন বাদ দিয়ে ষড়চক্রের উন্নয়ন সাধনায় সিদ্ধিলাভ করতে পারবে না কেননা সেটা তন্ত্র থেকেই এসেছে।বেদ প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞান বিজ্ঞান ও দর্শনের মূল শাস্ত্র। বেদ লেখা হত কথিত মূনীঋষিদের দ্বারা। তারা ধ্যানের মাধ্যমে Altered State of Consciousness এ গিয়ে উচ্চতর ডাইমেনশনে থাকা স্পিরিচুয়াল স্বত্ত্বাদের থেকে অনেক জ্ঞান আহরন করতেন। পরবর্তীতে সেগুলো কিতাবে লিপিবদ্ধ করা হয় (স্মৃতি/শ্রুতি ভাগে) পবিত্রশাস্ত্র হিসেবে।
"The Veda, for orthodox Indian theologians, are considered revelations seen by ancient sages after intense meditation, and texts that have been more carefully preserved since ancient times."(Wikipedia)
.
তাছাড়া লেফট হ্যান্ড পাথের(বামপন্থার) সাথেও ইস্টার্ন মিস্টিসিজমের সুদৃঢ় সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে এথিস্টিক স্যাটানিজম এবং অকাল্ট এডুকেশনাল ফাউন্ডেশন সেক্ট অব দ্য হর্ন গডের প্রধান Thomas LeRoy বলেন, হিন্দুধর্ম বামপন্থার একটি অন্যতম পথ। শিবকেও তিনি গ্লোরিফাই করেন একটি ভিডিওতে। তার পেজ লিংকঃ m.facebook.com/TheSectOfTheHornedGod
.
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Left-hand_path_and_right-hand_path
.
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Vedanta
.
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Āstika_and_nāstika
.
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Śramaṇa
.
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Veda
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Tantra

.
বেদকে সর্বাধিক প্রাচীন গ্রন্থ গুলোর একটি হিসেবে ধরা হয়। খ্রিষ্টপূর্ব সর্বোচ্চ ১৭০০ বছর আগে বেদ লিপিবদ্ধ হয়। হিন্দুত্ববাদীদের একটা ভ্রান্ত অহমিকা হচ্ছে নিজেদেরকে সবচেয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী বলে দাবি। এটা সত্য যে ওদের প্যাগান মতাদর্শ সর্বাধিক সময় ধরে একই ভাবে টিকে আছে, তাই বলে এই নয় যে সেটাই সবচেয়ে প্রাচীন 'ধর্ম'নতুবা, হরপ্পার প্রাচীন সভ্যতার সময় হিন্দুত্ববাদ কোথায় ছিল(?)! আগেই উল্লেখ করেছি ইন্ডিয়ান ফিলোসফি কোন রিলিজিয়াস ট্রেডিশন না।বরং ইস্টার্ন অকাল্ট ফিলোসফিক্যাল ট্রেডিশন। সুতরাং ওদের জন্য এটা দাবি করা যৌক্তিক যে, ইন্ডিয়ান অকাল্টিজমই(কুফর) সর্বপ্রাচীনতম occult বা কুফরের মূল।
.
এজন্যই, আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) বলেন যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের নিকট ইয়ামানের লোকেরা উপস্থিত হয়েছে। তারা নম্রচিত্ত ও কোমল হৃদয়ের অধিকারী। ঈমান ইয়ামানীদের মধ্যে এবং হিকমাত ইয়ামানীদের। আর কুফরের উৎস হচ্ছে পূর্ব দিকে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯৬, ইসলামিক সেন্টারঃ ৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
.
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কুফরীর মূল পূর্বদিকে, গর্ব এবং অহংকার ঘোড়া এবং উটের মালিকদের মধ্যে এবং বেদুইনদের মধ্যে যারা তাদের উটের পাল নিয়ে ব্যস্ত থাকে, আর শান্তি বকরির পালের মালিকদের মধ্যে।’ (৩৪৯৯, ৪৩৮৮, ৪৩৮৯, ৪৩৯০) (মুসলিম ১/২১ হাঃ ৫২, আহমাদ ৯৪১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
.
কাফেরদের মহান নেতা দাজ্জালেরও পূর্বদিকে থাকাই অধিকতর যুক্তিযুক্ত।
.
......
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ "তামীমদারীর বর্ণনাটি আমাকে বিমোহিত করেছে। যেহেতু তা সামঞ্জস্যপূর্ণ আমার ঐ বর্ণনার, যা আমি তোমাদেরকে দাজ্জাল, মাদীনা ও মক্কা সম্পর্কে ইতিপূর্বে বলেছিতিনি আরো বললেন, সিরিয়া সাগরে অথবা ইয়ামান সাগরে বরং পূর্বদিকে রয়েছে, পূর্বদিকে রয়েছে, পূর্বদিকে রয়েছে। এসময় তিনি তার হাত দ্বারা পূর্ব দিকে ইশারাও করলেন। বর্ণনাকারী ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) বলেন, এ হাদীস আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুখস্থ করেছি।"(সহীহ মুসলিম)
.
বেদের মূল জ্ঞানের অংশ উপনিষদ
উপনিষদেই আধ্যাত্মবাদের মূল আলোচনা করা হয়েছে।বেদের মূল প্রানকেন্দ্র উপনিষদ। তান্ত্রিক এসোটেরিক ট্রেডিশন থেকে এসেছে ষড়চক্র ও দেহতত্ত্ববাদী নানা সাধনা রিচুয়াল। সেসবের উপর ভিত্তি করেই ধ্যান-ইয়োগা(যোগসাধনা) করা হয়। আপনারা অবগত যে প্রাচীনকাল থেকেই ভারতবর্ষ যাদুবিদ্যার জ্ঞানের জন্য বিখ্যাত। যারাই যাদুবিদ্যা,গুপ্তজ্ঞানের খোজে ছুটেছেন তারা ভারতে একবার হলেও এসেছেন। আধুনিক ওয়েস্টার্ন এসোটেরিক পাথের এক জননী ম্যাডাম এইচ.পি ব্লাভাস্তস্কি ভারত ও তিব্বতের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরেছেন এবং অনেক যাদুকর তান্ত্রিকদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন, এরপরে তিনি নিজেই থিওসফিক্যাল সোসাইটি গঠন করেন।
.
গোটা বৈদিক শাস্ত্র যাদুবিদ্যা/ spell casting এর শিক্ষা দেয়। দেখুনঃ
http://astrologyfutureeye.com/mantra-108
.
http://www.vedanta-occult-spells.com/karma-in-hinduism.html
.
http://www.vedanta-occult-spells.com/spell-caster.html
.
http://www.vedanta-occult-spells.com
.
https://baalkadmon.com/portfolio-item/vedic-magick/
.
https://vicdicara.wordpress.com/…/magic-spells-from-atharv…/
.
মন্ত্র বা Spell casting খুবই সাধারণ একটা ব্যপার এই পূর্বাঞ্চলের প্যাগান 'ধর্মচক্রে'
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Mantra
.
"Mantras come in many forms, including ṛc (verses from the Rigveda for example) and sāman (musical chants from the Sāmaveda for example).[3][7] They are typically melodic, mathematically structured meters, believed to be resonant with numinous qualities. At its simplest, the word
(Aum, Om) serves as a mantra. In more sophisticated forms, mantras are melodic phrases with spiritual interpretations such as a human longing for truth, reality, light, immortality, peace, love, knowledge, and action.[3][12] Some mantras have no literal meaning, yet are musically uplifting and spiritually meaningful."(Wikipedia)
.
আগেই আপনাদেরকে বলেছিলাম মিস্টিকদের কথিত রিয়েলিটি=ইল্যুশন বা মায়া তত্ত্ব সর্বপ্রথম এসেছে এই ইন্ডিয়ান প্যাগানিজম থেকে।
বৌদ্ধ ও হিন্দুদের কিছু গ্রন্থে এর ব্যপারে উল্লেখ আছে।বিস্তারিত দেখুনঃ https/en.m.wikipedia.org/wiki/Maya_(illusion)
.
Monier William
এর মতে মায়া হলো- "wisdom and extraordinary power" in an earlier older language, but from the Vedic period onwards, the word came to mean "illusion, unreality, deception, fraud, trick, sorcery, witchcraft and magic".(Wikipedia)
.
ইস্টার্ন অকাল্ট বিলিফ সিস্টেম আমাদের ফ্রিকোয়েন্সি ও ভাইব্রেশনের দ্বারা প্রকৃতির গঠনের কথা বলে, যে বিশ্বাস সকল মিস্টিকদের মধ্যে বিদ্যমান।। "Creation consists of vibrations at various frequencies and amplitudes giving rise to the phenomena of the world."(Wikipedia)
.
এস্ট্রলজি বা জ্যোতিষশাস্ত্র যা ইসলামী শারী'আ যাদু বিদ্যার একটি শাখা হিসেবে সাব্যস্ত করে সেটাও পূর্বাঞ্চলের অকাল্টিজমের মৌলিক বিষয়। "The foundation of Hindu astrology is the notion of bandhu of the Vedas, (scriptures), which is the connection between the microcosm and the macrocosm."
(
উইকিপিডিয়া)
.
"Jyotiṣa is one of the Vedāṅga, the six auxiliary disciplines used to support Vedic rituals."(
উইকিপিডিয়া)
.
"The Vedāṅga Jyotiṣa, or Jyotiṣavedāṅga (Devanagari
वेदाङ्ग ज्योतिष) is one of earliest known Indian texts on astronomy and astrology (Jyotisha).[1] The present form of the text is dated to the 700 BCE to final centuries BCE, but it is based on a tradition reaching back to about 1400 BCE."
(
উইকিপিডিয়া)
.
বিস্তারিতঃ
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Vedanga
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Vedanga_Jyotisha
.
অর্থাৎ এটা স্পষ্ট যে যাদুবিদ্যার শাখাভুক্ত জ্যোতিষশাস্ত্র পূর্বাঞ্চলীয় 'আস্তিক ট্রেডিশনে'রই অবিচ্ছেদ্য বিষয়। তাহলে 'নাস্তিক দর্শনের' অন্তর্ভুক্ত বৌদ্ধ/জৈন/ Cārvāka/ Ājīvika গুলোর কি অবস্থা!/? আপনারা জানেন বৌদ্ধমত সবচেয়ে বেশি স্পিরিচুয়াল। এদের মধ্যে যোগসাধনা,যাদু-তন্ত্র-মন্ত্র, আধ্যাত্মিক এনলাইটমেন্টের মনোযোগ বেশি। আপনারা ভাল করেই জানেন বৌদ্ধদের কালচক্রতন্ত্রে কি উল্লেখ আছে।
জ্যোতিষশাস্ত্রের ব্যপারে আল্লাহর রাসূল(সা) কি বলেন?
.
ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেছেন, ﻣَﻦِ ﺍﻗْﺘَﺒَﺲَ ﻋِﻠْﻤًﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨُّﺠُﻮﻡِ ﺍﻗْﺘَﺒَﺲَ ﺷُﻌْﺒَﺔً ﻣِﻦَ ﺍﻟﺴِّﺤْﺮِ ...
যে ব্যক্তি জ্যোতির্বিদ্যা থেকে কিছু অংশ শিখল সে মূলতঃ যাদুবিদ্যারই কিছু অংশ শিখল। এ (জ্যোতির্বিদ্যা) যত বাড়বে যাদুবিদ্যাও তত বাড়বে(আবূদাঊদ হা/৩৯০৭; ইবনু মাজাহ হা/৩৮৫৮, সনদ হাসান)
.
কুফরের মূল কেন্দ্র পূর্বাঞ্চলের প্রাচীন এস্ট্রোনোমিকাল আইডিয়া এতটাই ইনফ্লুয়েন্সিয়াল ছিল যে তা গ্রীস পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিলযাদুবিদ্যা ও অন্যান্য নিষিদ্ধ জ্ঞানের অন্যতম চর্চাকেন্দ্র গ্রীসেও ভারতবর্ষের অপবিদ্যা প্রভাবিত করে।
"Indian astronomy also influenced Greek astronomy beginning in the 4th century BCE[6][7][8] and through the early centuries of the Common Era, for example by the Yavanajataka[6] and the Romaka Siddhanta, a Sanskrit translation of a Greek text disseminated from the 2nd century"(Wikipedia)
.
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Indian_astronomy
.
ভারতীয়দের বিশ্বাস তারা প্রাচীনকাল থেকেই ওদের ধর্মীয়শাস্ত্র থেকে জানতো যে পৃথিবী বর্তুলাকার। তবে একদম বলের ন্যায় গোলাকার নয়। স্ফেরিক্যাল আকৃতির জন্য সবচেয়ে বড় প্রমান সংস্কৃত "ভূগোল" শব্দটি। দেখুনঃ
https://hinduism.stackexchange.com/…/what-is-the-shape-of-e…
.
শুধু গ্রীসেই নয় ইউরোপেও জেসুইট মিশোনারীর সহযোগীতায় ভারতীয় আকাশবিদ্যা পৌছে যায়।
জেসুইট মিশোনারীদের নিয়ে সামনে আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ।
.
"Some scholars have suggested that knowledge of the results of the Kerala school of astronomy and mathematics may have been transmitted to Europe through the trade route from Kerala by traders and Jesuit missionaries.[51] Kerala was in continuous contact with China, Arabia and Europe".
(
উইকিপিডিয়া)
.
সবচেয়ে অবাক করে হিন্দুশাস্ত্রে সর্বপ্রথম 'পরমানুর' ব্যাপারে সংজ্ঞা। যার উপর গোটা পদার্থবিদ্যা দাঁড়িয়ে আছে সেটার ব্যপারে সর্বপ্রথম বর্ননা পাওয়া যায়:
caramaH sad-visheShANAm aneko .asaMyutaH sadA |
paramANuH sa viGYeyo nR^iNAm aikya bhramo yataH || 3.11.1
.
The material manifestation’s ultimate particle, which is indivisible and not formed into a body, is called the atom. It exists always as an invisible identity, even after the dissolution of all forms. The material body is but a combination of such atoms, but it is misunderstood by the common man.

.
sata eva padArthasya svarUpAvasthitasya yat |
kaivalyaM parama-mahAn avisheSho nirantaraH | |3.11.2
.
Atoms are the ultimate state of the manifest universe. When they stay in their own forms without forming different bodies, they are called the unlimited oneness. There are certainly different bodies in physical forms, but the atoms themselves form the complete manifestation.
The Parama-Mahan is still more subtler than Paramanu.
The Parama Mahan is unique, has no difference, no spacing and leaves behind nothing.
However, majority of Hydrogen atoms have only electrons and protons, but no neutrons.

.
evaM kAlo .apy anumitaH saukShmye sthaulye ca sattama |
saMsthAna-bhuktyA bhagavAn avyakto vyakta-bhug vibhuH || 3.11.3
.
In the same way time also has its discrete divisions, which comprise its gross form and this can be measured by the movement and combination of particles; viShNu is that which is unmanifest, existing in movement and in potential.

.
sa kAlaH paramANur vai yo bhu~nkte paramANutAm |
sato .avisheSha-bhug yas tu sa kAlaH paramo mahAn || 3.11.4
.
Those discrete units of time, which are verily further indivisible, correspond to the time required by a paramANu to cover the space equivalent to a paramANu; this is verily the primal, supreme time.

.
aNur dvau paramANU syAt trasareNus trayaH smRtaH |
jAlArka-rashmy-avagataH kham evAnupatan agAt || 3.11.5
.
Two paramANus are combine to form an aNu, and 3 combine to form a trasareNu; the rays of light emerging from a mesh can make these [trasareNus] move up in empty space.
[
ভগবত পুরান]
.
ব্যাখ্যা-
Bhagavata states that the Paramanus never join each other, only by coming close together they produce an illusion of a solid matter, which has specific properties. It is now accepted by the science that an atom of an element has some specific properties but its Subatomic particles have no such properties.
Its is now proved by the science that the subatomic particles are not really joined to each other, they are far away from each other. Proton of an atom is at a distance of 40,000 [forty thousand] times the diameter of it from its Electron.
Bhagavata Purana has correlated the matter with the time, just like the space-time continuam of the modern science. Time is unmanifested (Avyakta), but it enjoys the manifest world (Vyaktabhuk). It comes into existence in a special way, so it is called as ‘ Vibhu’. The finest unit of time is named as Paramanu, which equals to a millionth of a second. To be precise, a Paramanu of time is 0.000032 seconds, according to the Bhagavata.
The theory of the Paramanus proposed by the Bhagavata is now accepted by the modern science, but the ‘Parama Mahan’ is not yet accepted by the science. A Paramanu keeps behind some ‘ thing ’, if broken ; but the Parama Mahan will not keep any ‘thing ’ behind, except itself. That Unique thing is called as ‘ Kaivalya’ ( nirvana/salvation/moksha ), which is the unique, ultimate Reality.
Vishnu Sahasranama (written in the Shanti Parva of the Mahabharata) gives the meaning of Vishnu as : Veveshti Vyaapnoti iti Vishnuh – That which pervades everywhere is Vishnu.
It is known that atoms don’t exist independently and they exist as molecules, which are spread everywhere to make up the matter appear in different shapes and forms.
Siva is described in Tantra books as the one who is in Anu-Poorva sthiti (pre-atomic stage).
In pre-atomic stage, an unstable atom has an excess electron or proton and this means, Siva exists in the form of atomic energy which flows, and these atoms makeup molecules, which ultimately appears like matter.
This clearly explains the line ‘Sivaya Vishnu Roopaya, Siva Roopaya Vishnave | Sivascha hridayam Vishnor, Vishnascha hridayam Sivaha ||’
Ancient literature like Lakshmi Tantra also suggests that Paramatma , the Supersoul in the heart of everyone through whom all Avatars come to material universe, is lying on that Milk ocean (Milky Way/Galaxy). So Paramatma is in every atom and heart of all souls in 8400000 kinds(species) of material bodies, with two souls in each heart called jivaatma and Paramatma
.
তথ্যসূত্রঃ
https://www.booksfact.com/…/atomic-molecular-knowledge-in-b…
.
ভগবত পুরানকে মাঝেমধ্যে 'পঞ্চম বেদ' বলেও অভিহিত করা হয়।
"The Bhagavata is widely recognized as the best-known and most influential of the Puranas and, along with the Itihasa and other puranas, is sometimes referred to as the "Fifth Veda".(
উইকিপিডিয়া)
.
Kaṇāda Kashyapa
এর প্রবর্তিত একটি বৈদিক ফিলোসফি Vaisheshikaএতে এটমিক কন্সেপ্টকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হয়েছে।
.
"Vaisheshika school is known for its insights in naturalism,[4][5] it is a form of atomism in natural philosophy.[6] It postulated that all objects in the physical universe are reducible to paramāṇu (atoms), and one's experiences are derived from the interplay of substance (a function of atoms, their number and their spatial arrangements), quality, activity, commonness, particularity and inherence."

.
"According to the Vaiśeṣika school, the trasareṇu are the smallest mahat (perceivable) particles and defined as tryaṇukas (triads). These are made of three parts, each of which are defined as dvyaṇuka (dyad). The dvyaṇukas are conceived as made of two parts, each of which are defined as paramāṇu (atom). The paramāṇus (atoms) are indivisible and eternal, they can neither be created nor destroyed.[31] Each paramāṇu (atom) possesses its own distinct viśeṣa (individuality)."

The measure of the partless atoms is known as parimaṇḍala parimāṇa. It is eternal and it cannot generate the measure of any other substance. Its measure is its own absolutely.
.
যাদুবিদ্যার ক্লাসিক্যাল ইলিমেন্টস(পানি বায়ু পৃথিবী আগুন) এই এটমিক দর্শন espouse করে।
"Vaisheshika espouses a form of atomism, that the reality is composed of four substances (earth, water, air, fire). Each of these four are of two types, explains Ganeri,[6]atomic (paramāṇu) and composite. An atom is that which is indestructible (anitya), indivisible, and has a special kind of dimension, called “small” (aṇu). A composite is that which is divisible into atoms. Whatever human beings perceive is composite, and even the smallest perceptible thing, namely, a fleck of dust, has parts, which are therefore invisible.[6] The Vaiśeṣikas visualized the smallest composite thing as a “triad” (tryaṇuka) with three parts, each part with a “dyad” (dyaṇuka). Vaiśeṣikas believed that a dyad has two parts, each of which is an atom. Size, form, truths and everything that human beings experience as a whole is a function of atoms, their number and their spatial arrangements.

Vaisheshika postulated that what one experiences is derived from dravya (substance: a function of atoms, their number and their spatial arrangements), guna (quality), karma (activity), samanya (commonness), vishesha (particularity) and samavaya (inherence, inseparable connectedness of everything)."
.
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া।
https/en.m.wikipedia.org/wiki/Vaisheshika

.
সুতরাং হয়ত অবাক হচ্ছেন আজকের এডভ্যান্স অনু-পরমানুবিদ্যা ৩১০০BCE তে লেখা(ভগবত পুরান) পূর্বাঞ্চলীয় প্যাগানধর্মীয় গ্রন্থ ও দর্শনশাস্ত্রে দেখে। এ কথাও স্পষ্ট হচ্ছে সর্বেশ্বরবাদী ভারতীয় কথিত ধর্ম গুলো যেসব দেব-দেবতার পূজা করে সেসব মূলত প্রকৃতির মৌলিক বিল্ডিং ব্লকেরই পার্সোনিফিকেশন। এজন্য ভগবত পুরানে উপরে বর্নিত বিষ্ণু সর্বত্র বিরাজমান, অনুপ্রভাস্থিতিকে(প্রি এটোমিক স্টেজ)শিব,পরমআত্মা লক্ষ্মী। সুতরাং এটা শক্তিশালী মনিস্টিক ফিলোসফি। মূর্খ হিন্দুরা প্রকৃতির নিগূঢ় অবস্থাকেই দেব দেবীদের বিচিত্র আকার বানিয়ে পূজা করছে। আর জ্ঞানীর মত বৌদ্ধরা কস্মিক ধর্মের স্বাদ আস্বাদন করছে যোগসাধনায় সিদ্ধির দ্বারা। এদের কেউ স্বামী বিবেকান্দ হয়, কেউ হয় যিদ্দুকৃষ্ণমূর্তি কেউবা হয় রজনীশ। ওরা Oneness এর সাথে একাকার হবার জন্য সাধনা করে যায়! এজন্য ওরা আগেই জানে যে এই পৃথিবীর বস্তুর সলিডনেস শুধুই মরীচিকা। পরমানুই রিয়েলিটিতে কঠিন অথবা সুক্ষ্ম বস্তুর ইল্যুশন তৈরি করে। এই পূর্বদিকের গুপ্তজ্ঞানের উপর দাঁড়িয়ে শিক্ষিত যাদুকর-অকাল্টিস্টরা বলে রিয়েলিটি হচ্ছে মায়া বা ইল্যুশন,কনসাসনেসের কথা বলে, ফ্রিকোয়েন্সি, ভাইব্রেশন ও এনার্জির কথা বলে,বলে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা, বলে -কি করে ব্যক্তি নিজেই রিয়েলিটি ম্যানিপুলেট করতে পারে তার ইচ্ছা ও কল্পনা এবং চিন্তার দ্বারা(ল অব এট্রাকশন),বলে পর্যবেক্ষকের উপরই রিয়েলিটি(পরিবর্তন) নির্ভর করে।। আমরা দেখছি, পারমানবিক বিদ্যার প্রথম শেকড় পাওয়া যায় এই ইস্টার্ন অকাল্ট মিস্টিসিজমে।বস্তুত, এই বিদ্যা এক মহা-অন্ধকার পথের, যাকে আজ মানুষ মূর্খতা অথবা কুফরির দরুন মহাআলোর(জ্ঞান-বিজ্ঞানের) পথ মনে করে। সুপ্রাচীন কুফরি যাদুবিদ্যার জ্ঞান ভান্ডারে বর্নিত প্রকৃতির সৃষ্টি রহস্যের বর্ননাই আজকের প্রতিষ্ঠিত স্বতঃসিদ্ধ ফিজিক্স!!
কখনো কি ভেবেছেন, কেন পার্টিকেল ফিজিক্স রিসার্চ ল্যাব - CERN এর সামনেই শিবমূর্তি(উপরের ছবিতে)বসানো?!
[
সার্নের ব্যপারে যারা মোটেই জানেন না তাদেরকে বলি, সার্ন হচ্ছে ইউরোপীয় পরমানু গবেষনা ল্যাবরেটরি। এটাই পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পার্টিকেল ফিজিক্সের গবেষনা ল্যাব। ২২ টি দেশ সংযুক্ত এবং মজার বিষয় হচ্ছে ইজরাইল অ-ইউরোপিয়ান দেশ হলেও পূর্ন মেম্বারশিপ পায়। জাতিসংঘও এর সাথে যুক্ত আছে।(তথ্যসূত্রঃউইকিপিডিয়া)
বিস্তারিতঃ https/en.m.wikipedia.org/wiki/CERN ]
.
এজন্যই দার্শনিক, লেখক ও ইতিহাসবেত্তা ভলটেয়ার ইস্টার্ন অকাল্টিজমের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কিতাব 'বেদের' ব্যপারে বলেন,"The Veda was the most precious gift for which the West had ever been indebted to the East."(Wikipedia)
.
এখানেই শেষ নয়, বেদ-উপনিষদের স্তুতিগান আমরা সামনের আলোচনায় আরো বড় বড় মুখ থেকে দেখতে পাবো ।
....................................................[
চলবে ইনশাআল্লাহ ]


আপনি কি শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্রে বিশ্বাসী?

পৃথিবীর সৃষ্টিতত্ত্বের ব্যপারে আজকের বিজ্ঞান যা বলে তার শেকড় অনুসন্ধান করতে থাকলে অবশেষে প্রাচীন ব্যবিলনের নাম চলে আসে। আর সেখানে গজিয়ে ওঠা শাস্ত্রসমূহে কস্মোলজির ভিত্তিমূল পাওয়া যায়। সেটা পৃথিবীর স্ফেরসিটি বা গোলাকৃতির তত্ত্ব। এর সাথে বিগব্যাং, বিবর্তনবাদ,ইনফিনিটি,প্লুরালিটি প্রভৃতি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। প্রাচীন বাবেল শহরের ইহুদীদের কাছে এ সকল শাস্ত্র গচ্ছিত ছিল।
.
ইজরাইলে অবস্থিত পৃথিবীর সর্ববৃহত্তম কাব্বালা ইন্সটিটিউট এর চেয়ারম্যান র‍্যবাই মিকাঈল লেইটম্যানকে কাব্বালার অরিজিন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "কাব্বালার জন্ম বাবেল শহরে। কাব্বালার ব্যপারে অনেক ভুল ধারনা প্রচলিত আছে, যেমনঃএটা যাদুশাস্ত্র। এটা ভুল ধারনা। অনেক বছর যাবৎ এটা লুকায়িত ছিল তাই এরূপ ধারনা হয়েছে। কাব্বালা হচ্ছে সাইন্স।....."
.
যাইহোক, পুনর্জন্মবাদী যাদুকর পিথাগোরাস ব্যবিলন সফরে গিয়ে গুপ্ত জ্ঞান লাভ করে ফেরেন। প্যাগান যাদুকর এবং ইহুদীদের থাকা পাওয়া অপবিদ্যা নিজের নামে দেশে ফিরে প্রচার শুরু করেন। ইতিহাসবেত্তা হেরোডোটাসও এমনকি একথা বলেন।
Hermippus
পিথাগোরাস এর ব্যপারে বলতেন, "imitation of the doctrines of the Jews and the Thracians, which he transferred to his own philosophy."
.
Josephus
একথা জোর দিয়ে বলেন, "For it is truly affirmed of Pythagoras that he took a great many of the laws of the Jews into his own philosophy."
.
এরিস্টটলের শিষ্য এরিস্টোক্সাস বলেন, পিথাগোরাস তার মৌলিক জ্ঞান লাভ করেন 'পূর্বদিক'(ইরাকের বাবেল শহর) থেকে।
এছাড়াও এরিস্টোবুলাসসহ অনেকেই অভিন্ন তথ্য প্রদান করেন।
.
পিথাগোরাসকেই সর্বপ্রথম পৃথিবীর গোলাকার তত্ত্বের কথক ও প্রচারক বলা হয়।
ফ্রিম্যাসনের মহাগুরু এলবার্ট পাঈক বলেনঃ"পিথাগোরাস যে মহাকাশবিজ্ঞান শিখিয়েছে তা মূলত জ্যোতিষশাস্ত্র(এস্ট্রোলজি): তার সংখ্যাতত্ত্বের বিজ্ঞান কাব্বালার নীতিমালার উপরে প্রতিষ্ঠিত। সবকিছুই সংখ্যার পর্দা দ্বারা ঢাকা।"
.

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُسَدَّدٌ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الأَخْنَسِ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنِ اقْتَبَسَ عِلْمًا مِنَ النُّجُومِ اقْتَبَسَ شُعْبَةً مِنَ السِّحْرِ زَادَ مَا زَادَ ‏"‏ ‏.‏
.
ইবনু আব্বাস (রাঃ)
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জ্যোতিষীর জ্ঞান শিক্ষা করলো সে যাদু বিদ্যার একটা শাখা শিক্ষা করলো। তা যতো বৃদ্ধি পাবে যাদুবিদ্যাও ততো বাড়বে।
.
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৯০৫
হাদিসের মান: হাসান হাদিস
.
সুতরাং পিথাগোরাস বাবেল শহরের যাদুবিদ্যার একটি শাখাকে শিখিয়েছে astronomy এর নামে। অর্থাৎ পৃথিবীর আকার সংক্রান্ত বিষয়টি। এসব ছিল কাব্বালার নীতিমালার উপর প্রতিষ্ঠিত। এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই যে বাবেল শহরে শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্র কাব্বালায় যে পৃথিবীর বিকৃত গোলাকৃতির ব্যপারটি ছিল। কাব্বালিস্টিক অরিজিনের সুস্পষ্ট দলিল আজও বিদ্যমান। কাব্বালা শিক্ষক র‍্যাবাই বিলি ফিলিপ্স বলেনঃ
'
প্রাচীনকালে কাব্বালাকে বলা হত যাদুবিদ্যা।কাব্বালা এমন সব ধারনার ব্যপারে বলেছে যা শুধু কয়েক শতাব্দী বেশি এগিয়েই নয় বরং হাজার বছরের এগিয়ে, উদাহরণ স্বরূপ, জোহার(কাব্বালার কিতাব) ২০০০ বছর আগে বলেছে যা কিনা কলম্বাসের চেয়েও ১৫০০ বছর আগে, জোহার গোলাকৃতি(বর্তুলাকার) পৃথিবীর কথা বলেছেঃ
"
গোটা দুনিয়াটা উদগত হয়েছে বলের ন্যায় গোলাকৃতিতে, এতে কিছু লোক উপরে এবং কিছু লোক নিচের দিকে রয়েছে।"
_
জোহার
(
কাব্বালা)'!!!
.
অতএব, এটা দিবালোকের মত স্পষ্ট যে আজকের এস্ট্রোনমি/এস্ট্রোফিজিক্স শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্রের বিকৃত কথা ছাড়া আর কিছু নয়। শয়তান সবসময় ফিতরাতকে বিকৃত করতে পছন্দ করে। আল্লাহ যা বলেন তার বিপরীতটাই বলবে। রাসূল(সাঃ) ও তার সাহাবাগন তাওহীদের(একত্ববাদ) কথা বললে, শয়তান শেখাবে ইত্তেহাদের কুফরি কথা।ও এমন এক কস্মোলজি আবৃত্তি করবে যা থেকে সৃষ্টিকর্তার কর্তৃত্ব এবং অবশেষে তার অস্তিত্বকেই অস্বীকার করা যায়। সেই কুফরি শাস্ত্রেরই অনুসরন করে ব্যবিলনের ইহুদীরা। আল্লাহ আযযা ওয়াযাল বলেনঃ
"
তারা(ইহুদীরা) ঐ শাস্ত্রের অনুসরণ করল, যা সুলায়মানের রাজত্ব কালে শয়তানরা আবৃত্তি করত,সুলায়মান কুফর করেনি; শয়তানরাই কুফর করেছিল। তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা এবং বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুই ফেরেশতার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল, তা শিক্ষা দিত। তারা উভয়ই একথা না বলে কাউকে শিক্ষা দিত না যে, আমরা পরীক্ষার জন্য; কাজেই তুমি কাফের হয়ো না.... ।"[২:১০২]
.
সুতরাং বুঝতেই পারছেন শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্রকেই আজ সাইন্স বলে শেখানো হয়। জগদ্বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী মিচিও কাকু বলেন,"আমি একজন পদার্থবিজ্ঞানী। আমি এটা বলতে পছন্দ করি যে,আমি এলবার্ট আইনস্টাইন, নিলস বোরের মত দানবের(মহাবিজ্ঞানীদের) পদচিহ্নে হাটি। আমি কোন দার্শনিক নই। এটা বরং আশ্চর্যজনক যে, আধুনিক মহাকাশ বিজ্ঞান, যা আমরা স্যাটেলাইট দ্বারা পাই তা যেন জোহার এবং প্রাচীন কাব্বালিস্টিক শাস্ত্রের ভুতুড়ে প্রতিফলন।"
.
মা'আযাল্লাহ!! কাফিররা শয়তানি কুফরি শাস্ত্রকে বিজ্ঞানের মোড়কে শেখাচ্ছে, এর সকল প্রাচীন শিক্ষকরাই ছিল শয়তানের একান্ত অনুগত গোলাম। এরপরে আজ সেটাকে নাম(কাব্বালা) ধরেও জানিয়ে দিচ্ছে। এরপরেও কিছু মুসলিম জেনেশুনেও এই শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্রের অনুসরন করেই পছন্দ করে। তারা এমনকি যুক্তি দিয়ে বৈধ করতেও চেষ্টা করে। এরা কাফেরদের কুফরি শাস্ত্রের কথা গুলোকে রহমানের আয়াতগুলোকে অপব্যবহার করে সত্যায়ন করতেও চেষ্টা করে। ইন্না লিল্লাহ। এভাবে(রূপকার্থে) মদ ও মধুকে মিলিয়ে দাওয়াতি কাজও চালায়। দুটিকে একাকার করে দেয়! আমরা যখন ওদের সতর্ক করি, তখন জঙ্গী, কাফেরদের দালাল ট্যাগ সহ অনেক কিছুই লাভ করি। আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও রিপোর্ট করা হয়।
.
ওরা আমাদের কাছে শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্রের বিপক্ষে সুস্পষ্ট সহীহ হাদিস বা কুরআনের আয়াতের দলিল চায়, নতুবা তারা এই অপবিদ্যার শাস্ত্রকে আঁকড়ে ধরে থাকবে,যেমনি ইহুদীরা করেছে। কিবলাধারী ইহুদী ছাড়া এরূপ চিন্তা আর কাদের হতে পারে! অথচ সুস্পষ্ট শয়তানি কাব্বালিস্টিক শাস্ত্রের বিপক্ষে একটিও যদি দলিল কুরআন সুন্নাহ এ না থাকে, এরপরেও সে শাস্ত্রের কোন কিছুই কস্মিনকালেও মুসলিমদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ কুরআন ও হাদিসের সমস্ত বর্ননা কাব্বালিস্টিক কস্মোলজি ও কস্মোজেনেসিসের বিপরীতে। এবং এ ব্যপারে সুস্পষ্ট দলিল রয়েছে। হক্কের মাপকাঠি তথা সাহাবীদের (রাযি.) জামাতের আকিদা ও শিক্ষাও ছিল কাব্বালিস্টিক ওয়ার্ল্ডভিউ বিপরীত মেরুর। আর সেসব ঠিক তাই যার ব্যপারে আমরা বলি। কিছু অন্তরে রোগগ্রস্ত লোক, বরেণ্য আলিম ও উলামাদের রেফারেন্স নিয়ে আসে, এই আশায় যদি কাব্বালিস্টিক কস্মোলজিকে সত্যায়ন করা যায়। তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলি, প্রাচীন যুগ থেকে আজ পর্যন্ত যত আলিমগন অসচেতনভাবে এর সপক্ষে কিছু বলেছেন আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সত্যিকারের আলিমরা সাধারনত তাদের ব্যক্তিগত মত প্রকাশের সাথে সাহাবাদের জামাতের অনুসরনের দিকে রিডায়্রেক্ট করতেন। ইমাম আবু হানিফাও(রহঃ) এরূপ করেছিলেন। অপবিজ্ঞানের সপক্ষে যায় এরূপ কারও কথা যদি আল্লাহ ও তার রাসূল() এবং সাহাবী (রাযিঃ) এর কথা ও বিশ্বাসের সাথে সংঘর্ষ তৈরি করে, তবে তা অনুসরণযোগ্যতা হারায়। যারা এরূপ বলতেন, তারা অধিকাংশই এসব ব্যপারে গভীরভাবে না জেনেই কুরআন-সুন্নাহর বাহিরে গিয়ে যাদুশাস্ত্রের সপক্ষে বলেন। কেউবা তৎকালীন পরিস্থিতির স্বীকার। কেউবা দাওয়াতের স্বার্থে হিকমাহ অবলম্বন করতে গিয়ে....! আল্লাহ তাদের ব্যপারে সর্বোত্তম জানেন। অতএব তাদের কোন ঐরূপ কোন বক্তব্য বা মতামত কোন কিছুই প্রমান করে না।এজন্য
আমাদের দ্বারা কাব্বালিস্টিক 'এস্ট্রলজি'কে প্রমোট করে এমন কোন কিছুরই নূন্যতম মূল্যায়নও করা হয়না।
কাব্বালিস্টিক এস্ট্রনমির পক্ষে তাদের কোন প্রকার যুক্তির কোনরূপ গ্রহণযোগ্যতা নেই। অধিকন্তু, গোল পৃথিবীবসহ অন্য সকল এস্ট্রোনমির নামে যা কাফেররা দেখায়, সেসবের অধিকাংশই মিথ্যা। অধিকাংশই কম্পিউটার জেনারেটেড এনিমেশন এবং ফটোশপ দ্বারা বানানো ছবি। সত্য তো ঠিক তাই যা আল্লাহ ও তার রাসূল(সাঃ) বলেছেন।
আল্লাহ আসমান ও জমিনকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। জমিনকে করেছেন শয্যাক্ষেত্র স্বরূপ এবং আসমানকে করেছেন জমিনের উপর গম্বুজের ন্যায় সুউচ্চ ছাদ।
.
Cosmological distortion
কোন superficial ব্যপার নয়। বরং এর সাথে অনেকগুলো বিষয় জড়িত। ওরা কুফফারদের কথা গুলো দ্বারা রহমানের আয়াতের সত্যায়নের হীন অপচেষ্টা চালায়। রহমানের পবিত্র আয়াতগুলো দ্বারা শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্রকে সত্যায়ন করার হীন অপচেষ্টা চালায়। খুব শীঘ্রই অপবিজ্ঞানের কোন গ্রহণযোগ্যতাই থাকবে না(ইনশাআল্লাহ)। সত্য ও মিথ্যার মাঝামাঝি বলে কোন কিছু রাখা হবে না। বিইযনিল্লাহ। শুধু অপেক্ষা করুন।
.
পরিশেষে প্রশ্ন থাকলো,আপনি কি বাবেল শহরের শয়তানের আবৃত্ত শাস্ত্রকে পছন্দ করেন, নাকি আল্লাহ ও রাসূল() এর নিদর্শন ও নির্দেশনাবলী সম্বলিত শাস্ত্রকে?







মিথ্যা মসীহের আগমনের স্টেজ নির্মান

মিথ্যা মসীহের আগমনের স্টেজ নির্মানকারীরা তাদের দর্শনের সপক্ষে মেটাফিজিক্সের সাথে গভীরভাবে জড়িত কোন নতুন ডক্ট্রিনকে মেইনস্ট্রিমে আনার জন্য প্রথমেই গল্প/ম্যাগাজিন/নাটক/সিনেমায় ফ্যান্টাসি তৈরি করে মঞ্চস্থ করছে। সেটাকে জনগন বিনোদনের জন্য গ্রহন করছে। কিন্তু অবচেতনে ঠিকই বিশ্বাসও করে নিচ্ছে। এমনটা চন্দ্রবিজয়ের নাটকের আগেও করেছিল। প্রথমেই আউটার স্পেস ট্রাভেল ফ্যান্টাসি নিয়ে গল্প, সিনেমা বানানো শুরু করে। সেসব প্রকাশের সময় একই সাথে বাস্তবজগতে সেই মিথ্যাকে সত্যায়নের জন্যও নাটক তৈরি প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এভাবেই প্র‍থমে আমাদেরকে 'সায়েন্স ফিকশন' টার্মের অধীনে খাওয়ানো হয়। অতঃপর সে ফিকশনকে বাস্তব জীবনে সত্য আকারে দেখানো হয়। এই প্রক্রিয়ায় আউটার স্পেসের অস্তিত্ব, স্পেস ট্রাভেলের সম্ভাব্যতা, চন্দ্রবিজয় কে দ্ব্যর্থহীন সত্য হিসেবে দেখানো হয়েছে। আর এর উপরে সবার মাথায় গেঁথে দেওয়া হয়েছে মহাজাগতিক বিবর্তনের(বিগব্যাং) ফসলঃ ইনফিনিট আউটার স্পেস যুক্ত হেলিওসেন্ট্রিক মডেল এবং সেলেস্টিয়াল অবজেক্ট গুলোর স্ফেরিসিটি(বর্তুলাকৃতি)।
এ ব্যপারে চমৎকার ডকুমেন্টারি দেখুনঃ https://www.youtube.com/watch…
.
আর এই ডায়াবোলিক্যাল প্রোগ্রামিং এর ফসল হিসেবে কাফেরদের ভ্রান্ত অপপ্রচারের উপর অন্ধ বিশ্বাসের নমুনা দেখুনঃ
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1903489516367972&id=100001208264338
.
জ্বি ওরা এভাবে অত্যন্ত সফল। এ প্রক্রিয়ায় একযোগে অগনিত মানুষের বিশ্বাসকে পালটে ফেলা যায়। শুনলে অবাক হবেন, এরকমই মহাপরিকল্পনা স্বরূপ ১৮ বছর আগে বৌদ্ধ কুফরি দর্শন এর উপর ভিত্তি করে দ্য ম্যাট্রিক্স মুভিটি তৈরি করে। ওদের উদ্দেশ্য ছিল ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন। সেই প্রাচীন ব্যবিলনিয়ান এস্ট্রো থিওলজির উপর গজিয়ে ওঠা প্যান্থেইস্টিক ধর্মটির দিকে আহব্বান। এবং হ্যা, আজ সেই আহব্বানে সাড়া দিয়ে সারাবিশ্বে বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ সেই তাগুতি দ্বীনকে গ্রহন করেছে। আর উহাকে মেইনস্ট্রিম সাইন্সের মানদন্ডে উত্তীর্ণ করতে ইমার্জেন্স থিওরির ইমার্জ হয়েছে। আসছে 'থিওরি অব এভ্রিথিং' হয়ে। অর্থাৎ ম্যাট্রিক্স মুভিতে রিয়েলিটি/দর্শন নিয়ে যে চিন্তাধারাকে বহু বছর আগে দেখিয়েছে তা-ই সত্য হিসেবে বাস্তবায়ন চলছে। মনে রাখবেন যে ওয়ার্ল্ডভিউ সেই মুভিতে দেখিয়েছিল সেটাই পিথাগোরাস ব্যবিলন থেকে শিখে এসেছিল হাজার বছর আগে এবং বলত 'এভ্রিথিং ইজ নাম্বার'ওটাই কাব্বালিস্টিক ওয়ার্ল্ডভিউ।
আপনি কি ওই বিশেষ ধর্মটিকে চিনতে পারেন নি(?)! আমাদের দেশে কোয়ান্টাম ম্যাথড নামে যা চলছে,সেটাই!
.
অনেক গুলো প্রবঞ্চনার বিষয়বস্তু একটার সাথে আরেকটা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। আমরা সেসবকে খুলে খুলে প্রকাশ বলে আশা প্রকাশ করি। ইনশাআল্লাহ।
.
(
উপরের ছবিটি বর্তমান স্ট্যাবলিসড কস্মোলজি/কস্মোজেনেসিস এবং ব্যবিলনিয়ান মেইনস্ট্রিম এস্ট্রোফিজিক্স এবং তাদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্যকে প্রকাশ করছে। যখন একে একে শয়তানের ইন্দ্রজালগুলোকে একে একে প্রকাশ করে সতর্ক করা হবে তখন, সবকিছুই বুঝতে সহজ হবে,বিইযনিল্লাহ।)









.............

ডিস্কোভারী চ্যানেলে স্পিরিচুয়ালিস্টিক মতবাদের সুক্ষ্ম প্রমোশন দেখে কিছু লিখেছিলাম, এরপরের সপ্তাহেই এই চ্যানেলে 'প্যারানরমাল উইটনেস' প্রোগ্রামে সুস্পষ্টভাবে দেখালো।
.
দেখালো, এক দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তি নিয়মিত অপহরণ, খুনের সাথে জড়িত। তাকে কোনক্রমেই ধরা যাচ্ছিলো না। এক নিউএজ প্যাগানিজমের সাথে জড়িত একমহিলা তাকে রিমোট ভিউয়িং এর ক্ষমতা দ্বারা নাম জানতে পেরেছিল। অতঃপর তা আমেরিকান গোয়েন্দা বিভাগে জানায়। তারা এ তথ্য বিশ্বাস করেনি। পরবর্তীতে, সেই যোগসাধক মহিলা তার ধ্যানচর্চাকারী কমিউনিটির সাথে একসাথে এক টেবিলে বসে হাতে হাত রেখে ধ্যান শুরু করে। Clairvoyance এর দ্বারা তিনি আসামীকে দেখছিলেন তখন ধ্যানের জগতে দেখে লোকটি গাড়িতে প্রবেশ করে। এরপরে কল্পনা দ্বারা একটি ছুরী নিয়ে তার পিঠে আক্রমণ করে। এতে আসামী মারাত্মক জখম হয়। এবং পালাতে পারে নাহ।এরপরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার পিঠে ছুরি দ্বারা আক্রমনের মত জখম ছিল! এরপরে তারাও আবিষ্কার করে আসামির যে নাম ওই মহিলা জানিয়েছিলেন সেটাই সত্য।
অবশেষে গ্রুপ মেডিটেশন, চ্যানেলিং এবং দূরদর্শন সংক্রান্ত সাইকিক এবিলিটি সম্পন্ন গর্বিত ওই মহিলা আর সিআইএ এজেন্টদের বিস্ময় দেখিয়ে এপিসোডটি শেষ হয়।
.
এভাবেই ডিস্কোভারীর মত সাইন্টিজমের প্রচারকরা নিউএজ অকাল্ট ম্যাসেজ দিয়ে যাচ্ছে, ওটা ঠিক তা-ই যার প্রচার এদেশে কোয়ান্টাম ম্যাথড করে যাচ্ছে।



................

আমাদের নিচে আছে পৃথিবীর সদৃশ আরো ছয়টি জমিন। ইবনে আব্বাস (রা) বলেন সেখানে আছে আদমের(আ) ন্যায় আদম, নূহ(আ) এর ন্যায় নূহ,ইব্রাহীম (আ) এর ন্যায় মানব সম্প্রদায়। আর অদ্ভুত জীবজন্তুর বর্ননাও পাওয়া যায় কিছু দুর্বল হাদিসে। আর নভোঃমন্ডল ফেরেশতাগনের রাজ্য, সেই সাথে কিছু নির্ভরযোগ্য হাদিসে বিস্ময়কর মাকলুখের বর্ননাও পাওয়া যায় তাই আসমানেও অজস্র জীবের অস্তিত্ব থাকাই স্বাভাবিক।আসমান শূন্য কিছু নয় বরং সেটাও জমিন সদৃশ সলিড ব্যারিয়ার সিলিং স্ট্রাকচার। আসমান যমিনসমূহ কুরসীতে এতই ক্ষুদ্র যে তা যেন মরূভূমির বুকে ছোট্ট লোহার আঙটার ন্যায় নগণ্য । সূরা ফাতেহার প্রথম আয়াতকে দলিল হিসেবে নিয়ে ইমাম ফখরুদ্দীন রাযি(র) এরূপ বলেন যে কুরসীতে আসমান জমিনের সমষ্টির ন্যায় আরো অসংখ্য মহাবিশ্ব থাকতে পারে। একজন জ্ঞান সম্পন্ন কওমী আলেমের সাথে দীর্ঘক্ষন সাক্ষাৎকারের সময় ভাই অসাধারন একটি হাদিস বর্ননা করেন যা তিরমীযীতে তিনি পাঠ করেছেন। তিনি এরূপ বলেন যে, আল্লাহ বলেন তার এমন বৃহৎ মাখলুকও আছে যাদের প্রত্যেকের দেহ গোটা আসমান জমীনের সমান। আল্লাহ বলেন তাদের রিযিকও তাদের নিকট পৌছে দেন। সুবহানআল্লাহ।
আল্লাহ বলেনঃ
সূরা আশ্‌-শূরা (الشّورى), আয়াত: ২৯
وَمِنْ ءَايَٰتِهِۦ خَلْقُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ وَمَا بَثَّ فِيهِمَا مِن دَآبَّةٍ وَهُوَ عَلَىٰ جَمْعِهِمْ إِذَا يَشَآءُ قَدِيرٌ
উচ্চারণঃ ওয়া মিন আ-য়া-তিহী খালকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ালআরদিওয়ামা-বাছছা ফীহিমা-মিন দাব্বাতিওঁ ওয়া হুওয়া আলা-জামইহিম ইযা-ইয়াশাউ কাদীর।
অর্থঃ" তাঁর এক নিদর্শন নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃষ্টি এবং এতদুভয়ের মধ্যে তিনি যেসব জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি যখন ইচ্ছা এগুলোকে একত্রিত করতে সক্ষম।"
.
এজন্য আবার কেউ ওইসব অজানা সৃষ্টিকে এলিয়েন বলাটা ভুল। আউটার স্পেস এর ধারনার সাথে এলিয়েনিস্টিক নর্ম কানেক্টেড আর এই কানেকশন একে একে করে সৃষ্টিকর্তাহীন অপবৈজ্ঞানিক চিন্তার সাথে সম্পৃক্ত আর এসব নিকৃষ্ট কাফেরদেরই চিন্তালব্ধ আদর্শ যারা তাওহীদে রুবুবিয়্যাহকেও স্বীকৃতি দেয় না যেটার স্বীকৃতি অতীতের অধিকাংশ মুশরিক ও কাফেররাই দিত।আর আল্লাহর অন্যান্য সৃষ্ট সেসব প্রানীদের মধ্যে ডমিনেশনের চিন্তা নিয়ে দখলদারিত্বের সম্ভাবনাও নেই যেটা এলিয়েনেটিক থটে পাওয়া যায়। এলিয়েন শুধুই হেলিওসেন্ট্রিক কস্মোজনীতেই সংশ্লিষ্ট। বর্তমানে রায়েলিজম/আনুনাকি/এলিয়েনিজম ধর্মগুলো অবশ্য আমাদের শেখাচ্ছে কাল্পনিক এলিয়েনরাই আমাদের এন্সেন্টর! প্রমিথিউজ মুভিও বানিয়েছে, ওদেরকে উপস্থাপন করছে ইঞ্জিনিয়ার শব্দ দ্বারা!















.............

আসমানি জমাট তরঙ্গায়িত নীলাভ ছাদে তারকাদের খুব স্পষ্ট এবং উজ্জ্বলভাবে দেখা যাচ্ছিল। একটা দূরবর্তী অজানা নক্ষত্রকে কাঁপতে দেখে মাগরিব বাদ বাসা ফেরার পথে থমকে দাঁড়াই। অতঃপর ভাবলাম এদের কোনটিকে যদি আবারো আমার গরিবানা এন্ড্রয়েডের স্ক্রিনে ধারন করা যায়...। শুক্র 'তারকা'টিকে অন্যদের চেয়েও উজ্জ্বল দেখাচ্ছিলো। সেটাকেই তুললাম। এ্যামেচার টেলিস্কোপ এবং জুম লেন্সড ক্যামেরায় যা দেখা যায় ঠিক সেরকমই।
.
আপনারা ভেনাসকে গ্রহ বলেই জানেন। আপনি একে solid terra firma বলে জানেন। আপনারা যেটা দেখেন সেটা কম্পিউটার জেনারেটেড ইমেজ।এটা 'এস্ট্রোলজিক্যাল সাইন্সের' এডভান্স ভার্সনের ফলাফল মাত্র। দুনিয়ার স্ফেরিসিটি থেকে তার শুরু হয়।এই Babylonian জ্যোতিষশাস্ত্র থেকেই Monism/unity of existence এর আকিদার জন্ম হয়। যার সার্কুলেশন আজও সুফিবাদ ও ইয়োগা এবং প্রতিষ্ঠিত ন্যাচারাল ফিলসফি(সাইন্স) দ্বারা অব্যহত আছে। সেসব তো কোয়ান্টাম ফিজিসিস্টগনই(pioneers) সত্যায়ন করেন অতঃপর আজ তা এমন আসনে চলে আসে যে, এটা আজ অত্যন্ত শক্তিশালী প্রভাবসৃষ্টিকারী দ্বীন। যদিও মুরজিয়া ও মুতাযিলাদের কাছে এসবই পরম গ্রহণীয় বিষয়। অধিকাংশ লোকের ইগোমেনিয়াক হবার জন্য কর্নকুহরে সত্য পৌছলেও অস্বীকার করতে চেষ্টা করে। "আমি অমুক কি কম জানি, আমি অমুক যা জানি সেটাই ঠিক"।
.
বাস্তবতা হচ্ছে ভেনাস অন্য সকল নক্ষত্রদের মত একটি চলমান তারকা বিশেষ। আল্লাহর রাসূল(সাঃ) এবং সাহাবীদের ভাষ্যমতে সেটা সুউচ্চ জমাট ঢেউয়ের(ছাদ) উপরে ভেসে বেড়ায়।
.
যাহোক, সত্যিকার cosmogony অনুযায়ী আসমানের ব্যপারে যেসকল তথ্য পাওয়া যায়ঃ
_____________
১.আকাশ জমিনের উপর ছাদের ন্যায় সলিড স্তর। মোটেই 'মহাশূন্য বা স্পেস না'
২.আকাশ জমিনের উপর কাচ/জমাট পানির তৈরি গম্বুজাকৃতির ছাদ।
৩.তারকা সমূহ জমিনের নিকটতম আসমানে।
৪.জমিন আসমান সৃষ্টির আগেই সৃষ্ট।
.
আকাশ নিয়ে ইসলামিক দলিল সমৃদ্ধ কিছু আর্টিকেলঃ
_____________
Dome Firmament :Impenetrable Barrier :
আকাশঃ গম্বুজাকৃতির দুর্ভেদ্য মজবুত ছাদঃ
https://m.facebook.com/…/a.291781357945730…/384004932056705/
.
আকাশ-সুউচ্চ জমাট ঢেউ ও সুরক্ষিত ছাদঃ
https://m.facebook.com/…/a.291781357945730…/379434915847040/?
.
কুরআনে জিওসেন্ট্রিক এস্ট্রোনমির অকাট্য বর্ননা,বিজ্ঞানপন্থী মোডারেট কথক-লেখকদের আদর্শিক গ্রহনযোগ্যতাঃ
আসমান
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=334931756964023&id=282165055574027
.
কুরআনে Geostationary Geocentric Astronomical Model এর অখণ্ডনীয় বর্ননাঃ #আসমান
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=330694217387777&id=282165055574027
.
এভার এক্সপ্যান্ডিং ইউনিভার্স, ইসলাম ও বাস্তবতা(Ever Expanding Universe, Islam And Reality):
https://m.facebook.com/…/a.291781357945730…/334927556964443/?
.
বিবর্তনবাদী বিজ্ঞান এবং কুরআনঃ
Irrecoverable Conflict :
মহাকাশ(আসমান) আগে নাকি পৃথিবী তথা যমীন আগে
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=334905930299939&id=282165055574027
.
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=436035650186966&id=282165055574027
.
Untitled :
https://m.facebook.com/…/a.291781357945730…/334890543634811/
(
এরকম আরো)
.
যমীনের ব্যপারে আরো শক্তিশালী ইসলামি দলিলভিত্তিক আর্টিকেল আসবে 'True Cosmogony' article series , ইনশাআল্লাহ।


No comments:

Post a Comment