Thursday, February 27, 2020

হিসাব মুযাইয়াফের বাছাই স্ট্যাটাস (২য় অংশ)



শাহবাগী এবং শাহবাগীয়তাবাদীদের অনেক লাফাইতে দেখছি। তারা রাজাকারদের ধর্ষন ও হত্যার বিচার হয়না বিধায় বিরয়ানী আর মুরগীভাজার ঢেঁকুরে মুষড়ে পড়তেছিলো শনৈ শনৈ। একারণে তারা কনক্রিট এভিডেন্স এবং ফেয়ার ট্রায়াল ইত্যাদির তোয়াক্কা করতোনা কারণ তারা, এভিডেন্টলি, ধর্ষন ও হত্যা নিয়ে ব্যাপক মর্মাহত। ইসলামপন্থী এবং জাতীয়বাদীদের মধ্যকার শাহবাগীয়তাবাদীদেরো দেখতাম প্রকাশ্য ইসলামোফবিয়ার axis-এর বিরুদ্ধে কথা বলতে চায়না কারণ তারা রাজাকার ট্যাগ খেতে চায়না। এজন্য তারা পশ্চাতদেশে সিঁদুর মেরে আর মাথায় গোলাপজল লাগিয়ে প্রচুর "মধ্যপন্থি" ক্রিটিক আনে, ব্যাপক ব্যালেন্স চুইয়ে পড়ে। অর্থাৎ তারা আওায়ামী লীগ না, তবে তারা আবার এন্টি-ও না। কারণ জানেনিতো, এন্টি হইলেই রাজাকারি axis-এ।
ইসলামি আইনে ধর্ষনকে বলা হয় হিরাবা। অর্থাৎ এমন একটা ক্রাইম যেটা ক্যাটাগরিকালি 'সন্ত্রাস'/'ডাকাতি'সুতরাং ধর্ষকের চরম পর্যায়ের শাস্তি হবে। একিভাবে কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করাও সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রাইমের মধ্যে। ইমাম আল-মাতুরিদি (রাদিয়া আল্লাহু আনহু) ঐ পর্যন্তও বলেছেন যে, বিনা ন্যায়ে কারো প্রাণ নেয়া কুফর। বিষয়টা এতোটাই সিরিয়াস।
আজকে ধানের শীষে ভোট দেয়ায় এক বোনের আব্রু নিয়ে বরাহশাবকের দল এরকম সন্ত্রাস করেছে। এটা একটা কেইস না। আমি আক্ষরিকভাবেই হাজারের অধিক এরকম ধর্ষন ও হত্যার একাউন্ট আপনার কাছে নথি করে দিতে পারবো যার একাত্তরের মামলায় অভিযুক্ত অনেকের চেয়ে একশগুন কনক্রিট প্রমাণ ও স্বাক্ষী আছে। আপনারা তারপরেও এখন শাহবাগ করবেন না, আপনারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন বরণগুলাতে যেভাবে কাঁদতেন সেভাবে কাঁদবেন না, আপনারা ধর্ষকদের প্রতিকৃতি বানিয়ে ঘৃণা করা শেখাবেন না, আপনারা "রাজাকার"-দের সন্তানদের ব্যাপারে যেইসব সস্তা genetic fallacy আর্গুমেন্ট আনতেন সেগুলা আনবেন না। আপনারা বুঝাইছেন আপনারা justice বা আদালত চান -- এটা একটা ষন্ডপুরীষ বাদে কিছুই না।
আপনারা হচ্ছেন আধুনিক স্নোফ্লেইক যারা শাদাদের চামচামী ছাড়া জীবনে বুদ্ধিবৃত্তিকতা করতে শিখে নাই, যারা আধুনিকতার euphoria-য় এক ধরণের সুশীলতার পোশাক পড়ে এমন রাজনীতি করবে যা ব্রাহ্মণ্যবাদী axis-এর বিরুদ্ধে যাবেনা।
আপনারা কখনোই জাস্টিস চান না, আপনারা চান আপনাদের আধুনিক যৌন অনুভুতিগুলো যেন একটা কাঠামোগত আউটলেট পায়।















ইমাম, আল-শাইখ, আবিদ, হাজি আলি আব্দ আল-রাহমান ফিকি খাইরি, সোমালিদের কাছে যিনি শাইখ আলি আল-মাজিররিনি হিসেবে পরিচিত। (১৭৭০-১৮৫২) ইন্টারেস্টিং হলো: উনি ইবন আব্দ আল-ওয়াহহাবের নাজদি দাওয়াতের বেশ পোক্ত সমর্থক ছিলেন। হিজায সফরে গিয়ে উনি ই.আ.ও-র কাছে মতান্তরে তার ছাত্র/ছেলের কাছে ইলমি সাহচর্য নেন।
Image may contain: 1 person
তিনি প্রচুর পড়াশোনা করতেন। ইলম অন্বেষায় পূর্ব আফ্রিকা, হিজায, শাম, ইয়েমেন থেকে শুরু করে হিন্দুস্তানে চষে বেড়িয়েছেন। বম্বেতে থেকেছিলেন কিছু সময়ের জন্য; সেখানে একটা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে দারস প্রদানও করেছিলেন। মসজিদটা ওনার নামেই ছিল। যানযিবারেও থেকেছিলেন এবং সুলতানের সাথে সাক্ষাত করেছিলেন।
পরবর্তীতে ঘরে ফিরে আসেন, এবং মার্কাতে স্থায়ী হন। বিনাদিরের এই অংশ কাদিরিয়্যা তারিকার শক্ত কেন্দ্র ছিল। শাইখ এখানে সুফি তুরুক এবং তাদের তাওয়াসসুল ও কবর জিয়ারতের বিরুদ্ধে বলতে থাকেন। কিন্তু শাইখ একিসাথে কাসিদা লিখতেন প্রচুর -- নবিজীকে সা. নিয়ে, আহল আল-বাইতকে নিয়ে -- যেগুলো বিভিন্ন মীলাদ মাহফিল বা উরসে গাওয়া হতো, আবৃত্তি করা হতো। উনি যখন মার্কাতে মারা যান, ওনাকে সুফি আউলিয়াদের কবরে দাফন করা হয়। ওনার কবর আল্লাহর একজন বড় ওয়ালির কবর হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রতি বছর অন্তত একবার শাইখের কবরে মানুষ আসতো কারণ সেখানে দুয়া কবুল হতো।
https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t4c/1/16/1f642.png:)
[কৃতজ্ঞতা: শা. আর্তান আল-সুমালি]




















একটা সময় উম্মতের ফুতুওওয়াধারী পুরুষদের ক্লজিটে যত্ন করে বোনা, আধ্যাত্মিক নন্দনতত্ত্বে সিক্ত এক দুইটা জামা কাপড় থাকতো। আব্দ আল্লাহ ইবন আল-যুবাইর রাদি.-র শাহাদাতের দিন তার মা আসমা বিনত আবি বাকর যুদ্ধের কাপড় পড়িয়ে দিয়েছিলেন। ব্যাপারটা অনেক প্রশান্তির বা সাকিনার বা আধুনিকতাবিহীন ফিতরাত।
আর এখন পুরুষদের মাঝে ঢুকেছে রেডিমেইড সিন্ড্রোম বা টেইলর্স ইফেক্ট। তারা তাদের জামা কিনে আনে ট্যাগ লাগানো বিপণন কেন্দ্র হতে, বা টেইলর্সে গিয়ে আরামসে গাত্র মাপিয়ে। তারা বিপ্লবও এইভাবে করতে চান: রেডিমেইড এন্ড টেইলর্ড; নিজেদের কোন খাটুনি নাই; সারাদিন অলস দেহ দুলিয়ে ফেবুতে আবেগমেহন; মুসলিম উম্মাকে নিয়ে এক্সক্লুসিভিস্ট এবং বিধ্বংসী নাজীয়তাবাদী তাফালিং; আর ব্যাপক অভিমান। বাঙ্গাল পুরুষের অভিমান অনেক প্রচুর: তাদেরকে কেন সবকিছু মুখে করে খাইয়ে দেয়া হয়না। সারাদিন চা-কোক ঠাইসা মাইরা এরপর সিঙ্গারা ফুঁকে দুই কাপ তাকফির করে এক পেয়ালা বিপ্লব মেরে অভিমানে খোকা ঘুমায়। বাঙ্গালি পুরুষের আজন্ম কৈশোর আর শেষ হয়না।



















> দৃশ্যপট ১:
উস্তাযা নাজাহ নাদি: "পয়লা ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার (২০১১) তাহরির স্কয়ারে আমি শাইখের সাথে দেখা করলাম। জিজ্ঞাসা করলাম যে, 'উস্তায, আযহারে আমাদের ক্লাসগুলার কী হবে, ক্লাস নিবেন না?'"
শা. ইমাদ: "ক্লাসের লেসন তো এখানেই মা!"

Image may contain: 2 people, people smiling, outdoor

> দৃশ্যপট ২:
আলি জুমু'আ: "আপনি তাহরিরে কেন যাচ্ছেন, কী দরকার?"
শা. ইমাদ: "ঠিক এই মুহূর্তে, তাহরিরকে ঘিরে যেই বাতাস রয়েছে সেটি আমার কাছে কাবার চারপাশের বাতাস অপেক্ষা অধিকতর বিশুদ্ধ এবং প্রিয়।"
----
গতকাল শাইখ আল-ছাউরা, হুসাইন আল-আসর আল্লামা ইমাদ ইফফাতের শাহাদাত বার্ষিকি ছিলো। ওনার ছাত্রী উ. নাজাহ নাদির ট্রিবিউট: [https://justpaste.it/58ux1]
ছবি: সিরিয়ার জন্য কোন এক বিক্ষোভে শাইখ।






























সায়্যিদ কুতবকে কেন দরকার তার জন্য ভোটের এই মওসুমে ইসলামিক চিহ্নগুলোর desacralization বাণিজ্য দেখলেই প্রকট হয়। অর্থাৎ আপনি তিন চিল্লা দিবেন, বা হজ কইরা আসবেন, আবার একিসাথে ইনুরে ভোট দিবেন? আর এইটার পোক্ত কোন ইসলামি মিমাংসা থাকবেনা? ইসলামি রাজনীতি আলাপের গোড়া কথা সেই আদিকাল থেকেই 'আদল ও আদালত', কুতবের জাহিলিয়্যা ঐ আদালতের ঘাটতি বোঝাতেই মূলত আনতে হইছে, অন্য কিছু না তেমন।

Image may contain: 3 people, people standing, beard, baby and hat






শাইখ তাহা কারান আল-শাফি'ই (দেওবন্দ ফারেগ এবং বর্তমানে সাউথ আফ্রিকায় মুসলিম জুডিশাল কাউন্সিলের চীফ ম্যাজিস্ট্রেট) UAE শান্তি ফোরামে যাওয়ার দাওয়াত পেয়েছিলেন, তবে ভদ্রভাবে প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন। হাফিযাহুল্লাহ।






















"নিযামবিহীন হক নিযামবিশিষ্ট বাতিল দ্বারা পরাজিত হবেই।"
-- মুস্তাফা সাবরি এফেন্দি
Image may contain: 1 person, standing







মুসলিমদের সংস্কৃতি আবার কী জিনিস? এসব রিগ্রেসিভ জিনিসের কারণেই কোন উন্নতি নাই। আসুন, আমরা গণ ও জন মানুষকে সাথে নিয়ে কালচাড়াই। আসুন: বার্থডেই, ভ্যালেন্টাইন্স ডেই, পয়লা বোশেখ, দুর্গাপূজা, হ্যালোউইন, নিউ ইয়ার্স ইভ, ক্রিসমাস ইভ ইত্যাদি দিয়ে জনসম্পৃক্ত হই।
আশা করি আপনারা ফাতেহা-ই-দোয়াজদহম, ইয়াজদহম, মিলাদুল মিহনা, নারিকেলবাড়িয়া দিবস, আশুরার মর্সিয়ার মতো ধর্মীয় বিষয় এনে সমাজে বিশৃঙ্খলা, বিগট্রি, ও বিদ' ছড়াবেন্না।















জাতিরাষ্ট্রের কর্তার সাথে ক্লেরিকাল বডির কেউ বা উলামা বিভিন্ন সম্পর্ক রাখতে পারেন, সেটা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন, এবং এটা নিয়ে তেমন মাথাব্যাথার কারণ নেই কারণ সকল মানুষ এক রকম না। কিন্তু, যেসব আলিম সরাসরি নিওকলোনিয়াল সার্ভেইলেন্সের সাথে জড়িত তাদের ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে খোঁজ নিন। আমার বন্ধু কোন একটা মুসলিম দেশের সরকারি কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সাথে মেশার সুযোগ পেয়েছে। এই লোকগুলো সরাসরি লান্ডান, ন্যুয়র্ক ইত্যাদি শহরে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে তৃতীয় বিশ্বে "সন্ত্রাস" দমন করত, কারণ জানেনি তো, কালা-বাদামী মুসলিমরা পার্পেচ্যুয়ালি সন্ত্রাস জন্ম দেয়। এই কাউন্টার টেররিজম ইউনিট নিয়ে দেখবেন প্রায় প্রতি মুসলিম দেশেই একটা আমেজ কাজ করে, বাংলাদেশেও পাবেন (ডি-র‍্যাডিকালাইজেশান প্রোগ্রামগুলো দেখুন)। এই ইউনিট এখন বিভিন্ন রিলিজাস বডি হায়ার করতে নেমে গিয়েছে, এবং মুসলিম আলিমদের অনেকেই বিবিধ কারণে এগুলোতে আসছেন।
এই কন্টেক্সটগুলো না বুঝে আজাইরা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, মাহদীবাদীতা করলে বিষয়টা আর খারাপ হয়ে যাবে। গ্লোবালি ইসলামোফোবিয়ার ইন্ডাস্ট্রি আর নয়া-এপোক্যালিপ্টিক শাদা সিকিউরিটি প্রটোকল নিয়ে দেশে কী হচ্ছে তার সাথে অন্য দেশগুলো মিলান। আর আলিমদের যারা এসবে যান তাদেরকে ক্রিটিক করা শিখুন।







এই শাউকি আল্লাম নিজ হাতে হাজারখানেক মৃত্যুদন্ড আদেশ দস্তখত করেছে যাদের একটাই পাপ তারা ইসলামপন্থী (যদিও ব্যালটবাদী শান্তিপন্থী)। মুহাম্মাদ সুলতানের আব্বাজান, আত্মীয়, সারার ভাই-বন্ধুসহ অসংখ্য নিরপরাধ মানুষকে কুকুরের মতো খাবার টেবিল, মসজিদ থেকে তুলে নিয়ে হাজতে ভরা হয়েছে, আর শাউকি আল্লাম তাদের মৃত্যুদন্ড সই করেছে।
এই আল্লামকে আমাদের প্রিয় আল্লামা বিন বায়্যা 'শান্তি আনয়ন' 'সন্ত্রাস দমনের' জন্য পুরষ্কার দিচ্ছেন। ইরুডাইট, কৃটিকাল, লাভিং, পিসফুল আল্লামা। জাস্টিস লাগবেনা, ভালোবাসলেই হবে। তবে ভালোবাসাটুকু যেন শাদা ও ম্যাস মার্ডারারদের জন্য থাকে, ইখওয়ান বা শাদা-অপ্রিয় কুত্তাদের জন্য যাতে না থাকে সেটা নিয়ে সতর্ক থাকবেন।
Image may contain: one or more people and text
যারা ঐতিহ্যবাদী আলিমদের কোন ক্রিটিক আনলেই তাদের উপর সুধারণা (হুসন আল-যান্ন) রাখার অটোম্যাটিক রেটোরিক দেন, তাদের জন্য ইমাম আলি আলাইহি আল-সালামের এই উক্তি স্মরণ করিয়ে দিলেন উস্তায মুমিসা:
Imam Ali, may God ennoble his countenance, said:
When you are living in an era in which justice prevails, if you think the worst of others (سوء الظن) after they have done or said something, you will have oppressed them.
However, when living in a time in which injustice and oppression prevail, if you give the benefit of the doubt (حسن الظن) to people who have said and done what clearly undermines the humanity of others, you will have betrayed the oppressed.
ড. বার্ট আরো যোগ করেন:
Sage advice indeed when considering the soft power usage of Islam, the ulama and the reform movements by competing Muslim-majority nation-states. And not just Saudi Arabia, the UAE or Egypt, but Iran, Turkey, Qatar and others too. The political economy of the War on Terror has worked to entangle Muslim diasporas in the West ever more tightly into the alliance between domestic authoritarianism and globalised securitization.







UAE-তে শান্তি ফোরাম শিরোনামে যে সম্মেলন হচ্ছে, সেখানে ঐতিহ্যবাদী আলিমদেরকে উল্লেখযোগ্য যায়নবাদী লবি, ফার-রাইট ইসলামোফোবদের প্রিয়দের (সারা খান et al) সাথে "শান্তি"-র সংলাপে বসতে দেখা গিয়েছে। বসাটা আহামরি কিছু না, কিন্তু বসাটা দ্বিচারিতাযুক্ত হলেই অনেক প্রশ্ন আসে। হাবিব আল-জিফরি থেকে শুরু করে হামযা য়্যুসুফ বিভিন্নভাবে, পর্যায়ক্রমে, সিসি এবং বিন যাইদকে প্রশংসা করেছেন, নৈতিক সমর্থন দিয়েছেন। যাইতুনা এবং দার আল-মুস্তাফার ছেলেরা বলছে যে, এসব আলিমরা যালিমদের দাওয়াত দিয়ে পরিশুদ্ধ করবেন বিধায় ক্ল্যাসিকাল আলিমদের মতোই 'রাজদরবারে গমন' করছেন
কিন্তু, কিশোর "জংগী/জংলী" মনে ভাবনা জেগেই যায় যে, এই বিন বায়্যা et al কেন আজ পর্যন্ত হামাস বা তানযিমের কিবারদের সাথে বসে শান্তাইতে চান না, কিংবা তাদের কাছে গিয়ে পরম মমতায় পরিশুদ্ধি চালাতে চান না -- কেন ইখওয়ানের মতো গণতান্ত্রিক (তাদের ভাষা মোতাবেক শান্তিপূর্ণ) দলকে তারা পাশ্চাত্য সন্ত্রাসদমন প্রটোকলে এনে ম্যাস স্কেইলে হত্যা-সহিংসতার শিকার হওয়ার রাস্তা করে দেন? ইন্টারফেইথের নামে যায়নবাদী, ইসলামোফবদের সাথে যদি পরিশুদ্ধির বন্ধুত্ব রাখা যায়, তাহলে কারা হকদার বেশি -- নিজের মুসলিম সমাজ নাকি হাজার মাইল দূরের পশ্চিম এনযায়েটি? কিশোর তার বোকা মনে কি এটাই ভাববে যে যাইতুনা, কেইম্ব্রিজ মুসলিম কলেজ, জিফরির আন্তর্জাতিক ওয়াজের স্পন্সর কারা সেটা মানুষের সামনে তোলা দরকার?






: বুঝলাম ইসলামপন্থা ব্যার্থ, আমাদের আশ'আরি সুফিরা কী করতেছে?
- জাবর কাটতেছে সুইটি।



















সাদরুদ্দিন শিরাযির (মুল্লা সদরা) গুরুত্বপূর্ণ কাজ 'আল-আসফার আল-আরবা''-র উর্দু অনুবাদ; করেছেন সাইয়্যেদ মৌলানা। ১৯৩১ এর দিকে মৌ. মানাযির গিলানির তত্ত্বাবধানে এই অনুবাদ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় (সামৌ বাদেও আরো কিছু অনুবাদক ছিলেন)। এ পর্যন্ত আসফারের এই অনুবাদ দু খন্ডে আছে বলে জানি, পুরোটা আছে কিনা জানা নেই। সা. মৌলানার বিভিন্ন লেখায় সদ্রীয় তাশকিক ইত্যাদির ছোপ পাওয়া যায় যা তিনি তার আত্মজীবনীতে স্বীকার করেছেন।
Relevant: https://philpapers.org/go.pl…

No automatic alt text available.
আত্মহত্যা নিয়ে সবাই কথা বলছেন। আমিও আনমনে অনেক কিছুই ভাবার চেষ্টা করছিলাম। বললো, "Teen-দের অনেকেই এখন suicide-কে রোমান্টিসাইজ, ফ্যান্টাসাইজ, ট্রিভিয়ালাইজ করে, এমনকি নেটফ্লিক্সের TH1RTEEN R3ASONS WHY-র মতো বাজে টিভি সিরিজও বাংলাদেশের অনেক ছেলেপুলে দেখছে।"
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলা আগে আধুনিক মানুষের আদর্শিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা আসা দরকার। জীবন কোথায় দিতে হবে বা মরণ কীভাবে হতে হবে -- এটা হাতেকলমে শেখা/দেখা দরকার। নাহলে বিশৃঙ্খলা হবে; বিশৃঙ্খলা মানেই ভুলভাবে মরার সুড়সুড়ি/তাড়না বেড়ে যাওয়া। ফেইসবুকে আপাতত আধুনিক সমাজের আর্থ-সামাজিক শিরক বাদে অন্য কিছু নিয়ে আলাপের সাহস রাখিনা কারণ মুল কাজ তাদের যারা প্রশিক্ষিত মনোরোগবিশেষজ্ঞ, মানসিক স্বাস্থ্যসেবাদানকারী, সামাজিক কর্মী। আরো মূল কাজ হবে তাদের দিয়ে যারা স্ট্রাকচার পাল্টানোতে জুহুদ দিচ্ছেন।
দেখুন, ইমাম আহমাদসহ অনেকেই জানতেন না আগামীকাল কী খাবেন বা খাওয়াবেন, সাহাবিদের মতো তাদের কাছে কোন নবী ছিলোনা আশ্বস্ত করার জন্য। দুনিয়ার মোহগত কারণে বা দুনিয়াগত কষ্টের কারণে নিজের আত্মার মতো সর্বোচ্চ নিয়ামতকে ময়লার ঝুড়িতে পাঠানোর পেছনে শুধু সামাজিক দায়িত্বহীনতা নয়, গোটা এক civilizational ethos'র সংকট রয়েছে মনে করি। আমাদের সবারি হয়তো দুনিয়াগত অনেক অশান্তি আছে, কীভাবে বের হওয়া যায় সেটা নিয়ে একটু ভাবা উচিত।
আল্লামা বেন্নাবি যেটা বলেছেন, ব্যাক্তিগত সাবমিশান আহামরি কিছু না, সমাজের সাবমিশান না হলে অস্থিরতা কমবেনা।




Malek Bennabi (r) in his «Vocation de l'islam» (26, 48-49) says:
Faith has not lost its empire in the Muslim world, even in this period of decadence -- a remark that becomes essential when eschatology is taken as an indicator of spiritual values. But if one considers the problem from the point of view of history and sociology, the salvation of the individual soul shouldn't be confused with the evolution of societies. [...]
Now the Muslim, even the post-Almohad man, never abandoned his creed. He has been a believer, or more precisely, devout; his belief became ineffective because it lost its social radiance, because it became inward-bound, individualistic. Faith split from its social context. Consequently, the issue is not teaching him a faith that he already possesses but of restoring to faith its efficacy. In a word, it is less about 'proving' God to him, but that He 'manifests' Himself in his consciousness, filling his soul as if a source of energy.











Marc Lamont Hill-এর CNN থেইকা চাকরিচ্যুত হওয়া ব্যাপক আশ্চর্যের কিছু না। আগে গাইগুই করলেও বিডিএস আন্দোলনের মতো নিরীহ আন্দোলনও প্রকাশ্য বিরোধিতার সম্মুখীন হইতেছে৷ আর, হতাশার সাগরে স্বেচ্ছায় নৌকার তলা ফুটা করা মুসলিমরা ইসলামভিত্তিক অহিংশ রাজ(ও)নৈতিক চেষ্টামেষ্টাও করতে হাপায় গেছে; ভাবছিলো গান্ধিগিরী কইরা এক পর্যায়ে অনেক কিছু ফুটাবে। অনেক বইলা কইয়া বুঝাইতে হয় যে বাস্তববাদী হওয়ার অর্থ এইটা না যে আপনি আপনার মরনের দর্শন ভুইলা যাবেন। আপনি কেম্নে মর্তে চান ঐটাইতো রাজনীতি তাইনা?













Spiritual coldness and Shaykh Muhammad al-Qandusi's contention (on what might be a diagnosis of modern nafs) from his 'Cipher of the Spirit' (Ibriz Media Φ)
"The wayfarer must beware of excessive coldness. From excessive coldness comes inactivity; from inactivity comes halting; from halting comes absent-mindedness; from absent-mindedness comes procrastination; from procrastination comes heedlessness; from heedlessness comes laziness; from laziness come heaviness of body and spirit; from heaviness of body and spirit comes fatigue; from fatigue comes boredom (as the Prophet (Allah bless him and give him peace) said, 'Allah does not become bored when you become bored...'); from boredom comes indifference; from indifference comes remoteness and being cut off; and from remoteness and being cut off comes deprivation—and Allah's refuge is sought!"












Kids in this subcontinent, viz. the non-madrasa ones, nowadays, don't find the Hanafi madhhab 'good enough' for their modernist revisionism. Most of them have some common concerns; among them:
a. This madhhab doesn't allow ijtihad anymore.
b. The scholars of this madhhab are superstitious, backward, close-minded etc.

These kids don't actually read history. Hanafi madhhab is not just a legal school. It has a distinct theological-usuli structure representing Imam Abu Hanifa's phenomenal epistemological vision: Al-Maturidiyya. They have the most sensible positions on any matter social, and especially, political. It's because they were the scholars in positions of power for centuries throughout empires, and understood the fiqh relating to it extraordinarily well. Their discourse on the concept of Dar is more mature than others. And, every madhhab, till today, unequivocally tip their fedoras for Hanafi scholarship on transaction, economics, and international relations. You see, even in the chapters of ibadat, i.e. ritual prayers, Hanafi madhhab involves the the state apparatus heavily. It is difficult to imagine a scenario where a hanafi Jumu'a prayer, for instance, is being considered without the caliph. He appoints the khatibs who lead the prayers in his name in places he can't be. Likewise, janaza prayer is conducted by either him or his delegate.
All these vast complexities involving historiography, sociology would not entice people who have modern tendencies: fidgeting spirit, being used to instant gratification, halalizing modern devices without proper framework in the name of mubah etc.
Now, about point a:
It is partially true. Yes, some of the later scholars agreed on some aspects of ijtihad which they thought couldn't be negotiated. Yet, we see many hanafi jurists, especially during Ottoman period and beyond, being flexible outside those "concrete" restrictions. Then again, no other madhhab is doing anything phenomenal either. In terms of Nawazil (i.e. modern issues), ahnaf are just as pacing as the other madhahib. In fact, if you had top 10 jurists (actual jusrists, not parrots), 40% or above would be from the hanafi sector. Hanafism is not restricted to Deoband or Dhaka Alia Madrasa. From Syria, Turkey, Iraq to the steppe in Turkic regions, hanafism stands tall with all its royal history.
And, point b:
Same argument could be made about Saudi scholars. Most of them don't even read beyond some mutun, and don't care about other sciences. Their numerous fatawa on tark al-salat, driving, radio, foreign policy are an utter disaster. Just like Deoband has its disastrous edicts. So, there's no essential upper-hand from either party. You might think salafi scholars are booming out ijtihad and all. But that's an illusion usually generated through a shallow understanding of what ijtihad actually means. What the salafi scholars do is basically some basic takhrij-style ijtihad (which hanafis do without any problem; it's not a big deal.). It's not that hanafis don't know the ahadith on raf' al-yadayn, or the shafi'is don't know about the ahadith on beard, or the malikis on seafood, or the hanbalis on the conditions of wiping over footwears. No, they already knew that before Ibn Baz came. But all of them had solid usuli framework consolidated over years. Your "ijtihad" on raf al-yadayn is not anything impressive as per the ultimate ijtihad (al-ijtihad al-mutlaq) standards.
So, if you think that, despite having a somewhat decent madrasa tradition in Bangladesh, you feel the need to go miles to learn from the not-so-reachable scholars from other lands, just to learn some basic texts of fiqh, ask yourself: am I actually being the rational being I, a eslf-identified non-muqallid, think of myself, or am I just fascinated with exotic gratifications from foreign lands? Why are you being fascinated by Muhamamd Ibn Abd al-Wahhab, who has NOTHING to his name in terms of original scholarship, to Shaykh al-Islam Mustafa Sabri who was way more exhaustive in terms of depth and breadth. Ask.
P.S. I'm in no way ignoring the many, multi-faceted problems our local ulama are facing. Nor am I arguing that hanafism is fardh for this subcontinent. My point is, you're not getting anything special just by learning from foreign ulama either. If you're one of those rare people who sacrificed their time and money to travel and learn from other scholars from other lands, specializing in various sciences, then this status is not for you -- hats off to you and your serious commitment.




তাসাউউফ কীভাবে নয়া-সুফি নব্য-আশ'আরি ভন্ডামী রাজনীতিতে অপব্যাবহার হচ্ছে তার জন্য কিছু তথ্য-খতিয়ান ও ইতিহাস দর্পন প্রয়োজন। কিছু রিসোর্স শেয়ার ঐ ভাইদের জন্য যারা আগ্রহী হয়েছেন।
আরবী (তালিব ভাইদের জন্য):
1- https://eipss-eg.org/%D8%A7%D9%84%D8%A5%D9%85%D8%A7%D8%B1…/…
(
এটা জরুর পাঠ্য; ব্যাকরণগত ত্রুটি উপেক্ষা করুন।)
2- http://blogs.aljazeera.net/…/%D9%87%D9%84-%D8%A7%D9%84%D9%8…
ইংরেজী:
3- http://thebookslamist.com/…/the-culture-of-terrorism-tenet…/
(
এই বইটা শা. আব্দ আল্লাহ বি. বায়্যার সন্ত্রাসশিরোনামের বইয়ের উপর পর্যালোচনা; প্রিয় ভাই আসিমের লেখা।)
4- http://raiot.in/government-sponsored-sufism-good-and-bad-…/…
5- https://www.academia.edu/…/Islamic_Mysticism_and_Neo-Sufism…
6-
https://www.academia.edu/…/How_Traditional_Are_the_Traditio…
7- https://onlinelibrary.wiley.com/…/…/j.1478-1913.2011.01389.x
8- http://pure.au.dk/…/sufis-as-good-muslims(f20a392c-7cb0-40d…
9- https://www.jstor.org/stable/26297065…
10- https://www.middleeasteye.net/…/qatar-uae-forum-for-promoti…




Image may contain: one or more people, people standing, crowd and text







বন্ধু কয়েকটা মারামারি-গোয়ান্দা কিসিমের চলচ্চিত্রের trailer দেখালো। ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ইত্যাদি জায়গাগুলোতে 'রাষ্ট্রের নিরাপত্তা' শিরোনামে কিছু ব্যাড মুসলিমনিধনের অভিযান বাজার পাচ্ছে। স্থানীয় সিনেমাগুলো হলিউডের war on terror- জাত ভালো (moderate) মুসলিমেরবয়ানকে সিনেম্যাটিক ইফেক্ট দিতে চাচ্ছে। যেখানে, রাষ্ট্রকে জবাবদিহীতার অবস্থানে নেয়া যায়না, কিন্তু এই উদারনৈতিক রাষ্ট্র ঠিকই তার voyeuristic surveillance দিয়ে illiberal যৌন চাহিদা মেটায়।
মালয়েশিয়াসহ বেশ কিছু মুসলিম দেশগুলোর তথাকথিত সন্ত্রাসসমন ইউনিটগুলো বিলেতে যেয়ে CVE PREVENT-এর মতো ইসলামোফোবিক আউটলেটগুলোর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে আসছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর -- খুব প্রতক্ষ্যভাবেই -- তাসাউউফকে 'শান্তিবাদ' (পড়ুন war on terror-এর বয়ানসম্মত) বা 'ব্যাক্তিগত আধ্যাত্মিকতা' হিসেবে আনছে যাতে despot রাষ্ট্রযন্ত্র তার নিজস্ব ভার্শনের প্রোটো-কলোনিয়াল "সন্ত্রাস" দমনাইতে পারে। মিশরে আলি জুমু', আলি আল-জিফরি এর উদাহরণ। আমিরাতের উদাহরণ নিজ দায়িত্বে খুজে নিবেন।
তাসাউউফ বাদেও, একিভাবে, সালাফিয়্যার কিছু ভার্শন, ঐতিহ্যবাদী অ-সুফি মাদ্রাসাধারার কিছু ভার্শন এরকম শান্তিবাদের বয়ান আনে। সৌদী, ইন্দোনেশিয়া থেকে উদাহরণ নিয়ে নিবেন।
এছাড়াও আছে আকিদা-হীন একদল নৃবৈজ্ঞানিক bumপন্থী যারা মরমী সুফিবাদ নিয়া আসে, লালন মাড়িয়ে চলে। তাদের এই মরমীবাদও অহরহ war on terror-এর বয়ানে রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে ব্যাবহৃত হয়।
বাংলাদেশে দেখবেন কোন কোন সুফি, রেজভী, কওমী, সালাফী, আহলে হাদীস, bumপন্থী তথাকথিত জংগী দমনের নাম করে war on terror-এর বয়ান এবং নব্য-উপনিবেশী CVE/PVEVENT-এর দক্ষিন এশীয় প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে।
সিনেমা দেখতে যাওয়ার জন্য মুসলিম দেশগুলো কতো কামায় ঐটাও দেখুন। এরকম ম্যাস-ব্রেইনওয়াশিং আপনার নিজের গৃহেও হচ্ছে। ঝাড়ু দিয়ে এগুলো পরিষ্কার করে ফেলুন।
















ব্রাহ্মণ্যবাদী ও বিলেতি ডাকাইতদের যৌথ প্রযোজনায় ইতিহাস থেকে মুসলিমরা যেমন তাদের জন্মভূমিতে বহিরাগত হয়ে যায়, তেমনি 'কালো' বর্ণের মুসলিমরাও নাই হয়ে যায়। বৈশ্বিক বর্নবাদী ক্ষমতাকান্ডের সাথে ইসলামোফোবিয়ার দোস্তি চোখে লাগার মতো।
কালোদের কথা উঠলে সবার মনে দাসত্ব ব্যাবস্থার তসবির-ই ভাসে -- কেউ তাদেরকে এর উপরে যাতে দিতে রাজী না। যাই হোক, আজকে এক কৃষ্ণ আলিমের গল্প বলি।
নাম: য়াকুত আল-গিয়াছি। পূর্ব আফ্রিকা থেকে এসে দক্ষিণ এশিয়াতে বসতি গড়েছিলেন। সময়টা ছিল পঞ্চদশ শতাব্দীর শাহী বাঙ্গালা। তখন সুলতান ছিলেন গিয়াসুদ্দীন আজম শাহ (১৩৯০-১৪১১)। তো, য়াকুত সুলতানের পক্ষ থেকে একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজের আঞ্জাম দিয়েছিলেন; তা হলো: শাহের পক্ষ থেকে মক্কা মুকাররামায় একটি আইনের বিশাষায়িত "বিশ্ববিদ্যালয়ের" গোড়াপত্তন করা। য়াকুতের ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে খুব বেশি জানা সম্ভব হয়নি। তবে তিনি অবশ্যই চতুর্দশ ও পঞ্চদশ শতাব্দীতে বাংলায় বাড়ি গাড়া আবিসিনীয় কমিউনিটির সদস্য ছিলেন। শুধু বাঙলায় নয়, আফ্রিকার ভাইরা দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরের পাড় ঘেঁষে অনেক জায়গায় তাদের অন্যান্য মুসলিম ভাইদের সাথে ওয়াতান (home) খুজে পেয়েছিলেন। য়াকুতের বিশেষত্ব ও প্রশিক্ষণ ছিল কূটনীতি, প্রশাসনিক ব্যাবস্থাপনা, আর জাহাজ চালনা ও জ্যোতির্বিজ্ঞান। ওনার এই দক্ষতাগুলো তীব্রভাবেই ফুটে উঠে যখন তিনি শাহান শাহীর হয়ে বাংলা মুলুক ও মক্কার মাঝে একটা নাড়ীর টান বসাতে প্রশাসনিকভাবে মাক্কি সফরে বের হয়েছিলেন। সফরনামায় দেখা যায় উনি কীভাবে আইন, অর্থনীতি, জনসঞ্চালন ইত্যাদি বিষয়গুলোর মাধ্যমে সোয়াহিলি উপকূল, বাঙলা মুলুক, ও মক্কার মাঝে একটা অর্থ ও চিন্তা বিনিময়ের একটা streamline বসাতে চাচ্ছিলেন। যাই হোক, আরেকদিন আরো গল্প হবে। তবে চিন্তা করেন, কৃষ্ণ বর্নের এক লোক বাঙলা মুলুকে الجانب العالي الافتخاري ياقوت السلطاني الغياثي হিসেবে পরিচিত ছিল।
আপনারা সূত্রের জন্য তাকি আল-দিন আল-ফাসির 'শিফা আল-গারাম' বইটি দেখতে পারেন। বিশেষ করে ১৩ নং বাবে য়াকুত, সুলতান গিয়াসুদ্দীন নিয়ে আরো কিছু বলা আছে। অনুবাদ করতে পারেন (একটা কাজের কাজ হবে)।
















সুখনের ভিডিও দেখার সময় একটা জিনিস আমাকে বেশি বাগ করছে।
ওর মেইক-আপ করছে কোন noob? কন্ট্যুর মন্ট্যুর কিচ্ছু হয়নাই। মনে হইতেছে সার্কাসে পার্ফর্ম কইরা কোন মতে মুখ মুইছা ক্যামেরার সামনে দাড়াইছে।
এডিট: আমি খুব তাড়াহুড়ো করে স্ট্যাটাস দিয়েছি। হয়তো সুখন প্রোভার্বিয়াল সঙ সেজে Joker স্টাইলে কিছু pull করতে চেয়েছেন। য়্যু নেভার নোও।














১৯ নভেম্বর ছিল দুইজন মর্দে মুজাহিদের শাহাদাত বার্ষিকী। সৈয়দ নিসার আলী তিতুমীর। আর ইযয আল-দিন আল-কাসসাম আল-আযহারি আল-কাদিরি। নারিকেলবাড়িয়া আর 'নাযলাত আল-শাইখ' গ্রামে এ দুজন ঈমানদারের কোরবানী নিয়ে কাউকে দেখিনি ট্রিবিউট দিতে। একটা পেইজে দেখলাম কোনমতে বাংলাপিডিয়া থেকে তিতুমীরের জিবনী মেরে দিয়েছে, সাথে বানান ভুল। আর কাসসাম আবার কোন মানুষ?
অথচ আমাদের রাজনৈতিক আত্মশুদ্ধির জন্য এদেরকেই পপুলার কালচারে আনা দরকার ছিলো -- গ্রাফিতি, গল্প, কবিতা, ফিল্ড ট্রিপ, মুযাকারা, পেইন্টিং, বাংলায় ডকুমেন্টারি ইত্যাদি।
এই জমীন আমানত, এর জবাবদিহিতা আছে।











বিদ'আ বা নতুন উদ্ভাবন নিয়ে মুসলিমদের আলাপ প্রাচীন। এই মতপার্থক্য নিয়ে আগে হালকা কিছু বলার চেষ্টা করেছি।
মাউলিদ আল-নাবি ইসলামি ঐতিহ্যের অংশ কোন সন্দেহ নেই। এর পক্ষে ইমাম আল-সুয়ুতির মতো বাঘা উলামা ছিলেন। আবার বিপক্ষে ইমাম আল-ফাকিহানির মতো উলামাও ছিলেন। বর্তমানে সারা বিশ্বের অধিকাংশ আশ'আরি-মাতুরিদি, হানাফি-শাফি'ই-মালিকি এই মাউলিদের পক্ষে। কাজেই করনীয় কী হতে পারে।
১. আন্তঃমুসলিম মুয়ামালাতের জন্য একাডেমিক আলাপ বাজারে আনা অনুচিত। কারণ, সাধারণ মানুষ যাকে তাকে বিদ'তি বলা শুরু করবে না বুঝেই (যেমনটা সালাফিরা করে থাকে)। বিদ'আ নিয়ে বিভিন্ন ইজতিহাদি সিদ্ধান্তের আলোকে বিভিন্ন আমলদারদের মধ্যে যেন একটা সংঘাতহীন ও অ-বিষাক্ত পরিবেশ বজায় থাকে -- এটাই মূল ফোকাস হওয়া উচিত। কোনটা বিদ'আ -- এই আলাপের দিক্কাত (nuance) সাধারণ মাঠের জন্য খাটেনা।
২. ধরেন আপনি ''-কে বিদ'আ মনে করেন। এটার মানে এইনা আপনি ''-পালনকারীকে মুবতাদি, পথভ্রষ্ট, দ্বিনের বিকৃতিকারী ইত্যাদি বলে বেড়াবেন, রাস্তাঘাটে-পরিবারে ছোটলোকের মতো ফাসাদ করবেন। ইজতিহাদি ব্যাপারে হিসবা বা পুলিশিং করা স্বয়ং ইসলামি সরকারের জন্যই সমস্যাকর, সেখানে আপনি লেইম্যান কীভাবে ছড়ি নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন?
৩. আপনি মাউলিদকে বিদ' মনে করে থাকলে বিপরীত পক্ষের আবেগকে (রাসুল প্রেম সা.) বুঝে নিজের মত উপযুক্ত জায়গায় দিতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি সারাক্ষন বিদ'আ-বিদ'আ করেন, মাগার জনসাধারণের জন্য কোন মুসলিম সংস্কৃতির রূপরেখা দিতে পারেন না, পুঁজিবাদী সেক্যুলার উদযাপনকে কায়দা করে ইসলামাইজ করার চেষ্টা করেন এবং ওটাকে মুসলিম চর্চা বানান -- তাহলে প্রচুর সমস্যা আছে।
৪. আপনি মাউলিদকে পালন করতে চাইলে অপরপক্ষের যুক্তি বুঝে প্রতিক্রিয়া দেখান। তারা বিদ'আ বলছে এক ধরনের রক্ষণশীল ওয়াহিপ্রেম থেকে, সেটা বুঝুন। মাউলিদের বিরোধিতা করলেই কেউ নাজদি সালাফি হয়ে যায়না, এটা মাথায় রেখেই মন্তব্য দিন। কিন্তু একিসাথে মাউলিদের নামে যেসকল ভোগবাদী দেহরঞ্জন, রুহানিয়্যার পর্দা ফেলে পুঁজিবাদী ধর্মব্যাবসা হয় -- সেটা নিয়ে তাযকিয়া না দেয়াটাও সমস্যাকর।















পোলাপান খালি বিপ্লবাইতে চায়। FLN-এর সেই ছয় নেতার ছবি দেখতেছিলাম। বলি, এদের চেহারা দেখলে কি মনে হয় এরা রাইত জাইগা ফেইসবুক গুতায়ে বা আজাইরা কাজে নষ্ট কইরা সকালে ঘুমাইয়া থাকতো?
চে গেভারার টুপি লাগান মাথায় বা আমির আব্দ আল-কারিম আল-খাত্তাবি রাহি.-র পাগড়ি -- জীবন নিয়া সিরিয়াস না হইলে শেষ পর্যন্ত আমরা লুঙ্গী ড্যান্সের বিপ্লবের বাইরে কোন কিছুই করতে পারবোনা।














আফগানিস্তান নিয়া Steve McCurry-র চমৎকার কিছু কাজ আছে। আফ্রিকা থেকেও কিছু কাজ আছে। সাবল্টার্ণ লাইফ বিভিন্নভাবে উঠিয়ে আনতে পারেন।
Image may contain: bird and outdoor
এই ছবিটা আফগানের নীল মসজিদ, মাজার-ই-শরিফ থেকে তোলা, ১৯৯১।
আরো দেখতে পারেন:
https://stevemccurry.com/galleries/afghanistan





আরেকজন ফটোগ্রাফার হলেন সিদি পিটার। তিনি তাসাউউফের বড় বড় মারকাযে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়াও ঐতিহ্যবাহী মুসলিম সমাজ নিয়ে বেশ চমৎকার কাজ এনেছেন। মরহুম মুরাবিত আল-হাজের বিখ্যাত প্রায় সব কটি ছবি উনিই তুলেছিলেন। (মুসলিম হবার আগে বোধহয় নামকরা মিউজিক আর্টিস্টদের ছবি তুলতেন)
TRT-তে তার সাক্ষাৎকার পুরোটা শুনুন:
https://www.facebook.com/…/vb.15599010276…/286032208708868/…
তার সাইট ঘুরে আসতে পারেন: petersanders.com
Image may contain: 20 people
এই ছবিটা চীনের Xian মাদ্রাসা থেকে তোলা, Shanxi Province থেকে। যতোদূর মনে পরে বাচ্চারা নবিজীর সা. শানে কোন কাসিদা গাইতেছিল। https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t4c/1/16/1f642.png
দিরইয়্যা গ্রামের এক নাজদি বালক খেজুর গাছের নীচে বসে আকিদা গাইছিলো, আর সুরের তালে তালে তাউহিদকে ভাঙছিল। এক পর্যায়ে বালকটির খেয়াল হলো, সে উম্মতের প্রায় সবাইকে মুশরিক বা কাফির বানাতে বাধ্য হয়ে যাচ্ছে। পেরেশানীতে বালক ছুটে গেল উস্তাযের তাবুতে।
উস্তায, উস্তায, এখন কী হইবে?”
উস্তায তার শিমাগখানি একটু দুলিয়ে, ছোট হেসে বললেন,
বাছা! অস্থির কেন রে? ‘মূর্খতার অজুহাতআছেনা?”
এহেন বুদ্ধিবৃত্তিক ইউরেকাতে নাজদি বালকের চোখ খুশিতে ভিজে গেল। অধিকাংশ উলামাকে কাফির-মুশরিক থেকে পদোন্নতি দিয়ে পেন্ডিং গান্ডু কাফির/মুশরিকবাপোটেনশাল গান্ডু মুসলিমবানিয়ে অবশেষে খোকা ঘুমিয়ে গেল।











বড় শিরকের জন্য মূর্খতার অজুহাত~
বড় শিরকে লিপ্ত কোন ব্যাক্তি নিজেকে দুটো অবস্থায় পাবে:
১. তার কাছে ওয়াহি পৌঁছেনি অথবা সে ওয়াহির সন্ধান পায়নি।
এক্ষেত্রে, এই ব্যাক্তি একিসাথে কাফির এবং মুশরিক; কারণ, ইমান ও কুফরের মাঝে কোন বাস্তবতা নেই। সুতরাং, কোন ধরণের ওয়াহি অনুসরণ না করার কারণে সে কাফির, এবং বড় শিরকে লিপ্ত হওয়ার কারণে সে মুশরিক -- কারণ, তাকে মুসলিমও বলা যাচ্ছেনা, মু'মিনও বলা যাচ্ছেনা। এখন, উলামাদের মাঝে ইখতিলাফ রয়েছে যে, এই প্রকারের মুশরিক ও কাফিরের পরকালীন পরিণতি কী হবে।
ইমাম আবু হানিফা, ইমাম আবু য়্যুসুফ, আল-মাতুরিদিয়্যা, আল-মু'তাযিলা, এবং কিছু সংখ্যক হাম্বালি উলামা মনে করেন এ ধরণের ব্যাক্তি তাদের শিরক ও কুফরের কারণে চিরকাল জাহান্নামে অবস্থান করবে। তাদের মতে, তাউহিদ যেহেতু আকলের (rational faculty) মাধ্যমে 'জানা' যায়, সুতরাং বড় শিরকে লিপ্ত ব্যাক্তি তার শিরকের জন্য মুকাল্লাফ (accountable) হবে যদিও তার কাছে ওয়াহি পৌঁছেনি।
অপরদিকে ইমাম ইবন হাযম, অধিকাংশ হাম্বালি উলামা, এবং আশ'আরি সবাই মনে করে ঐ ব্যাক্তির কাছে ওয়াহি না পৌঁছুলে সে তাউহিদ সংক্রান্ত বিষয়ে মুকাল্লাফ হবেনা। তো, এই ব্যাক্তির পরকালীন ভাগ্য কী হবে? এই দলে কেউ মনে করেন, কেয়ামতের দিন এই ব্যাক্তিকে আবার পরীক্ষা নেয়া হবে; কেউ মনে করেন, সে জান্নাতে চলে যাবে; এবং আরো অন্যান্য মত (দেখে নিয়েন)।
মোদ্দাকথা হচ্ছে, বড় শিরকে লিপ্ত কোন ব্যাক্তি আইনগত, ভাষাতাত্ত্বিক, কিংবা যৌক্তিক কোন দিক থেকে কাফির বা মুশরিক ব্যাতিত অন্য কিছু হতে পারেনা (ইহজগতে)।
২. তার কাছে ওয়াহি পৌঁছেছে।
সে যদি দাবী করে সে ওয়াহি অনুসরণ করেনা, তাহলে উত্তর খুব সোজা। ক্ল্যাসিকাল উলামা কুফরকে সংজ্ঞায়িত করেছেন 'অস্বীকৃতি' হিসেবে (আল-বাইদাউই), অথবা 'ইমানের অনুপস্থিতি' (আল-ইজি) হিসেবে, যেখানে ব্যাক্তি রাসুল সা.-এর বার্তা-মোতাবেক 'মা'লুম মিন আল-দিন বি আল-দারুরা'-তে (যে জ্ঞান থাকা আবশ্যক) বিশ্বাস রাখেনা, অথবা দ্বিনের অকাট্য-প্রতিষ্ঠিত বিষয়গুলোকে জেনেশুনে প্রত্যাখ্যান করে, কিংবা ওগুলোকে নিয়ে ব্যাঙ্গ/তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে (ইবন আল-হুমাম)। বড় শিরকে লিপ্ত কোন ব্যাক্তি ওয়াহি অনুসরণ না করলে তার কুফর নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
এখন, প্রশ্ন উঠবে: ইসলাম ও তাউহিদের অনুসারী দাবীকারী কেউ যদি না জেনে বড় শিরকে লিপ্ত হয় তাহলে তার ব্যাপারে কী ফয়সালা?
উত্তর: সহজ উত্তর। সে কাফির বা মুশরিক ব্যাতিত অন্য কিছু হতে পারবেনা। সে জানে রাসুল সা. তাউহিদের দাওয়াত নিয়ে এসেছেন, সুতরাং বড় শিরকে লিপ্ত হয়ে সে ঐ তাউহিদকে অস্বীকার করেছে। আমরা বলতে পারিনা যে সে অজ্ঞতার অজুহাতে ছাড় পাবে কারণ সে এটা অস্বীকার করতে পারবেনা যে নাবি কারিম সা. তাউহিদের দিকে আহ্বান করার জন্য এসেছেন।
তাহলে নাজদিদের সাথে বাকিদের পার্থক্য কীসে? কারণ ইবন আব্দ আল-ওয়াহহাব অজ্ঞতার অজুহাত, তা'উইল কিছুই দিতোনা।







শিরক আকবার বা কুফর আকবারের ক্ষেত্রে মূর্খতার কোন অজুহাত কীভাবে থাকতে পারে সেটা ভাবিয়ে তুলে। অর্থাৎ আপনি শিরক আকবার করবেন আবার একিসাথে মোসলমান। ছোট ছোট লিলিপুট হিউম্যান বান্দারা। একজন ২০% মুশরিক, ৩০% মুশরিক; আবার ১/২ কাফির, ৩/৪ মুরতাদ। এই ধরনের থিওলজি বেশ মজার চাটনি।




















#মিঠু- পাশে আছি। মিঠাইগুলো উঠে আসুক। তেঁতুল নিয়ে হুজুরদের ব্যাপারে মজা লোটা পোলাপানদের পর্নোগ্রাফিক লাইফস্টাইলের মুখ ফুটে না বলা জিনিসগুলো উঠে আসুক। বাঙাল পুরুষের ম্যাস্কুলিনিটির সংকট, প্যারেন্টিং ইত্যাদি ব্যাপারগুলো আলাপ হোক। সুশীল Bro-গ্রেসিভ মেইল-স্লাটদের হিপোক্রিটিকাল ফাহেশাত উন্মোচন হোক।




















মাশরাফি বাঁআলে গেছে, মন খারাপ। এজন্য না যে, সে নৈতিক সিদ্ধান্ত নেয় নাই। এজন্য যে, সে আমার দলে ভিড়ে নাই। https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t4c/1/16/1f642.png























আমার বন্ধু বললো যে, মুসলিম দেশগুলোতে অনেক রাজনৈতিক অসততা ইত্যাদি। আমি একমত হইলাম অনেক পয়েন্টেই (গঠনমূলক পরামর্শ ভাইবা)। কিন্তু এরপর বইলা ফালাইলো কেম্নে শাদারা এখন পর্যন্ত সবচে বেস্ট সভ্যতা উপহার দিতে পারছে। আমেরিকা কীভাবে মুসলিম ও কালোদেরকেও পলিটিকালি স্পেইস দিতেছে। আমি উত্তর দেই নাই। কারণ আমেরিকান রাজনীতি ও এ ধরণের মানুষের সাথে আমার পরিচয় অনেক দিনের। ওর কথার মাঝখানেই আমার মাথায় ঘুরতেছিলো ফালাস্তিন নিয়া সদ্য নির্বাচিত ইলহান ও রাশিদার কিছু কথা। রাশিদা বলেছিলেন ফালাস্তিন ইস্যুত "we need to be not choosing a side" (sic), আর ইলহান বলেছিলেন "I think it's going to be important for us to recognize Israel's place in the Middle East and the Jewish people's rightful place within that region. [...] I believe, right now, with the BDS movement... it's not helpful in getting that two-state solution." (sic)
ব্ল্যাক/ব্রাউন স্কিন, হোয়াইট ম্যাস্ক অল ওভার এগেন। নাথিং য়্যুনিক এবাউট দিস স্পিসিস ইক্সেপ্ট বিইং এ টোকেন স্লেইভ।









নাইজেরিয়ায় ইমাম ইব্রাহিম আল-তিজানির উত্তরসূরিরা নাবি সা.-এর শানে শাইখের লিখে যাওয়া কাসিদা আবৃত্তি করছে।
মরক্কো ও কিছু জায়গায় অনেকে ইমাম আল-কাদি ইয়াদের (বাংলায়: কাজী ইয়াজ) অনবদ্য সিরাত 'আল-শিফা' একসাথে বসে খতম করছে।
কিছু আগে ফিরে গেলে, যেমন: ১৮৭৫-এর উছমানি আমলে, নুসরাতিয়া জামে মসজিদে সুলতান ও জনগণ আল্লাহ্‌র রাসুল সা.-এর উপর দরুদ পাঠাচ্ছে, স্যালুট দিচ্ছে।
No automatic alt text available.
বাংলার নবাবী আমলে যান বা উছমানিতে যান। মাউলিদ আল-নাবি বা নবী আসার মাসটা ছিলো যিকিরের, শোকরানার। ব্যাক্তিপুজা নয়, বরং ওয়াহিকে আমাদের জীবনে এম্বেডেড করার সাংস্কৃতিক ডিভাইস হলো এগুলো। বাচ্চারা নকশি টুপি পরে ঘর থেকে বের হবে, রাস্তার পাশ থেকে মিস্টান্ন নিবে, খেতে খেতে কাসিদা গুনগুন করবে, ব্রিজের উপরে বসে একসাথে নাত গাবে। এরপর বিকালে যাবে বড়দের মজলিসে, যেখানে সিরাতের কোন বই খতম দেয়া হয়। বয়সে একটু ছোট হলে টুপ করে আম্মাদের মজলিসেও হানা দিতে পারে যেখানে হয়তো আরো মজার খাবার আছে। এই উসীলায় আম্মা জোর করে মেয়েদের হালাকায় বসিয়ে দিবেন যেখানে উস্তাযা গল্প বলবেন: কীভাবে ইমাম আহমাদ নবীজির চুল ধরে চুমু খেতেন, চোখে-মুখে লাগাতেন, ধুয়ে পানি খেতেন। কমিউনিটির যেসকল ভাইরা এধরণের আয়োজনকে অতিরিক্ত (বিদ'আ) মনে করে পালন করেন না, তারাও রাস্তার আতরের খুশবু, নিগামের গুঞ্জন, ও খতমের শব্দে একটু হলেও নবিপ্রেম, ওয়াহিপ্রেম, খোদাপ্রেম অনুভব করবে।
যারা মনে করেন যুবাশ্রেনীর আত্মিক, চারিত্রিক পরিশুদ্ধি করবেন শুধুমাত্র বই আর লেকচার পাবলিশ করে, তাদের উচিত হিউম্যান হিস্ট্রি পড়া। মানুষ কীভাবে ফাংশান করে এটা শেখা উচিত। নাহয় অবস্থা বর্তমানের মতো হবে। যেখানে, মুসলিমরা আত্মিক পরিশুদ্ধির রাস্তা দেখে বি-রাজনীতিতে, নায়ালিস্টিক-এনার্কিস্ট-ফেইটালিস্ট সেলফ-ডিস্ট্রাকশানে, অথবা De-godded ভোগবাদী স্বমেহনে। এর কোনটাই কোন সিভিলাইজেশনাল ভ্যালু রাখেনা।







ভাই শোয়েবের সাথে একটা কনফারেন্সে দেখা হয়েছিলো। উনি occasionalism, informational cosmology নিয়ে কথা বলছিলেন। ভাই নিজে প্রকৌশলে পিএইচডি (এবং প্রফেসর) হলেও ফেইথ, ক্রিড, কালাম নিয়ে খুব আন্তরিকভাবে ভাবেন। ওনার সিরিয়াসনেসের লেভেল প্রমাণ দিতে গত বছরই বিলেতে Philosophy of Science and Religion-এ আবার ম্যাস্টার্স শুরু করেন। এছাড়াও ব্যাক্তিগতভাবে বিভিন্ন আসাতিযার কাছে কালাম, ফালসাফা শিখেছেন কিছু, আরো শিখছেন। অতুলনীয় কমিটমেন্ট। যাই হোক, নাস্তিকতা নিয়ে ওনার একটা বেইসিক মনোগ্রাফ পাবলিশড হয়েছে। কিপ এন আই অন হিম ই.আ. :)।












এক বন্ধুর সাথে আলাপ হলো। কর্নেলে পড়তো, এখন ইসলামিক স্টাডিজে পড়ে। (অ)মজার বিষয় হইলো, ওয়েইট ফর ইট, সে আগে নাজদি-সালাফি ছিলো। https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t51/1/16/1f603.png:D যাই হোক, সে এখন ইসলামের জ্ঞানতাত্ত্বিক মর্যাদা নিয়ে খুব একটা কেয়ার করেনা। সে স্বীকার করে যে, মানুষের ধার্মিক হওয়াটা তার বিবর্তনগত জরুরত। তবে ইসলামের কোন রাজনৈতিক প্রস্তাবনা বা রাষ্ট্রনৈতিক চিন্তার চাইতে সে পশ্চিমের ব্যাক্তি সার্বভৌমত্ব ও 'আলোকায়ন বিপ্লবোত্তর' বুদ্ধি চেগানিয়া রাজনৈতিক দর্শনে বেশি আরাম বোধ করে। বুঝলাম, তার কাছে খোদা নৃতাত্ত্বিক গুরুত্ব রাখে, সমাজবৈজ্ঞানিক গুরুত্ব রাখে, কিন্তু, কোন vertical khilafa-র অন্টোলজিতে আস্থা রাখেনা। জিজ্ঞাসা করলাম, সে কি আমাদের ইলম আল-কালাম বা ফালসাফা সাহিত্য পড়ে দেখেছে কিনা। পড়েনাই। আমি হাসলাম, 'আলোকিত' হওয়ার পরেও নাজদি-সালাফি ভেড়ারোগ সারে নাই। উইলিয়াম লেইন ক্রেইগ পড়বে, সুইনবার্ন-পপার কপচাবে, কিন্তু গড ফরবিড, ইবন সিনা, ইবন আরাবি, আল-রাযি, মুল্লা সাদরা, কাদি আব্দ আল-জাব্বার খুলবে না। নাস্তিক হওয়া যাবে, তবুও এদের পড়বেনা।
সালাফি বার্নাউটদের জন্য রিহ্যাব খোলা সময়ের দাবী।








"জেনে রাখো, তিনটি জিনিস অন্তরকে খোদাতালার দিকে নিয়ে যায়: মহব্বত, ভয়, আশা। এদের মধ্যে মহব্বত সবচে শক্তিশালী -- একে চাওয়া হয়, কামনা করা হয় (শুধুমাত্র) এর অন্তর্গত জওহরিয়তের কারণেই, কারণ, এই চাওয়া দুনিয়াতে যেমন আছে, তেমনি থাকবে আখেরাতেও। এটি ভয় হতে সম্পূর্ন ভিন্ন যেটি আখেরাতে বিলীন হয়ে যাবে; যেখানে, ভয়ের কাজ হচ্ছে: সিরাত আল-মুস্তাকিম হতে বিচ্যুত হওয়া থেকে রক্ষা/প্রতিরোধ করা। মহব্বত বান্দাকে তার মাহবুবের কাছে পৌঁছিয়ে দেয়, ভয় ঐ পৌঁছানোর রাস্তা হতে সরে যাওয়া ঠেকায়, আশা তাকে চালিয়ে যাবার ইন্ধন যোগায়।"
-- ইবন তাইমিয়্যা কাদ্দাসাল্লাহু সিররাহ
শুধু শাইখ আল-ইসলাম নন, শাইখ আল-আকবার থেকে অসংখ্য উলামা হুব্ব বা মহব্বতকে ইবাদতের কেন্দ্রে এনেছেন। ভয়ের আগে ভালোবাসা এনেছেন। আধুনিক যুগের জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত নব্য-খোদারা তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যতাকে (তাদের ভাষায় তাকওয়া বা দ্বিনের তথাকথিত গাইরত) আমাদের নবীর (সা.) আমল দূরে থাক, পূর্ববর্তী কোন নবীর আমলেও trace back করতে পারবেনা।








সবাই যার মতো ইতিহাস ক্লেইম কইরা লয়। মোসলমানের বাচ্চারা করতে গেলেই তাদের উপর কৃটিকাল ও অবজেক্টিভ হওনের দায় আসে। তোমরা মোল্লারা অতীত রোমান্টিসাইজ কইরোনা মানে হইতেছে ইতিহাস থিকা নিজেরে ভুইলা যাও, আংকেল স্যামসহ অন্যান্য বিগ ড্যাডির ন্যারেটিভ মাইনা লও।
মোসলমানদের অতীত হইতে হইবো শিলালিপি পুথি যাতে সম্ভাবনার গন্ধ নাই। নাহইলেতো আবার গ্লোবাল পাওয়ার স্ট্রাকচার পাল্টাইতে হয়, অনেক ঝামেলা।













গতকাল ছিলো মাজযারাত কুফর কাসিমের ৬১ তম বার্ষিকি। কুফর কাসিম (כַּפְר קָאסִם) নামক এক ফালাস্তিনি গ্রামে ইতিহাসের এই দিনে যায়নবাদী সীমান্ত বাহিনী মাগাভসারমেয়রা (মিশমার হ'গভুল, מִשְׁמַר הַגְּבוּל) ৫০ জনের মতো ফিলিস্তিনী নাগরিককে কচুকাটা করেছিলো যার অর্ধেকই ছিলো ৮-১৭ বছর বয়সী বাচ্চা-কাচ্চা। সাধারণত বলা হয়ে থাকে মোট ৪৮ জন মারা গিয়েছে, কিন্তু আরবরা একে ৪৯ ধরে থাকে কারণ এক বোন গর্ভে সন্তান ধারণ করছিলেন মারা যাওয়ার সময়। প্রেসিডেন্ট শুয়োর পেরেজ থেকে শুরু করে যতো মন্ত্রী আমলা কুফর কাসিমে গিয়ে "দুঃখ" ঝেড়েছেন, সেটা কোন অফিসিয়াল দায়িত্ব স্বীকার নয়। অভিযুক্ত মাগাভ সৈন্যরা কোর্টের আইনী চার্জ থেকে সরকারিভাবে বিভিন্ন রকমে ক্ষমা পায়, এবং ব্রিগেইড কম্যান্ডারকে আক্ষরিকভাবেই দশ পয়সার সমতুল্য "জরিমানা" করা হয় "বাড়াবাড়ি" করার জন্য। এমনকি ২০১৫ সালে ইসরাইলী সরকারের সর্বোচ্চ মজলিশে শুরা কোনাসাত (הַכְּנֶסֶת) যারা প্রধানমন্ত্রী, ক্যাবিনেট, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সরকারি লেজিস্লেইটিভ ক্ষমতা বহন করে, তারা সর্বাধিক ভোটে এই বিল পাশ করে যে ইসরাইল এই মাযবাহা/হত্যাকান্ডের জন্য কোন অফিসিয়াল দায় স্বীকার করবেনা।







নবজাতকের কানে আযান ও ইকামা দেওয়ার মতো এতো নন্দনতাত্ত্বিক জিনিস খুব কমি আছে। ছোট, তুমিতো প্রতি মুহুর্তের সম্ভাবনাময় ইমাম, যুগের মাহদি। ইকামা হয়ে গিয়েছে, তাকবিরে উলা দিয়ে ফেলো, মানুষ যে বসে আছে।




















আইয়ুব বাচ্চুর গান কখনো শুনি নাই। হয়তো টঙে চা চুমুকের সময় কানে ভাসছে। কতো কিছুইতো! মমতাজ, হাসান, জেমস, আজম খানসহ রুনা লায়লা -- সবার গান সবাই প্যাসভলি হলেও শুনেছে, অন্তত আমার প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা। এখন হয়তো সবাই অন্যান্যদেরটা শোনে। পয়েন্ট হচ্ছে, সংস্কৃতি মানুষের জীবনের একটা যাপন, নিতান্তই ভোগ্যপণ্য না। একজন মুসলিম হিসাবে আপনি যখন এই যাপনের একটা কলা হাজিরাইতে না পারতেছেন, তখন জায়গাতা অন্য কিছু দিয়ে প্রতিস্থাপিত হবেই। আধুনিক যুগে সাংস্কৃতিকতা হলো de-godded আত্মমেহন যেখানে মানুষ ডোপামিন ফিক্কা মারে, এই ক্ষণে, এবং তার পরের ক্ষণে, এবং... -- এটা আরো এক্সাইটিং। সাথে রয়েছে পুঁজিবাদী শেরেকি। সব মিলে এন্টারটেইনমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি ব্যাক্তির আত্মপরিচয়ে (সাংস্কৃতিকতা) জায়গা নিয়েছে। আইয়ুব বাচ্চু জেইমস তাই পাবলিক মেমোরির অংশ। তারা ভালো গায়ক -- ঠিক এই কারণে মানুষ তাদেরকে স্মরণ করেছে তা নয়; ভালো মিউজিক সমঝদার হইলে তারা অন্য কিছু শুনতেন, সে অন্য আলাপ। এই জিনিসটা তাই পুরাটা স্ট্রাকচার, এক কথায়: আধুনিক (অ)সভ্যতা, জীবনের দর্শন, যাপন।
পাবলিক ময়দানে ধর্ম নিয়া আলাপে হুজুর আর নন-হুজুরদের মাঝে একটা আইডেন্টিটি পলিটিক্সের কাইজ্জা হয়। কাইজ্জাটা ব্যাপার্স না, তবে সেইটা অনেক ক্লিশে। যেমন, হুজুরদের অনেকে উপরের আলাপ মাথায় না রাইখাই নিজের ইকো চেম্বারে আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে সুপারফিশাল তাফসির দিবে আর হায় হোসেন করবে। মজার বিষয়, হুজুরদের এইসব আলাপ যাদের উদ্দেশ্যে, তাদের সাথে হুজুরদের সামাজিক যোগাযোগ নাই। অপরদিকে সেলফ-হেইটিং নন-হুজুর মোসলমানেরা হুজুরদের পশ্চাদপদ প্রতিক্রিয়া নিয়া (যা সে আগেই প্রেডিক্ট কইরা বলতেছে, একচ্যুয়ালি দেখে নাই) দুই-চাইর কলম জাফর ইকবাল ঝাড়বে। যেমন, অনেক নন-হুজুর হুজুরদের উপর এক হাত নিয়েছেন এজন্য যে, তারা নাকি আইয়ুব বাচ্চুকে জাহান্নামী বলেছেন বা তাকফির হয়েছে। আমি গোটা দেশের সর্বোচ্চ উলামাদের সবার পাবলিক স্টেইটমেন্ট আছে কিনা চেক করেছি, কোথাও তাকফির পাইনাই। তো আমাদের এই নন হুজুর জাফর ইকবালরা অনলাইনের কোন এক ছোট খাট বিচ্ছিন্ন তালিব আল-ইলমের কথাকে ন্যাশনাল ইস্যু বানিয়ে তাদের ইসলামের প্রতি গায়রতহীন জীবন নিয়ে একটা তৃপ্তির ঢেঁকুর তোললো যাতে গোটা উলামা শ্রেনী হাস্যকর হয়ে গেলো।
জংলী শব্দটা অনেক ভালো শব্দ। কলোনাইযাররা প্রি-মডার্ন ধাঁচের সমাজকে জংলী/বর্বর বইলা বেড়াইতো। কাজেই, মাননীয় স্পিকার, আমি বাঙ্গালীর জাতকে জংলী বলতে গিয়াও বলতে পারলাম না।














স্টিভ জব্বারের এক জীবনে এতো প্রেম কেন?
Weirdly voyeuristic
এত্তসব আইসিটি আইন নিয়ে তার আবেদনময়ী অঙ্গগভঙ্গীর রহস্য কী?
জব্বারের ব্রাউজার হিস্ট্রি ঘাটা হোক।















তুর্কির মিডিয়া গেইমের জন্যই যে তারা একটা বেলা বিস্কুট পেতে পারে -- তা নয়; বরং অবৈধ Knesset-এর সদস্য প্রাক্তন Greenfield-এর মুখ থেইকা এই কথাগুলা বাহির করার জন্যে:
"Erdogan may want to humiliate the Saudis, but his main goal is foiling the plan apparently devised by Trump and Mohammed to forge a regional alliance under the aegis of the United States, an alliance that includes Israel, the Gulf States, Saudi Arabia, Jordan, Egypt (and possibly Iraq). These countries will jointly try to block Iran, which endangers all of them. Turkey, which is struggling to find an as-yet-undetermined place within the Arab Muslim world, does not strive merely to lead the Sunni world. It also wants to depict Israel as a foreign colonialist implant in the Middle East. Any legitimization afforded Israel thanks to an alliance with Arab states has negative implications for Erdogan."
"Trump’s peace initiative, if it is ever put on the table, is apparently the direct result of pressure by Mohammed bin Salman, who wishes to legitimize Israel before embarking on open cooperation with it. For 50 years we’ve prayed for a key Arab leader who agrees to sign a significant pact with Israel. Such a leader has finally arrived, and calls to depose him, such as those by former U.S. Ambassador Dan Shapiro in an op-ed in Haaretz (October 21) are destructive and in keeping with the best Obama tradition."








আকিদার উপরে নাদিম আল-জিসরের কিসসাত আল-ইমান বা ঈমানের গল্প নিয়ে আগের পোস্টে বলেছি। আল-গাযালির বইটাও ভালো (বাংলা, ইংরেজীতে আছে)। এ দুটো বই যেকোন সাধারন বা আলিমের জন্য প্রায়োগিক ঈমানের ফায়দা দেয়। এছাড়া বাজারের যতো নাজদি বা আশ'আরি তাত্ত্বিক বই আছে, তা দিয়ে লোকজনের ঈমান-আমলের খুব উন্নতি হয় বলে দেখা যায়না।
ঈমানের পরিচর্যার জন্য আমাদেরকে উম্মুল কুর'আনের 'আল-হামদু' শব্দের নীহিতার্থ অনুধাবন করা উচিত। সকল fathomable এবং unfathomable বাস্তবতার মালিকের প্রতি নিজসত্তা সমপর্নের মাধ্যমেই যেকোন মুমিনের যাত্রা শুরু হয়। বিষয়টা এরকম যে আপনি আল্লাহর ব্যাপারে প্রতি মুহুর্তে in awe থাকবেন। এই যে humility, এটা হালের বাজারী ধর্মতত্ত্বের বই দিয়ে অর্জিত হয়না সবাই জানি।
ঈমানের এরকম পরিচর্যার জন্য লাগবে সর্ব-অস্থির অন্তরের তাউহিদ বা একমুখীকরণ। আধুনিক মানুষের হৃদয় অনেক অস্থির, ফলে আকল কোথায় কখন কেন ব্যাবহার হয় তার হদীস নেই। এজন্য উপরের বই দুটোর পাশাপাশি ইমাম ইবন আতা আল্লাহ আল-সাকান্দারির 'তাজ আল-আরুস' 'আল-হিকাম' রাখতে পারেন; অথবা পীরে হেরাত খাজা আবদুল্লাহ আনসারির 'মানাযিল আল-সা'ইরিন' 'মুনাজাত' রাখতে পারেন।
যাদের কালামিদের নিয়ে মনের অজান্তেই চুলকায়, তারা পীর আবদুল্লাহ আনসারীর বই পড়তে পারেন। কারণ তিনি মাযহাবে হাম্বালি ছিলেন, কালাম বিরোধী ছিলেন।
যাদের হাম্বালিদের নিয়ে মনের অজান্তেই চুলকায়, তারা ইবন আতার বইগুলো দেখবেন।
যাদের আমার মতো চুলকানি-রোধক চামড়া আছে, তারা সবগুলো বা যে কাউকে পড়ুন।
বি.দ্র.
মানাযিলের উপরে য়্যুটিউবে ইংরেজী ও আরবী দারস পাওয়া যায়। এর ব্যাখ্যা মাদারিজ আল-সালিকিনের উপরেও পাওয়া যাবে। মুনাজাতের ইংরেজী অনুবাদ আছে The Intimate Prayer শিরোনামে।
তাজ আল-আরুসের অনুবাদ করেছেন শাইখ শার্মান জ্যাকসান 'Sufism for Non-Sufis' শিরোনামে। তাজ ও হিকাম দুটোর উপরেই য়্যুটিউবে দারস পাওয়া যায়। হিকামের উপরে শা. আল-বুতির বিখ্যাত সিরিজ অনেকে চিনেন।













প্রত্যেকটা রিপোর্ট পড়া আছে। গত এক সপ্তাহে পশ্চিমারা আর তাদের সত্যিকার দোসররা যে স্মরণকালের ভয়াবহ মিডিয়া হামলা চালিয়েছে সউদীর উপর নিজে চোখে দেখেছি। ইতিহাসের ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে সউদী। আন্তর্জাতিকভাবে চেপে ধরা হচ্ছে বিভিন্ন ভাবে। এমন পরিস্থিতিতে ঈমানের দাবীতেই হ্রদয়ে রক্তক্ষরণ থেকে এই পোস্ট।
#IStandWithSaudiArabia
Image may contain: 5 people, people smiling, people sitting and indoor






হালের একটা ফ্যাশন আছে ইসলামকে discursive tradition হিসেবে আনার চেষ্টা, বিশেষ করে বাম ঘরানা থেকে। ফ্যাশান বললাম কারন এই শব্দবন্ধ একাডিমিয়ার বাইরেও অনেকে চিনে থাকতে পারে। ডিস্কার্সিভ দেখানো সমস্যা না, বরং আমাদের দেখা উচিত কারা ইসলামকে তার Truth claim হিসেবে আনছে। যাদের "ডিসকোর্স" জমীনের নিউরোন থেকে শুরু হয়ে উপরে যেতে চায়, কিন্তু উপর থেকে নেমে আসা 'ওয়াহিকে' ওজোন স্তরে দুধভাত হিসেবে রেখে দেয় -- এরা ইসলামকে চুড়ান্ত সত্য হিসেবে কখনই সম্মান দেয়না এবং এ ব্যাপারে ইনসিকিউরিটিতে ভোগে।
অর্থোডক্সির আলোচনায় দেশে আলি রিয়াজ থেইকা শুরু কইরা বাম, বামাতি অনেক জায়গায়ই আলাপ হয়। ভিনদ্যাশ থিকা শাহাব আহমেদ, জামিল আইদিন কেউ আনলে খুব খিয়াল কইরা। ইসলামপন্থারে পচাইতে গিয়া কারা স্বয়ং ইসলামের Truth claim ডুবাইতে চায় একটু দেইখা শুইনা....










শা. ইব্রাহিম ইনয়াস আল-তিজানি (إبراهيم إنياس الكولخي) (সবার বামে) নিয়ে ঘাটতে গিয়ে সায়্যিদ মৌলানার (ডান থেকে ২য়) সাথে ওনার ছবি পেলাম। সায়্যিদি ইব্রাহিম বিগত শতাব্দীর তিজানি তারিকার অন্যতম দিকপাল ছিলেন। তিজানিদের মধ্যে ইব্রাহিমিয়্যা ধারা ওনার নামেই। তবে ওনার একটা বড় পরিচয় ছিলো সেনেগালসহ আফ্রিকার অনেক জায়গায় বি-উপনিবেশী তাসাউউফ প্রচারে। এটা ঠিক যে সায়্যিদ মৌলানার মতো তিনি পোস্ট-কলোনিয়াল জাতিরাষ্ট্রগত রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে চাননি। তবে, সেনেগালের আজাদী হওয়া পর্যন্তও তিনি ঘরে ঘরে গিয়ে এন্টি-কলোনিয়াল যিকর, দু', ওয়াজ করে গিয়েছেন। শাইখের একটা জিকিরনামা ছিলো: ১২,০০০ বার 'হাসবুনা আল্লাহ ওয়া নি'মা আল-ওয়াকিল' পড়া -- এটি করা হতো কলোনাইযার থেকে পরিত্রাণের বিশেষ নিয়তে। শাইখের 'দিওয়াউইন আল-সিত্ত', 'কানয আল-মাসুন', রুহ আল-আদাব, 'ইফরিকা লি আল-ইফরিকিয়্যিন' একিভাবে এন্টি-কলোনিয়াল ধাঁচে রচিত। কানয আল-আউলিয়ার একটা স্তানযা (stanza) এরকম ছিলো:
"হে খোদা এই পঙ্গপালের হাত থেকে আমাদের জমীন পবিত্র করো। আমাদের উপার্জন থেকে তাদেরকে পুষ্টি নিতে দিওনা। আমাদের উৎপাদন ও কাজগুলো যেন আমাদের এবং আমাদের ভালোবাসার মানুষদের জন্য রিজিক হিসেবে থেকে যায়। জালেম ও গোনাহগার কাফিরদেরকে এই রিজিক হতে বঞ্চিত করো।"
একিসাথে তিনি বিদ্যমান যেকোন রাজনৈতিক ক্ষমতাবানদের কাছ থেকে নিজের কমিউনিটির নিরাপত্তা/ধর্মীয় চর্চার বিষয়টি নিশ্চিত করার চিন্তা করেছেন (যেটা যেকোন ঐতিহ্যবাহী মাদরাসা/ধারা করে থাকে)। যেমন, তিনি তার মাউলিদগুলোতে ফ্রেঞ্চ অফিসারদের নিয়ে আসতেন যাতে সরকার ঝামেলা না করে। কিন্তু, শাইখকে সবসময় নজরদারীতে রাখা হতো। ইঙ্গ-ফ্রেঞ্চ জয়েন্ট নজরদারীর সবচেয়ে বড় ফাইলটা ছিলো ওনার উপরে। ফ্রান্সের Le Sous-Directeur Bougeau, Direction des Affaires Politiques ওনার সম্পর্কে প্রতিবেদনে লিখেছিলো: "The traditional nature of one Ibrahim Nyasse should not allow his activities to escape our attention.… Neither can we ignore that his spiritual enterprise is especially assured in the Hausa regions of the Gold Coast and Northern Nigeria; where there is a risk of seeing the impending creation of a State for the black race with a Muslim political and social structure." (Tr. Zachary W.)
Image may contain: one or more people and people standing
শাইখ মুসলিম বিশ্বের নেতাদের সাথে সাক্ষাতে আগ্রহী ছিলেন এবং প্যান-আফ্রিকান আজাদীর জন্য প্রচুর সফর করেছেন। জাতিরাষ্ট্র নিয়ে খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। একে তিনি কলোনিয়াল লেগাসির ভার্চুয়াল এক্সটেনশান হিসেবে দেখতেন। একারণে একে ইসলামাইয করার বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেননি; ইসলামপন্থীদের সাথে দ্বিমত করেছেন। তাই, আগের মতোই, কমিউনিটি ও মাদ্রাসার নিরাপত্তার জন্য সরকারদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখতেন। তবে স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারও তাকে নজরদারীতে রাখতো। ১৯৭১ সালে নাইজেরিয়ায় উনি ইসলামি পলিটিকাল এইজেন্সির গুরুত্ব তুলে ধরে ইবন তাইমিয়্যার সুরে বলেছিলেন:
"জুলুমের সিলসিলা এড়িয়ে চলতে হবে...একজন রাজা কাফির হওয়া সত্ত্বেও upright হতে পারে, কিন্তু কেউ জালিম হলে তার upright হওয়ার কোন চান্স নেই।"
১৯৭৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন। কাদাসাল্লাহু সিররাহুমা।


পুঁজিবাদী ইসলামি অনুবাদ সাহিত্যে 'প্রমিতগামীতার' জন্য মুখিয়ে থাকাটা কেন যেন স্বোয়াহীহ 'বৈশুদ্ধ'-বাদীদের মধ্যেই বেশি পাওয়া যায়।
অদভোৎ এক বিশুদ্ধহীনতায় ভুগছি!















মডার্নিটি যেকোন বিশ্বাসী আত্মার ইঞ্জিন ওভারহিটেড করে দেয়। আশা-ভরশা-স্বপ্নের ফিউল ফুড়িয়ে যায়। মডার্নিটির পরে ভালো কোন চিত্র নেই। জম্বি apocalypse, এলিয়েন আক্রমন, রোবট/এন্ড্রয়েডদের খেলাফত। মুসলিমরাও একিভাবে মডার্নিটির দিগন্তের বাইরে গিয়ে নিজেদের জন্য ভবিষ্যত কল্পনা করতে পারেনা, চায়না। মডার্নিটির পরেই ইমাম মাহদি, আর কিয়ামত; মাঝখানে শুধু ছ্যাঁকা খাওয়ার উপাখ্যান। মুসলিমদের ইতিহাস ঐতিহ্য আজকে রেলিক বা শিলালিপি। ওয়াহি আমাদের জন্য কোন সম্ভাবনা দেয়না, দেয় কিছু deterministic বইপুস্তক যেখানে ইসলাম খোদাই থাকে যার কোন গতিময় ভবিষ্যৎ নেইফলে আমরা পরিণত হয়েছি স্মৃতি-বিবর্জিত জাতিতে -- নামহীন এক জাতি যারা কোন স্বপ্ন দেখেনা, আবার মডার্ন বিশ্বেও ফিট খেতে পারেনা।











মুহাম্মাদ ইবন আব্দ আল-ওয়াহহাবকে নিয়ে লিখেছিলাম হালকা। বলেছিলাম discourse/খিতাব/মূল বয়ান হিসেবে তিনি ক্ষতিকর তবে phenomenon হিসেবে বি-উপনিবেশী ও ইসলাহি কিছু আন্দোলনে অনুঘটক হিসেবে হাজির ছিলেন (হিন্দুস্তানে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ফরায়েজী আন্দোলন, পশ্চিম সুমাত্রায় ডাচদের বিরুদ্ধে পাদ্রী আন্দোলন ইত্যাদি )। দ্বিতীয় এই পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা আপাতত করছিনা। মূল বয়ান কীভাবে ক্ষতিকর তা ইবন আব্দ আল-ওয়াহহাব তার "বর্নাঢ্য" জীবনে হাতে কলমে দেখিয়ে গিয়েছেন। সে তার শিক্ষকদের থেকে শুরু করে নিজের পরিবারের লোকদেরকে তাকফির করেছে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে। আমি তাই চেষ্টা করবো তার নিজের (হাম্বালি) ঘরানা থেকেই ক্রিটিকগুলো আনার যারা কাছ থেকে সব দেখেছেন, জেনেছেন।
যেসব হাম্বালি মুফতি তাকে রাদ্দ করে লিখেছেন-বলেছেন:
- মক্কার মুফতি ইবন হুমাইদ আল-নাজদি
-
সৌদীর আল-আহসার মুফতি ইবন ফাইরুয (ই.আ.ও. দ্বারা তাকফিরকৃত)
-
আল-শামের (সিরিয়া) মুফতি হাসান আল-শাত্তি
-
ইরাকের আল-যুবাইরের মুফতি উছমান বি. জামি, তার পরবর্তীতে ইবন জাদিদ
-
ফিলিস্তিনের নাবলুসের মুফতি আব্দ আল্লাহ বি. সুফান আল-কাদ্দুমি
-
কুয়েতের মুফতি আল-উশাইকিরি
-
সৌদীর আল-উনাইযার মুফতি ইবন আদিব (عضيب) আল-তামিমি
-
সৌদীর হুরাইমিলার কাজী (বিচারপতি) মিরবাদ বি. আহমাদ আল-তামিমি
-
হাম্বালিদের মারজা (مرجع الحنابلة في الاسناد) ইবন আফালিক (ই.আ.ও. দ্বারা তাকফিরকৃত)
-
সৌদীর আল-সুদাইর শহরের বিচারপতি (কাজী) আব্দ আল্লাহ বি. সুহাইম
হাম্বালি উলামা রচিত বইসমূহ:
১. ফাসল আল-খিতাব ফি আল-রাদ্দ আলা মুহামামদ বি. আব্দ আল-ওয়াহহাব -- কাজী (হাম্বালি মাযহাবের বিচারপতি), আল-শাহিদ (ভাইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে মৃত্যুবরণ করেছেন) সুলাইমান আল-তামিমি আল-হাম্বালি
২. আল-রাদ্দ আলা মান কাফফারা আহল আল-রিয়াদ -- আল-ইমাম ইবন ফাইরুয আল-হাম্বালি আল-তামিমি (ই.আ.ও.-এর আত্মীয়; حفيد عمة محمد بن عبد الوهاب)
৩. আল-সুহুব আল-ওয়ায়াবিলা আলা দারা'ইহ আল-হানাবিলা -- ইবন হুমাইদ আল-নাজদি আল-হাম্বালি
৪. রিসালা হাম্বালিয়্যা ফি আল-রাদ্দ আলা মুহাম্মাদ বি. আব্দ আল-ওয়াহহাব আল-খারিজি (তাহাক্কুম আল-মুকাল্লিদিন) -- ইবন আফালিক আল-হাম্বালি আল-আহসা'
৫. রিসালা ইবন সুহাইম ইলা আহল আল-বাসরা ওয়া আল-আহসা -- সুলাইমান বি. সুহাইম (সৌদীর রিয়াদের কাজী)
৬. আল-সাওয়া'ইক ওয়া আল-রু'উদ ফি আল-রাদ্দ আলা ইবন সা'উদ -- আব্দ আল্লাহ বি. দাউদ আল-যুবাইরি আল-হাম্বালি
৭. জালা' আল-গুম্মা আন তাকফিরি হাযিহি 'ল-উম্মা -- কাজী উছমান বি. মানসুর আল-নাজদি আল-হাম্বালি
৮. আল-আজউইবা আল-নাজদিয়্যা -- শামস আল-দিন আল-সাফফারিনি আল-হাম্বালি
৯. আল-ওয়াসিত বাইন আল-ইফরাত ওয়া আল-তাফরিত -- মুহাম্মাদ বি. জামিল আল-শাত্তি আল-হাম্বালি
১০. আল-রিহলা আল-হিজাযিয়্যা -- আব্দ আল্লাহ বি. সুফান আল-কাদ্দুমি আল-হাম্বালি
১১. ফিতনাত আল-ওয়াহহাবিয়্যা -- আব্দ আল্লাহ বি. হুমাইদান আল-খালিদি আল-হাম্বালি

ইতিহাসকে তার প্রেক্ষাপট অনুযায়ী বিচার করা উচিত। সুন্নি আলিমরা প্রধানত আহল আল-বাইতের প্রতি ভালোবাসা (হুব্ব) রেখেছেন, একিসাথে মু'আউইয়া রা.-কে গালি (সাব্ব) দেননি। এটা হচ্ছে ধর্মতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ। রাজনৈতিক ও সমাজতাত্ত্বিক দিক আলাদা; এক্ষেত্রে অনেক সমালোচনা হয়েছে; অনেকে প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছেন। ইবন তাইমিয়্যা রাওয়াফিদের অপপ্রচার, ইসলামের রাশিদুন খুলাফার সম্ভ্রম নিয়ে রাহাজানি, ও বাড়াবাড়ির প্রতিক্রিয়ায় 'মিনহাজ' লিখেছেন, আল-কাদি ইবন আল-আরাবি আল-মালিকি 'আল-আওয়াসিম' লিখেছেন। স্বভাবতই আহল আল-বাইতকে নিয়ে বা উমাইয়্যাদের নিয়ে পুরোপুরি বস্তুনিষ্ঠ থাকতে পারেননি দুজনেই, মুনাযারার ময়দান এরকমই। কিন্তু এই কারণে ইবন তাইমিয়্যাকে 'নাসিবি' নামক ধর্মতাত্ত্বিক ট্যাগ লাগিয়ে মিছিল করার কিছু নেই। কারণ:
১. নাসিবি হয়ে কোন কাজ করা আর কোন গবেষণা নাসিবিয়্যাতের *মতো* হয়ে যাওয়া এক জিনিস নয়।
২. গবেষণা, বিশেষ করে ইতিহাস পর্যালোচনা, ভুল হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। পর্যাপ্ত পরিমাণ তথ্যের অভাব, পারিপার্শ্বিক হস্টাইল পরিবেশ ইত্যাদি ইবন তাইমিয়্যার জন্য প্রভাবক ছিলো (উদা.)।
আপনি একি মিছিল ইবন আল-আরাবিকে নিয়ে করেন না। বোঝা যায় ইবন তাইমিয়্যা নিয়ে আপনার ক্যাম্পেইন বিদ্বেষ-প্রসূত কিংবা বায়াসড। ইবন তাইমিয়্যাকে যদি কোন ছাড় দিতে না চান, তাহলে ইতিহাসের অনেক আলিমকে বিভিন্ন পয়েন্টে ছাড় দিয়ে কেন ইনক্লুসিভ সুন্নিবাদের ডাক দেন? শাফি'ই-হানাফি যুদ্ধের কিছু গণিমত উঠিয়ে আনি? মালিকি-শাফি'? আরেকটু মজা হোক? নট সো ফানি এনিমোর, ইজ ইট?
বলতে পারেন, ইবন তাইমিয়্যা সিফাত, আহল-বাইত, ও সুফিবাদের কিছু মাস'আলায় বিচ্ছিন্নতা এনেছেন, জুমহুরের বিপরীতে গিয়েছেন। বলতেই পারেন। আল-হাইতামি, আল-সুবকিয়ানসহ অনেকেই বলেছেন। তাই বলে তাকে এমন অবস্থানে নিয়ে যাবেন যাতে মানুষ তাকে ধর্মতাত্ত্বিক দিক থেকে ঘৃণা করতে বাধ্য হয়? জুমহুরের বিপরীতে অন্য উলামা যাননি? আনবো? আরো একটু মজা হোক?
ইবন তাইমিয়্যার অবদান এতো ঠুনকো নয়। বারবার তাঁকে ইবন আব্দ আল-ওয়াহহাবের সাথে মিলিয়ে ধোঁয়া সৃষ্টি করার চেষ্টা বালসুলভ। কেউ কাউকে ক্লেইম করলেই ক্লেইম হয়ে যায়না। ইবন আব্দ আল-ওয়াহহাব তার হাম্বালি শিক্ষক থেকে শুরু করে নিজের ভাইকে পর্যন্ত (হাম্বালি কাজি-বিচারপতি) তাকফির করেছে। তার আকিদার বইগুলো স্বয়ং তার নিজ ঘরের হাম্বালি উলামা (ইবন ফাইরুজ, আল-সাফফারিনি, ইবন আফালিক আল-আহসা' প্রমুখ) দ্বারা পয়েন্ট বাই পয়েন্ট রিফিউট করা হয়েছে, তার ভাই আল-কাদি সুলাইমান দেখিয়েছেন কীভাবে সে ইবন তাইমিয়্যাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে। অথচ ইবন তাইমিয়্যা হাম্বালিদের অবিসংবাদিত আলিম ও ইমাম যিনি তাদের মাযহাবে এমন ভুমিকা রেখেছেন যে মুতাআখখিরুন হাম্বালিরা তাকে আল-শাইখ হিসেবে অভিহিত করেছেন। ইবন তাইমিয়্যাকে তাই লোন উলফ আলিম হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা তাই খাঁটি বাংলায় ফাত্রামী।
আরবীতে আল্লামা আবু যাহরা ইবন তাইমিয়্যার উপরে সুন্দর বস্তুনিষ্ঠ একটি বই লিখেছেন। আরবী জানারা পড়তে পারেন। আর ইংরেজিতে জন হুভার, রদ্রিগো আদামস, ওভামির আঞ্জুমের লেখাজোকা পড়তে পারেন। আশা করি নতুন কিছু শিখতে পারবো।







এটা খুব ইন্টারেস্টিং যে ইসলামের জ্ঞানতত্ত্ব নিয়ে মৌলিক অনুসন্ধান না করা আমরাই তাকলিদের জোর বিরোধিতা করি। যেমন: ধরেন, ছেলে/মেয়ে ঢাবি বা বুয়েটে পড়ে, মাঝে মাঝে জিজেক/ফুকো কপচায় (বুঝছে কিনা সেটা জিজ্ঞাসা করা হারাম), বাংলাদেশে গণ্যমান্য কোন চিন্তক (যেমন: স্পিভাক) পরিব্রজনে আসলে তার পিছে ঘুরে বেড়ায় সেলফি তোলার জন্য -- এইটুকু তাফালিং-ই তাদেরকে মুজতাহিদ স্তরে পৌঁছে দেয়। ভাষাগত সীমাবদ্ধতা এবং কয়েক বছরের প্রশিক্ষনের কথা বাদ দিলেও, যেই ছেলে/মেয়ে নিজের ডিপার্টমেন্টের সাবজেক্টে ইজতিহাদ দূরে থাক, তাকলিদ শাখসি কইরাই কুলাইয়া উঠতে পারতেছেনা, নিজের সাবজেক্টটাই ঠিকমতো আয়ত্ত করতে পারতেছেনা, সে যখন বলে, “ভাই আমি আশশলে মাযহাব টাযহাব বুঝিনা, খোদা প্রদত্ত বুদ্ধিমত্তা ব্যাবহার করি”, তখন, ইয়ে, মানে, একটু কেমন লাগে।
জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে আপনাকে exclusionary reason এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন authority-তে defer করতে হয়। খুব স্বাভাবিক বিষয়। সমস্যা তখনি হয় যখন সমাজে qualified-competent authorities থাকেনা এবং মানুষ reasoned পন্থায় defer করতে শিখেনা। তখনি তৈরী হয় বিচিত্র পীরকূল এবং তাদের ডগ্ম্যাটিক ও ফ্যানাটিক ফ্যানবয়জ। একিসাথে তৈরী হয় জ্ঞানের চরিত্র ও কার্যক্রিয়া না বোঝা জ্ঞানী বেশ ধরা কিছু এনার্কিস্ট মিস্ক্রিয়েন্ট যারা ইজতিহাদের নাম করে পোস্টারবাজী করে। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই দুই গ্রুপই ফেইটালিস্ট বা ভাগ্যবাদী।






আল-হুসাইন (আলাইহি আল-সালাম)-এর শাহাদাত অবশ্যই আমাদেরকে ব্যাথিত করবে। তবে এর মাধ্যমে আল্লাহ আমাদেরকে কিছু প্রয়োজনীয় শিক্ষা দিতে চেয়েছেন কারণ নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তার নাতীর মৃত্যুসংবাদ আগেই দেয়া হয়েছিলো (cf. ইমাম আহমাদের মুসনাদ), এবং তা সাহাবীদের মাঝেও মা'রুফ ছিলো। কী কী হিকমা থাকতে পারে:
১. পৃথিবীতে শুধু কুফরি যুলম থাকবে তা নয়, মুসলিম যুলমও থাকবে। আর যুলমের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে (অর্থাৎ সত্তাতাত্ত্বিকভাবে) সক্রিয় হওয়াটা চুড়ান্ত অস্তিত্ববাচক পূর্ণতায় [শাহাদাত, সাক্ষ্য, ডিভাইন উইটনেস, কালিমা] নিয়ে যেতে পারে। আল-ইমাম ইবন তাইমিয়্যার বিখ্যাত কওল দ্রষ্টব্য।
২. মুসলিম শাসনে য়াযিদীয় ধারার বিপরীতে উম্মতের সিদ্দিকরা চুড়ান্ত হুসাইনি প্রতিবাদ করবে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে -- এটাই নিজ-ঐশী নৈতিকতা।
৩. য়াযিদীয় ক্ষমতা কাঠামোর সাথে যারা যুহদ/আমানেরউসীলায় নিবিড় symbiotic সম্পর্ক গড়ে তোলে, তারা হুসাইনি দলে নেই। হ্যা, যারা নিরপেক্ষ বা ভিন্ন পদ্ধতির সক্রিয়তার কারনে হুসাইনি দলে থাকবেন না, তারা ইজতিহাদের কারনে ১ পাবেন, এতোটুকুই।
৪. য়াযিদদের বিরুদ্ধে দাড়াতে য়াযিদকে তাকফির করা লাগেনা বা অ-মুসলিম দেখানো লাগেনা। আল-হুসাইনের লক্ষ্য ছিলো সত্যের প্রতিনিধিত্ব করা, জমীনে খোদার প্রতিনিধিত্ব করা -- নিজেই খোদা সাজা না।
৫. সাফল্যের সংজ্ঞা হলো চুড়ান্ত প্রচেষ্টাআল্লাহ বলেন: <ওয়া আন লাইসা লি আল-ইনসান ইল্লা মা সা'>সুতরাং মানবীয় সংকীর্ণ চোখে বস্তুবাদী সাফল্যের ছিটেফোঁটা না দেখলে সেই প্রচেষ্টাথেকে বিরত থাকা প্রকারান্তরে য়াযিদিয় অলসতা।
৬. পৃথিবীতে রক্তপাত/সংঘাত অবশ্যম্ভাবী (কারন আমরা খোদা না বা ফিরিশতা না -- পজিটিভ অর্থে)। আপনি কোন ক্যাম্পে থাকবেন সেটাই মূল প্রশ্ন। চুড়ান্ত রাজনীতির প্রশ্নে কোন মানযিল বাইন আল-মানযিলাতাইননেই।
আমাদের দেশে শিক্ষা-প্রাতিষ্ঠানিক ও অর্থনৈতিক শ্রেনীর দিক থেকে "privileged" ভাইদের অনেককে ইসলামের অস্তিত্ববাচক জীবন দর্শনে ঘুরে (তাকাল্লুব) আসতে দেখি, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু তাদের কিছু জনার মাঝে খালেদ আবু আল-ফাদলের ভাষায় অভিবাসী ইসলামেরছোপ পাওয়া যায়। দেখা গিয়েছে, ইসলামকে তাচ্ছিল্য করা অজ্ঞেয়বাদী, পশ্চিম আলোকায়নী প্রকল্পের তাবেদারী করা স্থানীয় ওয়ায়েজীন, ইসলামের ক-খনা জানা বৈদ্যাশে অবস্থানকারী প্রগতিবাদী আকাইম্মাডেমিক প্রমুখদের সাথে এই ভাইরা অনেক পলিটিকালি কারেক্টরাস্তা ভাষা বিনিময় করেন যাতে তারা মাইন্ড না খান, মনে যাতে কষ্ট না পান; এমনকি তাদের সাথে দ্বিমত করার সময় গালে যথেষ্ট পরিমান টোল এঁকে কোনমতে বলেন, "হাহা, ভাই, এই পয়েন্টে আমি একমত না আপনার লগে; তয়, আপনার দ্বিমত করার অধিকারের লাইগা জীবন দিয়া দিমু।" পক্ষান্তরে, হুজুর/ইসলামি শা'আইরের মধ্যে যারা তথাকথিত "ক্ষ্যাৎ" জীবন যাপন করেন, তাদের প্রতি সুখরিয়্যা বা তাচ্ছিল্য দেখান হামেশাই। এজ ইফ, এই হুজুরদের কারনেই *এসেনশালি* মুসলিমরা পিছিয়ে আছে, নেতিয়ে আছে, য়াডা য়াডা। এদের সাথে দ্বিমত করার জন্য এক্সট্রা চিলি সসের "এগ্রি টু ডিসেগ্রি" বা "আপনার অবস্থানের লাইগা জীবন দিমু" লাগেনা। আর হুজুরদের মধ্যে তারাই বুদ্ধিজীবী হিসেবে ৩৩ মার্ক পান, যারা কোনভাবে তাদের বুর্জোয়া অভিবাসী ইসলামের হুজুরেথনিক ঠিকাদারী নিতে পারেন।






ধার্মিকতা কমার সাথে ফতোয়ার কঠোরতাও বাড়তে থাকে। অনেকে ভাবতে পারে পরবর্তী উলামা (খালাফ) ফতোয়ার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তীদের (সালাফ) তুলনায় বেশী শিথিলতা অবলম্বন করেন; কারণ, সালাফরা সাধারণত অধিকতর মুত্তাকি ও সতর্ক ছিলেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে: এই অনুমান ভুল। আমরা বরং দেখি, খালাফ উলামাই ফতোয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি কঠোর -- আমার বিগত একটি পোস্টে আমি তালিকা করে দেখিয়েছি কীভাবে কবীরা গোনাহের সংখ্যা সময়ের সাথে সংখ্যায় বেড়েছে। পূর্বের আলিমদের নিকট কবীরা গোনাহের সংখ্যা পরবর্তীদের তুলনায় অনে-ক কম ছিলো।
সুতরাং:
1) অধিক কঠোর ফতোয়া জরুরীভাবে অধিক ধার্মিকতা/সৎকর্মশীলতা বোঝায় না।
2) ফতোয়ার ক্ষেত্রে (ডিফল্ট) কঠোরতা প্রদর্শন মূলত ইলম ও ফিকহের ঘাটতি; নাহলে আমরা পরবর্তীদের অধিক কঠোরতা কীভাবে ব্যাখ্যা করবো? সুফয়ান আল-ছাউরি সুন্দর বলেছেন,
আমি সত্যিকার ইলম বিচার করি ঐ আস্থাভাজন বিশেষজ্ঞকে দিয়ে যিনি কখন শিথিল হতে হয় তা বুঝতে পারেন। কারন কঠোরতা (তো) যে কেউই দেখাতে পারে।
3) ফতোয়ার ক্ষেত্রে কঠোরতা বাই ডিফল্টদ্বিনকে হেফাজত করা বোঝায় না। বরঞ্চ কঠোরতা অনেক ক্ষেত্রেই দ্বিনের ক্ষতি করে ফেলে: মানুষকে ইসলাম চর্চা/পালন করতে বিমুখ করে দেয় এবং আল্লাহর রহমতের ব্যাপারে নিরাশাবাদী করে তোলে।
- শা. হাতিম আল-আউনি



ইসলামি রাজনৈতিক আলাপে বস্তুনিষ্ঠতা আনতে গিয়ে কারবালাকে ঘটনাহিসেবে, এবং আহল আল-বাইতকে তত্ত্বহিসেবে ডি-মিস্টিফাই এবং ডিকন্সট্রাক্ট করার প্রচেষ্টা সর্বদাই নাসিবিআচরণ না; বরং এটি ইসলামি ইতিহাসের সাথে আলাপচারিতার অংশ। শিয়াগোষ্ঠির তাযিয়া সংস্কৃতি’-র উপলক্ষ্য-কারণ-মানহাজ আর সুন্নিদের আশুরাযাপণ-মানহাজ মোটেইএক নয়। পুর্বোক্তদের মানহাজে অনেকব্যাক্তিত্বকে’-কে নিষ্পাপ দাবী করে মিস্টিফাইকরা হয়েছে, আবার অনেককেডিমনাইযকরা হয়েছে। এই দৃষ্টিভঙ্গী সুন্নি অধিবিদ্যার সাথে খুব একট যায়না। তার মানে এইনা সুন্নিরা সবাই একিভাবে বিষয়টা দেখে; তাদের অনেকে নিষ্পাপ দাবী না করলেও বিভিন্ন ব্যাক্তিত্বের জন্য মর্যাদার স্তরভেদ করেন। আশুরাযাপণে তাই কোন বিশেষ শিয়া’-জাত্যাভিমানিপণা মেনে না নিলে কেউ আল্লাহর রাসুলের (সা.) পরিবার বিরোধী হয়ে যায়না, এবং সুন্নি ধারার ভেতরে কেউ আহল আল-বাইত নিয়ে আবেগ-শোক-ভালোবাসা প্রকাশে উচ্ছাসী হলেই সে শিয়া হয়ে যায়না। আশুরা সুন্নিদের জন্য উদযাপনের দিনও -- সাহাবিদের মতো সবাই নতুন বছরের আগমনে আনন্দ করবে, দোয়া করবে, আশুরার রোজা রাখবে। একিসাথে আশুরা আমাদের জন্য আলি আলাইহিস সালামের পুত্র আল-হুসাইনের পবিত্র খুনের স্মরনিকা। আমাদের উদযাপনের মধ্য দিয়েই আমরা নবীজির দৌহিত্রকে প্রাসঙ্গিক করবো। আশুরা নিয়ে সুন্নি সাহিত্য পড়লেই বিষয়টা পরিষ্কার হবে। উদযাপনের আধুনিক পুঁজিবাদী ভোগবাদী সংজ্ঞা মেনে নিলে হয়তো কারবালা প্রাসঙ্গিক হবেনা। তবে সাহাবিদের তরিকায় করলে একসাথেই সব করা যাবে।






ইমাম আহমাদকে (রা) য়াযিদের নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, তার নিকট হতে কোন হাদিছ নেয়া হবে কিনা। তিনি বলেছিলেন, “না, এ ধরণের কোন সম্মানই তার প্রাপ্য না। সে কি তাদের অন্তর্ভুক্ত নয় যারা হাররার যুদ্ধে যা যা হয়েছে তার সাথে সম্পৃক্ত ছিলো?”
তার ছেলে তাঁকে বলল, “কিছু কিছু গোষ্ঠী বলছে যে তারা য়াযিদকে ভালোবাসে।তিনি বললেন, “কোন মু'মিন ব্যাক্তি, যে আল্লাহ ও আখিরাতের উপর ইমান রাখে, সে কি য়াযিদকে ভালোবাসতে পারে?” ছেলে বললো, “তাহলে আপনি তার উপর লানত প্রার্থনা করেন না কেন?” ইমাম তখন বললেন, “বাবা, তোমার বাপকে কখনো দেখেছো কারো উপর লানত করতে?”
আহল আল-সুন্নার ইমাম কেন এমন কথা বললেন সেজন্য একটু প্রসঙ্গের গভীরে যাওয়া যাক শুধু একটা আলাপ দিয়ে:
য়াযিদ কি গাযওয়া মাদিনা কাইসারেরউসীলায় জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত/ক্ষমাপ্রাপ্ত?
হাদিছ এসেছে:
أول جيش من أمتي يغزون البحر قد أوجبوا ، ثم قال: أول جيش من أمتي يغزون مدينة قيصر مغفور لهم
সারকথায়, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলছেন যে, তাঁর উম্মতের মধ্যে প্রথম যারা নৌযুদ্ধে যাবে তারা জান্নাতি, এবং যারা প্রথম কাইসারের শহর আক্রমণ করবে তারা সবাই ক্ষমাপ্রাপ্ত। এখন, দাবী উঠে যে, য়াযিদ নাকি প্রথম কাইসারের শহর আক্রমণ করে, একারণে সে ক্ষমা প্রাপ্ত ইত্যাদি ইত্যাদি।
প্রথম কথা হচ্ছে, কাইসারের শহর বলা হচ্ছে এখানে, কনস্টান্টিনোপল সরাসরি বলা হচ্ছেনা। ইবন তাইমিয়্যা (রাদি.) এই হাদিছ মুখস্থ লিখতে গিয়ে 'মাদিনা কাইসার' এর জায়গায় 'কাস্তানতুনিয়্যা' বসিয়ে দেন। হাদিছের মাতন নকল করার ক্ষেত্রে এটা ওনার ভুল হয়ে গিয়েছিলো, আল্লাহু ইয়ারহামুহ। যাই হোক। ইবন হাজার (রাদি.) তাঁর 'ফাতহে' একটি তর্ক বর্ণনা করেছেন যে, 'মাদিনা কাইসার' বলতে সিরিয়ার হিমছ বা প্রাচীন এমেসা বোঝানো হচ্ছে; কারণ, ফ্লাভিউস কন্সতানতিনুস হেরাক্লিউস রাসুলুল্লাহর (সা.) এই হাদিছ বর্ননার সময় সেখানে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু এটি একটি দুর্বল তর্ক। এমেসা ছিলো একটি সামরিক ঘাটি যা আনাতোলিয়া ও পূবাঞ্চলে সমরগমনের নিমিত্তে স্টেইজ হিসেবে ব্যাবহৃত হচ্ছিলো; কাজেই তা বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের মূল শহর (মাদিনা কাইসার) হতে পারেনা। এরপরেও, তর্কের খাতিরে যদি মেনেও নেই, তাহলে আমরা দেখবো যে, য়াযিদ এমেসাতে কোন সামরিক অভিযান চালায়নি; আবু উবাইদা ইবন আল-জাররা (রাদি.) শান্তিপুর্ণ উপায়ে সর্বপ্রথম এই শহরটি দখল করেন।
দ্বিতীয় হচ্ছে, যদি এটি কনস্টান্টিনোপল হয়ে থাকে, তাহলে এই শহর প্রথম আক্রমণ করা হয় মু'য়াউইয়ার (রাদি.) আমলে খালিদ বি. আল-ওয়ালিদের (রাদি.) পুত্র আব্দ আল-রাহমানের নেতৃত্বে। আল-তাবারি সহ অনেকেই দেখিয়েছেন যে, এটি সংঘটিত হয়েছিলো ৪৪ হিজরিতে, য়াযিদের অনেক আগেই। সেনাপতি আব্দ আল-রাহমান ৪৭ হিজরিতেই মৃত্যুবরণ করেন (আল-ওয়াকিদি, আবু উবাইদ, ইবন ইব্বান, আল-যাহাবি প্রমুখ হতে বর্ণিত)। অনেকে মনে করতেন যে, আব্দ আল-রাহমান সাহাবি ছিলেন যদিও তা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়নি। এই সংক্রান্ত হাদিছ-বর্ণনা পাওয়া যাবে আল-তিরমিযি, আবু দাউদ প্রমুখের লেখা থেকেও।
حديث أسلم بن يزيد أبي عمران، أنه قال :(غزونا القسطنطينية، وعلى أهل مصر عقبة بن عامر ، وعلى الجماعة عبد الرحمن بن خالد بن الوليد، والروم ملصقو ظهورهم بحائط المدينة). وقد صححه الترمذي وابن خزيمة وابن حبان والحاكم.
৪৪ হিজরির পরে ৪৮ হি.তেও কনস্টান্টিনোপলে আরেকটি আক্রমন হয়েছিলো বলে লিপিবদ্ধ করেছেন আল-তাবারি। এই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন সেনাপতি আব্দ আল-রাহমানের পুত্র ও সাইফুল্লাহর দৌহিত্র খালিদ। সাথে ছিলো মিশরের আমির উকবা বি. আমির।
وقد جاء هذا التفصيل في حديث أبي أيوب: أن عقبة بن عامر كان معهم تحت ابن خالد، وسمي فيها بعبدالرحمن بن خالد.
য়াযিদ যখন সেনা পাঠায় তখন হিজরি ৫৫ সাল (আল-যাহাবি, খালিফা বি. খিয়াত প্রমুখের মতে), অন্য বর্ণনায় ৪৯ হিজরি (আল-তাবারি, ইবন কাছির প্রমুখের মতে)। ইবন কাছির ৪৯ হিজরির বরাত দিয়ে বলেছেন যে, এই সালেই প্রথম আক্রমন হয়। কিন্তু আমরা দেখেছি যে এটি কীভাবে সম্পুর্ণ ভুল। আর য়াযিদ নিজেও প্রথমে যুদ্ধে যেতে অনীহা দেখিয়েছিলো। তাকে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নিতে বলা হলে সে কবিতাইতেছিলো:
কত জ্বর
কত কষ্ট..
দাইর মারওয়ানে সেনারা হবে নষ্ট;
বরং আমার শয্যাশন
এই উঁচু নরম কুশন
সাথে উম্ম কুলছুম
আরামের ধুম!
মু'য়াউইয়া (রাদি.) এইগুলো শুনে ভয়ানক রাগ করলেন, তাকে জোর করে পরবর্তী সৈন্যদলের সাথে পাঠিয়ে দেন। য়াযিদ গিয়ে পৌছাতে পৌছাতে অলরেডি সাতটার মতো মুসলিম বাহিনী সেখানে হাজির হয়ে গিয়েছিলো। আল-বিদায়া ওয়া আল-নিহায়াতে এই আলাপগুলো আছে।
তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই যে, য়াযিদ প্রথম সেনাভিযানের ব্যাবস্থা করেছে, তারপরেও কোন কিছু প্রমাণ হয়না। হাদিছের মাতন বা বক্তব্য দেখলে বোঝা যায়, এখানে যুদ্ধের পুর্বের গোনাহ মাফের কথা বলা হচ্ছে, সারা জীবনের না। আর এখানে গোনাহ মাফের কথা উমুমি বা গোটা বাহিনীর সাপেক্ষে বলা হচ্ছে, বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের ব্যাপারে বলা হচ্ছেনা। কারণ বাহিনীতে অনেক পাপীও ছিলো যারা নন-সাহাবি হওয়ার কারণে বেইসমতি থেকে immune ছিলেন না। সুতরাং তাত্ত্বিকভাবে য়াযিদ যদিও এই যুদ্ধের আগে করা সকল পাপের বোঝা থেকে মুক্তি পেয়েও থাকে, তা তাকে যুদ্ধপরবর্তী পাপ থেকে অব্যাহতি দিবেনা। সে আল্লাহর রাসুলের শহর মাদিনা আল-মুনাউওয়ারা আক্রমন করেছে (وقعة الحرة), সাহাবিদের রক্ত ঝরিয়েছে; যার ফলে মহিলাদের সম্ভ্রম নষ্ট হয়েছে, লুটতরাজ হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। রাসুলুল্লাহ (সা.) হতে সারিহ বা সুস্পষ্ট কওল পাওয়া যায় যে, মাদিনাবাসীদের যারা কষ্ট দিবে তাদের উপরে আল্লাহ, মালাইকা, ও সমগ্র মানবজাতির লানত। (لا يَكيد أهل المدينة أحد إلا انماع كما ينماع الملح في المَاءِ) এবং (من أخاف أهل المدينة فعليه لعنة الله والملائكة والناس أجمعين، لا يقبل الله منه صرفا ولا عدلا، من أخافها فقد أخاف ما بين هذين)
এখানে হাদিছের উদ্দেশ্য বুঝতে হলে এর ইহতিমালগুলোও বোঝা জরুরী। এখানে أول جيش يفتحها বোঝানোর সম্ভাবনা আছে; অর্থাৎ এখানে নিতান্তই কন্সটান্টিনোপোল আক্রমন করার কথা বলা হচ্ছেনা, বরং সম্পুর্ন বিজয় করার কথা বলা হচ্ছে। আমরা জানি, উছমানি সুলতান মুহাম্মাদ আল-ফাতিহ (রা.) ৮৫৭ সালে প্রথম কন্সটান্টিনোপোল বিজয় করেন; যেমনটা হাদিছে ইঙ্গিত পাওয়া যায় (لتفتحن القسطنطينية ، فنعم الأمير أميرها ، ونعم الجيش ذلك الجيش)এর দ্বারা দাজ্জাল বের হওয়ার পূর্বে কন্সটান্টিনোপোল বিজয়ের কথা যে হাদিছে এসেছে সেটিও বোঝানো হতে পারে (لا تقوم الساعة حتى ينزل الروم بالأعماق ، أو بدابق ... (إلى أن قال : ) فيفتتحون قسطنطينية)
আর এই হাদিছটি আহাদ হাদিছ, সানাদ ও মাতন নিয়ে কথা আছে, কিন্তু সে আলাপ থাকুক। য়াযিদের ব্যাপারে আমরা কী ধারণা পোষণ করবো সেটা জানতে ইবন আকিল, ইবন আল-জাউযি, ইবন হাজার আল-আসকালানির (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) লেখাগুলো যথেষ্ট।
















ফেসবুক আইডির লিঙ্কঃ








No comments:

Post a Comment